দুটো কবিতা


স্রষ্টা জিজ্ঞাসা করেছিল
“কোন শেষ ইচ্ছা?”
চিন্তায় পড়ে গেলাম,
কোনটা ছেড়ে কোনটা?
সকালের পিটি ফাঁকি নাকি
নাকি এক্সট্রা পরোটা
নাকি চার পিরিয়ড টানা ঘুমিয়ে
মিল্কব্রেকের তাল বরাটা।
যেটা দিয়ে ছুঁড়ো ছুড়ি করতাম-
এপাশ থেকে ওপাশ, এ টেবিল থেকে ও টেবিল।
নাকি আফটারনুন প্রেপের ঘুম নেব
নাকি শুক্রবারের অপশনাল
নাকি জুম্মার পরে ব্লক ক্রিকেটে
মশারীর সূক্ষ্মজাল।

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ দশ

: দু’দিন কথা না হলেই ভেতরটা কেমন করে! মনে হয় বুঝিবা মাস পেরিয়ে বছর হতে চলল!
: ভালো আছো?
: থাক, যদি বুঝতে?
: তুমি সুন্দর ক’রে চোখে কাজল দিও ঠিক,
কপালে একটা ছোট টিপ আর ঠোঁটে লিপস্টিক!
: ইস, আমার বয়েই গেছে।
আচ্ছা, কোনটা বেশি সুন্দর লাগে কাজল, টিপ না লিপস্টিক?
: শৈশবে কপালের টিপ খুব লাগতো,

বিস্তারিত»

আমার স্বপ্ন ভ্রম

আমি অশ্রু সজল নয়নে
অস্থির আজল বনপাংশুল এক প্রেমিক
তৃষ্ণিত সাম্পান আমার, তোমার নদীতে
চলছে দীর্ঘ দিন ঠিকঠিক ।

অথচ মাঝে মাঝেই তোমাকে হারিয়ে ফেলি
মহুয়ার প্রান্তরে, কোন এক কাশ বনে,
আবার প্রান্তরের গান নিয়ে মন্দিরা বাঁজিয়ে
তোমায় পেতে চাই আমার প্রাণে।

বিশ্বাস করো, কি আকুতি আমার
তোমাকে পাবার, তোমার কাছে থাকার;
উদাস আর নিদ্রাহীন রাত্রী ফেলে
তোমার হৃদয়ে ফিরে আসার।

বিস্তারিত»

নোনাজল

এই পুষ্পনগরীতে

একদিন বিচরণ ছিলো আমাদেরও।

সন্ধ্যার মেঘমালায়

বুকে মাথা রেখে

কান্নায় ভাসাতাম

কত রাত!

রাতজাগা দুটি পাখি

অনায়াসেই নির্ঘুম অপেক্ষায়

গুনতো ক্লান্তিহীন প্রহর।

ভোরের অন্ধকার মাড়িয়ে

একরাশ আলো নিয়ে সাথে

ফিরতাম রোজ  তার কাছে –

পথ চেয়ে থাকা

নিষ্পলক চোখের নোনাস্রোত তার

যখন যেতো শুকিয়ে!

বিস্তারিত»

একজন মৌলিক ‘চাঁদ সদাগর’

[ কবির জন্মদিনে স্মরণ ও শ্রদ্ধা হিসেবে পুরোনো এ লেখাটাকেই সিসিবি-র ফোরামে শেয়ার করলাম ]

স্বপ্ন দেখার সক্ষমতাই সম্ভবত মনুষ্য জীবের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ স্বাতন্ত্র। স্বপ্ন দেখতে পারে বলে মানুষ নিয়ত নির্মাণ করে আপন স্বভাব, সভ্যতা, সৌকর্য; তার আপন প্রভায়। মানুষ মাত্রেই বলতে পারি স্বাপ্নিক। স্বপ্নদ্রষ্টা তাই হয়তো সবাই। কিন্তু স্বপ্নস্রষ্টা ক’জন! কবিরা সম্ভবত স্বপ্নস্রষ্টাদের মাঝে অগ্রগণ্য।

একজন সহজ সরল সাবলীল বিনয়ী মানুষ,

বিস্তারিত»

রাগ

কথায় কথায় আসো তুমি,
জাপটে ধরো মনটাকে,
উস্কে দিয়ে বাধ্য করো,
কঠিন পণে আটকাতে।

একটু পরেই একটুখানি
মিষ্টি কথায় যাও ভিজে,
সব ভুলে যাও এক নিমেষে
একটু আদর আহ্লাদে!

