ট্রেন রোল অন….

ট্রেনে চড়েছি। এই নিয়ে চতুর্থবার। অবরোধে প্রথম। তিস্তা এক্সপ্রেস, “ঝ” বগি। প্রথম সিটে, জানালার পাশে। ব্যাপক প্যানিকের মধ্যে আছি। বসেই আমি আর শিপু দুইজন মিলে ট্রেনের বেগ,বাতাসের বেগ,গতিশীল পিকেটারের গতিশীল ঢিলের বেগ,স্থির পিকেটারের গতিশীল ঢিলের বেগ,ঢিলের ট্য্রাজেক্টরি ইত্যাদি বলবিদ্যা বিষয়ক হিসাব কষা শুরু করলাম। সাথেসাথে আমরা পিকেটার হলে কোথায় ঢিল ছুড়তাম? বলবিদ্যা বিষয়ক হিসাবগুলা করতাম কিনা?ঢিল ছুড়ার জন্য সুবিধাজনক জায়গা কোথায় হত?কতটুকু দুরত্ব থেকে ঢিল ছুড়লে লক্ষ্যভেদ করার সম্ভাবনা বেশি হতে পারে?কত ডিগ্রি কোণে?

বিস্তারিত»

কার্জনের কাব্য – ১

কার্জন হল জায়গাটা অদ্ভূদ। এবং মায়াময়। সকাল, বিকেল, সন্ধ্যা, রাত্রি – যখনই হোক, চারপাশে স্নিগ্ধ নির্জনতা ঘিরে থাকে সবসময়। ভালোবাসা ব্যাপারটা নাকি আবার নির্জন জায়গায় ভালোভাবে প্রকাশিত হয় – কবি বলে গেছেন। এটা অবশ্য কবি না বলে গেলেও সমস্যা ছিলোনা। কার্জনে কিছুক্ষণ এদিক সেদিক চোখ বুলালেই বোঝা যায় ব্যাপারটা। প্রথম বুঝেছিলাম যখন আইইউটি থেকে কোন এক পহেলা বৈশাখে প্রথমবারের মত ঘুরতে এসেছিলাম এখানে। আর এখন তো নিয়মিতই যাওয়া হয়।

বিস্তারিত»

অ্যানাপোলিসের ডায়েরী : ২

২৪ শে আগস্ট , ২০১৩:  সার্ভারে কাজ চলছে দেখে রুমের ইন্টারনেট বেশ কয়েকদিন ধরেই ডাউন। ইন্টারনেট বলতে ক্লাসরুমের ওয়াই-ফাই ই এখন ভরসা। যে আমি ৪/৫ দিন আগেও ক্লাসরুম থেকে বের হওয়ার জন্য সবসময় হাসফাস করতাম, সেই আমি ই এখন ক্লাসরুমে পারলে কাথা বালিশ নিয়ে আস্তানা গেড়ে ফেলেছি।ক্লাস শেষ হয়ে যায়, আমি ডেস্ক থেকে নড়িনা। আমার প্রফেসরের এর ধারণা বিদ্যার্জনের প্রতি আমার আগ্রহ রাতারাতি বেড়ে গেছে।শিক্ষক মহোদয় ব্যাপক আনন্দিত।মানুষ জন আনন্দ পেলে ভালোই লাগে।

বিস্তারিত»

হারানো বন্ধুটির কাছে আমার খোলা চিঠি :(

প্রাণপ্রিয় বান্ধবী ____,

না তোর নামটা বলব না, কারণ আমার অনেক গুরুত্বপূর্ণ আইডির password এ তোর নাম একটি অংশ হয়ে আছে।

তোর কাছে লিখতে অনেক দেরি হয়ে গেল তাই প্রথমেই তোর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । তোর পক্ষে হয়ত এই চিঠিটি পড়া সম্ভব হয়, তবুও লিখছি।

তোর সাথে আমার এমন এক সময় পরিচয়, যখন বন্ধুত্বর সংজ্ঞা তো দূরের কথা মায়ের কোল থেকেই বের হতে পারিনি।

বিস্তারিত»

তলিয়ে যাবার আগে

গ্রহণে গ্রাসে যে অন্ধকার
আমার চারপাশ, তারই ঘ্রাণ
অস্তিত্বে চড়াও আবার।
অসহায় আমি আর্তপ্রাণ!

প্রাণপাতে জ্বালি দীপশিখা
দিগন্তে, আলেয়ার উৎসবে
ম্লান সেও যেন এক নির্মম ধোঁকা।
দিশেহারা মুখ গুঁজেছি সময়ের শবে!

