সকল বর্ডার খুলে দাও

আমি একাত্তুর দেখিনি
গল্প শুনেছি
বাবার কাছে, আমার মায়ের কাছে!
আমি মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে শুনে বেড়ে উঠেছিলাম।

আমাদের সেই সময়ের বসার ঘরে, বঙ্গবন্ধুর এক বিশাল পোর্ট্রেইট ছিলো
বাবা আমাদের সব ভাইদেরকে অনুভব করিয়েছিলেন-
পোর্ট্রেইটের মানুষটা-ই একটা দেশ!
বাবারা কখনো মিথ্যে বলেন না বাবুদের কাছে
তাই পাইপ হাতের মানুষটিকে এক আলাদা ভূখন্ড বলে মনে করা শুরু করেছিলাম।

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ চিকেন টামালে কিংবা খগেন জে্যঠুর চালতার আচার

এক
সাতদিনের জন্য কেটি এসেছিল আমাদের বাড়ি; চৌদ্দ দিন পুরিয়ে অবশেষে সে ফিরে গেল কানেকটিকাটে। তবু কি যেতে চায়? আমিই প্রায় ঠেলে ধাক্কিয়ে পাঠিয়ে দিলাম। কেটির বাবা এবছর অবসর গ্রহণ করেছেন। বাবার সূত্রে কন্যা বছরে বিমানে তিনটে ট্রিপ নিতে পারে বিনা টিকিটে। ওর আটলান্টা ট্রিপটা এমনই একটা ফ্রি ট্রিপ ছিল।

চার পুরুষ আগে কেটি আরমানিনির পরিবার ইটালী থেকে এদেশে এসেছিল বসতি গড়তে।

বিস্তারিত»

সুকান্তর রূপান্তর

ফেসবুকে সুপারমুন ভাবালুতা দেখে প্রিয় কবি সুকান্তর কথা মনে পড়লো। তিনি এ যুগে জন্মালে কেমন লিখতেন ? হয়তো এমন…

The Hunger Fence

Spaces between hungers
are filled with insanity
There is no rhythm
no melody or creativity
Poetry or sort of arts
are forced to hibernate.
Over the hunger fence
full moon appeared like
honeycombed butter munch.

বিস্তারিত»

ছদ্ম প্রসন্নতা

14715564_10155447316495550_169904101754384933_o

করোটির ভেতরে রয়েছে এক বিষাদাশ্রম,
সেখানে গুমরে কাঁদে কত সব বিষাদের ছায়া।
অথচ মুখে আঁকা থাকে প্রসন্নতার সৌম্য ছবি
নিরন্তর বেদনার মাঝেও জ্বলে হাসির রবি।

এ কেমন বৈপরীত্য, হায়!
হৃদয়-করোটি জুড়ে থাকা এসব বিষন্নতা
বাহ্যিক হাসির আড়ালে সব ঢাকা পড়ে রয়!
বিষাদ বিভ্রমগুলো ক’জনাই বা দেখতে পায়?

কারো মুখে হাসি থাকা মানেই প্রসন্নতা নয়।

বিস্তারিত»

আরও দু’টি কবিতা

এক – কেমন আছো
==============
(প্রত্যাহার করে নিলাম)

দুই – একজন সেলিব্রিটির সাক্ষাতকার
=====================
– চুম্বনে সাচ্ছন্দ্য, আলিঙ্গনে সাবলিল,
মিলনেও সানন্দ অংশগ্রহন তোমার।
অথচ, ভালবাসাবাসিতে? কেন এই
নিদারুন অনিহা? দুর্বার অনিচ্ছা??

