[ হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে লেখা একটি Bilingual Poem. অলপোয়েট্রিতেও প্রকাশিত ]
You taught us
to enjoy rain
and crying is not
a matter of shame.
আজ আমার খুব
কাঁদতে ইচ্ছা করছে
কষ্টের বাষ্পগুলো সব
ঝরে পড়ুক নিঃশেষে।
[ হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে লেখা একটি Bilingual Poem. অলপোয়েট্রিতেও প্রকাশিত ]
You taught us
to enjoy rain
and crying is not
a matter of shame.
আজ আমার খুব
কাঁদতে ইচ্ছা করছে
কষ্টের বাষ্পগুলো সব
ঝরে পড়ুক নিঃশেষে।
জীবনকে ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের শিঙে
আমূল বিদ্ধ করে
দেখতে চেয়েছিলাম
কতোটা রক্তপাত ধারন করে
তার লৌকিক শরীর !
কোষের ভিতর
নুনের পরিমান মাপতে মাপতে
ক্লান্ত জিভের চামড়া খুঁইয়েছি ।
বুঝিনি –
কতোটুকু ছিলো তার ঘাম,
কতোটা রক্তস্নান !
বোধের মরফিনে
ডুবে থাকা অনুভূতির ঢল
তখনো অবাক
ঝরায় অশ্রুজল !
চামড়ার পোষাক খোয়ানো
নাংগা জিভখানা অকস্মাৎ
বুঝে ফেলে অশ্রুতে
জল ও নুনের মিশ্রণ অনুপাত ।
একদিন ঝড়ো রাতে তুমি এসেছিলে,
চুপচাপ কাছে এসে পাশে বসেছিলে।
বোশেখের আমগুলো ঝরে পড়েছিলো,
প্রদীপের শিখাটুকু নিভে গিয়েছিলো।
তারপর…
মনে পড়ে?
তারপর আর তেমন কিছু নয়…
আঁধার মাঝেই উঠে তুমি রসুইঘরে গেলে,
উনুন ফুঁকে পাটখড়িতে আগুন ধরালে।
সেই আগুনে নিভে যাওয়া সলতে জ্বালালে,
আবার পাশাপাশি আলোয় বসে গল্প শোনালে…
ঢাকা
০৪ নভেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
: কোথাও কোন লেখা পড়লে বুঝি তুমি আসলেই কত সুন্দর লেখো …
: কী যে বল না তুমি? আমারগুলো এমনি এমনি লেখা, তাতে এমন কী যায় আসে?
মূল্যের দিক থেকে তো সমুদ্রের তীরের বালুকণাও না …
: সে তুমি বুঝবে না … শুধু আমার মন জানে … তোমার মুগ্ধ পাঠকেরাও তো বলে …
তুমি কত ভালো লিখছো সত্যি বুঝতে পাচ্ছো তো?
কিছু কিছু দেখা না হলেই বুঝি ভাল হতো ……………
কিছু কিছু কথা না বললেই বুঝি ভাল হতো ………………
কিছু কিছু স্পর্শও না ছুঁলেই বুঝি বেশি ভাল হত…………
সেসব এর অভাব কি তবে এতটা মরমে মরমে মারতো ????
কিছু কিছু দিন না আসলেই বুঝি ভাল হতো ……………
কিছু কিছু ঘটনা না ঘটলেই বুঝি ভাল হতো ……………
কিছু কিছু অ্যাডভেঞ্চার না করলেই বুঝি বেশি ভাল হতো ……
এক
কি হবে সব ঠিক করেছ
অনেক অনেক আগে
তবু প্রভু সাজা দেবে
ন্যায় বিচার কি হবে?
দুই
দেখছি ভেবে ভেবে
শুরুর থেকে এবে
বদলোকে সব জিতে
ভালোয় ডুবে দুখে।
তিন
তালা দিলি কেন ওরে
বিবেকের জালামুখে
এভাবে কি নিরাপদে
ধনে মানে রবি সুখে?
বিস্তারিত»পায়ে পায়ে উঠে আসে জল;
যদিও মৌন সমতল
ছিল আদিতে।
কিসের ঈষৎ স্পর্শে অত:পর
বৃত্তাকার বিক্ষেপ —
বিকেন্দ্র বিচ্ছুরণ!
আলতো চুম্বন ছুয়ে গেলে পাড়
সে কোন পাহাড় হয়ে
নেমে আসে সুর,
ধেয়ে আসে প্রশান্ত গড়ানে
বাঁশরীর হাত ধরে
পায় পায় জল উঠে আসে —
স্পর্ধায় লাফিয়ে লাফিয়ে
পাকিয়ে ওঠে
হাওয়ার প্রবল আহবানে,
: দেখেছো, আমি না ডাকলে বুঝি মনে পড়ে না?
: মনের ভেতরেই তো আছো …
: কত কথা মনের মধ্যে পুষে রাখি, কত আবোল-তাবোল বকি, কিন্তু আসল কথাটিই যেন বলা হয় না! তুমি কেমন আছো?
