একটু আগুন দেবেন?
ক্ষমতা আপনার আসীম অপার।
পারেন পোড়াতে সবুজ বন-
ভয়াবহ দ্বাবানলে মাংস পোড়া ঘ্রান
অগনন হারিণ শাবকের,
দগ্ধ মাটির হাহাকারে নিরব নির্বিকার।
অথবা নিমেষে আঙ্গুলের ইশারায়
ধুলিকনা হয় সাজানো নগরী,
অযুত স্বপ্নের হাতে বোনা জাল
অন্ধকারে ছিন্ন ভিন্ন প্রেতপূরী।
বিপুল শক্তি অমিত ক্ষমতা-
তার লক্ষভাগের ছিটেফোঁটা কনা,
তাও তো চাইনি আমি।
নৈঃশব্দের কথকতা
দুটি ব্যাকুল হৃদয়ের মাঝ দিয়ে
যখন ভালবাসার কোন নদী প্রবাহিত হয়,
দেবতারাও তখন কান পেতে শোনে,
নৈঃশব্দের মাঝে বলা তাদের সকল কথা।
প্রেমিক যুগল যখন হাতে হাত রেখে
ভালবাসার নদীতীরে এক লয়ে পথ চলে,
নদীর কুলুধ্বনি তখন থেমে যায়, কারণ
নদীও তখন শোনে নৈঃশব্দের কথা বলা।
অন্ধকার অরণ্যেও যদি প্রেমাকুল দুটি হৃদয়
একান্তে বসে চুপিসারে বলে কিছু হৃদয়ের কথা,
পাঠ প্রচেষ্টা – তোমার নগ্ন নির্জন হাত
সাহস করে জীবনবাবুকে আরেকবার স্মরণ করলাম। কিন্তু নেপথ্যে সুর জুড়ে দেবার স্পর্ধা হলোনা। জীবনানন্দে সুর না বসালেই যেন ভালো লাগে শুনতে
___________________________________________________________________________________________
তোমার নগ্ন নির্জন হাত
জীবনানন্দ দাশ
আবার আকাশে অন্ধকার ঘন হয়ে উঠেছে :
আলোর রহস্যময়ী সহোদরার মতো এই অন্ধকার।
যে আমাকে চিরদিন ভালোবেসেছে
অথচ যার মুখ আমি কোনদিন দেখিনি,
সেই নারীর মতো
ফাল্গুন আকাশে অন্ধকার নিবিড় হয়েছে উঠছে।
কোথায় আলো, কোথায় আঁধার
পড়ন্ত বিকেলের সোনালী রোদ্দুরটুকু ভালো লাগে।
সোনালী সূর্যটা রক্তিমাভা ধারণ করার আগেই,
দখিনের থাই এলুমিনিয়াম জানালার পাশে দাঁড়াই,
দৃষ্টি মিলিয়ে দেই সবুজ বৃক্ষাদির শাখা প্রশাখায়।
নিবিষ্ট মনে দেখি ক্লান্ত পাখিদের ঘরে ফিরে আসা,
সবুজ টিয়াদের ঝাঁকে ঝাঁকে এসে সবুজ গাছে বসা।
গোধূলির শেষ আলোটুকু দেখতে বড় ভালো লাগে,
দিনান্তের শেষ আয়োজনে প্রকৃতির অপূর্ব সমন্বয়।
ক্লান্ত মানুষের ন্যায় পাখিরাও নিজ ঘরে ফিরে আসে,
এটাই নিয়ম নিয়তির,,,,,,,,,,,
এটাই নিয়ম নিয়তির,,,,,,,,,,,
যতটা সময় ধরে কেউ,
পাশে থাকে বেঁচে
খোঁজেনা কেউ তাকে
এটাই নিয়ম নিয়তির,,,,,,,,,,,
মোহনার কাছে এলে ঢেউ,
ভাটিতে যায় বেড়ে
ডাকেনা উজানে তাকে
এটাই নিয়ম নিয়তির,,,,,,,,,,,
মৌমাছি কানামাছি মৌ
যাপিতের কথাছলে
সাধে সুরেলা বিনাশে
এটাই নিয়ম নিয়তির,,,,,,,,,,,
বাপ্পী খান
১২টা ২১মিনিট
১৮/০৪/২০১৫ইং
কয়েকটি অণু কবিতা
~ মোম (এক) ~
অতোটা শখের সুদৃশ্য মোম
কি করে কতোটা পোড়াবে তারে
অপেক্ষা অনল কিছুটা হলেও তা জানে ।
১৯৮৯
~ মোম (দুই) ~
মোম হয়ে জন্মেছো যখন, পুড়ে তো যেতে হবেই ।
কেনো মিছেমিছি তবে রোদ-বৃষ্টি, সকাল-সন্ধ্যা
আর সময় অসময়ের দোহাই !
