অনুরোধ

[কবিতা বড়ই সংক্রামক। কথাটা প্রায়ই ভাবি, কিন্তু বলা হয়ে ওঠে না।
পূর্ণেন্দু পত্রীর এই পংক্তিগুলো চোখে পড়লো, আজ সকালে, এক বন্ধুর স্ট্যাটাসে।
\\ যখনই পেতেছো হাত,দিয়েছি উপুড় করে প্রাণ, তবু আমি একা,
তবু আমার কেউ নও তুমি,
আমিও তোমার কেউ নই,
আমাদের অভ্যন্তরে স্রোতস্বিনী আছে সেতু নেই। //
আর কোত্থেকে যেন নীচের এই কথা গুলো ভেসে এলো মাথার ভিতরে।

বিস্তারিত»

স্বপ্ন বিলীন

অনাবিল শুভ্রতার পাপড়িতে সপ্নগুলো খুঁজে পেয়েছিল তাদের রং
ভবিষ্যৎের আকাশে তারা উড়েছিল ক্ষণিককাল
শুন্যতার মাঝে পূর্ণতার অনুভূতি দিয়েছিল চিরন্তনতার ছোয়া
কিন্তু হঠাৎ, সম্ভ্রান্ত নির্বোধ শ্রেণীর কতিপয় উদ্ভট, আবেগহীন প্রথা
আভিজাত্যর ট্যাংকের তলে পিষ্ট করে হাসল ড্রাকুলার পিশাচী হাসি
নিরবতার মঞ্চে না বলা কথাগুলো বিলীন হয়ে যায় মহাকালের অদৃশ্য পাতায়
অচিনপুরের হাতছানি আর স্রস্টার স্পন্দন এখন ক্ষতগুলোর নিরাময়
স্বর্গের প্রতিিট পরমাণুর প্রতি ব্যথাতুর বসুন্ধরার হাজারো সালাম

বিস্তারিত»

চোখের ভাষা

কিছু কিছু ছবি আছে, চোখ ঝলসে দেয়।
ওরটাও তেমনই, যেন আলোর ঝাপটা।
একবার চোখ পড়ে তো সরানো যায় না।
জোর করে সরালেও প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে।

কিছু কিছু মুখ আছে, ভালোবাসার আধার।
হাজার অচেনা হলেও ভালোবাসা দিয়ে যায়।
দেখে যেন মনে হয় সেটা আজন্ম চেনামুখ,
চোখ দুটো বারেবারে হাতছানি দিয়ে ডাকে।

নক্ষত্রের মত ঝিকিমিকি করা ওদুটো চোখে
চোখ পড়লে কিছুতেই স্থির থাকা যায় না।

বিস্তারিত»

আমার শহীদ কাদরী

“সহসা সন্ত্রাস ছুঁলো। ঘর-ফেরা রঙিন সন্ধ্যার ভীড়ে
যারা তন্দ্রালস দিগ্বিদিক ছুটলো, চৌদিকে
ঝাঁকে ঝাঁকে লাল আরশোলার মত যেন বা মড়কে
শহর উজাড় হবে, – বলে গেল কেউ – শহরের
পরিচিত ঘণ্টা নেড়ে খুব ঠাণ্ডা এক ভয়াল গলায়
এবং হঠাৎ
সুগোল তিমির মতো আকাশের পেটে
বিদ্ধ হলো বিদ্যুতের উড়ন্ত বল্লম!”

‘বৃষ্টি, বৃষ্টি’ কবিতাটি প্রথম কখন পড়ি মনে নেই,

বিস্তারিত»

নিঃসঙ্গ সঙ্গী

“ও মাঝি! মাঝি ও…!”

যাহ্‌, শেষ নৌকাটাও গেলো চলে!

হতবিহ্বল আমি, ঘাটে দাঁড়িয়ে নিরুপায়,

সামনে এক বিশাল মরা নদী –

পানি যৎসামান্য, নিস্তরঙ্গ,

স্থির ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসী যেন এক!

বাঁধানো সিঁড়ি পাঁজরের হাড়ের মতন

সাক্ষ্য দিচ্ছে-

ক্ষয়ে যাওয়া অতীতের।

কান পাতলেই,

নিস্তব্ধতা ছাপিয়ে ওর দীর্ঘশ্বাস শোনা যায়-

হুহু করে বলতে থাকে যেন-

“আজও কেউ নেই!”

