~ এলোমেলো – এক ~
ইচ্ছে করে
গোলাপ ফুলের রঙটা আনি গন্ধরাজে
গন্ধরাজের গন্ধটা দেই গোলাপ বনে ।
ইচ্ছে করে
মেঘগুলো সব খামচে এনে মেশাই জলে
জল থেকে সব নীল মাখি ওই মেঘের দলে ।
তোমার যত সুন্দর সব মিশিয়ে রঙে
তুলির টানে কষ্ট আঁকি নানান ঢঙে ।
ভীষণ দেখি ভালোবাসার কষ্ট-সুখে
হৃদয়পুরের ক্যানভাসে সব কেমন ভাসে ।
ইচ্ছে করে
ভীষণ ভাবি তোমার যতো কষ্টেরা সব
আমার হবে ।
আমার যদি
সুখ আসে আজ অক্লেশে সব
তোমার হবে ।
ইচ্ছে করে
ফুলগুলো সব নিবিড় সাজাই একটা ফুলে,
তোমার খোঁপায় ।
একটা ফুলে
সব ফুলেরই রঙ হলে আর গন্ধ মিলে
কেমন দেখায় !
ফুলগুলো সব নিবিড় সাজাই একটা ফুলে
তোমার খোঁপায়;
ইচ্ছে করে ।
~ এলোমেলো – দুই ~
বুনো হাওয়ায় বুনোট বাঁধে
পাগলাটে সব প্রজাপতি ।
আমার বুকের আলমারীতে
পুতুল নাচায় সিঁদুরমতি ।
তীব্র মাতায়
পুতুল নাচায়
মাতাল হাওয়ায়
পাগলাটে সব
প্রজাপতি
বুকের ভেতর আলমারীতে
তীব্র মাতায়
সিঁদুর মতি ।
ভালোবাসার
প্রজাপতি ।
~ এলোমেলো – তিন ~
নির্জলা এই বৃষ্টি রাতে
সব প্রেমিকই তুমুল কাঁপে ।
বুক পাঁজরের সংগোপনে
ভুল বাতাসে
পাগল কাঁপে ।
ভালোবাসায় ছটফটিয়ে
ভুল বাঁধনে
বদ্ধ ঝাঁপে ।
নির্জলা এই বৃষ্টি রাতে
সব প্রেমিকই তুমুল কাঁপে ।
মাঠ-পাহাড়ে পাখ-পাখালী
ভুল কুজনে
বেঘোর নাচে ।
ভালোবাসায় ছটফটিয়ে
সব প্রেমিকই
তুমুল কাঁপে ।
নির্জলা এই বৃষ্টি রাতে ।
[ রচনাকাল ~ ০৪ মার্চ ১৯৮৭ ]
দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ~ সাহস ফিরে পেলে এসো ~ প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারী ১৯৮৮.
কিন্তু সিঁড়ি ভাঙ্গা লাইনগুলো সব দেখছি চরম বামপন্থীর মতোন বাঁয়ের রেঞ্জে লেপটে গিয়েছে ...
তাতে তো লেখাটার মজাই লোপাট হবে অনেকাংশে !!!
এডিট মোডে আবার দেখাচ্ছে ঠিক ঠাক ...
🙁 🙁
আ হা আ হা লুৎফুল ভাই। আপনার এ বইটা যখন বেরিয়ে গেছে তখন আমি ক্লাস নাইনে, ভাবা যায়?
আর এমন রিনঝিন রোমান্টিক পঙক্তিমালা পড়ে ফের প্রেমপতত্রে বুঁদ হয়ে যেতে ইচ্ছে করে।
সিঁড়ি ভাঙ্গা লাইন এখানে আমিও লিখতে পারিনি --- সে আশা ত্যাগ করেছি বহুকাল। 🙁
হুমমম ... ঢাবির সেশন জটের কল্যাণে আমি তখন সেকেন্ড ইয়ার শেষ করছি কেবল ...
তখন সেই ছিলো এক সময় ... যেখানে রাত ... সেখানে কাত না হলেও মধ্যরাত পার ...
বুয়েট, মেডিক্যাল, ফুলার রোড, আমার মতোন একাকী মধ্যরাতের পদব্রজী তখন মনে হয় না আর কেউ ছিলো ...
আহা কি সব দিন ...
উচ্ছ্বল আবেগের কাছে জীবন সঙ্গীন ...
এটা আসলেই হোঁচট খাওয়ার মতোন ... একটা বিষয় ... লাইন গুলো ... তবে JPG পোস্ট করা যায় বটে ... তাই না !!!
কোনটা থেকে কোনটা ভালো বলবো!
এভাবে কনফিউসনে ফেলোনা। কী অসাধারণ তিনটি কবিতা !
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
ভালো লাগায় আপ্লুত ...
আপনার বিষাদ মাখা লেখার পিঠে জুড়ে দেয়া মন্তব্যেই কিন্তু এই কবিতা খানা (ত্রয়) এখানে পোস্ট করা ।
ভালো লাগায় প্রীত ।
:boss: :boss:
আই মিন আমার বিষাদমাখা লেখার পিঠে আপনার মন্তব্যে ...
একটা ডিসক্লেমার দেয়া সমীচীন ছিলঃ "আমার 'এলোমেলো' যদি কোন পাঠক পাঠিকাকে এলোমেলো করে দিয়ে যায়, তবে কবি দায়ী নহেন"! 🙂
তিনটিই খুব ভালো লেগেছে। তবে বেশী ভালো লেগেছেঃ
"ইচ্ছে করে
ফুলগুলো সব নিবিড় সাজাই একটা ফুলে,
তোমার খোঁপায় ।
একটা ফুলে
সব ফুলেরই রঙ হলে আর গন্ধ মিলে
কেমন দেখায় !
ফুলগুলো সব নিবিড় সাজাই একটা ফুলে
তোমার খোঁপায়;
ইচ্ছে করে ।"
প্রায় তিন যুগ আগের লেখা কবিতা, এখনো 'তীব্র মাতায়'!
আপনার অমন সুন্দর একটা মন্তব্যে এমন লেখার অগণিত বারের সার্থকতা যেনো পেয়ে গেলাম এক বারে ।
:boss: :boss: :boss: :boss: :boss:
চুম্বক!
ছন্দে ছন্দে দুলি আনন্দে...
🙂 🙂 🙂
অনেক ধন্যবাদ কাজী সাদিক।