যেভাবে লিখি

kobita
“There is nothing to writing. All you do is sit down at a typewriter and bleed.”
“You can get hurt bt u enjoy it.”
প্রতি সন্ধ্যায় বসি কালো স্ক্রিনে…ব্যাক্তিগত ডায়েরী লিখি কবিতার কোডে। খানিক দুর্বোধ্য, আপাত নিরর্থক শব্দবন্ধে……কোনো কোনো দিন ctrl s না চেপেই ওঠে যাই, কতকিছু লেখা হয় না কোনদিন…কতদিন লিখবো ভেবে লিখতে বসে ভুলে যাই। যে দুঃখ পৃথুর,সে দুঃখ আমারও।

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ ছয়

: মনটা কেমন বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে, মনে হলো তোমার সাথে কথা হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু আসলে তা হয় না। আরো মনটা কেমন কেমন জানি হয়ে যায়!
: এ আমার লজ্জা! আমার সীমাবদ্ধতার কোন সীমা নেই জানি।
: কাল সারারাত শুধু কাঁদলাম। মনে মনে বললাম, আমার বাকি জীবনটাও কেঁদেই কেটে যাবে। কেউ বুঝবে না তবু, কেউ জানতে চাইবে না?
: পৃথিবীটা অপদার্থ দিয়ে ভরে গেছে!

বিস্তারিত»

নিজেকে নিয়ে লিখা একখানা ছবিতা

কেমন লাগে দেখতে আমায়,
ভাবি যখন তোমার কথা?
একলা বসে
আপন মনে
আগুন হাতে
উদাস চোখে –

কখনো তুমি এমনি ভাবে
ঠাই দিয়েছো তোমার মনে?
আনমনেতে
আমায় নিয়ে
গেথেছো কি
কথার মালা?

লাগেবে কেমন দেখতে তোমায়,
ভাবো যদি আমার কথা?
সেসব ভেবে
উদাস কাটে
সারাবেলা
হেলাফেলা………

বিস্তারিত»

~ গ্যাছি গত কাল ~

শিয়রে প্রহরীর মতো বসে আছো
বুঝিবা অনন্তকাল।

পাখিদের যাওয়া আসা নিয়ে
খুঁজছো কারণ বেসামাল।
মেঝের সীমান্তময় ছড়িয়ে
যতিহীন শ্যেন দৃষ্টিজাল
সারাক্ষণ খুঁজে গেছো সব
সম্ভাব্য পথের কংকাল।

তখনো বুকের ছাতি
মৃদু ওঠানামা করছিলো তার।
পিঁপড়ের নীরব যাতায়াত
বাধাহীন বাড়ছিলো নির্বিকার।

পাখি ও পাতাদের লঘু স্বর
কথকতা মিছিলে
উৎসুক বাতাসের আনাগোনা
চালু ছিলো কৌশলে।

বিস্তারিত»

সাম্প্রতিক কবিতা

সিসিক্যামেরায় ধারণ হচ্ছে আমাদের যা কিছু গোপন,
এমনকি পবিত্র প্রণয়ের সিনারিও,
আর ইনবক্স হিস্ট্রির শত শত স্ক্রিনশট
প্রযুক্তির এক্সিবিশনে ঝুলে আছে ইন্টারনেট দেয়ালে।

অথচ আমাদের প্রাইভেট ফিলিংস মুঠোফোন কোম্পানির
জানার কথা ছিলো না।

ভেবে দেখেছ
প্রযুক্তির কাছে পাচার করছি আমাদের গোপনীয়তা।
০৮.১০.১৫


বাফারিং বিলুপ্ত হবার সাথে
অপেক্ষাও বিলুপ্ত হয়ে গ্যাছে,

বিস্তারিত»

ভালোবাসা

সবুজ পাতারা হেসে হেসে সূর্যের কাছে
কিছু আলো চেয়েছিলো,
কিছু তাপ চেয়েছিলো,
আর কিছু ভালোবাসা চেয়েছিলো।
সূর্য মেঘের আড়ালে লুকিয়ে গেলে
পাতাগুলো হলুদ হয়ে ঝরে পড়েছিলো।

সাতরঙা রঙধনুটা ঝিলিমিলি হেসে হেসে
রৌদ্রের কাছে কিছু রঙ চেয়েছিলো।
মেঘের কাছে জলকণা চেয়েছিলো।
রৌদ্র নিমেষে হারিয়ে গেলে,
মেঘ নিমেষে জলশুন্য হলে,
রঙিন আকাশটা ধূসর হয়ে গিয়েছিলো।

বিস্তারিত»

স্কুবা ডাইভিং ইন দ্য ক্লাসরুম

লেকচার হলে বসে আছি …
কিংবা ভাসছি বায়বীয় মাইলাম সাগরে।
প্রফেসর!
কুয়াশায় অস্পষ্ট হে মহাত্মন!
শীতাতপ কক্ষের হিমের সঙ্গে যখন
বিক্রিয়া ঘটে আপনার গমগম লেকচারের,
নিজের অজান্তেই মাকড়শার মত আপনি বুনে যান ঘুমের জাল।
হে সেপিয়া টোন প্রফেসর !
আপনি এক জলজ্যান্ত ডরমিকাম !

