: আমার ঈর্ষা হয় ভীষণ! কারো কারো ব্যাপারে!
: আমার ব্যাপারেও?
: কিন্তু শুধু ঈর্ষা দিয়েই আর কী হয় বলো?
: হয়তো কিছুই হয়না … পড়েছিলাম মেয়েদের ঈর্ষাটাই ভালবাসা! যত বেশি ঈর্ষা, তত বেশি ভালবাসা!
: তোমার ব্যাপারে কি না তা বলা যাবে না, যেমন তুমি অনেক কিছুই বল না।
: হুম, আমি চিরকেলে মুখ চোরা … মনে মনে মন চুরি,
শুধু রবীন্দ্রনাথ আর জীবনানন্দ পড়ি, আর মনে মনে মরি …
: সেদিন কবিতাটা কাকে ভেবে লিখেছিলে তুমি তো বলনি …
: বলা যাবে না … তুমি যেমন বল, বলা যাবে না …
: আমি জানি তুমি বলবেনা, তুমি মানুষটা খুব রহস্য কর!
: ফেলুদা না ব্যোমকেশ?
: তোমার সাথে কথা হলেই আমি সারাদিন আনমনা হয়ে থাকি,
কোথায় যেন হারিয়ে যাই, অস্বস্তি হয়, দমবন্ধ হবার মত।
: তবে তো ভারি মুশকিল,
আবার কথা বন্ধ… অনেক দিন,
সময়ের কাছে হেরে যাবার দুঃখ
তবু আছে এখনও ঋণ!
গভীরে যাবার বাসনা ছিল
অগভীর মন দিয়েছিল বাঁধ,
ওপরে কে যেন হাসেন,
তলায় পড়ে থাকে সব স্বপ্ন-সাধ!
সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৫
টরন্টো, কানাডা।
বাহ! তোমার লেখা আগে পড়িনি লুব্ধক।
এটা খুব ভালো লেগেছে।
কথোপকথনের ফ্লো খুব মসৃণ আর বুদ্ধিদীপ্ত।
আরও আরও লেখার প্রত্যাশায়। 🙂
ওয়েলকাম টু সিসিবি, ভাইয়া!
অগভীর মন দিয়েছিল বাঁধ,
তলায় পড়ে থাকে সব স্বপ্ন-সাধ!
- বাহহ !
সুখপাঠ্য।
হঠাত শেষ হয়ে গেল, যেন গন্তব্যে না পৌছুনো একটা অনুভুতি রেখে.....
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ছোট্ট সুন্দর কবিতা।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
কথোপকথন-কবিতা খুব ভালো লাগলো। শেষ চারটি পংক্তি খুব সুন্দর হয়েছে।
পাঠককূলের মন্তব্যের উপর কোন রেস্পন্স নেই কেন?
আপনাদের ধন্যবাদ!
এগুলো আসলে এমনি এমনি লেখা।
আমার পরিচিত দু'জনের মধ্যেকার কথোপকথন। তাদের অনুমতিক্রমে নাম না প্রকাশ করার শর্তে এখানে দিয়েছি। তাতে একটু রঙ চড়িয়ে লেখা।
মনে হলো, দু'জনের কিছু ব্যক্তিগত আলাপচারিতা যদি কবিতা হয়ে কোথাও জমা থাকে ক্ষতি কি?
কী ঘর বানাইমু আমি শূন্যের মাঝার ...