~ কারোই কিচ্ছুটি নেই দোষ ~

জেগে আছি ভেবে
পাখিরাও বসেছিলো কাঁধে,
প্রজাপতি
আঙ্গুলের আনাচে কানাচে।

অগোছালো পাতাদের
নিরন্তর আহলাদে
শালিখেরা খেয়েছে
করতল খুঁটে খুঁটে।
বাবুই আর চড়ুইয়ের দল
কথার কোমল বিষাদে
এঁকেছিলো শব্দের আলপনা
কন্ঠার জেগে ওঠা তল্লাটে।

পায়ের পাতার কাছে
অপেক্ষামগ্নতার
লতানো টেরাসে
অচেনা ফোটা ফুল
পাঁপড়ির বিভাজিকা
মেলে ধরা উৎসবে
চেয়েছিলো উঠবে বেড়ে
স্থবির চোখের কাছে
ঠিক চিবুকের সমান।

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ সাত

: একজনের ঘুম কেড়ে নিয়ে নিজে ভোঁস ভোঁস ক’রে ঘুমায়।
এটা কি অবিচার নয়?
তাই সকাল সকাল জাগিয়ে দিলাম, রাগ করলে?
: না, এইতো আরেকটু পরেই উঠতাম।
: আচ্ছা, আমার খুব দেখতে মন চায়, ঘুমিয়ে থাকলে তোমায় কেমন দেখায়?
: বোকাদের যেমন দেখায়, শিশুর মত ঘুমে কাদা হয়ে পড়ে আছে, হা করা মুখ গ’লে লালা বের হয়ে গাল বেয়ে নেমে বালিশ ভিজিয়ে দিচ্ছে!

বিস্তারিত»

বন্দী নিশাচর

রাত বারোটা-
সবে তো রাত শুরু
জেগে উঠছে কিছু আজব প্রাণীর দল।
ক্লাশ টুয়েলভের সবচেয়ে সুবোধ বালকটা
মাত্র রুমের দরজা খুলে বের হল।
ডিউটি মাস্টার চলে গেছে-
হাউস বেয়ারাও ব্যস্ত সুখের নিদ্রায়,
মোবাইলের চার্জও শেষ।
এইত সময়-
ছক কষার।
হাতে অনেক কাজ বাকি-
টিভি রুমটা খুলতে হবে,
চ্যাম্পিয়নস লীগের ম্যাচ আছে-
অমুকের মনটা আজ ভাল নেই,তাই-
সে ব্যস্ত টেংকিতে ওঠার রাস্তা বানাতে,

বিস্তারিত»

কলোনীবৃত্তান্ত

আ হা সে-উচ্ছ্বাস!
সিঁড়িতে তোমার পায়ের ছাপ দেখে
পানের ছোপে লাল হয়ে ওঠা দেয়াল
আরেকটু আরক্ত।
কতিপয় দুষ্টু ছোঁড়া গোটা গোটা অক্ষরে
আমাদের নামের মধ্যে প্লাস
বসিয়ে দিয়েছে দেখে
বেদম পেটালো বাবা,
শরীরে বেতের দাগ নিয়ে
ফোঁপাতে ফোঁপাতে
মাথা নুয়ে পড়ে
সেসব ছেলেদের প্রতি
অসুস্থ কৃতজ্ঞতায়

প্রাইভেট পড়তে গেলে
বীজগণিতের জটিলরাশিমালা যেন
স্থির আর ধীর দুটো চোখ –

বিস্তারিত»

উপায় নেই

কবিতা না লিখে কোন উপায় নেই,
কেন? আমার যে কোন শ্রোতা নেই!
আমার মুখেও তো কোন ভাষা নেই।
অথচ ভেতরে অনেক কথা আছে,
যেগুলো বলা খুব সহজ কথা নয়
যেগুলো শোনার কারো সময় নেই।

আমার অনেক বিমূর্ত ভাবনা আছে।
ভাবনাগুলো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে,
করোটির গভীরে জমাটবদ্ধ মস্তিষ্কে।
আমার অনেক বদ্ধ দীর্ঘশ্বাস আছে,
যেগুলো বাঁধা আছে বুকের হাপরে।

বিস্তারিত»

অন্তর্ধান

অন্তর্ধান
মুহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ

আজো পাখিরা এসেছিল আগের মত
তোর বাড়ীর বাগানের
বৃক্ষ শাখে বসে কত কথা বলল
আমি কি বুঝি সব,
বুঝি না তোর মত ওদের ভাষা
শুধাল তুই নেই কেন? কেন নেই,
নেই কেন এই সুন্দর সকালে
রাত ভোর করে দাঁড়িয়ে জানালায়।

ভোরের আলোরা বলে , কোথায় তুই?
সোনা রোদ চিক চিক পড়লো না কপোলে,

বিস্তারিত»

যেভাবে লিখি

kobita
“There is nothing to writing. All you do is sit down at a typewriter and bleed.”
“You can get hurt bt u enjoy it.”
প্রতি সন্ধ্যায় বসি কালো স্ক্রিনে…ব্যাক্তিগত ডায়েরী লিখি কবিতার কোডে। খানিক দুর্বোধ্য, আপাত নিরর্থক শব্দবন্ধে……কোনো কোনো দিন ctrl s না চেপেই ওঠে যাই, কতকিছু লেখা হয় না কোনদিন…কতদিন লিখবো ভেবে লিখতে বসে ভুলে যাই। যে দুঃখ পৃথুর,সে দুঃখ আমারও।

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ ছয়

: মনটা কেমন বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে, মনে হলো তোমার সাথে কথা হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু আসলে তা হয় না। আরো মনটা কেমন কেমন জানি হয়ে যায়!
: এ আমার লজ্জা! আমার সীমাবদ্ধতার কোন সীমা নেই জানি।
: কাল সারারাত শুধু কাঁদলাম। মনে মনে বললাম, আমার বাকি জীবনটাও কেঁদেই কেটে যাবে। কেউ বুঝবে না তবু, কেউ জানতে চাইবে না?
: পৃথিবীটা অপদার্থ দিয়ে ভরে গেছে!

