পাখি নীরব হয়ে থাকে,
সেই সাথে যেন প্রকৃতিও,
বিরহিণীর চোখে নদী বয়ে যায়!
(আমেরিকান ইম্প্রেশনিস্ট কবি এযরা পাউন্ড এর “In A Station Of The Metro” কবিতা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে)
ঢাকা
০৭ জানুয়ারী ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
পাখি নীরব হয়ে থাকে,
সেই সাথে যেন প্রকৃতিও,
বিরহিণীর চোখে নদী বয়ে যায়!
(আমেরিকান ইম্প্রেশনিস্ট কবি এযরা পাউন্ড এর “In A Station Of The Metro” কবিতা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে)
ঢাকা
০৭ জানুয়ারী ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
আলাভোলা
মোহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ
কাজ ছেড়ে নেমে যেতে অপাথর্িব সন্ধানে
দিয়েছিল ডাক আমাকে অনেক আগেই,
সেই ছোট্ট বেলায় গায়ের মাঠ, ধানের খেত
ঘন কচি তাজা সবুজের মাঠ চেরা আঈল,
পানির নহর আর তার মাঝে খেলা করা
মলা ঢেলা খলসে টাকি চুনোপুঁটি ঝাঁক।
খালের পার নদীর ধার ধরে কত গেছি হেটে
নেমে নদীর জ্বলে কচুরীর দামে হাত রেখে
ধরেছি দাঁড়িতে ঝুলে থাকা খলসে মাগুর কৈ
জলে তে সাপের লেজ ধরে দিয়েছি উধর্ে টান
ঘুরিয়ে দিয়েছি ছুড়ে আকাশের বুকে অসহায়
ধোরা,
অকস্মাৎ সরিসৃপ হেঁটে গেলো দেহময়,
অস্থি-মজ্জার কেন্দ্র ও কুরুশে
মেঘের নিরাপদ আবাস থেকে
মিহিদানা জলকনা
দেরাজে তুলে রাখা লংকোট
ও মাফলারে চালালো হানা।
পারদের স্থবিরতা কাটাতে
নাভিমূল সাজালো আজ
উষ্ণতার অভয়ারণ্যে আঁকা
শিল্পের সুষম ভাঁজ।
সোনালী শিশির সুখ পানে
সুশোভন সময়ের যুবরাজ।
অনাবিল আহলাদে তুলে আনে
কম্পমান যুগল পায়ের কারুকাজ।
লিখিয়াছিল:প্রাণনাথ,
প্রাণ দিতে পারি।
কবুতর উড়িল বটে,
অদূরেই পতিত হইল;
দুয়ারে উহার কর্তিত মুন্ডু লইয়া
তরবারি উপস্থিত হইতে
কহিল — গোলাপের উদ্যানে
সংগোপনে সমাহিত হইব
অন্তিম এই ইচ্ছা মিনতি করি…..
পক্ষ দুই পরে
অশ্বপৃষ্ঠ হইতে অবতরণ করিয়াই
যুবরাজ অনন্যার সন্ধান করিলে
গোলাপের চক্ষু রক্তে ভরিয়া উঠিল
মৃত পায়রার পালকে
আকাশ আচ্ছন্ন হইল;
ক.
যতিতে পূরবী;ছড়াও নাগরিক ছোঁয়া
মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে জেগে উঠা দাবী
জোছনা-জোছনা চায়,আর ছাদঘরে
পুঞ্জীভূত মেঘ হয় উর্বর নাভী
নাভীমূলে গোলাপের চাষ
কৃষিবিদ শীতঘুম ভেঙে
রোদে বসে লিখবে থিসিস
:নেপিয়ারে ধূর্ত দোঁ-আশ
খ.
রাখি বলে ছেড়ে দিয়ে ফোন
বই খুলে তর্জমা খোঁজে
এলোমেলো জ্যামিতিক কোণ
মাপজোকে প্রেম ভুল বোঝে
গ.