১৯৮৯
~ হোম (এক) ~
মোমশিখা জ্বালায়ে আমি
চেয়ে দেখি স্থির মন করি ।
অন্বিত স্মৃতি
স্মৃতি আসলে কোন এক সুখ স্বপ্ন
যা বহু কাল পরেও মনে পড়ে যায়।
মনে পড়ে সেই ত্রিমহিনীর গাবতলা,
কলেজ রোডের পথ প্রান্তরের নিমতলা।
আমি যৌবনের ফেলে আসা দিনের কথা ভেবে
আনমনা হয়ে যাই, খুঁজে ফিরি সেই পথ।
যে তুমি আমার কৈশোরের হেঁটে যাওয়া
পথ ধরে প্রতিদিন জেগে ওঠা কোন রথ।
বিস্তারিত»সালতামামি ১৪২১
সালতামামি ১৪২১
ঋতুভেদে বাংলাদেশের রুপবৈচিত্র্য কেমন ? প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে পদ্য বা গদ্য নিয়ে সালতামামি ১৪২১ লেখলে কেমন হয় ? ভেবেছিলাম ১৪২১ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে। ওপর আলার রহমতে জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় , শ্রাবণ ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ,ফাল্গুন , চৈত্র পেরিয়ে অবশেষে পৌছালাম আরেক বৈশাখে । বৈশাখ ১৪২২। বছরের প্রথম দিনেই সালতামামি প্রকাশ করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আলসেমিতে কাজটা হয়ে ওঠেনি। এদিকে কালবৈশাখী অজুহাতে লোডশেডিং আরও ঝামেলা তৈরী করছে।
বিস্তারিত»তোমার জন্য
এক.
তোমার চোখে কখনো কখনো
দেখি অনুষ্ণ প্রাচীন এক আলো
কোন এক নক্ষত্রের নরম আগুন
হয়তো মৃত সেই নক্ষত্র আজ
অথচ কি অসম্ভব বাস্তব
তোমার চোখ … আর এই আলো
দুই.
