এই দুনিয়ায় যত জাতি আছে, তন্মধ্যে ক্যাডেট জাতি সর্বাপেক্ষা নিষ্পাপ (হাসেন কেন? ঠিকই তো বললাম)। তবে, সব কিছুরই কিন্ত আছে। কিন্ত থাকবে না কেন বলুন, চাঁদ ও সূর্যের গায়ে যদি কলঙ্ক থাকতে পারে, তবে ক্যাডেটের চরিত্রে দুই-একটা কিন্ত থাকলে কোন সমস্যা নেই। যা বলছিলাম, এই নিষ্পাপ একঘেয়ে জীবনে অফুরন্ত আনন্দ নিয়ে আসে কিছু নিয়ম বহির্ভূত কর্ম। বলা নিষ্প্রয়োজন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলো কারোর না কারোর বিরক্তির কারণ হত।
বিস্তারিত»একটি মাথামুণ্ডুবিহীন স্বপ্নভঙ্গের গল্প
১
এইমাত্র ক্লাস শুরু হল। যিনি ক্লাস নেবেন, তাঁর চোখে ভারী ফ্রেমের চশমা। দেখতেই বোঝা যায়, বাবা-মার আদরের পড়ুয়া ছেলে। উসকো-খুসকো চুল, চুলের যত্ন নেয়ার সময়ই বা কোথায়। ক্লাসে ঢোকার পর নিজের পরিচয় দিলেন। ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি কোচিংয়ে ক্লাস নেবেন, বুয়েটে যে পড়েন তা সহজেই অনুমেয়। ডিপার্টমেন্টের নাম বলার পর ক্লাসের ভেতর একটা সম্মিলিত চাপা চিতকারের শব্দ শোনা গেল। ভাবী প্রকৌশলীদের চোখ উজ্জ্বল থেকে উজ্জলতর হয়ে উঠল।
তুমি চাইলেই
তুমি চাইলেই,
হাসিনা-খালেদা এসে বসে যাবে-
পলাশীতে ওই,
মনিরের দোকানে।
“শাকিব খান মন্ত্রী হবে”
এমন গুজব শোনা যাবে-
কানে-কানে।
তুমি চাইলেই,
সজীব ওয়াজেদ-তারেক জিয়া
এরশাদের জন্য, মাঠে নেমে-
চাইবে ভোট।
১৮-১৪, মিলে যাবে সব;
গঠিত হবে-
৩৩ দলীয় জোট।
তুমি চাইলেই,
বিস্তারিত»বই ও খাদ্যবিলাস
আমাদের নরসিংদীর খুব পরিচিত একটা লাইব্রেরীর নাম হোল “বঙ্গআজাদ লাইব্রেরী”। এই লাইব্রেরীর কর্ণধার হুমায়ুন মামা, আমার বাবার নামে নাম বলেই কিনা এই মানুষটার মধ্যে পিতৃভাব প্রবল। কর্মব্যস্ত, প্রচণ্ড রকমের ছটফটে আর হাসিখুশি মানুষটি আমাকে খুব স্নেহ করেন। সবাইকে নিয়ে হই-হুল্লোড় করে ভুরিভোজ উনার বিশেষ পছন্দের কাজ।পেল্লায় সাইজের একটা গলদা চিংড়ী আমার প্লেটে তুলে দিতে দিতে মামা একদিন বলেছিলেন, “শোনো মামা, যা ইচ্ছা করে সেটাই খাবা।
বিস্তারিত»পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ৫
ভোর ৩টা ১৭ মিনিট (জানুয়ারী ৯, ২০১৪) – নির্ঘুম রাতের অভিশাপ
রাত একটার দিকেই শুয়ে পড়লাম। রাত জেগে থাকার বাজে অভ্যাসটা ছেড়ে আসতে চাই। সামনের সোমবার থেকে সেমিস্টার শুরু হয়ে যাচ্ছে। ইদানিং ঘুমানোর সময় মেডিটেশান কিংবা ঘুম সহায়ক সঙ্গীতের ট্র্যাক ইউটিউবে ছেড়ে ঘুমাতে চেষ্টা করি। কিন্তু আমার সঙ্গীতপিপাসু মস্তিষ্ককে ঘুম পাড়াতে ব্যর্থ হচ্ছে হাল্কা পিয়ানোর কাজগুলো। না ঘুমিয়ে বরং মন দিয়ে শুনছি। এত সুন্দর পিয়ানোর কাজ শুনতে গিয়ে ঘুমিয়ে যাওয়া অপরাধ।
রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ (পরিশিষ্ট)
স্বয়ং প্রিন্সিপাল স্যার ফ্রগ জাম্প দিচ্ছেন ! বিশ্বাস হচ্ছে না ? একেবারে গাছপাকা কথারে ভাই ( এবং আপু), গুল মারছি না । ফটোশপের ক্যারামতি নয়। আসল ছবিই দেখাব । কি মনে করছেন ? কিভাবে ফ্রগ জাম্প দিতে হয় তাই দেখাচ্ছেন স্যার ? মোটেও তা নয় ! তিনি পানিশমেন্ট খাচ্ছেন । রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে এই ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটে ২০১২ সালের রিইউনিয়নে, রিভার্স অর্ডারে। তখনকার প্রিন্সিপাল স্যার যে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজেরই এক্স ক্যাডেট।
