ঝিনুক হৃদয়

কি বললে?  মুক্তা?!

নাহ্, এখনও পাইনি

এমনকি স্বপ্নেও না।

অবলোহিত কষ্টের দল

ছল ছল চোখের জল

কিংবা যারা তারও আগে

উবে গেছে শঙ্কায়

সবই আছে সযতনে

দুঃখ বিলাসী এই ঝিনুক হৃদয়।

 

Oyster Heart

Pearls?!

Couldn’t find any

Not even in dreams

Though my sorrows

are cherished in

oyster heart.

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ এগারো

: কখনো এটা ভেবেছো, বারবার আমাকেই ফোন করতে হয়? কোনদিন কি তোমার একটুকুও ইচ্ছে হয় না?
: হুম, তাতে কী বুঝায়? আমার কাছে তুমি
আকাশ নেমে এলে বুঝি মাটির বুকেতে চুমি!
: ওই একটাই পারো, কবিতা?
আমার অভিমান, আক্ষেপ, কান্না এগুলো তুমি কোনদিন বুঝবে না।
: আমার এখনো বুঝ হলো না, জ্ঞান হলো না,
না হলো সেই চোখ, পড়ে থাকলাম পথের ধারে,

বিস্তারিত»

শব্দহীণ পাথরের শব্দ

আমি পথের পদাবলী ধরে
তোমার কাছে পৌঁছুঁবো,
সে পথও তুমি খোলা রাখোনি ।
হৃদয়ের নিভৃতে ক্ষীণ আশা জাগে
এই বুঝি তোমার সান্নিধ্য পাব,
কিন্তু সে পথের দরজা তুমি খোলনি ।

আমার এই দেহটা যেদিন
অসাঢ় নিথর হয়ে পরে থাকবে
সেদিন তুমি শুধু স্মৃতি হাতড়াবে ।

আজ বরং এই বেচেঁ থাকা মানুষটির দিকে তাকাও
শব্দহীন পাথরের শব্দ শুনতে চেষ্টা করো,
দেখবে পাথর জীবন পাবে, ভালোবাসবে ।

মনে মনে বলি,

বিস্তারিত»

মুক্তি

দু’হাত মেলে দেখছ কি করতল?
দু’হাতে মেখে দিয়েছি ফুলরেণু
নেল্ পালিশ তোলার ছলে
কি তুলে ফেল তুমি?
রক্তের দাগ?

দু’চোখে তাকিয়ে তোমার,
তোমার চোখে দিয়েছি
অপার নীলিমা; স্বপ্নলোক,
কি করে পালাবে তুমি?
অসীমে কেউ পালাতে কি
পেরেছে কখনও?

উষ্ণ চুম্বনে তোমার ফুসফুসে
ভরে দিয়েছি ভালবাসার ঘ্রাণ
তোমার রক্তে ছুটছে আজ তারা
হয়ে দুরন্ত অক্সিজেন।

বিস্তারিত»

স্নানপর্ব – ৮

ফোঁপালো না?
আধভেজা তোয়ালেটা?

ফোঁস করে ফুলেছে
অভিমান,
বিরহের নরোম তান
গুনগুনিয়ে এগুতে’
ঝপ করে
পড়েছে র‍্য্যাকে –
মরুময়
ধবল ব্যারাকে

জুলুজুলু চোখে
সে-অজগর
অত:পর
শুষে নিতে চায়
তোমার স্নানাবশেষ –
তুলতুলে হরিণছানার মতন
বিন্দু বিন্দু জল

বিস্তারিত»

আমি আবার সমুদ্রে যেতে চাই

আমি আবার একদিন সমুদ্রে যেতে চাই,
হোক তা রৌদ্র করোজ্জ্বল চকচকে দিন,
কিংবা কোন দুঃখিনী নারীর মুখের মত
মেঘাচ্ছন্ন মলিন, তবু সমুদ্রে যেতে চাই।

সৈকত যেমনই হোক, সমুদ্রে যেতে চাই,
বালুময় কিংবা প্রস্তরাকীর্ণ, সমস্যা নাই।
সৈকত থেকে যদি দূরের কোন বাতিঘর
আমাকে ইশারায় ডাকে, আমি প্রফুল্ল হই।

হোক সে সৈকত ভীড়াক্রান্ত বা পরিত্যক্ত,
তবু আমি আনমনে সমুদ্রে বেড়াতে চাই।

বিস্তারিত»

দুটো কবিতা


স্রষ্টা জিজ্ঞাসা করেছিল
“কোন শেষ ইচ্ছা?”
চিন্তায় পড়ে গেলাম,
কোনটা ছেড়ে কোনটা?
সকালের পিটি ফাঁকি নাকি
নাকি এক্সট্রা পরোটা
নাকি চার পিরিয়ড টানা ঘুমিয়ে
মিল্কব্রেকের তাল বরাটা।
যেটা দিয়ে ছুঁড়ো ছুড়ি করতাম-
এপাশ থেকে ওপাশ, এ টেবিল থেকে ও টেবিল।
নাকি আফটারনুন প্রেপের ঘুম নেব
নাকি শুক্রবারের অপশনাল
নাকি জুম্মার পরে ব্লক ক্রিকেটে
মশারীর সূক্ষ্মজাল।

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ দশ

: দু’দিন কথা না হলেই ভেতরটা কেমন করে! মনে হয় বুঝিবা মাস পেরিয়ে বছর হতে চলল!
: ভালো আছো?
: থাক, যদি বুঝতে?
: তুমি সুন্দর ক’রে চোখে কাজল দিও ঠিক,
কপালে একটা ছোট টিপ আর ঠোঁটে লিপস্টিক!
: ইস, আমার বয়েই গেছে।
আচ্ছা, কোনটা বেশি সুন্দর লাগে কাজল, টিপ না লিপস্টিক?
: শৈশবে কপালের টিপ খুব লাগতো,

