নিউরনে আলাপনঃ পাঁচ

: কাল সারারাত ঘুম হতে চাইছিল না, শুধু ছটফট করেছি। আজ তোমার সাথে কখন কথা হবে এই ভেবে ভেবে ছিলাম অস্থির!
এরকম কেন হলো, আমার?
: প্রতীক্ষা ব্যাপারটি তাহলে বেশ থ্রিলিং মানতেই হবে।
: ইস, আমার যে কী হয়, তা যদি উনি বুঝতেন। উনার কবিতা করাই সার!
: তাহলে এখন সুখী?
: সুখই তো, আবার দুঃখও হয়; কিছুক্ষণ পরেই কথা ফুরোবে, ফোন রাখতে হবে। তারপরে আবার মনে হবে আরেকটু বেশি হলে ক্ষতি ছিলো কি?
: আসলে কি কথা ফুরোয়?
: কথা জমা হয় অনেক অনেক, কিন্তু বলতে গেলে হারিয়ে যায়।
এ জীবনে এই জমা রাখা-হারিয়ে ফেলা’র খেলাটা বোধ হয় নিত্য!
: কাল একজন মজার কথা শোনালোঃ
মেয়েরা (প্রেমিকা) আমাদের মাথার ওপরে ছাদ, রোদবৃষ্টির ছাতা,
আর শীতের রাতের কাঁথা …
: তুমি কি তাতে কিছু বুঝলে? না বরাবরের মতই শুনে গেলে?
: মুসাফিরের শুধু সামান্য খাবার আর রাত কাটানোর একটু আশ্রয় হলেই চলে, শুনেছি গাছের পাতা, গাছের তলাও সই।
সন্ন্যাসী হলেও হত, হতে পারিনি। কারণ, সন্ন্যাস ধর্মে কোথাও এক রাতের বেশি থাকতে নেই। আর আমি তোমার কাছে পড়ে আছি অনেকদিন!
: তাই বুঝি? আর আমার রক্তকণায় বুঝি তোলপাড় হয়না, আমার খুব কষ্ট হয়না?
: তবু একদিন সময়ের মলম ভ’রে তোলে ক্ষতের দাগ,
শুকায় ঠিকই, কিন্তু রেখে যায় হালকা কিংবা গভীর রেখা,
যেন বালুর চরে রেখে যাওয়া নদীর ঢেউয়ের আঁকা,
জেনেছিলাম জীবনে সুখ আর দুঃখের হয়না সমান ভাগ!

সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৫
টরন্টো, কানাডা।

৪ টি মন্তব্য : “নিউরনে আলাপনঃ পাঁচ”

  1. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    ভাই,
    আপনি কমেন্টের জবাব দেন না...
    পাঠকের সাথে ইন্টারেকশন না করলে পাঠক তো হতাশ হয়ে যাবে... 🙁
    আমাদের জন্যও একটু সময় রাখবেন... 😀


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  2. লুব্ধক (১৯৮৮-১৯৯৪)

    আপনাদের ধন্যবাদ!
    আমি জানি এগুলো এমন কিছু বিশেষ কবিতা নয়!
    আমি একটু লাজুক টাইপের আছি। আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
    কিন্তু প্রশংসা করলে লজ্জাটাই আগে ঘিরে ধরে!


    কী ঘর বানাইমু আমি শূন্যের মাঝার ...

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।