বিস্তারিত»পুবের মানুষ যখন পশ্চিমে – ৬
১
অভিশপ্ত জীবন আমার। ঠিক করেছি লিখব না। অন্তত: আরও কয়েকটা মাস। ফোকাসটা একটা কাজে পারলে ভাল হয়। কিন্তু অনিদ্রা রোগটা এমন খ্যাপাটে হয়ে পড়ল যে আমি বুঝে গেলাম এবার সময় হয়েছে। লেখা ব্যাপারটা অনেকটা প্রসববেদনার মতো। পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়া যায় না। সময় যখন হয় তখন তেড়ে-মেড়ে বেড়িয়ে আসে। হোক তা সুস্থ কিম্বা বিকলাঙ্গ; স্পষ্ট কিম্বা অস্পষ্ট; ভাল বা মন্দ – আমরা মনের আনন্দে অক্ষর দিয়ে সন্তান বানাই।
বিস্তারিত»দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে কিছু এলোমেলো চিন্তাভাবনা – ২
আওয়ামীলীগ দেশকে আবার ঠিক কবছরের জন্য নেত্রিত্ব দিতে যাচ্ছে ?? কেন এই মুহূর্তে বিএনপির আশু ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখা যাচ্ছে ?? কিছু বাস্তবসম্মত চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করলাম। আওয়ামী সেট আপ নিয়েও কিছুক্ষন ভাবলাম । দেখা যাক ।।
নেতারা গুহাবাসী হওয়ায় এবং সময়মত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় দলটি এই মুহূর্তে তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। তৃণমূল সংগঠনের সাথে যোগাযোগ না থাকায় একদিকে যেমন তারা কঠোর সরকার বিরোধী আন্দোলন জমাতে না পারছে,
বিস্তারিত»সিসিবিতে আমি শুধুই ক্যাডেট
১
সিসিবিতে এই ২০১৪ বছরটা কি দূর্দান্ত ভাবেই না শুরু হলো! প্রতিদিন এতো এতো পোষ্ট আসা শুরু হলো যে, আপডেট থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে- ৪ঠা জানুয়ারী ৭টা, ৫ই জানুয়ারী ৮টা, ৬ এ ৫টা, ৭এ ৩টা, ৮এ ২টা, ৯এ ৬টা। অ-নে-ক দিন পর সিসিবি বুঝি নতুন প্রাণ পেল। বহু দিন, সপ্তাহ, মাস পর সিসিবিতে এসে ভালো লাগছে, খুবই।
অন্তর্জালে বাংলা ব্লগের ছড়াছড়ি।
বিস্তারিত»ফ্রিজ, মিষ্টি এবং ইসসিরে
ইসসিরে……।কতোদিন ফ্রিজ থেকে মিষ্টি খাই না। পুরানো দিন গুলোর কথা মনে করে মনের কষ্টে যাই ফ্রিজ থেকে একটা মিষ্টি খেয়ে আসি।
(নতুনরা এই পোষ্ট না বুজলে ফ্রিজ খোলা নিষেধ)
বিস্তারিত»কান্না আমায় ক্ষমা করো
পূর্বের যেদিকে ঠাকুরঘরটা ছিল সেখানটাতে এখনো আগুন দেখা যাচ্ছে। সানবাঁধানো বেদীতে যত্নে বেড়ে ওঠা তুলসীগাছের অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দুয়ারের এদিক সেদিকে। প্রতিদিনের মত আজকের সন্ধ্যাতেও আলোকিত হয়েছিল যেই তুলসীতলা, অর্ধেক ভাঙ্গা কদমা আর জল ঢেলে দেয়া হয়েছিল যার গোড়ায়,তুলসীরুপী নারায়ণকে উদ্দেশ্য করে। আনত সিঁদুর আর জোড়া শাখার যুগল মিলনে স্বামীর কল্যানে ভগবানের কৃপা চাওয়ার তুলসীতলা। মঙ্গলদীপ আর শান্তিকামনার গুণগুণ গানে সরব থাকা সন্ধ্যেবেলার তুলসী তলা।
বিস্তারিত»মিরপুর টু আজিমপুর : গাড়ি নং ৩৬
জীবনকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ সবাই পায় না । এটা সত্যি যে কাছ থেকে দেখা সেই দৃশ্য অবশ্যই সুখকর কিংবা দৃষ্টিনন্দন কিছু না ।তবু সেই বিভৎস দৃশ্যগুলো কখনো কখনো যে শিক্ষা দিয়ে যায়, তা জীবনের চলার সিঁড়িকে ‘চলন্ত সিঁড়িতে’ রূপ দিতে পারে ।
লেখাটার নাম দিয়েছি ‘মিরপুর টু আজিমপুর : গাড়ি নং ৩৬’ ..অদ্ভুত এই নামের আবির্ভাব কতটা যুক্তিযুক্ত তা আপনাদের হাতেই ছেড়ে দিলাম ।
বিস্তারিত»বুদবুদে বসবাস
১লা জানুয়ারী, পুরো বিশ্বের মানুষ এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করেছে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য, উদযাপন করার জন্য। ৫ই জানুয়ারী, পুরো দেশের মানুষ উৎকন্ঠায় দিন গুনেছে। আমিও দুটি দিনের জন্যই অপেক্ষা করেছি, তবে একটু ভিন্ন কারনে। আমার দিন গোনা ছিল শারলকের অপেক্ষায়। দুদিনই আমি রাত তিনটা পর্যন্ত জেগে কষ্ট করে লাইভ টেলিকাস্টের লিঙ্ক খুঁজে লাইভ দেখেছি, পরে আবার ডাউনলোড করে রিভিশন দিয়েছি। হেসেছি,
বিস্তারিত»পিসিসি’র লিজেন্ডগণঃপর্ব ২
জনৈক ভাই,নাম বললে মাইন্ড খাইতে পারেনঃ
এই ভাইয়ের নাকি একটা বালতি ছিলো,রোজ গেমসের পরে লুঙ্গি পরে,হাতে বালতি নিয়ে পুরো হাউজ রাউন্ড দিতেন,আর জুনিয়ররা নাকি মসজিদের দান-বাক্সের মত সেইখানে কুপন ফেলত।এই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের সুযোগ হয়নি,কিন্তু কালে কালে উনার খ্যাতি ডালপালা গজাতে গজাতে ছড়িয়ে পড়েছে সবগুলো ব্যাচের মধ্যে।
পরের কাহিনীও একজন সিনিয়র ভাইকে নিয়ে,কাহিনীর সত্যতা মোটামুটি ভেরিফাইডঃ
পিসিসি’র একটা ঐতিহ্য আছে,এখানে কোন ব্যাচ দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে যারা টেবিল লীডার হতে যাচ্ছে,তারা স্বচ্ছ ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক হাউজ প্রিফেক্টের তত্ত্বাবধানে নিলামের মাধ্যমে তার টেবিলে কোন কোন জুনিয়র বসবে,তা ঠিক করে নেয়।জমাকৃত সকল অর্থ দিয়ে পরবর্তীতে ব্যাচের পক্ষ থেকে হাউজকে উপহার কিনে দেওয়া হয়।সুন্দর ট্রেডিশান।তো আমাদের কাহিনীর নায়ক ভাইয়া,দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে পিতার কাছে টাকা চাহিয়া পত্র লিখলেন,”বাবা,ক্লাস টুয়েল্ভকে টেবিল কিনতে হয়,তাই বেশি করে টাকা পাঠায়ে দিয়ো।”উনার পিতা অতশত বুঝিতেন না,উনি পত্রের উত্তর পাঠালেন,
বিস্তারিত»পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ৪
ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩ (সময় লিখে রাখিনি) – ভাবনা
নামের শেষে এক বা একাধিক মার্কিনি ডিগ্রী থাকলে দেশে সাধারণত বাজার মূল্য চড়া থাকে। তা সে চাকুরীর বাজার হোক আর বিয়ের বাজার হোক। ছেলে আমার আমেরিকা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছে। মেয়েটা আমার ঘরের লক্ষী আবার কেমিস্ট। স্কলারশিপে পড়েছে, যেনতেন কথা নয়। তবে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক (কূটনামী সম্পর্কিত নীতি) পরিসরে মার্কিনি ডিগ্রী মাঝে মধ্যে বিপদ ডেকে আনে। ধরুন আলোচনা,