– “ন্যাকামো সব”, বলেছিল সে,
“হাড়ে হাড়ে চেনা আছে যাবতিয়
প্রেমপ্রত্যাশিদের সব্বাইকে”।
জানলাম, পুরুষের ভালবাসা হলো
দখলে নেবার ছল।

বিস্তারিত»

একটি ছোটগল্প, অন্যটি চতুর্দশপদি

প্রেম বনাম ফ্লার্ট

অহন আমি জাইনা গেছি, তুমি তারে ঘেন্না করো
ক্যান? ক্যান বা তার কথাগুলান বিষের লাহান
ঠেকে তোমার কানে? বুঝো নাই, তোমারে সে যে বড়
বাইসাছিল ভালো। তোমার জন্য পর্বত-প্রমান
প্রেম সাজাইয়া, হাত মেইললা – বইসা ছিল সে,
অপেক্ষার প্রহর গ্যাছে, আর তার প্রেম বাড়ছে।
কিন্তু তুমি যে তাঁর কাছে প্রেম চাও নাই, সেইটা
সে জানতেও পারে নাই।

বিস্তারিত»

অজেয়

(উইলিয়াম আর্নেস্ট হেনলি রচিত এই কবিতাটা অনুবাদের আগ্রহ জাগে Invictus সিনেমাটি দেখার পর। মূল কবিতার স্বাদ অনুবাদে রইল কতটুকু তা নিয়ে যদিও সন্দিহান। )

কুমেরু থেকে সুমেরু নামছে রাত অবিরাম
সব ছেয়ে যায় নরকের আঁধারে
তারই গহ্বর হতে জপি ঈশ্বরের নাম
যিনি হয়তো দিয়েছেন অজেয় সত্তা আমারে।

দুঃসময়ের ছোবলে আহত হয়েছি বারবার
কিন্তু শিউরে উঠি নি আমি,

বিস্তারিত»

ভালবাসা একপলক

শেষ বিকাল
যখন সোনা রোদে পৃথিবী মায়াময়
পার্কের ভিতর দিয়ে হেঁটে চলা যুবক
এক টুকরা কাগজ কুড়িয়ে পায়।
কেউ ঝালমুড়ি খেয়ে ফেলে গেছে-

শিউলি ফুলে সাদা হয়ে আছে পথের পাশে ফুটপাথ
শৈশবের দিন মাখামাখি হয়ে আছে শিউলির সাথে
হৃদয়ের পটে আঁকা
স্মৃতির ভিতর যত্নে রাখা।
রুপালী আলোর জালে যেন জড়ানো আঁধার-

ফুলগুলো সে মাড়িয়ে যেতে পারে না
না পা ফেলা যায়
পাশ কাটানো ও দায়
এমনই তার টান!

বিস্তারিত»

সব ফিরিয়ে দিলাম

সেদিন অফিস বন্ধ ছিল আমার
সকাল থেকেই তুমুল বৃষ্টি
এমন দিনে মতিঝিল থেকে ফিরছিলাম সাভারের বাসায়।
.
বিআরটিসি’র ডাবলডেকার বাসের
দোতলার কয়েকটা জানালায় কাঁচ ছিল না
উপরে তাই যাত্রী ও ছিল কম
নাই বললেই চলত.. আমি একাই ছিলাম শুধু।
ভেজা সিটে বসতে অনীহায় নীচতলায় অনেক গাদাগাদি
তাই দেখে
দোতলায় ভাঙ্গা জানালা দিয়ে বৃষ্টি দেখে দেখে ভিজে চলেছিলাম।

বিস্তারিত»

যাবার বেলায়

আমার দুয়ারে শব্দেরা কড়া নাড়ে,
হিমেল বাতাসে কাঁপে সন্ধ্যার ছায়া
অস্ফুটে ডাকে ইশারায় চুপিসারে,
‘আয়, চলে যাই, ফেলে রেখে সব মায়া!

কোথায়, কখন, উড়ে যেতে হবে হুট—
ঝরা পাতাদের তা কি কভু জানা থাকে?
এই পড়ে থাকা, এই দেয়া কোন ছুট,
অচেনা পথের শীতার্ত বাঁকে বাঁকে!

