ঝড়ের রাতে (ইংরেজী ও বাংলা সংস্করণ)

A Stormy Night

by- Tito Mostafiz

The timid pet electricity
Gone with the wind.
The Nor -Wester
With thunder
And rain
And ice stone fall.
Starlights gone all.
Sky is blinking
The roaring lightning!
Trees uprooted
No birds but,
Broken branches
Broken huts flying.
War of the world’s
The homeless mosquitos
Bloody invasion
Skin sweating
Till morning
No sleeping.

বিস্তারিত»

অনন্তের স্বপ্ন

কী চাইনা মাপতে মাপতে যখন ভুলে গিয়েছিলাম –
কী চাই আমার?
অথবা,
কী চেয়েছিলাম অন্য কোন এক জীবনে?
ঠিক তখনি, তোমার আবির্ভাব।

 

প্রচণ্ড খরা শেষে আমি তখন ঝড়ের প্রতীক্ষায় –
সবকিছু ভেঙে চুড়ে ফেলবার মত –
যে ঝড়ে পথ হারায় সবাই।
তুমি এলে, আর,
আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামলো।
জন্মজন্মান্তরের ব্যাকুলতা তোমার কণ্ঠে –
আমার কানের পাশে মুখ নামিয়ে বললে,

বিস্তারিত»

স্বপ্নমাখা নকশীকাঁথা

গায়ে জড়ানো নকশী কাঁথাটার বুননে
কতগুলো স্বপ্ন জড়িয়ে আছে কে জানে!
কতগুলো আঙুলের দু’পিঠ আর তালুর
স্পর্শ আছে সেলাই এর প্রতিটি লাইনে।

কাঁথা মুড়ে শুয়ে যে কবি একান্ত নিভৃতে
মনে মনে রূপরেখা এঁকে চলে কবিতার,
আর দরদী আঙুলের নরম ছোঁয়া যার
কাব্যময় করে তোলে নকশী কাঁথাটাকে,
তারা উভয়ে কিছু কিছু স্বপ্ন দেখে থাকে।
সেসব লুকিয়ে থাকে কাঁথার ভাঁজে ভাঁজে।

বিস্তারিত»

অলপোয়েট্রি.কম

Capture

 অলপোয়েট্রি.কম
কবি হবার তেষ্টায়
মরে গেলুম চেষ্টায়
কাব্য সমুদ্রে লোনা জল।

জ্বি, আপনি ঠিকই ধরেছেন। এটি হতে পারতো আমার এই পোষ্টের সম্ভাব্য শিরোনাম। ক্যাডেট কলেজে থাকা অবস্থায় পানিসমেন্টের হুমকিও আমাকে এক লাইন কবিতা গোছের কিছু লেখাতে পারেনি।মাঝে মাঝে একটু ভাব জেগে উঠত বটে। কিন্তু ঐ যে কে যেন বলেছিল- “ সব শালাই কবি হতে চায়,

বিস্তারিত»

পাঠ প্রচেষ্টা – বনলতা সেন

জীবনানন্দ পড়ার মতন দুঃসাহসে প্রবৃত্ত করার জন্যে মাহবুব ভাইকে দায়ী করতে চাই আমি সবার আগে। আর আপনাদের যদি কিছুমাত্রও ভালো লাগে এ পাঠ তাহলে ধন্যবাদটিও তাঁরই প্রাপ্য।

বনলতা সেন

হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;

বিস্তারিত»

মেডেল মেডেল খেলা – একটি দুষ্টু কবিতা

– “কেমন ছিলাম?”
– “আসল পুরুষ!”
– “মেডেল কোথায়?”
– “ঐ দেখোনা, বাম বাহুতে”
– “ও মা! সেকি?
বাহুতে মেডেল
যায় নেয়া কি?
আচ্ছা যখন দিয়েছই,
থাক না ওটা
লাল টুকটুক আরেকখানা
চুমুতে গড়া মেডেল আঁকা
চাই যে আমার বুকের প’রে”
– “সেকি কথা? এক ইভেন্টে
দুইটি মেডেল যায় কি দেয়া?”

বিস্তারিত»

বিপন্নতার সাক্ষী

সমস্ত অহংকারগুলো ভেঙ্গে পড়ছে ।
একে একে সব । টুকরো কাঁচের মতো ।
অবহেলায় অনায়াসে ব্যবচ্ছেদ বিম্বিত
যেনো একরাশ হৃদয়ের ক্ষত !

বিহবলতায় ভাবি দুস্তর আমি ও তাহারা,
অনাগত দিনের লাগি রাখতে পারি কতোটা পাহারা !

বুঝি নির্বিচারে পড়ছে খসে পলেস্তরা,
আড়-আড়ম্বর, ঐতিহ্য, সন্তানেরা !

বিপন্ন বোধের প্রান্তরে প্রোথিত ও বুঁদ হয়ে,
জীবনেরে খুঁজি আজ ধবংসস্তুপ নাকি দেবালয়ে !

বিস্তারিত»

বিষাদ বিলাসী

প্রতিটি প্রদর্শিত হাসির গভীরে
আমি পাই চাপাকান্নার আওয়াজ।
শোকগাঁথা শোনাই কি আমার কাজ?