বিস্তারিত»প্রিয়তমা,
ভাল আছ তুমি? নিশ্চয়ই ভাল আছ।
শিকলহীন পথে তোমার পথচলা খারাপ হওয়ার কথা নয়।
মাঝেমাঝে নিজের উপর অভিমান হয়।
অভিমান টা মাঝে মাঝে রাগে রূপ নেয়,
শান্ত হয় উত্তপ্ত গরলের ছোয়ায়।
অভিমান হয়,
অভিমান হয় তোমায় আগলে রাখতে না পারার কারনে।
কিন্তু কিভাবে তোমায় আগলে রাখি বলো ?
আমার কাছে যা আগলে রাখা,
তোমার কাছে তা আটকে রাখা।
আজ থেকে ঠিক নয় মাস আট দিন আগে সিসিবিতে আমার প্রথম প্রবেশ ঘটেছিলো। এরই মধ্যে এখানে অনেক বন্ধু, হিতাকাঙ্খী, শুভার্থী এবং বোদ্ধা সমালোচক পেয়ে গেছি। মতের মিল অমিল বড় কথা নয়, দিনশেষে মন খুলে কথা বলার একটা জায়গা খুঁজে পাওয়াটাই বড় কথা। সিসিবি’র যেসব পাঠক আমার লেখাগুলো পড়েছেন, সময় করে মন্তব্য লিখেছেন কিংবা আমার মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন, আপনাদের সবার প্রতি জানাচ্ছি আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আর কৃ্তজ্ঞতা।
বিস্তারিত»জানালার কাঁচ ঘোলা
মেঘে ভেজা
পাশে টবে ক্যাকটাস
পীত শুষ্কতা
বুক শেলফের বই
ধুলো মাখা
কোনায় কোনায় ঝুল
রাণী মাকড়সা
হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা
কুকুরের কান্না
ডালপালা ভরা শূণ্যতা
ঝরে মরা পাতা
খসখসে ঠোঁট গাল
অনাদরে ফাটা
নির্জনতায় আমি একা
তোমার অপেক্ষা।
আমি যখন কবিতা লিখি,
তখন মনে আমার কোন প্রিয় গানের সুর বাজতে থাকে।
ঊর্ধ্বাকাশ থেকে নেমে আসে যেন কোন আলোকচ্ছটা,
যা মন খারাপ করা বিমর্ষ আঁধারকে আলোকিত করে,
জাগতিক পঙ্কিলতার ঊর্ধ্বে উঠে
আমি বিশুদ্ধতায় অবগাহন করতে থাকি,
আর ক্রমে ক্রমে নিজেকে নিষ্কলুষ বোধ করতে থাকি।
কবিতা লিখার সময়
কিছু বিশুদ্ধ ভালোবাসার কথা আমায় আচ্ছন্ন করে রাখে।
আমার পাপ করলেও তোমাকে মনে পড়ে
আমার পূণ্য করলেও তোমাকে মনে পড়ে
পাপ করলে মনে হয়,এসে দ্যাখো,কী খারাপ হয়ে গেছি তুমিহীনতায়
পূণ্য করলে মনে হয় কাকে তুমি ছেড়ে গেছো জানলে না
এতটা দু:খ কষ্ট চেপে অত মমতাহীন কিংবা এত দয়াবতী কেবল তোমার পৃথক মুখোশ
ভিখারিকে আধুলি দিলে ফিরিয়ে দিবে,
পেশেন্টদের অসুখ সারবে না,
তোমার ছাত্ররাও মুখ টিপে হাসবে ক্লাসময়
তারচেয়ে বরং ফিরে আসো তুমি,অসুস্থ হও,নত হও
কেউ জানবে না গোপন সন্ধি,জানলে বলে দিও
অথবা মুখভর্তি বমি হবে তোমার,নাকের দাগ আড়ো বেড়ে যাবে,
বিজয় দিবসের প্রাক্কালে
মুমুর্ষু এক বীরাঙ্গনা বল্লেন
শত লজ্জা অপমান সয়ে
আজও আমি বেঁচে আছি
পাশে ঠেলে মরণ
কবে আসবে?
