ক্যাডেট কলেজের মা-বাবা ছাড়া দিনগুলিতে কিছু মানুষের নিবিড় স্নেহ-মমতা আমাদের আজীবন ঋণী করে রেখেছে। আমাদের সবার প্রিয় ম্যাথাম্যাটিক্সের নুরুল ইসলাম স্যার তাঁদের অন্যতম প্রধান। ক্যাডেটদের স্বভাবসিদ্ধ ‘শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা’র উর্ধের এই মানুষটি ছিলেন দার্শনিক গোত্রের। তিনি কেন রাগ করতে পারেন না, বা করেন না – এটাই আমাদের কাছে বিস্ময়ের বিষয় ছিল। অন্যদের বেদম প্রহারে যা হত না – নুরুল ইসলাম স্যারের ‘কি রে বেটা!’ ‘স্টুপিড’
বিস্তারিত»রেস্ট ইন পিস আমার অন্য সত্বা…
রাত বাজে ১.২২ মা রাগারাগি করছে ঘুমাতে যাবার জন্যে। আর আমি পাগল হয়ে খুঁজছি আমার কলেজের ডাইরী টা।
আমার কলেজে থাকতে লেখা সব কথা, সব স্বপ্ন।
ভার্সিটির এক বন্ধু বলেছে আমি বাংলা পারিনা। তাকে একটু শো অফ না করলে তো আর হয়না তাই ব্লগের লিঙ্ক দিলাম।
স্রোতের মতোন চারিদিকে ঘিরে ধরলো আমাকে হারিয়ে আসা দিনগুলি।
হারিয়ে আসাই বটে। ফিরে পাবার নয় যা- হারিয়ে আসাই তো নাকি?
ওয়েস্টার্নঃ ঠান্ডা প্রতিশোধ! ৪র্থ পর্ব
৭।
ভোরের আলো ফোঁটার আগেই বের হয়ে পড়ল ন্যাশ। শেরিফকে কারসন সিটির কথা না বলে ভূমি জরিপের কথা বলেছে ও। কারো মনে অযাচিত কৌতুহল উদ্রেক আপাতত না করাই ভাল হবে। দুই দিনের মত খাবার সাথে নিয়ে বের হচ্ছে- আশা করছে নদীর তীরবর্তী এলাকা হবার কারনে শিকার বা মাছের অভাব হবে না।
বিস্তারিত»মুক্তি ৩
আমাদের বিচ্ছেদ ছিল কয়েক মাসের
এর মাঝেই তুমি
অন্যপুরুষের কাছে আশ্রয় খুঁজতে গিয়েছ।
শুনেছি ওরা প্রথমেই তোমার শরীরের ফিটনেস জানতে চেয়েছিল
তুমি লজ্জায় কুঁকড়ে গিয়ে বলেছিলে,
মেয়ে মানুষের ওসব বলতে নেই
এই ভেবে আশ্চর্য হও তুমি,
তোমার মনের গভীরতার চেয়ে ওদের কাছে
ফেয়ারনেসটাই বেশি প্রায়োরিটি পেতো।
তুমি ভালোবাসার দারুন দুঃসময়ে জন্মেছো ভেবে
আমাকেই কি মনে পড়তো না?