ঘুরেফিরে সূর্যোদয় সূর্যাস্ত
নিংড়ানো যে জীবন মিলায়েছে
সেই প্রাচীন শূণ্যতায়, বিবস্ত্র;
শরীর জড়ায়ে শুধুই অন্ধকার আছে!
তার আর কিছু নেই!…

বিস্তারিত»

কিঞ্চিৎ রস

ঘোষনাঃ সত্যিকার ঘটনার চরিত্রের সাথে নামের কোন মিল নেই।

 

ক্লাস সেভেন। মামুন আর দিনার রুমে টেবিল টেনিস খেলে ধরা খেল প্রচন্ড কড়া টিচার আনিস ফিরোজা ম্যাডামের কাছে। ম্যাডামের আবার একটু গুন্ডামী করার মানে পিঠে দুই চারটা দেবার অভ্যাস আছে। মামুন দেখলো কপালে মার নিশ্চিত। তো একা খাবে কেন? সাথে সাথে করুণ সুরে বলল, ম্যাডাম, আমাদের কোন দোষ নাই, আসিফ আমাদের শিখিয়ে দিয়ে রুমে খেলতে বলেছে।

বিস্তারিত»

মগের মুল্লুক

কবিতাটা লিখেছিলাম অনেকদিন পূর্বে । বর্তমান পরিস্থিতির সাথে ব্যপক মিল যায় বলে দিলাম ।

নির্বিচারে মরছে মানুষ এ দেশের পথে পথে
হরতাল অবরোধে,
দিকে দিকে শুধু বিশৃংখলা আইন মানেনা কেউ
সংঘাত আর সংগ্রামে আজ উঠেছে মরণ ঢেউ
শাসকগোষ্ঠী মত্ত হয়েছে নতুন খেলাতে মেতে
ওরা চায় শুধু ধোকাবাজি করে ক্ষমতার রশি পেতে
হায় হায় শুধু করি
এসব তামাশা বুঝতে না পেরে আমরা জনতা মরি
এখানে অবুঝ জনতার চোখে ওরা দিয়ে যায় ধূলা
এখানে শাসক মদ গিলে যায়,

বিস্তারিত»

টুকরো বিনোদন

ক্যাডেট কলেজে অনেক ঘটনাই হটাত হটাত ঘটে যায় যা পরে মনে করে অনেক হাসি পায়। তেমন কিছু টুকরো ঘটনা এবং কিছু বোরিং জোক্স নিয়ে হাজির হলাম। এর মধ্যে কিছু কিছু ঘটনা নিজের অভিজ্ঞতা আর কিছু অন্যের কাছে শোনা।

 

১/ ইসলাম শিক্ষা খাতায় সব সময়ই সবার মুল লক্ষ্য থাকে কিভাবে পৃষ্ঠা সংখ্যা বাড়ানো যায়। এর বাইরে মুল লক্ষ্য হল নীল কালিতে আলাদা কোটেশনে হাদিস/ কোরানের আয়াত লেখা যার অধিকাংশই ছিল নিজের মন গড়া।

বিস্তারিত»

ইডি সমাচার

ইডি খাওয়া ক্যাডেটদের প্রাত্যহিক জীবনের একটি অংশ। তবে কারো কারো জন্য তা হয়ে ওঠে অতি-প্রাত্যহিক। ক্যাডেটদেরকে নিয়মিত ইডি লাগানোর মত কষ্টসাধ্য কাজটি সাধারণত স্টাফরাই করে থাকেন (ক্ষেত্রবিশেষে অতি-কর্তব্যপরায়ণ শিক্ষক ও ক্বচিৎ অ্যাডজুটেন্ট-প্রিন্সিপ্যাল)। ইডি লাগানোও যে একটি শিল্প হতে পারে মাঝে মাঝে আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী স্টাফ ও স্যারেরা তা দেখিয়ে দেন। এবারে থাকছে চমকপ্রদ কিছু ইডির বৃত্তান্ত। (* চিহ্ন সংবলিত ইডিগুলো বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণের যোগ্যতা রাখে।)

এক্ষেত্রে হাউস মাস্টার অফিস থেকে ইডির নোটিস সময়মত হাওয়া করা এবং আমাকে তা ব্যবহারের অনুমতি দেয়ায় তাশরীফ মাহমুদ (ফকক,

বিস্তারিত»

আমার দার্শনিক সাজার বারোটা বাজা ও কিছু স্মৃতি

গতকাল রাত থেকে স্মৃতিকাতর হয়ে আছি।
গোফ-দাড়ি দুটোই স্বাভাবিক নিয়মে বাড়ছিলো। মাস দুই এর কম না।
চেহারায় কেমন একটা দার্শনিক দার্শনিক ভাব চলে আসছিলো। যদিও দুর্জনেরা নানান আকথা কুকথা বলে আমাকে খোচানোর চেষ্টা করেছেন। আমি তো আয়না দেখতে জানি। জানি আমাকে বেশ লাগছিলো দেখতে। কিন্তু অন্যদের তা সইবে কেনো!
যুগ চেঞ্জ হয়ে গেছে এখন পুরুষেরা গোফ-দাড়ি তো রাখেই না, বরং অনেকে বুকের লোম ও কামায়।