 

বিস্তারিত»

স্থবির

এখনো দাঁড়িয়ে আছি সেখানেই,
যেখানে তুমি রেখে গিয়েছিলে।
কোন অগ্র পশ্চাৎ নেই,
কোন ভূত ভবিষ্যত নেই, তবু
সেখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে আছি,
এখনও নির্বিকার, যেমন ছিলাম।

এখনো দাঁড়িয়ে আছি সেখানেই,
আনত পত্রপল্লব, শাখাপ্রশাখা সহ,
পাখিহীন, প্রজাপতিহীন দেবদারু
যেমন নির্বাক, নিথর, মৌ্ন থাকে।
বাতাস এলে শুনি মর্মর ধ্বনি,
বৃষ্টিতে ধুয়ে যায় যত নোনা পানি।

আকাশে এখনো চাঁদ ওঠে,

বিস্তারিত»

বন্দী রাজা

ফেসবুকে ফ্রেন্ড হাজার পাঁচেক বুকের ভিতর নাইকো ফ্রেন্ড,
ফলো লাইক স্ট্যাটাস শেয়ার চলছে দেদার এটাই ট্রেন্ড।
দশ বছরে হয়না দেখা, ব্যস্ত জীবন সময় কই?
স্ট্যাটাস দেখে জানছি সবই, পাচ্ছি খবর সমস্তই।
অমুক দিবস, তমুক দিবস, বিয়ে জনম সকল দিন,
মনে রাখার নাই কোন দায়, ঠিক নোটিফাই ভ্রান্তহীন।
রোদের আগুন, বর্ষা কাদা, জ্যাম, ধোঁয়া আর সন্ত্রাসী,
আয়েশ শুয়ে মাথায় বালিশ,

বিস্তারিত»

মেঘ জমে মস্তকে

আবার
চুপটি করে যখন-তখন
হানা দিয়ে যায় তোমার কাহন।
বৃষ্টি রোদে, শারদ নীলে-
জর্জরিত বেহালা বাদন।

সত্যান্বেষ ব্যর্থ আবার, মেঘ জমে মস্তকে।
কেবল
বাচাল চিন্তা সাঁতরায় মেঘে, পরিণতি সব ভুলে।
হাহা-
অদৃষ্ট জাল। অনন্তকাল! ভ্রান্তি সে যায় বুনে!
বেশ!

বিস্তারিত»

ভোকাট্টা

একটা বর্ণিল চৌকোণ ঘুড়ির মত
আজকাল আমি আকাশে উড়ি,
নিঃসীম আকাশে ঘুরি ফিরি,
আর উড়ি, অনেক উঁচুতে উড়ি।

আমার একটা লম্বা লেজ আছে।
সেটাও মহানন্দে নেচে ওঠে,
যখন সে দেখে ঘুড়ির নাটাইটা
গাঁথা আছে তোমার চোখের পাতায়।

তুমি যতক্ষণ তাকিয়ে থাকো,
ততক্ষণ আমি উল্লাসে উড়ে বেড়াই
মেঘ থেকে মেঘান্তরে,
পাখিদের সাথে পাল্লা দিয়ে।

বিস্তারিত»

ছারপোকা সমাচার

 

চৌকি,গদি,লেপ ও তোষক সীমান্তে অসংখ্য ডিম্ব পেড়েছে ছারপোকা
সুচতুর, কৌশলী,আচানক, আণুবীক্ষণিক আক্রমনে আমি যেন কচি খোকা
ক্ষণকাল আগে গুটিকয়েক ভেবে অবহেলা করে মহাকালের রেস্তোরাঁতে খেয়েছি ধোঁকা
রক্ত পিপাশু ক্ষুদে ড্রাকুলার অনবরত কামড়ে দিশেহারা, শরণার্থী,ক্লান্ত, বোকা
পুঁজিবাদী বিজ্ঞাপনী প্রচারণাতে আস্থা রেখে ক্রয় করলাম বিনাশী FINIS
কিন্তু এবারো তোমার পালঙ্ক কাঁপানো কৌশলে প্রমাণ করলে তুমি একটা ” জিনিষ”
ওগো ছারপোকা
আমি কচি খোকা
নই শুঁয়োপোকা
ক্ষমা কর আমায়
নিশিযাপন কর মধুর
পরিত্যাগ কর তোমার দানবিক রুপ “অসুর”

বিস্তারিত»

কথা বলে যায়……

আমার কানে কানে ক্ষণে ক্ষণে আজকাল
কিছু কিছু শব্দেরা কথা বলে যায়।
জানা অজানা, পড়া না পড়া শব্দেরা
কবিতার ছন্দ হয়ে কথা বলে যায়।

ভুলে যাওয়া কিছু গানের কথা,
পরিচিত বিস্মৃত কিছু কন্ঠের কথা,
ফিনিক্স পাখির মত পুনর্জীবিত হয়ে
একত্রে সম্মিলিত সুরে কথা বলে যায়।