রজনীগন্ধা
রজনীগন্ধা তোমার অনেক প্রিয় ছিল
জেনেছিলাম যেদিন প্রথম কথা বলা –
রমনায়; সুশীতল ছায়াবীথি তলে।
সবুজের ভীড়ে দুজন মানব মানবীর যেন
অকারণ হারিয়ে যাওয়া, হাতে হাত ধরে।
সেদিন থেকে রজনীগন্ধা আমারো অনেক প্রিয়,
হাজারো ফুলের বিচিত্র রঙ্গিন সমাহারে –
আমি রজনীগন্ধা খুঁজে ফিরি অজান্তেই।
সেসব আজ সবই বিস্মৃতির অতলে ডুবে চলেছে,
বিস্তারিত»মৃত্যুর আগে
-১-
গতকাল হুমায়ূন কবির সাহেব কলকাতা এসেছেন শুনে জীবনানন্দ সকাল সকাল তাঁর বাসায় চলে এসেছেন। কিন্তু আজকেও হুমায়ূন কবির সাহেবের সাথে দেখা হল না। পিএ যদিও বলল উনি বাড়িতে নেই, তবু সাক্ষাতের জন্য আসা এত লোকজন আর গাড়ি বারান্দায় দাড়ানো গাড়ি বলে দিচ্ছে একজন নিঃস্ব কবির সাথে দেখা করে চাকরির আর্জি শোনার চাইতে আরো অনেক বড় কাজ আছে মন্ত্রী মশায়ের। দুই মাস আগে একবার কবির সাহেবের সাথে দেখা হয়েছিল।
বিস্তারিত»আমলাতন্ত্রঃ সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড ও সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া – ২
পূর্ববর্তী পর্বসমূহঃ
অধ্যায় ১ – ১ম পর্ব
(গত পর্বের পর)
টেক্সাসের হান্টসভিলিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা সম্পন্ন কারাগারের সুশৃঙ্খল পরিবেশ দেখে চমকে উঠেছিলেন অধ্যাপক জন ডি’উলিও। সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা পরিষ্কার সাদা পোষাক পরিহিত, নিঃশব্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কারারক্ষীদের ‘স্যার’ বা ‘বস’ বলে সম্বোধনপূর্বক সম্মান বজায় রেখে কথা বলছে। নতুন মানুষ হিসেবে ডি’উলিও কে দেখে কেউ তার সাথে কথা বলতে আসে নি।
বিস্তারিত»আমলাতন্ত্রঃ সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড ও সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া – ১
প্রারম্ভিকাঃ এই সেমিস্টারে একটি বিষয় নিয়ে পড়ছি যার নাম পাবলিক সেক্টর ম্যানেজমেন্ট। সেখানে দেয়া পাঠ্যবই গুলোর একটি হলো Bureaucracy: What Government Agencies Do and Why They Do it. লিখেছেন James Q. Wilson, মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও গণ-প্রশাসন অধ্যাপক, হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। অনুবাদ করার মত কোন বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম নয় এটি। তবে ১৯৮৯ সালে প্রথম ছাপানো এই বইটি সমগ্র আমেরিকার গণ-প্রশাসন বিষয়ক পড়াশোনার পাঠ্যবই হিসেবে বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
বিস্তারিত»একটা অপচেষ্টা ।
বি এম এ তে বসে গান লিখার চিন্তা করাটাও হাস্যকর জানি । তবুও এই ক্ষুদ্র প্রয়াস ।
আমার হাতে আজ একলা আকাশ,
স্মৃতি হয়ে আছ তুমি,
নির্ঘুম এই রাতে আজ,
আমার পাশে নেই তুমি ।
ছুঁয়ে দেখ , হাতে রেখে হাত,
কান পেতে শোনো , পাবে আমার ডাক ।
চল যাই আকাশে , মেঘেদের সাথে ,
বিস্তারিত»আহূতি
ছায়াদের পিছুপিছু অনেকদূর হেঁটে এসেছি আমি।
এবার আমি ফিরে যাব আয়নার ওপাশে।
গলিত সূর্যের ফোঁটায় ফলনশীল উদগ্র ফোস্কার ক্ষেত আমার পিঠে।
আমি ফিরে যাব সেই ছেলেটির কাছে।
যার মুখ আমি আজও দেখি বিস্তীর্ণ ধানক্ষেতে।
সূর্যের বিপরীতে দাঁড়ানো সেই ছেলেটি!
উদ্ধত সূর্যালোকের তীর্যক আক্রমণে উদ্ভাসিত!
অথচ আলোহীন ভীতিকর কী গহীন দুইচোখ !
