: কোথাও কোন লেখা পড়লে বুঝি তুমি আসলেই কত সুন্দর লেখো …
: কী যে বল না তুমি? আমারগুলো এমনি এমনি লেখা, তাতে এমন কী যায় আসে?
মূল্যের দিক থেকে তো সমুদ্রের তীরের বালুকণাও না …
: সে তুমি বুঝবে না … শুধু আমার মন জানে … তোমার মুগ্ধ পাঠকেরাও তো বলে …
তুমি কত ভালো লিখছো সত্যি বুঝতে পাচ্ছো তো?
কেমন হতো যদি এমন হতো ????
কিছু কিছু দেখা না হলেই বুঝি ভাল হতো ……………
কিছু কিছু কথা না বললেই বুঝি ভাল হতো ………………
কিছু কিছু স্পর্শও না ছুঁলেই বুঝি বেশি ভাল হত…………
সেসব এর অভাব কি তবে এতটা মরমে মরমে মারতো ????
কিছু কিছু দিন না আসলেই বুঝি ভাল হতো ……………
কিছু কিছু ঘটনা না ঘটলেই বুঝি ভাল হতো ……………
কিছু কিছু অ্যাডভেঞ্চার না করলেই বুঝি বেশি ভাল হতো ……
রুবাইয়াত-ই-মোস্তাফিজ
এক
কি হবে সব ঠিক করেছ
অনেক অনেক আগে
তবু প্রভু সাজা দেবে
ন্যায় বিচার কি হবে?
দুই
দেখছি ভেবে ভেবে
শুরুর থেকে এবে
বদলোকে সব জিতে
ভালোয় ডুবে দুখে।
তিন
তালা দিলি কেন ওরে
বিবেকের জালামুখে
এভাবে কি নিরাপদে
ধনে মানে রবি সুখে?
বিস্তারিত»হংসধ্বনি — পণ্ডিত রনু মজুমদার
পায়ে পায়ে উঠে আসে জল;
যদিও মৌন সমতল
ছিল আদিতে।
কিসের ঈষৎ স্পর্শে অত:পর
বৃত্তাকার বিক্ষেপ —
বিকেন্দ্র বিচ্ছুরণ!
আলতো চুম্বন ছুয়ে গেলে পাড়
সে কোন পাহাড় হয়ে
নেমে আসে সুর,
ধেয়ে আসে প্রশান্ত গড়ানে
বাঁশরীর হাত ধরে
পায় পায় জল উঠে আসে —
স্পর্ধায় লাফিয়ে লাফিয়ে
পাকিয়ে ওঠে
হাওয়ার প্রবল আহবানে,
নিউরনে আলাপনঃ বারো
: দেখেছো, আমি না ডাকলে বুঝি মনে পড়ে না?
: মনের ভেতরেই তো আছো …
: কত কথা মনের মধ্যে পুষে রাখি, কত আবোল-তাবোল বকি, কিন্তু আসল কথাটিই যেন বলা হয় না! তুমি কেমন আছো?
: আছি, এই তো … চলছে।
: জানো, একদিন বৃষ্টির দিন …
আমরা দু’জন বেশ ভাল করে দু’কাপ চা নিয়ে বসব …
দু’জনের না বলা গল্পগুলো দু’জনকে বলার জন্য …
~~ নাগর – এক ও দুই ~~
[ আঞ্চলিক ভাষায় এই প্রেম উপাখ্যানটির মূল শিরোনাম “নাগর”। ধরা যাক ওটা হলো গিয়ে গ্রন্থের নাম। তার ভেতর ছোটো ছোটো কবিতাগুলো প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে উপস্থাপিত। ]
ক বি তা এ ক
~ জিগাই ~
(নাগরকে উদ্দেশ্য করে গ্রামবাসীর উচ্চারিত প্রশ্ন)
কেউয়া যায়?
কেডায় !
ভাতের জলের লাহান টগবগায় চান্দি
এই রহম আগুইনা রইদ ভাইঙা;
মেঘবালিকার আত্মকথন
“চুড়ি চাই, ফিতা চাই-ইইই…?”
“ফেরিওয়ালা, ও ফেরিওয়ালা!”
“কী চাও, বালিকা?”
“১ জীবন মেঘ চাই আমার”
“মেঘ?…”
“হুম, সেই মেঘে চড়ে উড়ে যাবো আমি,
মেঘের দেশে আমিও মেঘ হবো তখন”।
“মেঘ হয়ে কী করবে তুমি?”
“কেন, সাদা পেঁজা তুলোর মত মেঘ হয়ে
ভাসবো নীল স্বপ্নের আকাশে!
আর যখন অনেক অভিমান জমবে আমার বুকে –
কালোরঙা ঝড়ো মেঘ দেখলেই চিনতে পাবে আমায়…”
“তারপর?”
“তারপর যেদিন খুব করে ছুঁতে ইচ্ছে হবে,
বিস্তারিত»ঝিনুক হৃদয়
কি বললে? মুক্তা?!
নাহ্, এখনও পাইনি
এমনকি স্বপ্নেও না।
অবলোহিত কষ্টের দল
ছল ছল চোখের জল
কিংবা যারা তারও আগে
উবে গেছে শঙ্কায়
সবই আছে সযতনে
দুঃখ বিলাসী এই ঝিনুক হৃদয়।
Oyster Heart
Pearls?!