: আছি, এই তো … চলছে।
: জানো, একদিন বৃষ্টির দিন …
আমরা দু’জন বেশ ভাল করে দু’কাপ চা নিয়ে বসব …
দু’জনের না বলা গল্পগুলো দু’জনকে বলার জন্য …
[ আঞ্চলিক ভাষায় এই প্রেম উপাখ্যানটির মূল শিরোনাম “নাগর”। ধরা যাক ওটা হলো গিয়ে গ্রন্থের নাম। তার ভেতর ছোটো ছোটো কবিতাগুলো প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে উপস্থাপিত। ]
ক বি তা এ ক
~ জিগাই ~
(নাগরকে উদ্দেশ্য করে গ্রামবাসীর উচ্চারিত প্রশ্ন)
কেউয়া যায়?
কেডায় !
ভাতের জলের লাহান টগবগায় চান্দি
এই রহম আগুইনা রইদ ভাইঙা;
“চুড়ি চাই, ফিতা চাই-ইইই…?”
“ফেরিওয়ালা, ও ফেরিওয়ালা!”
“কী চাও, বালিকা?”
“১ জীবন মেঘ চাই আমার”
“মেঘ?…”
“হুম, সেই মেঘে চড়ে উড়ে যাবো আমি,
মেঘের দেশে আমিও মেঘ হবো তখন”।
“মেঘ হয়ে কী করবে তুমি?”
“কেন, সাদা পেঁজা তুলোর মত মেঘ হয়ে
ভাসবো নীল স্বপ্নের আকাশে!
আর যখন অনেক অভিমান জমবে আমার বুকে –
কালোরঙা ঝড়ো মেঘ দেখলেই চিনতে পাবে আমায়…”
“তারপর?”
“তারপর যেদিন খুব করে ছুঁতে ইচ্ছে হবে,
বিস্তারিত»কি বললে? মুক্তা?!
নাহ্, এখনও পাইনি
এমনকি স্বপ্নেও না।
অবলোহিত কষ্টের দল
ছল ছল চোখের জল
কিংবা যারা তারও আগে
উবে গেছে শঙ্কায়
সবই আছে সযতনে
দুঃখ বিলাসী এই ঝিনুক হৃদয়।
Oyster Heart
Pearls?!
Couldn’t find any
Not even in dreams
Though my sorrows
are cherished in
oyster heart.
বিস্তারিত»: কখনো এটা ভেবেছো, বারবার আমাকেই ফোন করতে হয়? কোনদিন কি তোমার একটুকুও ইচ্ছে হয় না?
: হুম, তাতে কী বুঝায়? আমার কাছে তুমি
আকাশ নেমে এলে বুঝি মাটির বুকেতে চুমি!
: ওই একটাই পারো, কবিতা?
আমার অভিমান, আক্ষেপ, কান্না এগুলো তুমি কোনদিন বুঝবে না।
: আমার এখনো বুঝ হলো না, জ্ঞান হলো না,
না হলো সেই চোখ, পড়ে থাকলাম পথের ধারে,

আমি পথের পদাবলী ধরে
তোমার কাছে পৌঁছুঁবো,
সে পথও তুমি খোলা রাখোনি ।
হৃদয়ের নিভৃতে ক্ষীণ আশা জাগে
এই বুঝি তোমার সান্নিধ্য পাব,
কিন্তু সে পথের দরজা তুমি খোলনি ।
আমার এই দেহটা যেদিন
অসাঢ় নিথর হয়ে পরে থাকবে
সেদিন তুমি শুধু স্মৃতি হাতড়াবে ।
আজ বরং এই বেচেঁ থাকা মানুষটির দিকে তাকাও
শব্দহীন পাথরের শব্দ শুনতে চেষ্টা করো,
দেখবে পাথর জীবন পাবে, ভালোবাসবে ।
মনে মনে বলি,
বিস্তারিত»দু’হাত মেলে দেখছ কি করতল?
দু’হাতে মেখে দিয়েছি ফুলরেণু
নেল্ পালিশ তোলার ছলে
কি তুলে ফেল তুমি?
রক্তের দাগ?
দু’চোখে তাকিয়ে তোমার,
তোমার চোখে দিয়েছি
অপার নীলিমা; স্বপ্নলোক,
কি করে পালাবে তুমি?
অসীমে কেউ পালাতে কি
পেরেছে কখনও?
উষ্ণ চুম্বনে তোমার ফুসফুসে
ভরে দিয়েছি ভালবাসার ঘ্রাণ
তোমার রক্তে ছুটছে আজ তারা
হয়ে দুরন্ত অক্সিজেন।
ফোঁপালো না?
আধভেজা তোয়ালেটা?
ফোঁস করে ফুলেছে
অভিমান,
বিরহের নরোম তান
গুনগুনিয়ে এগুতে’
ঝপ করে
পড়েছে র্য্যাকে –
মরুময়
ধবল ব্যারাকে
জুলুজুলু চোখে
সে-অজগর
অত:পর
শুষে নিতে চায়
তোমার স্নানাবশেষ –
তুলতুলে হরিণছানার মতন
বিন্দু বিন্দু জল