বিস্তারিত»

নিজেকে নিয়ে লিখা একখানা ছবিতা

কেমন লাগে দেখতে আমায়,
ভাবি যখন তোমার কথা?
একলা বসে
আপন মনে
আগুন হাতে
উদাস চোখে –

কখনো তুমি এমনি ভাবে
ঠাই দিয়েছো তোমার মনে?
আনমনেতে
আমায় নিয়ে
গেথেছো কি
কথার মালা?

লাগেবে কেমন দেখতে তোমায়,
ভাবো যদি আমার কথা?
সেসব ভেবে
উদাস কাটে
সারাবেলা
হেলাফেলা………

বিস্তারিত»

~ গ্যাছি গত কাল ~

শিয়রে প্রহরীর মতো বসে আছো
বুঝিবা অনন্তকাল।

পাখিদের যাওয়া আসা নিয়ে
খুঁজছো কারণ বেসামাল।
মেঝের সীমান্তময় ছড়িয়ে
যতিহীন শ্যেন দৃষ্টিজাল
সারাক্ষণ খুঁজে গেছো সব
সম্ভাব্য পথের কংকাল।

তখনো বুকের ছাতি
মৃদু ওঠানামা করছিলো তার।
পিঁপড়ের নীরব যাতায়াত
বাধাহীন বাড়ছিলো নির্বিকার।

পাখি ও পাতাদের লঘু স্বর
কথকতা মিছিলে
উৎসুক বাতাসের আনাগোনা
চালু ছিলো কৌশলে।

বিস্তারিত»

সাম্প্রতিক কবিতা

সিসিক্যামেরায় ধারণ হচ্ছে আমাদের যা কিছু গোপন,
এমনকি পবিত্র প্রণয়ের সিনারিও,
আর ইনবক্স হিস্ট্রির শত শত স্ক্রিনশট
প্রযুক্তির এক্সিবিশনে ঝুলে আছে ইন্টারনেট দেয়ালে।

অথচ আমাদের প্রাইভেট ফিলিংস মুঠোফোন কোম্পানির
জানার কথা ছিলো না।

ভেবে দেখেছ
প্রযুক্তির কাছে পাচার করছি আমাদের গোপনীয়তা।
০৮.১০.১৫


বাফারিং বিলুপ্ত হবার সাথে
অপেক্ষাও বিলুপ্ত হয়ে গ্যাছে,

বিস্তারিত»

ভালোবাসা

সবুজ পাতারা হেসে হেসে সূর্যের কাছে
কিছু আলো চেয়েছিলো,
কিছু তাপ চেয়েছিলো,
আর কিছু ভালোবাসা চেয়েছিলো।
সূর্য মেঘের আড়ালে লুকিয়ে গেলে
পাতাগুলো হলুদ হয়ে ঝরে পড়েছিলো।

সাতরঙা রঙধনুটা ঝিলিমিলি হেসে হেসে
রৌদ্রের কাছে কিছু রঙ চেয়েছিলো।
মেঘের কাছে জলকণা চেয়েছিলো।
রৌদ্র নিমেষে হারিয়ে গেলে,
মেঘ নিমেষে জলশুন্য হলে,
রঙিন আকাশটা ধূসর হয়ে গিয়েছিলো।

বিস্তারিত»

স্কুবা ডাইভিং ইন দ্য ক্লাসরুম

লেকচার হলে বসে আছি …
কিংবা ভাসছি বায়বীয় মাইলাম সাগরে।
প্রফেসর!
কুয়াশায় অস্পষ্ট হে মহাত্মন!
শীতাতপ কক্ষের হিমের সঙ্গে যখন
বিক্রিয়া ঘটে আপনার গমগম লেকচারের,
নিজের অজান্তেই মাকড়শার মত আপনি বুনে যান ঘুমের জাল।
হে সেপিয়া টোন প্রফেসর !
আপনি এক জলজ্যান্ত ডরমিকাম !

রিসার্চ মেথডোলজি, ইনডাকশন-ডিডাকশন,
অবজারভেশন-প্যাটার্ন-হাইপোথিসিস-থিওরী,
প্রফেসর, চেয়ার, টেবিল, রোস্ট্রাম, এসি……

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ পাঁচ

: কাল সারারাত ঘুম হতে চাইছিল না, শুধু ছটফট করেছি। আজ তোমার সাথে কখন কথা হবে এই ভেবে ভেবে ছিলাম অস্থির!
এরকম কেন হলো, আমার?
: প্রতীক্ষা ব্যাপারটি তাহলে বেশ থ্রিলিং মানতেই হবে।
: ইস, আমার যে কী হয়, তা যদি উনি বুঝতেন। উনার কবিতা করাই সার!
: তাহলে এখন সুখী?
: সুখই তো, আবার দুঃখও হয়; কিছুক্ষণ পরেই কথা ফুরোবে,

বিস্তারিত»