~ স্মৃতির আসমান সাঁতারু অভিমান ~

বাঁ বুকের পকেট থেকে
ভাঁজ খুলে চিঠিটাকে মেলতেই
ঝুপঝাপ লাফিয়ে বেরুলো
ডজন তিনেক নীল রঙের শব্দ।
ঠিক হাত ফসকে ছিটকে পড়া
ক’খানা ছুটন্ত মুড়ি-মুড়কির মতো।
সেই ছত্রিশ শব্দে গভীর বোনা ছিল
বলা না বলা প্রায় শতেক অভিযোগ।

অকস্মাৎ তিরিশ বছর পর
কোন মলাটের ভেতর থেকে
পুরোনো সেই চিঠিটা আজ
বেরিয়ে এলো হঠাৎ আবার।

বিস্তারিত»

যায়েফ কে এবং যায়েফকে

যায়েফ কে এবং কেন; সমগ্র ভুলে গেছি
সময় প্রসারিত হয়েছে,বেড়েছে আঙুলের ফাঁক
মিথ্যা সমগ্র, যাবতীয় প্রতারণা, অন্ধত্বও বেড়েছে
গ্যালারীতে ঝুলে গেছে সহস্র তৈলচিত্র, ফটোগ্রাফ
কেউ জানে না নাকের দাগের কারণ, টোলের ইতিহাস
প্রতি রাত্রে হয়েছি কাদা, তারপর নিপূণ শিল্পীর হাতে
ঘোড়ায় রূপ নিয়েছি।
অথচ এ যৌবন কেটেছে রাবারের বনে
আদিম কাঠুরের হাতে হিংস্র কুঠারে বিদীর্ণ বৃক্ষ
কোন কোন দিন প্রতিশোধ পরায়ন হয়,

বিস্তারিত»

~ চাঁদে জীবন কাঁদে ~

স্বপ্ন সিঁড়ি
আঁকতে
আঁকতে
গেছি উঠে
চাঁদে
ফ্রেমবন্দী এক
আকাশ
আমায়
একলা দেখে
কাঁদে

২৭ জানুয়ারী ২০১৬

বিস্তারিত»

পত্র নয়, পদ্য

বুকটা যখন কোন কারণে ভারী হয়ে ওঠে,
পাখিরা তখন এসে আমায় গান শুনিয়ে যায়।
ভালো লাগে পাখিদের কণ্ঠ, বর্ণ, চলাফেরা।

কারো সযত্ন অবহেলা যখন বুকে বেজে ওঠে,
চোখের পাতা দুটো তখন ভারী হয়ে আসে।
আমি ঘুমিয়ে পড়ি। পরে সব ঠিক হয়ে যায়।

স্বপ্নেরা খেলা করে আমায় নিয়ে, শিশুদের মত
কখনো হাসায়, কখনো কাঁদায়। আমি বালিশকে
আঁকড়ে ধরে একটা অবলম্বন খুঁজে যেতে থাকি।

বিস্তারিত»

~ এই শীতে, অবশেষে – দুই ~

এই শীতে অবশেষে
কয়েক ছত্র বৃষ্টি এসে,
নগরীতে দিয়ে গেলো
প্রতীক্ষিত সেই হিম স্বাদ।

শীতের শরীর ছুঁয়ে
আহলাদী নাগরিক
উল্লাসে জানায় তার
বরফ ভাঙা উদযাপন সাধ।

মেহেগনি ইউক্যালিপটাস বা
বোগেনভেলিয়ার লাজুক
পাতাদের গায়ে ধূলার
চাদর মুছে জমা বিন্দু জলে –

শখের ডিএসএলআর তার
দীর্ঘ অক্ষিকাঁচ দিয়ে
অপূর্ব ফ্রেমের গায়ে
বুঝি শীতছবি আঁকা খেলে।

বিস্তারিত»

কবিতা মানবী

যদি প্রেমাষ্পদ হয়েই থেকে যেতে,
আজ তুমি হতে পারতে স্ত্রী,
কবিতা না।
অথবা হতে পারতে
আমাদের সন্তানের মা,
কিন্তু কবিতা না।
কিংবা হতে প্রেমিকা, প্রেয়সী,
অথবা আত্মার আত্মীয়,
কিন্তু কখনোই কবিতা না।

তুমি যখন প্রেমাষ্পদ হিসাবে
আর থাকতে চাইলে না,
চাইলে আমাকে ছেড়ে অন্য কোনো
ঠাই খুজে নিতে,
তুমি জানতেও পারলে না,

বিস্তারিত»