সেই মাহেন্দ্রক্ষণ!
করজোড়ে নতজানু
মাগিবে পাকিস্তান
দাসী হতে চাই প্রভু
ভিখ দাও চরণ।
[ পুরাদস্তুর বাঙ্গালের ভবিষ্যত বাণীঃ এক দিন বাংলাদেশের অঙ্গরাজ্য হবার জন্য কেঁদে কেটে একাকার হবে পাকিস্তান ]
বিস্তারিত»হাগলে আরামবোধ হয়, যেমন ফরাসী পতাকায়
কিংবা কুরবানীর গরুর জন্য ব্যথিত হৃদয়ের
উহু আহা শুনলে; আরো ভালো লাগে অতিকায়
মস্তকের রঙধনু প্রীতি; অথবা লোমশ ভাতৃদ্বয়ের
রগরগে গল্পে পুলকিত হই। ‘পাদ’ শব্দটি
অশ্লীল বলে মেনে নিয়েছে রাষ্ট্র, যদিও সানি লিওন
কখনো নয়।হঠাৎ জেগে ওঠা যৌন উত্তেজনার মতো স্থায়ী প্রতিটি
বিপ্লব বা আন্দোলন আমাদের, তাই বীর্যস্খলন শেষেই নিওন
আলোর মধ্যেই আরামসে ঘুমিয়ে পড়ি।
সংলাপ গুনে দেখিনি তো!
মনমতো
কিছু দৃশ্য, কিছু কথা
নাজুক নীরবতা নিয়ে
নিশ্চয়
একদিন প্রচ্ছদ হবে তুমি;
অনাগত সন্তানের মত
আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থের প্রুফ হবে
পা-ছোঁড়া অস্থিরতা
স্কেচপেন তোমাকে এঁকে
পাবেনা কূল,
উল্টো চক্ষুশূল
হয়ে আসে
সূর্যোদয় কিংবা বৃষ্টির মতন
স্বার্থপর, মনোরম মুহূর্তেরা
এরপর চটির ওই একফালি
ছিঁড়ে যাওয়া ঢেকে দিয়ে
বিব্রত শাড়িটি
মরমে মরে গেছে —
কার্তিকের এই হ্রস্ব দ্বিপ্রহরে আমি অস্থির থাকি।
মনে হয়, গাছপালা ফুল পাখি প্রকৃতির সবকিছু
যেন বিষন্নমনে তপস্যায় বসা, গোধূলির খোঁজে।
খুঁজতে খুঁজতেই বিকেলটা হারিয়ে যায় অবেলায়।
দুপুরের পরেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। টেবিলে বিক্ষিপ্ত
পড়ে থাকে কাগজ কলম, যাবতীয় বিল আর পত্রাদি।
অগোছালো মনের মতই ইতস্ততঃ ছড়ানো ছিটানো।
ত্রস্ত মনে যা গোছানোর কথা ভেবে অস্থির হয়ে উঠি।
আলস্য ঘিরে ধরে।
বিস্তারিত»শহরের সব পার্ক, উদ্যান,
সুদূর অতীত গন্ধ মাখা
প্রাচীন বৃক্ষ কিংবা জলাশয়,
মৌ মৌ আড্ডার ক্যাফে,
থিয়েটার, নাট্যশালা, আর্ট গ্যালারী,
ছায়ামাখা ফুলার রোড,
ভার্সিটির কড়িডোর, ক্যান্টিন,
সর্বত্রই স্মৃতির ব্যপক সন্ত্রাসী বাড়াবাড়ি।
নাট্যমঞ্চের আধো আলো চেয়ারে,
চীনে রেঁস্তোরার টেবিল কাভারে,
বা ধরো যতনে ভাঁজ করা ন্যাপকিনে
স্পর্শের আভা, এমন কি সেই চেনা
সুরভির রেশ,