মেঘের মিছিল জমা হয়ে আছে সব
জনপদ সীমান্ত জুড়ে।
ইমিগ্রেশনের ছাড়পত্র পেলেই
যেনো এসে যাবে হুড়মুড়িয়ে।
রোদের সন্ত্রাস শুষে নিচ্ছে তখন এই
শহরের শেষ কণা স্বেদ, সাথে
শ্রমিকের কর্মস্পৃহা তেজ।
তুমি শীতাতপ যন্ত্রের সাথে
পারদের তীব্র মাখামাখি
গায়ে দিয়ে বলো, হয়ে যাচ্ছো নিস্তেজ !
চৌচির মাটির বুক চিরে
যোদ্ধা কৃষকের চকচকে লাংগলের
ফালফুলো ফুসছে যখন ঘামের জ্বালানীতে,
দড়িবোনা শরীরের ঢাল বেয়ে তার, রোজ।
তুমি বলো সাত পদে সাজানো টেবিল
তোমার খুব ছোটো, তাই জমেনিকো ভোজ;
এই গরমে ভালো মন্দ খাওয়াটাও কসরত।
হোক তবে মেঘেদের বিদ্রোহ।
রোদের সারস সাহস জীবনের
শ্বাসরোধ করবার বিক্ষোভ।
পাথর জমিন আর ফলার সন্ধি আজ
লাংগলের মাথা থেকে খুলে নিক
চাষের পোষাক। কৃষকেরা ভাবুক হোক, আর
গামছায় মুছে নিক ঘামের দ্রবণে
মেশা সব কর্মস্পৃহা শ্লোক।
তুমি কালোবাজারীর চৌকষ মেধায়
দেখাও তবে দখলী থাবার জোর।
রোদকে গুম করে, ম্যাজিকে ধানের গায়ে
দেখি নামাও বৃষ্টি জলের ভোর।
জগতের সকল নিয়ম রক্ষীরা
যখন তোমার এতোই বংশবদ।
আংগিনায় বৃষ্টিরা নামুক নির্ভুল
দেখি তোমাদের নির্বিবাদ পোর্ট এন্ট্রির জোর।
১১ জুন ২০১৫ ~ ভোর
🙂 🙂 🙂 🙂
সিসিবিতে কবিতা এলে খুব বেকায়দায় পরে যাই আমি। এ যেন, 'তাকে আমি বড় ভালবাসি, কিন্তু বুঝাতে পারিনা কেন ভালবাসি' টাইপ অবস্থা!
অনুভূতিগুলোর ফানেলের গলায় আটকে যাওয়া....
অনেক উপমা।
এই ব্যাস্ততায় বুঝবো না।
পরে সময় করে পড়তে হবে আবার...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
কবিতার মায়াজালে কুরুশ কাটার কসরত...
কৃষকেরা ভাবুক হোক, আর
গামছায় মুছে নিক ঘামের দ্রবণে
মেশা সব কর্মস্পৃহা শ্লোক।
একেবারে অন্যরকম। অনেক সুন্দর
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
প্রীত ও অনুপ্রাণিত হলাম মন্তব্যে, সাইদুল ভাই ।
কবিতায় ক্ষোভ আর দ্রোহের উত্তাপ অনুভব করা যায়।
কিভাবে কিভাবে যেনো চলে আসে।
হয় প্রেম নয় দ্রোহ।
অযুত ধন্যবাদ খায়রুল ভাই।
সারাদিন ঝুম বৃষ্টির পর কবিতাটা আরও বেশিই ভাল লাগল... 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
হুম। বৃষ্টিটা নেমে যেমন বাঁচালো।
সেই সাথে নগরীদের কতো কি যে ডোবালো।
আমার পড়া আপনার অন্যতম সেরা লেখা এটা।
একেবারে অন্য স্টাইলে দেখছি।
:clap: :clap: :clap:
অনেক ধন্যবাদ নূপুর ।
খুব ভালো লাগলো তোমার অমন ভালো লাগার মন্তব্যটা পড়ে ।