প্রতিটি উচ্চকিত অট্টহাসির পেছনে
আমি সচকিত ফিসফিসানি শুনি,
আমি কি কেবলই এক বিষন্ন মুনি?

রৌদ্র করোজ্জ্বল দিনেও আমি দেখি
আকাশের ঈশান কোণে মেঘের চক্রান্ত
আমি কি সত্যিই এতটা সংশয়াক্রান্ত?

মধুর সঙ্গীতগুলোই বারবার,
আমার হৃদয় করে যায় ছারখার
শেলীর কথাই কি তবে,

বিস্তারিত»

‘আমিই পুরুষ’

খোলা ময়দানে একা

প্রহরাহীন, প্রতিরোধহীন

অক্লেশে, আকাশে তাকিয়ে

বলতেই পারি

‘আমিই পুরুষ’।

 

গভীর রাতে একাকী পথে

কুকুরের ডাক অগ্রাহ্য করে,

নিশুত পাখির ভয় জাগিয়ে

চিৎকার করে বলতেই পারি,

‘আমিই পুরুষ’।

 

মিছিলে শ্লোগানে বুক চিতিয়ে

কালো রাজপথ বুকের রক্তে রাঙিয়ে,

বিস্তারিত»

তিনটি আটপৌরে কবিতা

এক: বিচ্ছেদ-১
========
বন্ধু বলেছিল –
ছ’টা মাস যাক, শোক ও সক দুই-ই নাকি কেটে যাবে ধীরে ধীরে।
চারটা মাস তো কাটলো প্রায়
কৈ কিছুই তো কাটছে না আমার?

কাজের ফাঁকে আজ হঠাৎ এসে ভর করলে তুমি মাথার ভিতরে
কি এক শুন্যতায় ভরে গেল চারিটা ধার
খালি খালি হয়ে উঠলো বুকের গহ্ববর
জিভ শুখিয়ে কাঠ।

বিস্তারিত»

অগম্য নৈকট্য

এই খরতপ্ত দিনে জল
তবু মেঘের শকটে চড়ে
একবার ছুঁয়ে যায় তোমাকে ।

আমার স্পর্শইচ্ছে
পারে কি আদৌ অতোটা
অর্ঘ্যনৈকট্যে যেতে !

বিস্তারিত»

আশা

কোন বিষাদগ্রস্ত হৃদয়ে
আশা যেন এক অন্তহীন কুজ্ঝটিকা,
বিভ্রান্তির আবহে এক অলীক কুহেলিকা।

কোমল যে হৃদয় একবার আশাহত হয়,
ভঙ্গুর কাঁচের ন্যায় খানখান হয়ে যায়,
তারে জোর করে জোড়ালেও দাগ রয়ে যায়।

পরাভূত মন, দহে অনুক্ষণ,
ব্যথিত হৃদয় পায় কিছু উপশম,
আশার উষ্ণ চাদর তারে ঢাকে যতক্ষণ।

ঢাকা
২৭ নভেম্বর ২০১৪
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

বিভাজন

একটি পিৎজা কয়েকজনে মিলে
ভাগাভাগি করে খেয়ে নেয়া যায়।
জলের একটি বোতল খুলে
কয়েকজন মিলে জল পান করা যায়।

কোথাও দাঁড়াবার একটু ঠাঁই খুঁজে পেলে
আরও কয়েকজনকে পাশে ডেকে নেয়া যায়।
একটু হাসি ঠোঁটের কোণে খেলেই যদি যায়,
আর ক’জনাকেও ডেকে তার ভাগ দেয়া যায়।

কিন্তু একটি মন, তা সে যতই বড় হোক না কেন,

বিস্তারিত»

ইচ্ছেদ্রবণ : ডুবি সারাক্ষণ

ইচ্ছেগুলো কেমন যেনো লাগছে ভীষণ ভারী !
মনের আকাশ জুড়ে মেঘেরা খুব করছে বাড়াবাড়ি !

বুকের নোঙ্গর ছুঁয়ে জলের বলো এ কেমনতরো ধারা !
প্রিয় স্পর্শ পেলেই কেবল মুক্তো দানা হয়ে অবাক গড়িয়ে পড়া !

আবেগ সূতোয় চাই ওরে যতো গাঁথবো অনুক্ষণ ।
স্ফটিক শাদার বিম্বে সে ততো ভাঙ্গে যখন তখন ।

বলো ! জলের সঙ্গে যদি তোমার অমনতরো জেলাসী !

বিস্তারিত»

ম্রিয়মান মুঠোফোন দিলোনা বসন্ত জানতে

কে কখন তারে বেজেছিলো !
অনিরুদ্ধ কথকতা শিউলির ভোরে
মালায় মালায় গেঁথেছিলো !
কে কখন তারে বেজেছিলো !
বৃষ্টি ছাঁটে ঈষত ভেজা
কদম ছুঁয়েছিলো !
কে কখন নৈঃশব্দের ভীড়ে
কথার পসরায় সাজিয়ে নৌকো
সাগর পাড়ি দেবে ভেবেছিলো !
কে কখন শীতের শিশিরে
মগ্ন পায়ে হেঁটেছিলো চুপি চুপি !
অনাবিল মেঘের ভেলায় স্তুপ স্তুপ
কথা ফেরী করে নিতে চেয়েছিলো !

বিস্তারিত»