বিস্তারিত»

আমার স্বপ্ন ভ্রম

আমি অশ্রু সজল নয়নে
অস্থির আজল বনপাংশুল এক প্রেমিক
তৃষ্ণিত সাম্পান আমার, তোমার নদীতে
চলছে দীর্ঘ দিন ঠিকঠিক ।

অথচ মাঝে মাঝেই তোমাকে হারিয়ে ফেলি
মহুয়ার প্রান্তরে, কোন এক কাশ বনে,
আবার প্রান্তরের গান নিয়ে মন্দিরা বাঁজিয়ে
তোমায় পেতে চাই আমার প্রাণে।

বিশ্বাস করো, কি আকুতি আমার
তোমাকে পাবার, তোমার কাছে থাকার;
উদাস আর নিদ্রাহীন রাত্রী ফেলে
তোমার হৃদয়ে ফিরে আসার।

বিস্তারিত»

নোনাজল

এই পুষ্পনগরীতে

একদিন বিচরণ ছিলো আমাদেরও।

সন্ধ্যার মেঘমালায়

বুকে মাথা রেখে

কান্নায় ভাসাতাম

কত রাত!

রাতজাগা দুটি পাখি

অনায়াসেই নির্ঘুম অপেক্ষায়

গুনতো ক্লান্তিহীন প্রহর।

ভোরের অন্ধকার মাড়িয়ে

একরাশ আলো নিয়ে সাথে

ফিরতাম রোজ  তার কাছে –

পথ চেয়ে থাকা

নিষ্পলক চোখের নোনাস্রোত তার

যখন যেতো শুকিয়ে!

বিস্তারিত»

একজন মৌলিক ‘চাঁদ সদাগর’

[ কবির জন্মদিনে স্মরণ ও শ্রদ্ধা হিসেবে পুরোনো এ লেখাটাকেই সিসিবি-র ফোরামে শেয়ার করলাম ]

স্বপ্ন দেখার সক্ষমতাই সম্ভবত মনুষ্য জীবের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ স্বাতন্ত্র। স্বপ্ন দেখতে পারে বলে মানুষ নিয়ত নির্মাণ করে আপন স্বভাব, সভ্যতা, সৌকর্য; তার আপন প্রভায়। মানুষ মাত্রেই বলতে পারি স্বাপ্নিক। স্বপ্নদ্রষ্টা তাই হয়তো সবাই। কিন্তু স্বপ্নস্রষ্টা ক’জন! কবিরা সম্ভবত স্বপ্নস্রষ্টাদের মাঝে অগ্রগণ্য।

একজন সহজ সরল সাবলীল বিনয়ী মানুষ,

বিস্তারিত»

রাগ

কথায় কথায় আসো তুমি,
জাপটে ধরো মনটাকে,
উস্কে দিয়ে বাধ্য করো,
কঠিন পণে আটকাতে।

একটু পরেই একটুখানি
মিষ্টি কথায় যাও ভিজে,
সব ভুলে যাও এক নিমেষে
একটু আদর আহ্লাদে!

বরফ যেমন গলে তাপে,
তেমন গলো অশ্রুতে,
কঠিন তোমার বাহিরখানি
তরল ভেতর দিকটিতে।

গলেই যদি যাবে তুমি,
আর এসোনা ক্ষণে ক্ষণে,

বিস্তারিত»

নিঃসঙ্গ পিরামিড

এই কবিতাটা প্রায় এক দশক আগে কোনও এক পূর্ণিমার মাঝরাত্তিরে শহীদুল্লাহ হলের পুকুরপাড়ে বসে লেখা। জীবনবাবুর কোবতের অত্যধিক ছায়া থাকায় এতদিন ন্যাপথালিন দেয়া দেরাজে রেখে দিয়াছিলাম।

আজ জীবনবাবুর মৃত্যুদিবসে সে দেরাজ খুলে দিলাম। সকলের জীবন আনন্দময় হোক।

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ নয়

: কাল সারাদিন, সারারাত বৃষ্টি হলো!
আমার যে কী কী হলো, কেমন কেমন লাগলো!
পুরোটা সময় মনে হল, তুমি পাশে আছো, তুমি জড়িয়ে আছো হাতে, বাহুতে!
: হুম, আমিও একা একা ভাবছিলাম। আমি সেদিন থেকে বৃষ্টির প্রতিশব্দ হয়ে গেছি তোমার কাছে, আর বাকি জীবনের সাথেও বুঝি জুড়ে গেল, যখনই বৃষ্টি তখনই আমি!
: ভালোই হলো। তোমার না থাকা নিয়ে আমায় ভাবতে হবে না।

বিস্তারিত»

~ পারছো কি ! ~

পারলে ঠেকাও স্বপ্নগুলি ।
রাত জাগা সব ইচ্ছে ভেলা
চাঁদের সাথে খুনসুটিতে
তারার সাক্ষ্যে মালায় গাঁথা
খামখেয়ালী কথাগুলি ।

সবুজ খোলা মাঠের গায়ে
দুরন্ত সেই কিশোর বেলার
ছুটোছুটি – চঞ্চলতার
ছবি আঁকা সকালগুলি ।

স্মৃতির শহর ঘুরে ঘুরে
শরীর জুড়ে আগলে রাখা
জলের ফোঁটা আলিঙ্গণের
বৃষ্টিসখ্য লগ্নগুলি ।

বুকের ভিতর বামকুঠুরী
ভরাট করে জমানো সব
কথার ঝুড়ি,

বিস্তারিত»