Couldn’t find any
Not even in dreams
Though my sorrows
are cherished in
oyster heart.
বিস্তারিত»নিউরনে আলাপনঃ এগারো
: কখনো এটা ভেবেছো, বারবার আমাকেই ফোন করতে হয়? কোনদিন কি তোমার একটুকুও ইচ্ছে হয় না?
: হুম, তাতে কী বুঝায়? আমার কাছে তুমি
আকাশ নেমে এলে বুঝি মাটির বুকেতে চুমি!
: ওই একটাই পারো, কবিতা?
আমার অভিমান, আক্ষেপ, কান্না এগুলো তুমি কোনদিন বুঝবে না।
: আমার এখনো বুঝ হলো না, জ্ঞান হলো না,
না হলো সেই চোখ, পড়ে থাকলাম পথের ধারে,
শব্দহীণ পাথরের শব্দ

আমি পথের পদাবলী ধরে
তোমার কাছে পৌঁছুঁবো,
সে পথও তুমি খোলা রাখোনি ।
হৃদয়ের নিভৃতে ক্ষীণ আশা জাগে
এই বুঝি তোমার সান্নিধ্য পাব,
কিন্তু সে পথের দরজা তুমি খোলনি ।
আমার এই দেহটা যেদিন
অসাঢ় নিথর হয়ে পরে থাকবে
সেদিন তুমি শুধু স্মৃতি হাতড়াবে ।
আজ বরং এই বেচেঁ থাকা মানুষটির দিকে তাকাও
শব্দহীন পাথরের শব্দ শুনতে চেষ্টা করো,
দেখবে পাথর জীবন পাবে, ভালোবাসবে ।
মনে মনে বলি,
বিস্তারিত»মুক্তি
দু’হাত মেলে দেখছ কি করতল?
দু’হাতে মেখে দিয়েছি ফুলরেণু
নেল্ পালিশ তোলার ছলে
কি তুলে ফেল তুমি?
রক্তের দাগ?
দু’চোখে তাকিয়ে তোমার,
তোমার চোখে দিয়েছি
অপার নীলিমা; স্বপ্নলোক,
কি করে পালাবে তুমি?
অসীমে কেউ পালাতে কি
পেরেছে কখনও?
উষ্ণ চুম্বনে তোমার ফুসফুসে
ভরে দিয়েছি ভালবাসার ঘ্রাণ
তোমার রক্তে ছুটছে আজ তারা
হয়ে দুরন্ত অক্সিজেন।
স্নানপর্ব – ৮
ফোঁপালো না?
আধভেজা তোয়ালেটা?
ফোঁস করে ফুলেছে
অভিমান,
বিরহের নরোম তান
গুনগুনিয়ে এগুতে’
ঝপ করে
পড়েছে র্য্যাকে –
মরুময়
ধবল ব্যারাকে
জুলুজুলু চোখে
সে-অজগর
অত:পর
শুষে নিতে চায়
তোমার স্নানাবশেষ –
তুলতুলে হরিণছানার মতন
বিন্দু বিন্দু জল
আমি আবার সমুদ্রে যেতে চাই
আমি আবার একদিন সমুদ্রে যেতে চাই,
হোক তা রৌদ্র করোজ্জ্বল চকচকে দিন,
কিংবা কোন দুঃখিনী নারীর মুখের মত
মেঘাচ্ছন্ন মলিন, তবু সমুদ্রে যেতে চাই।
সৈকত যেমনই হোক, সমুদ্রে যেতে চাই,
বালুময় কিংবা প্রস্তরাকীর্ণ, সমস্যা নাই।
সৈকত থেকে যদি দূরের কোন বাতিঘর
আমাকে ইশারায় ডাকে, আমি প্রফুল্ল হই।
হোক সে সৈকত ভীড়াক্রান্ত বা পরিত্যক্ত,
তবু আমি আনমনে সমুদ্রে বেড়াতে চাই।
দুটো কবিতা
১
স্রষ্টা জিজ্ঞাসা করেছিল
“কোন শেষ ইচ্ছা?”
চিন্তায় পড়ে গেলাম,
কোনটা ছেড়ে কোনটা?
সকালের পিটি ফাঁকি নাকি
নাকি এক্সট্রা পরোটা
নাকি চার পিরিয়ড টানা ঘুমিয়ে
মিল্কব্রেকের তাল বরাটা।
যেটা দিয়ে ছুঁড়ো ছুড়ি করতাম-
এপাশ থেকে ওপাশ, এ টেবিল থেকে ও টেবিল।
নাকি আফটারনুন প্রেপের ঘুম নেব
নাকি শুক্রবারের অপশনাল
নাকি জুম্মার পরে ব্লক ক্রিকেটে
মশারীর সূক্ষ্মজাল।
নিউরনে আলাপনঃ দশ
: দু’দিন কথা না হলেই ভেতরটা কেমন করে! মনে হয় বুঝিবা মাস পেরিয়ে বছর হতে চলল!
: ভালো আছো?
: থাক, যদি বুঝতে?
: তুমি সুন্দর ক’রে চোখে কাজল দিও ঠিক,
কপালে একটা ছোট টিপ আর ঠোঁটে লিপস্টিক!
: ইস, আমার বয়েই গেছে।
আচ্ছা, কোনটা বেশি সুন্দর লাগে কাজল, টিপ না লিপস্টিক?
: শৈশবে কপালের টিপ খুব লাগতো,