বিস্তারিত»

একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন

বি.দ্র. এই পোস্টের লেখক “সত্য কোন দিন চাপা থাকে না” টাইপের ফালতু তত্ত্বে বিশ্বাসী। অতএব কাহিনীটি একটি সত্য ঘটনা থেকে প্রণোদিত। যতটুকু প্রকাশ করলে শুধু স্যারদের উপর দোষ চাপানো যায় ততটুকুই দেয়া হল। নামগুলো কাল্পনিক। কারোর সাথে মিলে গেলে লেখক দায়ী নয়।

সন্ধ্যা ৭টা। ইভনিং প্রেপ চলছে। এখন আবার থার্ড টার্মের টার্ম-এন্ড পরীক্ষা। আমি পড়ি ক্লাস এইটে। আগের দুই টার্মে মাশাল্লাহ(!) রেজাল্ট করায় সায়েন্স পাওয়ার জন্য একটু সিরিয়াসলি পড়ছিলাম।

বিস্তারিত»

দিন যায় কথা থাকে-২

ততদিনে আমাদের সুদিন চলে আসছে। কোন জায়গায় চান্স না পাওয়ার সামাজিক,মানসিক গ্লানি কাটিয়ে ততদিনে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত ছাত্র হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছি। “ক্যাডেট কলেজে পড়লেই কি সবাই ভাল জায়গায় চান্স পায়” বলা নিন্দুকের মুখে তখন “জানতাম এই ছেলেই একদিন…” বানী শোভা পায়।

শীতের কোন কোন কোন সকালে সিরাজগঞ্জ থেকে চলে আসে নাসিম। আমরা সারাদিন সারা টাঙ্গাইল চষে বেড়াই। শহর পেড়িয়ে,নদী পাড় হয়ে চলে যাই কোন এক চরের গ্রামে।

বিস্তারিত»

বৃহঃস্পতি রহস্যের সমাধানঃমহা লাল বিন্দু এখনও কেন দৃশ্যমান?

সৌরজগতের ঘটে যাওয়া সবচেয়ে রহস্যজনক ঘটনাগুলোর একটি হল বৃহঃস্পতির এই মহা লাল বিন্দু। এটি মূলত একটি অতি শক্তিশালী ঝড় যা সপ্তদশ শতাব্দী থেকে একটানা বয়ে চলেছে বলে ধারণা করা হয়। বৃহঃস্পতির বায়ুমন্ডল বিভিন্ন অক্ষাংশে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত যেগুলো বেশ সহজেই চোখে পড়ে। এ কারণে একটি ব্যান্ডের সাথে অন্য আরেকটি ব্যান্ডের সংযোগস্থলেএরকম ঝড়-ঝঞ্ঝাপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করে।এই ভয়াবহ আকৃতির ঝড়, যা হতে বিজ্ঞানীরা ফ্লুইড ডাইনামিকসের নানা খুঁটিনাটি জানতে পেরেছেন,

বিস্তারিত»

ইনসমনিয়া

দীর্ঘ, ক্লান্তিকর, মরবিড শীতের রাতের কার্নিশে
পাপ জমে তিলেতিলে শিশিরের মত অসহায় ঘাসে।
ভেন্টিলেটরে জেগে ওঠে স্টুপিড চড়ুইয়ের প্রলাপ
অপসৃয়মান রাতের ছায়া,চড়ুই আর আমাতে জমে ওঠে আলাপ।
ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দে পুরনো চেয়ারটা হিঁচড়ে বারান্দায় নিয়ে যাওয়া,
অতঃপর বাসি তামাকে সূর্যের বিপরীতে নাচে নীলচে রঙের ধোঁয়া!!
“তোমাদের শোক যখন আমার কবিতার পুঁজি
তখন আমি একফালি রোদের বিলাসিতা খুঁজি।
বহুদিন আগে ছায়াদের দেশ থেকে চুরি করে আনা রোদ,

বিস্তারিত»

বৃষ্টি

মেঘে ঢাকা লস আঙ্গেলেস

বৃষ্টি হচ্ছে লস আঞ্জেলেসে ।
আকাশ মেঘে ঢাকা। দূর পাহারগুলোকে ও মেঘ ঢেকে দিয়েছে ।জানালা দিয়ে দেখলে বোঝা যাবে না যে বৃষ্টি ।
বাংলাদেশের সাথে তুলনা করলে এটা ইলশে গুড়ি। না ইলশে গুড়ি বল্লে ভুল হবে। আর ও কম।
বৃষ্টি ভেজা পিচঢালা রাস্তায় গাড়ি চলাতে এক ভেজা আওয়াজের হচ্ছে । এই আওয়াজ ও জানালার পাশ দিয়ে পানি পড়ার আওয়াজ।

বিস্তারিত»