এই ছোট আয়তনের শহরে,
বড় বড় দালান গুলো আকড়ে ধরে থাকে
বড় বড় কর্তা ব্যক্তিরা,
তারা এ শহর ছেড়ে আর অন্যকোন নোংরা মফস্বল শহরে যেতে চান না।
আর তাদের কে ঘিরে হু হু ঢল নামে মানুষের দলের।
সেই মানুষের জন্য আরো গড়ে উঠে দালান-কোঠা, দোকান-পাট
প্রয়োজনে বাড়িয়ে তোলে আরো প্রয়োজনীয়/অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা।
আয়তনে ছোট্ট শহর হয় জনসংখ্যার হিসেবে অন্যতম।
মনে আছে
তুমি একটা গল্পের কথা বলেছিলে।
ছোট্ট গল্প, তবু গল্পটা মনে নেই।
তবে, গল্প বলার ভঙ্গিটা মনে আছে,
গল্প শোনার দিনক্ষণটাও মনে আছে।
ঢাকা
০৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
শুভ যাত্রা
চলতে চলতে হঠাৎ থমকে
জিজ্ঞেস করি আপন মন কে,
“যাচ্ছ কোথাও, না আসছো ফিরে?
পথ কি মেলে, পথের শেষে?”
পথ – সে তো বৃত্তরেখা
কেন্দ্র কবেই গেছে মিলিয়ে!
পথ কি চলে, না আমরা চলি?
মুখ টিপে হাসে কানা গলি –
ছুটতে ছুটতে স্বপ্ন হয়ে-
স্বপ্নের খোঁজে –
বিস্তারিত»বৃষ্টি, সারস ও অন্যান্য
এইসব টুপটাপ বৃষ্টির রাতে,
সারস পাখির মত তোমার কাঁধে মাথা গুঁজতে সাধ হয়।
মাটির সোঁদা গন্ধ তখন তোমার-
পাঞ্জাবীর কলারে,
উৎসের খোঁজে-
প্রথমে তোমার গাল,
তারপর,
অ্যাডাম’স অ্যাপেল পেরিয়ে দেখা মেলে-
সব উপরের বোতাম দুটির।
ধরা পড়ে যাওয়া চাহনি নিয়ে
তোমার দিকে তাকাতেই-
আমার চিবুকে আলতো হাত রেখে বল,
বিস্তারিত»ভাল থাকা
কতদিন হয়ে গেল –
তোমার কাছে জানতে চাওয়া হয়নি,
“কেমন আছো তুমি?”
অথবা, “সব ভাল তো?”
সেই যে শেষবার, কবে যেন,
জিজ্ঞাসা করেছিলাম,
আর তুমি বলেছিলে:
“খুবই ভাল আছি, আর হ্যা,
আপনার কি দরকার জেনে,
আমি কেমন থাকি বা না থাকি……”
সেই থেকে তোমাকে
আমি আর জিজ্ঞাসা করি না,
কারন, ঠিকই তো,
ইঁদুর মরন
ইঁদুর মরন
আচ্ছা এই যে ইঁদুর টা মারা গেল
সে কি খুব ভালো হলো।
কাল রাতে উৎপাত করেছে ঘরে
সুর সুর শব্দে ভেঙেছে নিশব্দ
বাতিটা জ্বালাতেই পালিয়েছে
লজ্জায় নাকি প্রানভয়ে?
তা কেন? ওরাতো এ ঘরে ই থাকে
আমাদের সাথে । বেশ তো দেখাও হয়,
জানি দেখা হলেই ওরা লুকোয়
সেঁত আমার ছাত্রীরা করে
হয়তো ওরা সালাম ঠুকে না
তবে তাও সঠিক বলতে পারবো না
ভাষাতো আমাদের এক না
চ্যা চু করে যে পালায়,
স্বাধীনতার শৃংখল
স্বাধীনতা মানে কিন্তু বিশৃংখলতা নয়,
স্বাধীনতার মাঝে আছে এক শৃংখল।
যে শৃংখলে ঠিক শেকলের ঝনঝনানি শব্দ না পাওয়া গেলেও
বাঁধন কিন্তু ঠিকই কাজ করে।
যে বাঁধনে দম আটকানো হাঁশফাঁস করা
প্রকোষ্ঠের গুমোট বাতাসের ছোয়া তুমি পাবে না।
স্বাধীনতার মাঝেও আছে অন্যরকম
আটকে পরার আনন্দ, অন্যভাবে।
বিশৃংখলা কথাটার সাথে কেমন যেন
বেতাল একটা ভাব আছে-
গানের শ্রুতিমাধুর্য্য যে কারণে নষ্ট হয়,
শিলাজিৎ-এর “যা পাখি উড়তে দিলাম তোকে…” শোনার পর
যদি ভুলে যাওয়া যেতো
প্রথম ভাললাগা
প্রথম ছোঁয়া
প্রথম চুম্বন…
যদি ভুলে থাকা যেতো
উদ্ভিন্ন পংক্তিমালা
স্বলজ্জ আনত নয়ন
কবিতার উত্তাপ…
যদি ভুলে যাওয়া যেতো
মুখোমুখি বসা
হাতে হাত রাখা
শরীরের ঘ্রান…
যদি ভুলে থাকা যেতো
অস্বীকার
প্রত্যাখ্যান
উপহাস…
আমি ভুলতে পারি না
আমি ভুলতে চাইও না
তুমি পারো?