বরফ যেমন গলে তাপে,
তেমন গলো অশ্রুতে,
কঠিন তোমার বাহিরখানি
তরল ভেতর দিকটিতে।

গলেই যদি যাবে তুমি,
আর এসোনা ক্ষণে ক্ষণে,

বিস্তারিত»

নিঃসঙ্গ পিরামিড

এই কবিতাটা প্রায় এক দশক আগে কোনও এক পূর্ণিমার মাঝরাত্তিরে শহীদুল্লাহ হলের পুকুরপাড়ে বসে লেখা। জীবনবাবুর কোবতের অত্যধিক ছায়া থাকায় এতদিন ন্যাপথালিন দেয়া দেরাজে রেখে দিয়াছিলাম।

আজ জীবনবাবুর মৃত্যুদিবসে সে দেরাজ খুলে দিলাম। সকলের জীবন আনন্দময় হোক।

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ নয়

: কাল সারাদিন, সারারাত বৃষ্টি হলো!
আমার যে কী কী হলো, কেমন কেমন লাগলো!
পুরোটা সময় মনে হল, তুমি পাশে আছো, তুমি জড়িয়ে আছো হাতে, বাহুতে!
: হুম, আমিও একা একা ভাবছিলাম। আমি সেদিন থেকে বৃষ্টির প্রতিশব্দ হয়ে গেছি তোমার কাছে, আর বাকি জীবনের সাথেও বুঝি জুড়ে গেল, যখনই বৃষ্টি তখনই আমি!
: ভালোই হলো। তোমার না থাকা নিয়ে আমায় ভাবতে হবে না।

বিস্তারিত»

~ পারছো কি ! ~

পারলে ঠেকাও স্বপ্নগুলি ।
রাত জাগা সব ইচ্ছে ভেলা
চাঁদের সাথে খুনসুটিতে
তারার সাক্ষ্যে মালায় গাঁথা
খামখেয়ালী কথাগুলি ।

সবুজ খোলা মাঠের গায়ে
দুরন্ত সেই কিশোর বেলার
ছুটোছুটি – চঞ্চলতার
ছবি আঁকা সকালগুলি ।

স্মৃতির শহর ঘুরে ঘুরে
শরীর জুড়ে আগলে রাখা
জলের ফোঁটা আলিঙ্গণের
বৃষ্টিসখ্য লগ্নগুলি ।

বুকের ভিতর বামকুঠুরী
ভরাট করে জমানো সব
কথার ঝুড়ি,

বিস্তারিত»

ঘুম দিয়েছে আড়ি

এলোমেলো ভাবনাগুলো মাথায় খাবি খায়,
যখন যেথায় ইচ্ছেমত কাঁপন দিয়ে যায়।
গান গেতে চাই, সুর আসেনা,
ঘুম গেলো কই, ঘুম আসেনা,
এমনি করে চুপিচাপি ঘুম গেলো কার বাড়ী?
ঘুমকাতুরে আমার সাথে ঘুম দিয়েছে আড়ি!

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর খালে এলো বান,
বৃষ্টি পড়া শুরু হলেই মন করে আনচান।
বন্ধুরা সব অফিস করে সকাল সন্ধ্যা ধরে,
আমার আয়েশ দেখে তারা ঈর্ষা জ্বরে পোড়ে।

বিস্তারিত»