এই যাপিত সংসারে
একফোঁটা … দুফোটা করে
উষ্ণতা হারায় আমাদের হৃদয়
শৈত্য টের পাই, চোখের তারায়
ঠোঁটে, অনিচ্ছুক আলিংগনে
হাত বাড়ালেই ছোয়া যায়
অথচ কি নিরুপায় দুরত্ব …
(পুর্বে প্রকাশিত)
বিস্তারিত»কারো কারো অভিমান
কারো কারো অভিমান
বর্ষার কালো মেঘ হয়ে শুধু বারি ঝরাতেই থাকে।
কারো কারো অভিমান
চাপাকান্নার আওয়াজ হয়ে শুধু ফিরে ফিরে আসে।
কারো কারো অভিমান
বুকের মাঝখানটাতে ঝনঝন করে বাজতেই থাকে,
কারো কারো অভিমান
মৃদু বাতাসের মর্মর ধ্বনি থেকে তীব্র তুফান ডাকে।
কারো কারো অভিমান
তপ্ত প্রশ্বাসের মত শুধু আবৃত মুখে উত্তাপ ছড়ায়,
কারো কারো অভিমান
ক্ষণিক বৃষ্টির অবসানে বর্ণিল রঙধনুর দেখা পায়।
আমি এক মানুষ
আমি এক মানুষ
চরম আত্নকেন্দ্রিক লোভীদের মাঝে
নির্লোভ থাকার চেষ্টায় রত,
অথচ প্রকৃতিতে ফলজ বৃক্ষ প্রসব বেদনার পর ,
শ্রাবনের প্রতিক্ষণেই সিক্ত;
আলো বাতাশ আর বৃষ্টির ত্রিমাত্রিক প্রেমে হাবুডুবু,পাতাদের হাস্য উজ্জল নৃত্য।
আমিতো মানুষ, আমার সমাজ আছে, আমি বেঁচে আছি
তাই পাওয়ার আশা না করে কল্পনাকে ভালবেসেছি।
যৌবনের উষা লগ্ন থেকে জীবনের শেষ র্পযন্ত
প্রতেকেই ভালবাসার নৌকাই পাল তুলে একাধিকবার;
তবু ভরেনা মন ভরেনা হৃদয়ের প্রান্ত।
…………প্রসংগ প্রিয়তম।।
…………প্রসংগ প্রিয়তম।।
প্রিয়তম
চরম
গরম
নরম
পরম
শরম
নীল-ভ্রম
বিভ্রম
অনুপম
নিরূপম
সম্ভ্রম
মন-মম
সংগম
সংযম
রকম
সকম
…………প্রসংগ প্রিয়তম।।
বাপ্পী খান
বিস্তারিত»সন্ধিকাল
বালকের মুঠোয় থাকে লক্ষ তারার আকাশ
যেখানে দুরন্ত ঘুড়ি শন শন উড়ে দিনমান
জীবনের ঘনিষ্ঠ জড়াজড়ি জলে কি ডাঙ্গায়
আর থাকে মেঘেদের নিয়মিত পালাগান।
এরপর হঠাৎ কোন অশুভ মাঝরাতে
উঠে ধারালো কাস্তের মত নির্মম এক চাঁদ
জটিল সেই ফাঁদ
ছিঁড়ে ফেলে ছুঁড়ে ফেলে ঘুড়ি ও নাটাই।
বিস্তারিত»নাবিকের মনের নোঙর
ছুটি শেষে যে নাবিক গৃহত্যাগ করে,
ফিরে চলে পোতাশ্রয়ে নোঙর করা
তার জাহাজ পানে, জিজ্ঞেস করোনা
তাকে কখনো তার গন্তব্যের কথা।
তার মনে গেঁথে থাকে ফেলে আসা
সব প্রিয়জনের কান্নাভেজা মুখ, আর
বাংলার শ্যামল প্রান্তরে রেখে যাওয়া
তার পদচিহ্নের মৃন্ময় সজীব স্মৃতি।
অচিরেই সেসব স্মৃতিগুলো মিশে যাবে
সাগরের নীল জলে, রয়ে যাবে শুধুই
ভালোবাসার এলোমেলো ব্যক্ত অব্যক্ত
কিছ কথামালা আর ধূসর কিছু কল্পনা।
নতুন দিনের জন্যে
তাকিয়ে দ্যাখো জামার কাপড়
আয়না সাবান ফুচকা পাপড়
ঢেউয়ের নদী পথের ওমোড়
উলটো কলস উটকো অলস
সবাই কেমন বদলে গ্যাছে
বদলে গ্যাছে দিবস ও রাত
হাতের চুড়ি কোমল দু’হাত
মরচে পড়া লোহার করাত
জেলের গাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি
সবাই কেমন বদলে গ্যাছে
চোখ মেলে চাও রাতের দিকে
দেখবে আঁধার কেমন ফিকে
জ্বলছে জোনাক দিকে দিকে
আবছা আলো পথ দেখালো
বদলে যাবে এবার সবই