রিসার্চ মেথডোলজি, ইনডাকশন-ডিডাকশন,
অবজারভেশন-প্যাটার্ন-হাইপোথিসিস-থিওরী,
প্রফেসর, চেয়ার, টেবিল, রোস্ট্রাম, এসি……

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ পাঁচ

: কাল সারারাত ঘুম হতে চাইছিল না, শুধু ছটফট করেছি। আজ তোমার সাথে কখন কথা হবে এই ভেবে ভেবে ছিলাম অস্থির!
এরকম কেন হলো, আমার?
: প্রতীক্ষা ব্যাপারটি তাহলে বেশ থ্রিলিং মানতেই হবে।
: ইস, আমার যে কী হয়, তা যদি উনি বুঝতেন। উনার কবিতা করাই সার!
: তাহলে এখন সুখী?
: সুখই তো, আবার দুঃখও হয়; কিছুক্ষণ পরেই কথা ফুরোবে,

বিস্তারিত»

জন্ম

জন্ম
মুহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ

নারীর অস্রুত আতুরের গন্ধ
শরীরে লেগে আছে,
ভালবেসে তোর বুকে লেখা কবিতা
গান হয়ে দোতরায় আজো তেমনি কাঁদে,
বাধ ভাঙ্গা জোয়ার জলে
জীবন সাঁতরিয়ে ডাঙ্গায় উঠে চোখ মেলে
দেখে মানুষের মুখ ।

ভোরের আলোয় পদর্া তুলে
রৌদ্র উকি দেয়,
আলিঙ্গনে আকে তোর গভর্ে গল্প গাঁথা
সুখ হয়ে কপোলে আজো তেমনি হাসে,

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ চার

: একটা কথা বলবো?
: বল।
: কোন কিছু নিয়ে বেশি ভাবছো?
চুপ ক’রে আছ কেন?
: আচ্ছা, বলো তো, আমার চোখগুলা কি অসুন্দর?
তুমি ভাল ক’রে কখনো তাকিয়ে দেখেছো?
: দেখি তো শুধু তোমাকেই। তোমার মোলায়েম মুখখানা, মাঝে মাঝে হঠাৎ অস্থির হয়ে থাকা চোখ, কপালের ওপর দু’তিনটে চুল, গাল বেয়ে পড়া ঘাম।
: আজ আমার চোখকে খুনীর চোখ বলেছে এক বন্ধু …

বিস্তারিত»

তিনটি ত্রিপদী

এক.
একাকী জলপিপি
হয়েছে ক্লান্ত
ফেরেনি এখনো, জীবনানন্দ …

দুই.
আনখসমুদ্দুর জানা চোখও
হয় বিষন্ন, অচেনা
এই গাঢ় পঞ্চমীর রাতে …

তিন.
রাত ক্রমশ নিস্তব্ধ হয়
তুমি আসছো ভেবে
লীলাবতী জ্বোনাকিরাও নিভেছে ..

হাইকু লেখার চেস্টা করি, কিন্তু হাইকু বলতে বাধে। তাই ত্রিপদী বলি।
এক এবং দুই ফেসবুকে প্রকাশিত

বিস্তারিত»

জিজ্ঞাসা

কখনো আধো ঘুমে কখনো আধো জেগে
তুমি চোখ মেলে আইফোনে দেখো খুঁজে
কেউ জানালো কিনা কোন কোমল কথা
যা আর্দ্র করে দেয় দেহ মন চোখ, অযথা।

যদি কোন বাণী থাকে তবে চোখ খুলে যায়,
অঙুলি চলে যায় কী বোর্ডের ছোট্ট লেখায়,
লিখে যাও কত চিরকুট রোমান্টিক আবেশে
কখনো ভারী মনে, কখনো বা মুচকি হেসে।

যদি কোন নতুন বাণী জ্বলজ্বল করে না ভাসে,

বিস্তারিত»

রশিদ খাঁ-র হংসধ্বনি শুনে

এই যে স্বচ্ছ জল
এই টলটল সরোবর
এখানে তোমাকে দেখি
প্রতিদিন।
প্রতিদিন সুর আসে
তোমার চাউনির
অবাধ্য বাতাসে;

যেন বা ব্যাকুল হাঁস তুমি
মরাল গ্রীবায়
আমাকে ডাকো —
এমন কোমল ভোরে,
শান্ত সবুজ তীরে
অবিরল
‘হংসধ্বনি’ শোনাতে থাকো

বিস্তারিত»

ভণিতি

একটা হাইকু Some of griefs are gone /when they come naturally/force and its a crap এর শিরোনাম দিতে গিয়ে দেইনি। দুটো কারণ। হাইকুতে শিরোনাম চলে না। পাঠকের সাথে মজা করতে ইচ্ছা হল। কেউ আমার চিন্তাটা ধরতে পারে কি না সেটা বোঝা। যাক গে, ইংরেজীটা বাংলা করলাম।সেটা হয়ে গেল একটা ভণিতা।

আসলে পরে সহজেতে
পালায় কিছু যাতনা
জবরদস্তি করলে ভায়া
বাড়ে শুধু আবর্জনা

ফেসবুক মন্তব্য- শব্দযুগল অপনয়ন আবশ্যক।

বিস্তারিত»