কনীনিকা থেকে সব আলো মুছে ফেলে
হাতড়ে হাতড়ে গোধূলির পথ চলা,

বিস্তারিত»

কবিতার শহর

আজ রাত কবিতার নয়,
অন্য কোন রাতে না হয় লিখব।
আজ রাত জেগে থাকার, ঘুম আসে না বলে-
দিঘীর জলের উথালপাথাল দেখব।

নগর থেকে আজ রাতটা একটু দূরে,
একটু বেশীই নিস্তব্ধ।
প্রেয়সীর বাহুডোরে আটকে নেই এ রাত-
শুধুই ঘ্রাণহীন আর বাকরুদ্ধ।

দূরের কুকুর ডাকছে থেমে থেমে, এক নাগাড়ে
কোন এক নীশাচরীর আশে পাশে।
আজ রাস্তা শুধুই ওদের,

বিস্তারিত»

রাতের কথা

যে প্রেম-প্রতিজ্ঞা ছিলো সেদিন প্রাতে-
অবহেলার আঁচড়ে রক্তাক্ত হলো ভর দুপুরে।
সূর্যের নিষ্ঠুরতায়-
অনুভূতি পুড়িয়ে-
অপেক্ষার আশ্রয়ে-
আশ্রয়ের অপেক্ষায়-
মাথা রাখলাম এক বিকেলের কাঁধে।
কিন্তু, সে ভার সে সইবে কেন?
হাত বাড়িয়ে অধিকারটুকু চাইতেই-
মুখ ফিরিয়ে চলে গেলো সে।

ধূলায় লুটানো মুখ আকাশপানে তুলতেই
সন্ধ্যাতারা ডাকল হাতছানিতে।
স্নিগ্ধতার আকর্ষণে-
স্বপ্নের আমন্ত্রণে-
বন্ধনের মায়াজালে-
মায়াজালের বন্ধনে-
আমার সবটুকু সঁপে দিলাম তার পায়ে-
শাঁখের ধ্বনির মতই মিলিয়ে গেলো সে।

বিস্তারিত»

কোন এক বজ্রাহত পথিকের প্রতি

ওহে বজ্রাহত পথিক, কান পেতে তুমি শোন,
জীবনের পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়, কখনো ছিল না।
তুমি বাক হারিয়েছো? হতচকিত, দিশেহারা?
চক্ষুস্মান হয়েও দৃষ্টিহীন? ওঠো পথিক, ওঠো।
শিরদাঁড়া সোজা কর, ঋজু মনে এগিয়ে যাও।
দৃষ্টি মেলে ধরো সুদূর দিগন্তে আর উচ্চাকাশে।

উঠে দাঁড়াও, সম্মুখে এগিয়ে চলো দৃপ্ত পদযোগে।
শোন, ঝিরিঝিরি দখিনা বাতাস কী বলে তোমায়।
বলে, আমি উত্তরে যাচ্ছি,

বিস্তারিত»

একটি গান, দুইটি সনেট

গান
তুমি চাইলে মনোবিদের সাথে করে নেবো সন্ধি,
তোমার কথায় মেনে নেবো আমি বুদ্ধি-প্রতিবন্ধি।
যদি বলো মানবো আরো, ধুর্ত ছিলাম আমি,
তোমার জন্যই করেছিলাম কতই না ভন্ডামি।

একটি কথা বলার আছে যাবার প্রাককালে,
তোমার জন্য সব কলঙ্ক পরবো আমি ভালে।
তুমি শুধু খুশি থেকো, হয়ো অনেক সুখি,
আর যেন না হতে হয় আমার মুখোমুখি।

কাঁদা যে আমি ছুড়ি না,

বিস্তারিত»

~ প্রবাসে পরবাসে নেই, সাত সকালে বেরিয়েছে সে; বহুকাল পর বাড়ী গেছে ~

বলা হয় কোনো লেখা পড়ে পাঠকের মনে যখন সেই দ্যোতনাটি জেগে ওঠে – আর সে ভাবে, ‘আরে এ যে আমারও কথা’; তখনই সে লেখাটা সার্থক লেখা হয়ে ওঠে। যতো বেশী পাঠকের মনে এমন ধারণার জন্ম দিতে পারে কোনো লেখা, ততো বেশী পাঠকপ্রিয়তা, ততো বেশী জনপ্রিয়তা পাবে তা; পাবে দীর্ঘায়ু। সহজ শাদামাটা ভাবে তাই বলাই যায় যে, বিভিন্ন ভাষার শীর্ষ কবি ও লেখকরা যখন লেখেন, এমনটা ভেবে এরকম কিছুই লেখেন।

বিস্তারিত»