ঝরা পলেস্তারা
তুমি যখন পেরেক ঠুকো শক্ত হাতে,
ঠকঠকিয়ে ঠুকতে থাকো দিনমনে
আমার জীর্ণ মনের দেয়ালটাতে,
নিঠুর তোমার আপন মনে…
তখন সেথা ঝুরঝুরিয়ে ঝরে কত,
সকাল বিকেল যখন তখন অবিরত,
ইতিহাসের স্বাক্ষী যত পলেস্তারা,
তুমি জানো কি তা, নয়নতারা?
ঢাকা
১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
(ফেইসবুকে প্রকাশিত)
বিস্তারিত»পাথরের ঝর্ণা জানে জলের আঘাত
পাথরের ঝর্ণা জানে জলের আঘাত
তোমাতে মগ্ন থাকার ঘুমভাঙা রাত
সুবহে সাদিক জানে চোখের ধকল
তবুও বুঝছো না কেন্ বুকের দখল
বুকেতে ঘাস জমেছে, ঘ্রাণ নিতে রোজ
পানকৌড়িদের রাজা চাইছিলো খোজ
লুকোবে সাতার এবং ডুবের শেষে
তুমি তো মুখ ফিরিয়ে আলতো হেসে
ও রাণী, তোমার চোখের অমল দ্বিধায়
আমি যে রোজ ভুলে যাই মন যে কী চায়
পাথরের মন্দিরে রোজ ফুল দিয়ে যায়
দেবী মুখ চাইবে ফিরে এই তো আশায়
আমি ডুবি চায়ের কাপে,
বিস্তারিত»অভিসারনামা
প্রথম অভিসারটির রঙ ধুসর।
অবিশ্বাস্য দ্রুততায় কেটে যায় তা
পরিচিতিই ঘটে কেবল,
স্মরণে থাকে না আর কোনো কিছুই
কিন্তু কানে কেবলই বাজে একটা সুর,
“আবার কবে দেখা হবে, প্রিয়তমেষু………”
দ্বিতীয় অভিসারের রঙ বেগুনি।
কত কত নিরীক্ষায়ই না ঘটে তখন
আর সময়টা কাটতে থাকে
অভিজ্ঞতায়, অর্জনে,
যার কতক টেকে
আর কতক ঝরে পড়ে
গন্তব্যহীন হয়ে।
কিছু সবুজ বাতির সারি এবং তুমি
মধ্য রাতে ও কিছু সবুজ বাতির ভিড়ে
তোমায় খুঁজে ফিরি
কিছু সবুজ বাতি, তুমি, আমি।
বাতাসের উষ্ণতা কমে,
আঁধারের চাদর আরো বেশি আঁটসাঁট হয়
সবুজ বাতি নিভে যেতে থাকে একে একে
তখন তুমি ধ্রুবতারা হয়ে জ্বলছ নয়ন মাঝে
তারা খসে পরে, আলো নিভে যায়
তুমি ঠিক রয়ে যাও দুরে
ভেসে উঠ তবু স্বপ্নে-সুরে,
বারেবার চলে যাও এভাবেই এসে ফিরে।।
~ সেই ফাগুনের অপেক্ষাতে ~
শুকনো পাতার মতোন
কুঁকড়ে আছে অপেক্ষার সময় সব
সানকিতে সাদা ফুল
রঙধনুর চেয়ে কিছু বেশী রঙ
মেখে সবুজাভ
আসবে বসন্ত সময় নয় শুধু
মানুষের উৎসবে
কলরব মুখরিত দীপ্রতার
হুল্লোড়ে জীবনের
টক ঝাল মাখা প্রাণবান গান নিয়ে
ভাস্কর্যের মগ্নতায়
আছি স্থির সেই ফাগুনের অপেক্ষায়
(য তি চি হ্ন হী ন – তি ন)
বিস্তারিত»কিছু চাওয়া
পৃথিবীটা সুন্দর, তাই বলে—
সবটাই তো কুসুম কানন নয়,
আর তা হতেও পারেনা।
কোথাও ধূ ধূ মরুপ্রান্তর,
কোথাওবা শুধুই রুক্ষ পাথর।
কোথাও সূর্যতাপে চামড়া ঝলসে যায়,
আবার কোথাও কনকনে শৈ্ত্যপ্রবাহে
দেহটা অসাড়, অনুভূতিহীন হয়ে রয়।
পৃথিবীর মাঝে আমি তো এক ক্ষুদ্রকণা
আমার চাওয়া পাওয়াতে কিছু যায় আসেনা।
তবু বলে যাই, আমি এইটুকু চাই—
এ ধরার কোন এক কোণে একটি শ্যামল প্রান্তর।
এবারের একুশে বই মেলায় আমার দুটো বই
ইন শা আল্লাহ, আগামী সোমবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ তারিখে এবারের একুশের বইমেলায় আমার দুটো বই আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। প্রথমটা কবিতার বই “গোধূলির স্বপ্নছায়া”, প্রকাশক- জাগৃতি প্রকাশনী, স্টল নম্বর ১৭৩-১৭৫। দ্বিতীয়টা আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা “জীবনের জার্নাল”, প্রকাশক- বইপত্র প্রকাশন, স্টল নম্বর ১২৭-১২৮।
সিসিবিয়ানদের সাদর আমন্ত্রণ রইলো।
এ পোস্টারটা আমার প্রকাশক পাঠিয়েছেঃ