ঘাপলা যখন নাম নিয়ে…

বুয়েটে ভর্তি হওয়ার পর অনেক বালক-বালিকারই নাম নিয়ে ঘাপলা হয় হলের লিস্টে। বেশ কয়েকজন বালকের ক্ষেত্রে দেখেছি এই সমস্যা। কোন বালিকার ক্ষেত্রে হয়েছে কিনা জানা নাই। তবে যেহেতু ছাত্রী হলও বুয়েটেরই হল, ঘাপলা হওয়ারই কথা।

আমার জন্মের পর বাপ-মা অনেক চিন্তা-ভাবনা করে নাম রাখলো “মোঃ সামিউল ইসলাম”। স্কুল, কলেজ কোন জায়গায় নাম নিয়ে কোন ঝামেলা হয় নাই। যদিও ক্যাডেট কলেজে আমার লকারে আমার নাম “SAMI”র বদলে “SHAMI” লেখা ছিল।

বিস্তারিত»

লিডার

মসৃণ শব্দের চাদরে লুকায়ে রেখেছ তোমার লালায়িত
বাসনাগুলো,
উপপত্নীর গর্ভে নিজের ঔরসজাত জারজ সন্তানটির
মত!
স্বীকারও কর না,অস্বীকারও করতে চাও না!
ভয় পাও,পাছে লোকে পচা বলে!
দুয়ে দুয়ে চার বল না তুমি কখনও,
বল “তিনের চেয়ে এক বেশি অথবা পাঁচের চেয়ে এক কম,
তাকে তোমরা চার বল অথবা ষাঁড় ;
অবস্থানে কোন ছাড় নেই আমার!”
আমরা বলি নাই বা হল চার,

বিস্তারিত»

মাহমুদ ভাইয়ের সাথে কয়েকদিন

এই ব্লগটা লিখছি কারন হাসান মাহমুদ ভাইকে (ককর) কথা দিয়েছিলাম।
উনি সবসময় আমাকে ব্লগ লিখতে বলতেন। উনার লস আঞ্জেলেস থেকে জাপান যাওয়ার আগে আমি বললাম
“ভাই,আমি ব্লগের মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ রাখবো, আপডেট জানাবো।”
আমার মতো অলসের ঐ কথাতেই শেষ। চেয়েছিলাম ফোন করবো কিংবা স্কাইপে কথা বলবো,প্রবাস জীবনের নানা বাস্তততার কারনে ওইগুলোও হচ্ছে না। এদিকে বাঁচাল এ ছোটভাই প্রিয় ভাই-ভাবির সাথে কথা না বলতে পেরে পেট ফেটে যেন মরেই যাচ্ছে।

বিস্তারিত»

অন্তর্নিহিতা

টিএসসির গোল চত্বরে দাঁড়িয়ে আছি অনেকক্ষণ। কলাভবনের কাজটা শেষ করে সারিনি মাহিরের সামনে পড়লাম। আর তার কোথা রাখতে আজ এখানে এসে দাঁড়িয়ে থাকা। শালা মানুষ হলো না। সেই কলেজ লাইফ থেকে শুরু করেছে। তার যেন কোন অন্ত নাই, নাই বিরক্তি। ছোটবেলা থেকে খাতার পাতায় অযথাই আঁকিবুঁকি করার একটা বদ অভ্যাস ছিল। আর আলপনাও মোটামুটি আঁকতে পারতাম। তাই যখন আমার টেনেটুনে করে পরীক্ষার পাশে কোথাও চান্স পেলাম না,

বিস্তারিত»

ডার্টি সিক্স

[ ব্লগ অ্যাডজুটেন্ট স্যারের কাছে প্রথমেই ক্ষমা চাচ্ছি ডার্ট পোস্ট করার জন্য । স্যার যদি খাতির করেন তাহলে চা খাওয়াব ]
এক সময় কাসিম  হাউসের  ছয়  নম্বর রুমে ছিলাম। ঐ রুমে বসবাসকারীরা ঐতিহ্যগতভাবে নোংরা ছিল। নোংরামিটা বেশি ছিল মোজা নিয়ে। মোজা কাচতে ভীষন অনীহা। একজন তো মোজা খুলে কৌটায় রাখতো। জুনিয়রদের জন্য ঐ কৌটাবদ্ধ মোজার গন্ধ শোঁকা ছিল মেজর পানিশমেন্ট। আর একজন জাংগিয়া কাচতো না,

বিস্তারিত»