শ্রদ্ধাঞ্জলি

নির্দিষ্ট দিনকে কেন্দ্র করে কিছু করা। ঢালঢোল পিটিয়ে দিবস পালন করে এক বছর ভুলে থাকা। বিষয়টা আমার কাছে কেমন জানি লাগে। কিন্তু ২০১৫ সালে এসে দিন ধরে কিছু করতে ইচ্ছে হল। এবারই খেয়াল করলাম প্রিয় বন্ধুর অন্তর্ধান এবং প্রিয় কবির প্রয়ান ঘটেছে ১৯ সেপ্টেম্বর। বন্ধু ফিরোজ কবীর নিখোজ হয় ২০০৬ সালে আর মাসাওকা শিকি মৃত্যুবরণ করেন ১৯০২ সালে। এঁদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিতে ঠিক করলাম অলপোয়েট্রিতে ইংরেজীতে কবিতা লিখব।

বিস্তারিত»

কবিতা : ব্লক, অতঃপর……

ও মেয়ে, তুমি কি জানো?
আমাকে নিয়ে ভাবা অথবা
আমার প্রতি প্রক্ষেপিত –
তোমার প্রতিটি বাক্যই
হয়ে উঠতে পারে
কোন না কোন কবিতার পংক্তি?

ভাবনার কথাগুলো শুনি নাই কখনো
শোনা সম্ভবও না,
তাই কেবলই অনুমানে ভর করে
ওগুলো আনতে চাই না কবিতায়।
কিন্তু আজ যা প্রক্ষেপন করলে আমায়,
কবিতায় তা না এনে, কি করে থাকি,

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ আট

: জানো, থেকে থেকে ঘুম ভেঙ্গে যায়। তোমার কথা মনে হয়।
: একজন শিখিয়েছিলে সেই কতদিন আগে – আমি তোমাকে মনে করলে, তোমারও আমায় মনে পড়ে।
: সত্যি?
: তা তো বুঝিনা, তোমার জীবনে আমায় ঘুম-হরা হয়েই কাটাতে হবে এটা বুঝলাম।
অথচ কেউ ঘুম-ভাঙ্গানিয়া হবার শখ পুষেছিল ভেতরে ভেতরে!
: ইস! এমনিতেও আমার অনেকদিন হল ভাল ঘুম হয় না। সিডেটিভ নিচ্ছিলাম।

বিস্তারিত»

দেউলিয়া পূর্ণিমায়

বিষণ্ণ সময়ে জীবনবাবুর ভূতে ধরেনি এমন কবিতাখোর পাওয়া দুষ্কর হবে। এমনকি, কলেজের কাঠখোট্টা পরিবেশেও শীতের রাতে যখন কুয়াশায় ভেসে আসত তরল জোছনা, তখন ক্যাডেট-মগজের কোনও এক গহীন কোনে জীবনবাবু নাকি সুরে আওড়াতেন- “বাঁশপাতা-মরা ঘাস-আকাশের তারা! / বরফের মত চাঁদ ঢালিছে ফোয়ারা / … … … / ঝিমায়েছে এ পৃথিবী / তবু পাই টের / কার যেন দুটো চোখে নাই এ ঘুমের / কোনও সাধ!” গতকাল রাতে চাঁদহীন আধো-আধো কুয়াশায় বৃহত্তর ময়মনসিংহের রেলপথে রাত্রিকালীন ভ্রমণে আবার কামড়েছে জীবনের ভ্যাম্পায়ার,

বিস্তারিত»

অমর প্রেম

অমর প্রেম
মুহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ

তোকে মাঝে মাঝে মনে পড়ে
দিনের বারান্দায় ব্যস্ত কোলাহল ভিড়ে
কখনো চায়ের টেবিলে সন্ধায়,
কবিতা পড়তে পড়তে বসে আনমনে
ভাবি, কেন ভালবাসিনি তোমায়?

কৃষ্ণচূড়ার সবুজ কুন্তলে লাল ফুল গুঁজে
বসন্ত বিকেলে গোধূলি বেলায়
মাঠের সষর্ের ফুল কতনা ডেকেছে আয়
ঘুডি নিয়ে দৌড়ায় হলুদ মাঠে সুতোর টানে।

বসতিস পাশে কত ছল করে
বিসতীনর্ ঘাঁসের চাদরে জোছনা রাতে
গানের আসরে গভীর নিশিতে,

বিস্তারিত»