প্রথম চাঁদের পর পৃথিবীর সব অমাবস্যা জমাট বেঁধেছে সে আঁধারে।
স্মৃতিরা গানের ভাঁজে
দুটি মন আর নেই দুজনার। রাত বলে আমি সাথী হবো যে। গানটি মনে পড়লো খুব উদ্ভট এক সময়ে। কমোডে বসে ছিলাম বেশ কিছুক্ষণ। হঠাৎ একরকম গলা ছেড়েই কিছুটা ভুল হলেও গেয়ে উঠলাম। চার লাইন গেয়েই থেমে গেলাম। সুর বাদে আর কিছু মনে নেই। ২৩ বছর আগেকার কোন এক সকালে প্যানাসনিক ক্যাসেট প্লেয়ারে বাজতে থাকা গানের কলি এভাবে মনে পড়ায় অনেকটাই হতহম্ভ আমি। ঘুরেফিরে চারলাইন বেশ কিছুক্ষণ গাইবার চেষ্টা করলাম।
বিস্তারিত»নদী ভাঙ্গনে হুমকির মুখে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজঃ ফলোআপ
রাজশাহী ক্যাডেট কলেজকে পদ্মার ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ মেরামতের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে। নদী ভাঙ্গনের খবর ফেসবুকে পেয়ে ব্লগ লিখেছিলাম। ব্যস্ততার জন্য দেখতে যেতে পারিনি। গত ১১.১০.২০১৩ তারিখ শুক্রবার একটু সময় পেয়ে চলে গেলাম রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের সামনে পদ্মার ধারে। ‘নিরিবিলি’ আর ‘অবলোকন’-এর মাঝখানে বাঁধানো ঘাট। সিড়ি দিয়ে প্রায় তিন তলা সমান নীচে নামা যায় ( পড়ুন নামা যেত )।
বিস্তারিত»হেলাল হাফিজের কবিতা ওড়না: কিছু বিতর্ক এবং আমাদের ধর্মীয় অনুভূতি
হেলাল হাফিজ অতিসাম্প্রতিক কালে আবার কবিতা লিখছেন। কবির পয়ষট্টিতম জন্মদিন উপলক্ষে যুগান্তরের সাহিত্য পাতায় তিনটি কবিতা ছাপা হয়েছে। এর মধ্যে একটি কবিতার নাম ওড়না। বলাবাহুল্য কবির সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা এর আগে বহু লেখায় উল্লেখ করেছি। সেই সূত্রে এই কবিতাটির প্রসব বেদনায় যখন কবি ছটফট করছেন তখন আমি কবির সাথে ছিলাম। প্রায়ই তিনি অনুভূতিহীন অন্যমনস্ক হয়ে যেতেন। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে কবিরা একটু অন্যমনস্ক,অগোছালো থাকবে এটাই নিয়ম হলেও কবি হেলাল হাফিজ অত্যন্ত গোছানো একজন মানুষ।
বিস্তারিত»হজ্বঃবঞ্চনার অন্য নাম
এখন হজ্বের মৌসুম। প্রতিবারের মত এবারও কোটি মানুষ পাপ মোচনের আশায় ছুটে গিয়েছে সৌদি আরব। বাংলাদেশী হজ্বযাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার। ফেসবুকেও মাঝে মাঝে পাপমোচনের খুশি দেখছি ইদানিং। মক্কায় গিয়ে গরমের মধ্যেও প্রচণ্ড প্রশান্তি অনুভব করছেন হাজী ভাই বোনেরা,কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন,নামাযে দাঁড়ালে মনে হচ্ছে এর চেয়ে শান্তির কিছু নেই। একটা সময় ছিল মানুষ সারাজীবন পাপ করে শেষ বয়সে হজ্বে যেত তবে গত কয়েক বছর যাবত এই প্রথাটা চেঞ্জ হচ্ছে।
বিস্তারিত»অতঃপর…!!!
নিহাল কে ভালোবাসে অরিন। নিহাল নামটা খুব পছন্দ ওর। প্রথম যেদিন ওর প্রেমে পড়ল সেদিন বৃষ্টি ছিল, ছেলেটা ওকে অনেকগুলো গোলাপ দিয়েছিল। ভালোবাসার সময়গুলো কেমন জানি কেটে যায়। একটু ঘুরতে যাওয়া, হাত ধরে বসে থাকা, হাতধরাটা ন্যাকামি হলেও অদ্ভুত শান্তি লাগে,৫ আঙ্গুল বারবার আরেক হাতের স্পর্শে ঘেমে গেলেও হাত না ছাড়ার অনুভূতি অন্যরকম। চোখের সামনে দিনগুলো ভাসে। যেদিন নিহাল ওর গলা টিপে ধরে টাকা চাইল সেদিন অরিনের জন্মদিন ছিল।
বিস্তারিত»