অব্যক্ত ভালোবাসা

রাত্রি ১১.৩০ মিনিট। ঘুমোতে যাওয়ার ঠিক আগ মূহুর্তে মোবাইলের ডিসপ্লেতে আলো জ্বলে উঠলো। অচেনা নাম্বার। কিছুটা ইতস্তত ভাব, ধরবে কি ধরবে না? অবশেষে পরিচিত কেউই হয়তো নাম্বার পরিবর্তন করেছে ভেবে ধরলো। তারপর যা হলো তার জন্যে হয়তো রুদ্র প্রস্তুত ছিলো না।

ফোনটার কলার ছিলো একটি মেয়ে। রুদ্র তার নাম জানেনা। তাকে চিনেও না। তবে মেয়েটির কন্ঠে এমন কিছু একটা আছে যা রুদ্রকে আকৃষ্ট করে ফেলেছে।

বিস্তারিত»

জাঙ্গিয়া নাম্বার ওয়ান

১.
আজ আকস্মিকভাবে নিজ হস্তে ক্রয়কৃত প্রথম জাঙ্গিয়ার কথা স্মরণ করিয়া স্মৃতিকাতর হইয়া পড়িলাম। তাহার সহিত আমার ঘনিষ্ঠতা অধিক দিনের ছিল না। তবে অতি অল্প দিনেই সে আমার মন জয় করিয়া নিয়াছিল। আজ তাহাকে ক্রয় করিবার বৃত্তান্ত লিখিতে মন চাহিতেছে।

সপ্তম শ্রেণি অতিক্রম করিয়া সবেমাত্র অষ্টম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হইয়াছি। ক্যাডেট কলেজ জীবনের কেবলমাত্র প্রথম বৎসরটি সমাপ্ত হইয়াছে। এমতাবস্থায় সপ্তাহ দুয়েকের ছুটি পাইয়া পিত্রালয় চট্টগ্রামে আগমন করিলাম।

বিস্তারিত»

রাধাকথন-৮

ও কি ও হে কলংকিনি রাধা
কদমগাছত উঠিয়া আছে
কানু হারামজাদা
মাই তুই জলে না যাইও..

বারাইতে না করসিলো হ্যারা –
তোর লিগা তবু ছ্যারা
রুটি বেলছি আরো দুইখান
মারে আরাল দিয়া
কাজল দিছি,
লিপিস্টিকের বদ্‌লে খিলি পান

আতখা মোড়ে
তর টেম্পো
আতখা যমুনাত
ঢেউ দিছে,
রাধাচূড়াত কম্প

এক আওয়াজ এমুন সোমায়
পানের খিলি টিফিনবাটি
গড়াগড়ি খায় –

বিস্তারিত»

মেঘের ‘পরে বসত তোমার

একলক্ষ  বছর অপেক্ষার পর সাব্যস্ত হবে, তুমি আমার কিনা?

ওসব কথা এখন থাক।

এখন চলো মিকির পাহাড়ে বুনো কুল পেকেছে

চলো খেয়ে আসি।

লাল রুখু চুল

সূর্যাস্তের মধ্যে

অর্কিডের উজ্জ্বল শিকড়ের মত উড়ছে

-দেখি দেখি, তোমার তামাটে মুখখানি দেখি!

সূর্য এখনি অস্ত যাবে। পশুর মতো ক্ষীণ শরীরে

আমারা হাঁটু পর্যন্ত জলস্রোত পেরিয়ে চলেছি

জলস্রোত ক্রমশ তীব্র…………………কনকনে।

বিস্তারিত»

সোমেশ্বরী

নিশুতি নির্জন জোছনার রাতে আবছা আলোছায়ায়
শুয়ে রুপালি বালির বুকে যে সোমেশ্বরী বয়ে যায়
তুমিতো এখনো দেখনি কখনো সে মৃতের বিবর্ণতা
মিষ্টি ঘ্রাণে স্রোতের উজানে শালুকের নির্জনতা।

ভাদ্র মাসের আর্দ্র রোদে তাই একলা বিকেলে হেঁটে
লতাগুল্মের ঝোপে তোমার স্বপন বোনা ক্ষেতে
থেমে যাওয়া সোমেশ্বরী আর মৃত ভালবাসাটি খুঁজো
কোনদিন যদি না পাও তারে নিভৃতে দুচোখ মুছো।।

[সোমেশ্বরী নদীটি বিরিশিরি বিজিবি ক্যাম্পের পেছন দিয়ে নির্বিবাদে কাউকে কিছু না বলে চুপিচুপি বয়ে গেছে।

বিস্তারিত»

মন রে, তুই মুক্ত হবি কবে? (১)