চিরুণীকথা

তোমার উচ্ছল আলাপের
কোন অনুবাদ হয়না হে
ঢলঢল লাবণী,
অন্ধকার রেশম!
দাঁত ভেঙে
পড়ে আছি দেখে
আয়নায় নিরুপম কোমরের
সে কি হাসি!
কাঁটা ক্লিপ উধাও
একে একে
ড্রেসিংটেবিল থেকে,
খোঁপাময় বেশরম
তারা হবে ব’লে।
হেলায়
প্রসাধনের বেলা যায়
নীরবে চাহিয়া রব
যদি কিছু আমারে শুধাও

বিস্তারিত»

একটি মুখের ছায়া

একটি মুখের হাসি
এই কুয়াশার মাঝেও রোদের ঝিলিক এনে দিতে পারে।
একজোড়া চোখের দৃষ্টি
সাগরের অতলান্তে আমায় শয্যা পাতার স্বপ্ন দেখাতে পারে।
হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া
কারো একটি দুঃখকথা আমায় অশান্ত করে তুলতে পারে।
একটি কন্ঠের গান শুনে
আমি শিশুর মত মুচকি হেসে হেসে ঘুমিয়ে যেতে পারি।
কারো একটি নাচের মুদ্রা
আমার বাতগ্রস্ত পায়েও মৃদু হিল্লোল এনে দিতে পারে।

বিস্তারিত»

স্বপ্নবিলাস

[ আপিসেতে ছিলাম অনেক চাপে,
হয়ানি আসা বোলগ-বাড়ির ধাপে।
অবশেষে নিলাম যখন ঝুঁকি-
দেরাজ খুলে কোবতে দিল উঁকি। ]

বিস্তারিত»

সময়ের ভালোবাসা

কেমন করে সময় গুলো যেন ফুরিয়ে যাচ্ছে

কারন সময় কারো জন্য কখনো অপেক্ষা করে না,

আমি তাল রেখে জোড় করে কদম মিলাচ্ছি

আথচ বারে বারে তাল বেতাল হয়ে যাচ্ছি।

 

রাস্তার পাশে বসেছে উষ্ণ চায়ের আড্ডা

আথচ আমি আজ তার স্বাদ নিতে ভুলে গেছি,

এক সময় মন প্রাণ ছুটে যেত কবিতায়

আজ কবিতার কথায় নষ্টালজিক হয়ে গেছি।

বিস্তারিত»

অব্যক্ত অনুভূতি

দীর্ঘ সামরিক জীবনে,
যখনি কোন আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ করেছি,
ব্যান্ডের তালে তালে মার্চপাস্ট করেছি,
জাতীয় সংগীতের সুরে সশস্ত্র সালাম দিয়েছি,
কেউতো দেখেনি আমার নীরব অশ্রুপাত।

কেন জানিনা,
সামরিক ব্যান্ডগুলোর সুরের মূর্ছনায়,
অপূর্ব বাঙ্ময় হয়ে উঠে যেকোন গান।
দেশাত্মবোধক হলে তো কোন কথাই নেই,
অশ্রু ও স্বেদ একাকার হয়ে প্রবাহিত হয়।

এখনো নাড়া দেয়,
জাতীয় কবির সেই তেজস্বী রণসঙ্গীত,

বিস্তারিত»

বরফকল

মাঝে মাঝে ঘরের দেয়ালগুলি
তরল হয়ে যায়,
আমি ইট-ভেজা হয়ে
বাইরে এসে দাড়াই।
স্বপ্ন বারান্দায়
বুক ভরে শ্বাস নেই ;

ঘরের ভেতর ক্রমাগত
জমাট বরফ ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে
জীবনানন্দ ক্লান্ত,
ক্লান্ত আমিও, ক্লান্ত সুবোধ বাবু
অথচ বরফকল অবিশ্রান্ত
চলছেই চলবেই …

বিস্তারিত»

গোলাপকথা

দুই।

‘উচ্ছ্বাস ভুলিয়াছ,
ভ্রান্তি ভুল নাই’
গোলাপ হাসিল।
আনতনেত্র যুবরাজ
তৃণ গণণা করিতে করিতে
মৃদুস্বরে কহিল —
‘তোমার বাক্য শুনিয়া
কেবল একজনের কথা
স্মরণ হইতেছে কেন?
উচ্ছ্বাস ফিরাইয়া আনিতে
তোমার নিকট
কন্টক যাঞ্ছা করি —
পাইবো কি?’

তথাস্তু –
গোলাপ কহিল

তিন।

‘পত্র লিখিত কি?

বিস্তারিত»

ব্যথা

পাখি নীরব হয়ে থাকে,
সেই সাথে যেন প্রকৃতিও,
বিরহিণীর চোখে নদী বয়ে যায়!

(আমেরিকান ইম্প্রেশনিস্ট কবি এযরা পাউন্ড এর “In A Station Of The Metro” কবিতা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে)

ঢাকা
০৭ জানুয়ারী ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»