দেখা অদেখা কিছু ফুল কথা বলে যায়,
নিশ্চল কিছু ছবি পদ্যের মত কথা বলে,

বিস্তারিত»

প্লাটোনিক প্রেম

এক স্বপ্নীল মায়াবিনী
দূর হতে কোন এক লাজুক ছেলেকে
নিজের অগোচরে ভালোবেসেছিলো।
এমনি এমনি ভালোবেসেছিলো।
চুপি চুপি ভালোবেসেছিলো।
মন থেকে ভালোবেসেছিলো।

তার এ অনুচ্চারিত ভালোবাসায়
ছিলনা কোন কামনার উত্তাপ,
ছিলনা কোন প্রত্যাশার স্বপ্ন।
ছিল শুধু অনুভবে কাছে পাওয়ার,
রঙিন কল্পনা মাখা এক দুর্নিবার আকর্ষণ।
প্লাটোনিক প্রেম এভাবে আসে যায় চিরন্তন।

ঢাকা
০৮ জুন ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

মমতা

এক লহমায়
করে দেয়া যায়
অঙ্গীকার বিকল।

কিছু অনিহায়
ভেঙ্গে ফেলা যায়
ঘনিষ্টতার শিকল।

মুগ্ধতা জেগেছিল যেভাবে,
উবে যেতে পারে তা সেভাবে,

কিন্তু, মমতা?
আছে কি, তোমার তা
ভোলানোর কোনো ক্ষমতা?

অকারণ তাই এই অঙ্গীকার ভেঙ্গে দেয়া,
অকারণ তাই এই ঘনিষ্টতা ভুলে যাওয়া,
ব্যার্থ তুমি যাবতিয় মুগ্ধতা হারিয়ে,

বিস্তারিত»

বাঁচতে চাই

অমরত্বের লোভ নিয়ে আমি বাঁচতে চাই না এই পৃথিবীতে
প্রতিদিন একটা নতুন সূর্যোদয় দেখা যোগ করতে চাই জীবনের খেরোখাতাতে
জীবনকে আটকাতে চাই না ফিগার এইট নটে কিংবা কোন ফসকা গিরোতে
অনেক খরার মাঝে এক পশলা বৃষ্টির জন্য আমি বাঁচতে চাই
দিনশেষে রাখাল আর গরুর পাল মেঘ্নার সবুজ ঘাসের উপর যে সরল রেখা একে ঘরে ফিরে তার জন্য আমি বাঁচতে চাই
অগ্নিঝরা রোদের আড়াল থেকে হঠাত যে কালবোশেখির কালো ছবি আড়াল করে দেয় পৃথিবির সমস্ত চকচকে ঝকঝকে ছবিগুলাকে
তা দেখার জন্য আমি বাঁচতে চাই অনেকদিন
নারকেলের খোসা দিয়ে গাড়ী বানিয়ে খেলা ছোট্ট শিশু দুটোকে দেখার জন্য বাঁচতে চাই
রাজ হাসের দল ঘ্যাত ঘ্যাত শব্দ তুলে যে সংগীত গেয়ে গৃহস্থের খোয়ারে ফিরে সেই দৃশ্য আর সংগীত এর জন্য বাঁচতে চাই
মাঠের মাঝখানে বৃষ্টিতে আটকে পরা গরুটি গৃহস্থের অপেক্ষায় যেই মায়াময় দৃশ্য তইরি করে তা দেখার জন্য আমি বাঁচতে চাই
সারারাত নদীতে মাছ ধরে রতইন্যা জেলে যখন ঘাটে নাও ভিড়ায় তখন উলংগ শিশুটা কোমরে বাধা ঘন্টার ছন্দে দৌড়ে এসে-বাজান বলে চিৎকার দিয়ে যে।আনন্দ আর হাসির দৃশ্যপট তৈরী করে সেই দৃশ্য দেখার জন্য আমি।বাঁচতে চাই আরো অনেকদিন
এমনি কিংবা তার চাইতে অনেক তুচ্ছ লজ্জাবতীর শিশিরভেজা রুপ দেখার জন্য আমি বাঁচতে চাই অনেকদিন –

বিস্তারিত»

খুঁজে নিও পদচিহ্ন

কখনো চাই ঊষার আলো,
কখনো অমানিশা।
কখনো চাই নীরব আঁধার,
কখনো দীপশিখা।
কখনো হই কাজের ঘোড়া,
কখনো জবুথবু,
কখনো ছড়াই আলোক রশ্মি,
কখনো নিবুনিবু।
সবাই চলেছে আপন ধারায়,
গতি তাদের ভিন্ন।
আমিও চলেছি আমার পথেই
খুঁজে নিও পদচিহ্ন।

ঢাকা
০৪ মে ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»