অভিশপ্ত জীবন আমার। ঠিক করেছি লিখব না। অন্তত: আরও কয়েকটা মাস। ফোকাসটা একটা কাজে পারলে ভাল হয়। কিন্তু অনিদ্রা রোগটা এমন খ্যাপাটে হয়ে পড়ল যে আমি বুঝে গেলাম এবার সময় হয়েছে। লেখা ব্যাপারটা অনেকটা প্রসববেদনার মতো। পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়া যায় না। সময় যখন হয় তখন তেড়ে-মেড়ে বেড়িয়ে আসে। হোক তা সুস্থ কিম্বা বিকলাঙ্গ; স্পষ্ট কিম্বা অস্পষ্ট; ভাল বা মন্দ – আমরা মনের আনন্দে অক্ষর দিয়ে সন্তান বানাই।
আওয়ামীলীগ দেশকে আবার ঠিক কবছরের জন্য নেত্রিত্ব দিতে যাচ্ছে ?? কেন এই মুহূর্তে বিএনপির আশু ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখা যাচ্ছে ?? কিছু বাস্তবসম্মত চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করলাম। আওয়ামী সেট আপ নিয়েও কিছুক্ষন ভাবলাম । দেখা যাক ।।
নেতারা গুহাবাসী হওয়ায় এবং সময়মত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় দলটি এই মুহূর্তে তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। তৃণমূল সংগঠনের সাথে যোগাযোগ না থাকায় একদিকে যেমন তারা কঠোর সরকার বিরোধী আন্দোলন জমাতে না পারছে,
সিসিবিতে এই ২০১৪ বছরটা কি দূর্দান্ত ভাবেই না শুরু হলো! প্রতিদিন এতো এতো পোষ্ট আসা শুরু হলো যে, আপডেট থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে- ৪ঠা জানুয়ারী ৭টা, ৫ই জানুয়ারী ৮টা, ৬ এ ৫টা, ৭এ ৩টা, ৮এ ২টা, ৯এ ৬টা। অ-নে-ক দিন পর সিসিবি বুঝি নতুন প্রাণ পেল। বহু দিন, সপ্তাহ, মাস পর সিসিবিতে এসে ভালো লাগছে, খুবই।
জীবনকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ সবাই পায় না । এটা সত্যি যে কাছ থেকে দেখা সেই দৃশ্য অবশ্যই সুখকর কিংবা দৃষ্টিনন্দন কিছু না ।তবু সেই বিভৎস দৃশ্যগুলো কখনো কখনো যে শিক্ষা দিয়ে যায়, তা জীবনের চলার সিঁড়িকে ‘চলন্ত সিঁড়িতে’ রূপ দিতে পারে ।
লেখাটার নাম দিয়েছি ‘মিরপুর টু আজিমপুর : গাড়ি নং ৩৬’ ..অদ্ভুত এই নামের আবির্ভাব কতটা যুক্তিযুক্ত তা আপনাদের হাতেই ছেড়ে দিলাম ।
১লা জানুয়ারী, পুরো বিশ্বের মানুষ এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করেছে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য, উদযাপন করার জন্য। ৫ই জানুয়ারী, পুরো দেশের মানুষ উৎকন্ঠায় দিন গুনেছে। আমিও দুটি দিনের জন্যই অপেক্ষা করেছি, তবে একটু ভিন্ন কারনে। আমার দিন গোনা ছিল শারলকের অপেক্ষায়। দুদিনই আমি রাত তিনটা পর্যন্ত জেগে কষ্ট করে লাইভ টেলিকাস্টের লিঙ্ক খুঁজে লাইভ দেখেছি, পরে আবার ডাউনলোড করে রিভিশন দিয়েছি। হেসেছি,
এই ভাইয়ের নাকি একটা বালতি ছিলো,রোজ গেমসের পরে লুঙ্গি পরে,হাতে বালতি নিয়ে পুরো হাউজ রাউন্ড দিতেন,আর জুনিয়ররা নাকি মসজিদের দান-বাক্সের মত সেইখানে কুপন ফেলত।এই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের সুযোগ হয়নি,কিন্তু কালে কালে উনার খ্যাতি ডালপালা গজাতে গজাতে ছড়িয়ে পড়েছে সবগুলো ব্যাচের মধ্যে।
পরের কাহিনীও একজন সিনিয়র ভাইকে নিয়ে,কাহিনীর সত্যতা মোটামুটি ভেরিফাইডঃ
পিসিসি’র একটা ঐতিহ্য আছে,এখানে কোন ব্যাচ দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে যারা টেবিল লীডার হতে যাচ্ছে,তারা স্বচ্ছ ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক হাউজ প্রিফেক্টের তত্ত্বাবধানে নিলামের মাধ্যমে তার টেবিলে কোন কোন জুনিয়র বসবে,তা ঠিক করে নেয়।জমাকৃত সকল অর্থ দিয়ে পরবর্তীতে ব্যাচের পক্ষ থেকে হাউজকে উপহার কিনে দেওয়া হয়।সুন্দর ট্রেডিশান।তো আমাদের কাহিনীর নায়ক ভাইয়া,দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে পিতার কাছে টাকা চাহিয়া পত্র লিখলেন,”বাবা,ক্লাস টুয়েল্ভকে টেবিল কিনতে হয়,তাই বেশি করে টাকা পাঠায়ে দিয়ো।”উনার পিতা অতশত বুঝিতেন না,উনি পত্রের উত্তর পাঠালেন,
ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩ (সময় লিখে রাখিনি) – ভাবনা
নামের শেষে এক বা একাধিক মার্কিনি ডিগ্রী থাকলে দেশে সাধারণত বাজার মূল্য চড়া থাকে। তা সে চাকুরীর বাজার হোক আর বিয়ের বাজার হোক। ছেলে আমার আমেরিকা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছে। মেয়েটা আমার ঘরের লক্ষী আবার কেমিস্ট। স্কলারশিপে পড়েছে, যেনতেন কথা নয়। তবে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক (কূটনামী সম্পর্কিত নীতি) পরিসরে মার্কিনি ডিগ্রী মাঝে মধ্যে বিপদ ডেকে আনে। ধরুন আলোচনা,
উনার মত চাপাবাজ লোক আমি জীবনে খুব কমই দেখেছি,তার কয়েকটা নমুনাঃ
চাপা ১-“জানো,ক্যাডেট কলেজ হওয়ার আগে এইখানে বিশাল জঙ্গল ছিলো।বাঘ,সিংহ,ডাইনোসর,আরো অনেক কিছু ছিলো এইখানে।ধরে ধরে নিয়ে আফ্রিকায় ছেড়ে দিয়ে আসত এলাকার লোকজন।”
চাপা ২-মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বাবার কপালে গুলি করেছিলো পাকিস্তানিরা,উনি টের পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলেছিলেন,তাই ভিতরে না ঢুকে চামড়ার পাশ দিয়ে চলে গেছে।ওই জায়গায় এখন আর চুল গজায় না।আরেকটা গুলি খেয়েছিলেন পেটে।ডাক্তার অপারেশান করেও বের করতে পারেনি,পরে পায়খানার সাথে বের হয়ে গিয়েছিলো।
সামনে পরীক্ষা। তাই ঘুরাফিরা,খেলাধুলা, কাজকর্ম সব বাদ দিয়ে দিয়েছি। এখন গায়ে রোদ জড়ায়ে সারাদিন বসে থাকি আর সিগারেট ফুঁকি। ঘুম থেকে উঠে গোসলের আগ পর্যন্ত,আবার গোসলের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। নিয়মিত দুই বেলা। গত দুইদিন রোদ নেই, তাই মনও ভাল নেই।
আজ রোদ উঠেছে, পরীক্ষা উপলক্ষে একটা ঘড়ি কিনে দিয়েছে বন্ধু পলাশ। আনন্দ সীমা অতিক্রম করার কথা। অথচ মন ভাল নেই। অনেক দূর থেকে ভেসে আসা একলা পাখিটার ডাকে ঘুম ভেঙেছে।
নতুন বছরের শুরুতে দেখা যাচ্ছে সিসিবির উর্বরতা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছ। একের পর এক নতুন লেখা আসছে, তারচেয়ে বড় কথা ভাল মানের লেখা আসছে। ব্লগে ঢুকলে মনটাই ভাল হয়ে যায়। লেখার সাথে সাথে আনাগোনাও প্রচুর বেড়েছে, সবসময়ই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য আর অতিথিদের অন প্যারেড দেখি। তবে এর মাঝে হালকা মন খারাপের বিষয় হলো এত আনাগোনার তুলনায় মন্তব্য করার হারটা একটু কমই। আমরা যারা লেখা পড়ছি তারা যদি একটু কষ্ট করে পোস্টটাতে আমাদের ভাল লাগা,
প্রথম ব্যাপারটা মাথাচাড়া দিয়েছিল গত জুন মাসে। কোনো এক মধ্যরাতে Into the wild মুভিটা দেখে বিমোহিত হয়ে গেছিলাম। অন্য কোন মুভি দেখে আমি এতোটা প্রভাবিত হয়েছিলাম কিনা মনে পরে না.. মুভির নায়ক জীবনের প্রতি ব্রীতশ্রদ্ধ হয়ে একদম কপর্দকহীন অবস্থায় বেড়িয়ে পরে আমেরিকার পথে পথে.. ব্যাপারটা আমার কাছে খুব ফেসিনেটিং মনে হয়েছিল। এতই বেশি রকম ভাবে যে , বিষয়টা একদম মাথায় খুটি গেড়ে বসেছিল।
“এইপ, কথা বলছিস কেন? বকবক করছি ভাল লাগে না?”আচমকা ফিজিক্স স্যারের ঝাড়ি খেয়ে চুপ করে গেল কুদ্দুস।স্যার কি পড়াচ্ছে টা ও শুনছিল না।ওর মাথায় গিজগিজ করছে হাজারটা প্রশ্ন।কে তার উত্তর দেবে? “নিউটন বলেছেন ,প্রত্যেক বলের একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে, অর্থাৎ আমি আবারও বলছি”…… “স্যার আমার একটা প্রশ্ন ছিল” , হঠাৎ ব্রেক কষা গাড়ির মত স্যারের কথা থামিয়ে দিল কুদ্দুস। মোটা ভুরু দুইটা কুঞ্চিত করে স্যার বললেন,