আমাদের বাড়ী জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার একটা গ্রামে। আপনারা অনেকেই হয়তো জেনে থাকবেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে হিন্দুদের সংখ্যাধিক্যের কথা। স্বাধীনতার আগে তারাই প্রধান ছিল, কি ব্যবসায়, কি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে, কি রাজনীতিতে। আমাদের গ্রামের পাড়াগুলোর নাম শুনলেও এটা বোঝা যাবে- ঘোষপাড়া, গোয়ালপাড়া, মালিপাড়া, দাসপাড়া, সাহাপাড়া, কৃষ্ণনগর, ইত্যাদি। বর্তমানে কোন পাড়াতে চার/পাঁচ ঘরের বেশি হিন্দু নেই, অধিকাংশই মুসলমান অধিবাসী। এখন সেসব পাড়ায় গেলে বোঝার উপায় নেই যে,

বিস্তারিত»

কেন আমি আত্মহত্যা করবো??

কয়েক মাস আগে বাড়িতে গিয়েছিলাম ছুটিতে। আব্বুর সাথে কী একটা কথা বলতে বলতে হঠাৎ বললেন, “ইমন মারা গেছে জানো?”

আমি- “কোন ইমন?”

আব্বু- “তোমার আফতাব চাচার ছেলে”।

আমি- “কিভাবে মারা গেছে?”

আব্বু- “সুইসাইড করেছে”।

আমি- “কেন?”

আব্বু- “খারাপ ছেলেদের সাথে মিশতো নাকি, ড্রাগ নেয়া শুরু করেছিল। একটা মেয়ের সাথে নাকি সম্পর্ক ছিল। শেষের দিকে কেমন যেন হয়ে গিয়েছিল।

বিস্তারিত»

আমলাতন্ত্রঃ সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড ও সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া – ৩

অধ্যায় একঃ ১ম পর্ব, ২য় পর্ব
গত পর্বের পর

সরকারের তিনটি বহুল পরিচিত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার কাজকর্মের পার্থক্যের আলোচনা দিয়ে এই বইটি শুরু করা হয়েছে। এখানে পার্থক্য বলতে তাদের গঠনগত ও আমলাতান্ত্রিক পার্থক্যের কথা বোঝানো হয়েছে। এই তিনটি উদাহরণের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী অধ্যায়ে আমরা দেখবো কেন একই ধরনের কাজের দায়িত্ব থাকা সত্বেও এই সংস্থাগুলো ভিন্ন আচরণ করে থাকে (বিশেষ করে কার্ভার হাইস্কুল কিভাবে আচরণ পরিবর্তন করে থাকে।)

কিভাবে সেনাবাহিনী,

বিস্তারিত»

মেজর জিয়াঃআমার ভুল সুপারহিরো

খুব ছোটবেলা RAY-BAN এর সানগ্লাসের সাথে সাদা গেঞ্জি পড়া কোদাল হাতে মেজর জিয়ার ছবি দেখে আমার দুই মামার মতো আমিও মুগ্ধ হয়েছিলাম।আম্মা বলেছিল তার মৃত্যুতে নাকি ৪০ দিন শোকের মাতম উঠেছিল সারা দেশে,এই কথা শুনে আমার মুগ্ধতা আরও বেড়ে গিয়েছিল। বিএনপি আমলে যখন বারবার বিটিভিতে বঙ্গবন্ধুর নামটুকু বাদ দেয়া জিয়ার কণ্ঠ শুনতাম তখনও মুগ্ধ হতাম। মামারা বিএনপির রাজনীতি করায় তার খাল কাটা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কথা শুনে আমি তো জিয়াকে রিয়েল লাইফ সুপারহিরোই ভাবতাম,ম্যাকগাইভার,হারকিউলিস বা রোবোকপ এর মতো।

বিস্তারিত»

কাল্পনিক (১)

ডাকটা ঠিক কোথা থেকে আসছে আবীর তা বুঝে উঠতে পারল না। এই রকম মিষ্টি একটা গলায় কে ডাকে তাকে এই খোলা রাস্তায়? আর গলাটাও কেমন জানি চেনা চেনা লাগছে তার। অনেক আগে শুনেছিল ,এখন ঠিক মনে করতে পারছে না। মুহূর্তের মধ্যেই এতসব ভেবে উল্টো ঘুরতেই যা দেখল তাতে তার চোখদুটো আপনাআপনি বড় হয়ে গেল আবীরের। রাস্তা দিয়ে একরকম  দৌড়েই তার দিকে আসছে একটি মেয়ে। একটি মেয়ে বললে অবশ্য ভুল হবে,

বিস্তারিত»