বাঁ বুকের পকেট থেকে
ভাঁজ খুলে চিঠিটাকে মেলতেই
ঝুপঝাপ লাফিয়ে বেরুলো
ডজন তিনেক নীল রঙের শব্দ।
ঠিক হাত ফসকে ছিটকে পড়া
ক’খানা ছুটন্ত মুড়ি-মুড়কির মতো।
সেই ছত্রিশ শব্দে গভীর বোনা ছিল
বলা না বলা প্রায় শতেক অভিযোগ।
অকস্মাৎ তিরিশ বছর পর
কোন মলাটের ভেতর থেকে
পুরোনো সেই চিঠিটা আজ
বেরিয়ে এলো হঠাৎ আবার।
তাকে ঘিরেই ভাবনা চিন্তা
একঝাঁক চঞ্চল পাখির মতোন
স্মৃতির ঝাঁপি খুলে করোটিতে
উড়তে শুরু করলো দুর্বার।
চারভাঁজের ওই কাগজখানা
থাকে অমনই, হাতে ধরা।
বুকের ভিতর বাতাস জুড়ে
বাজতে থাকে হাজার কথা।
পিয়ানো আর সাক্সোফোনে
মান ভাঙানো স্মৃতির পরম্পরা।
অনন্ত সময় ধরে থাকি, ছুঁয়ে থাকি,
কোষে কোষে নৃত্যরত স্মুতির জোনাকী।
ভুল করেও ভাঁজ খুলিনা চিঠিখানার,
অভিমান টুপ টাপ ঝরে যদি আবার !
৩০ জানুয়ারী ২০১৬
চারভাঁজ করা সামান্য একটুকরো কাগজ
কেমন আজব ঝড় তোলে চারিধারে
আমার বিহবল মগজ :clap:
ধন্যবাদ বন্ধু।
এক ব্লগে বিষয়ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় 'অভিমান' বিষয়ের উপর ঝটিকা লেখা কবিতা। তা আবার কি করে সাফল্যের বরমাল্যও জুটিয়েছে ওখানে।
সো নো ব্যাকগ্রাউন্ড ডিরেক্টলি...
বিবিধের সাথে ভাবনার অলংকরণ ... এই ...
সুন্দর শিরোনামে মন ছোঁয়া কবিতা। কবিতার স্তবকগুলোর মান ক্রমান্বয়ে উঁঁচুতে উঠে গেছে। শেষ স্তবকে এসে পাঠকেরাও নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।
আপনার মন্তব্য বরাবরই নতুন মাত্রা যোগ করে।
কলমকে সাহসী আর উদ্যমী করে তোলে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ খায়রুল ভাই।