আমার সব ব্লগর ব্লগরের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে থাকে খেলাধূলা। কারন এর এই একটা বিষয়ে আমি কিছু জানি বলে দাবি করতে পারি, বাকি প্রায় সব ব্যাপারেই আমি মোটামোটি বিশেষ ভাবে অজ্ঞ। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে লেখাগুলো পড়তে গিয়ে পাঠকদের বড় একটা অংশ তেমন কোন আগ্রহ পায় না কারন খেলাধূলা নিয়ে তারা তেমন একটা আগ্রহী নয়। তাই আজকে শুরুতেই তাদেরকে আগ্রহী করার জন্য এই চেষ্টা। নিচের ছবি থেকে একটি ফুটবল গায়েব করে দেয়া হয়েছে,
বিস্তারিত»পুবের মানুষ যখন পশ্চিমে – ৭
১
পূবের মানুষ যখন পশ্চিমে এমনিতেই একটি সিরিজ লেখা। তবে আজকের পর্বটি গত পর্বের ধারাবাহিকতা। গল্প একবার শুরু করলে শেষ হতে চায় না। লেখা শুরু করবার আগে আমি নিজেও জানি না যে আমার মধ্যে এতো গল্প জমে আছে। কেন আছে এর পেছনের কারণটি খুঁজে পেতে লক্ষ্য করলাম এই জীবন আমাকে অনেক রকম বৈচিত্র্যের মধ্যে দিয়ে ভ্রমণ করিয়েছে। জ্ঞান হবার পর থেকেই নানান রকম মানুষ আর ঘটনা এবং দুর্ঘটনা দেখে চলছি।
পাঙ্গা
ক্লাস সেভেনে কলেজে যাবার পর দিন সার্জেন্ট লিয়াকত স্টাফের সাথে সবাই কলেজ পরিদর্শনে বের হলাম। খুব স্বাভাবিকভাবেই সবার সম্মিলিত কথাবার্তায় জোরে শব্দ হচ্ছিল। লিয়াকত স্টাফ হঠাত চেঁচিয়ে উঠলেন, “এইপ! ক্যাডেট কোন কথা বলবে না… একখনি পাঙ্গা শুরু হইয়া যাবে”। পাঙ্গা নামক হাস্যকর নতুন শব্দটির কোন অর্থ কেউ বুঝতে পারল না। একজন আরেকজনের মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলাম। তবে এটা বুঝলাম, নিশ্চয়ই সেটা ভাল কিছু হবে না।
বিস্তারিত»প্লেটোনিক সুপারস্টার হুমায়ূন আহমেদ
সাহিত্য ও সংস্কৃতি দেশ ও জাতির উন্নতির সোপান। কেননা, সাহিত্য মানব সমাজের বিশুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন দর্পণ। যার নিপুণ ছোঁয়ায় পর্যবেক্ষণ তালিকায় উঠে আসে দেশ ও জাতির উন্নতি-অবনতি, ভাল-মন্দ ও সুখ-দুঃখের সচিত্র প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের উপর পর্যালোচনা ও গবেষণা চালিয়ে সুস্থ ও সভ্য জাতি তাদের ভবিষ্যৎ কর্মধারা নির্ধারণ করে। উন্নতির হাজারো পথ উন্মুক্ত করার নিরলস চেষ্টায় নিরন্তর ব্যস্ত থাকে। অপর দিকে, যে কোন জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য,
বিস্তারিত»রাতের পেচাল
রাত প্রায় ১টা বাজে। ক্যাম্পের দোতলায় বসে জোরে জোরে গান শুনছি। বেশ লাগছে।
আবার একটু ভয়েও আছি, হঠা্ত কেউ এসে বলে বসবে, মাথা কি নষ্ট হইছে নাকি?? এত রাতে এত জোরে জোরে কেউ গান শোনে??
ভাল লাগছিল না। আশেপাশের সবই চুপচাপ। নিরব, শান্ত। বোঝার উপায়ই নেই, সারাদিন এখানে খালি দৌড়াদৌড়ি চলে। জোরে জোরে গান শোনার পরও চারপাশে শুন্যতা।
মনে হচ্ছে সারাদিন মনে হয় এর ভিতরেই ছিলাম।
এইসব রাত্রি-দিন
বিটিভি হয়ত ভুল করেও এখন কেউ দেখে না। সেদিন একরকম ভুল করেই কিছুক্ষন বিটিভি দেখা হয়ে গেল। কোন এক নাটকে তরুন বয়সের আসাদুজ্জামান নূরকে দেখে কৌতুহলী হয়ে আটকে গেলাম। বেশ পুরাতন নাটকটি দেখতে ভালই লাগছিল, একেবারে শেষ পর্যন্ত গিয়ে বুঝতে পারলাম এটা ছিল ‘এইসব দিন রাত্রি’। যখন এটা প্রথম দেখায় তখন আমার দেখা থাকলেও মনে থাকার কোন সুযোগ নেই, তবে অবাক হলাম নাটক শেষে ক্রেডিট দেখানোর সময় বাজতে থাকা সুরটি শুনে।
বিস্তারিত»রাধাকথন-৯
আমার গায়ে যত দুঃখ সয়
বন্ধুয়ারে করো তোমার
মনে যাহা লয়
পোড়াচোখের
কাজলঘেঁষা জল
কবে’ হয়ে গেছে
মাছব্যাপারীর
আঁশটে নোট,কালা!
পাষাণ বন্ধু রে
প্রহরগুলো তোর
যমুনায়
নেমে গেছে
পায়পায়,
গলায় দড়ি দি’ছে
রঙ্গিলা কলস হায়
এখন শুধু
মাসী গুণে
কনডম দ্যায়,
গোণে ক’জন এলো গেলো।
অ্যানাপোলিসের ডায়েরী – ৩
১৪ ই জানুয়ারি, বিকাল ৫:১৮, ২০১৪
মোকাব্বির ভাই এর ডায়েরী ব্লগ টা দেখে মনে হলো আমিও শুরু করে দেই না.. খারাপ হবেনা। এর আগে ছাড়া ছাড়া ভাবে দুইটা পর্ব দিয়েছিলাম। ভাবছি জিনিসটা নিয়মিত করতে হবে.. একটা ব্যাপার খুব ভালো ভাবে বুঝতে পারছি যে আমি একটা ট্রানসিশন পিরিয়ড পার করছি অনেকদিন ধরে.. আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে গত এক বছর ধরেই। এখানে এসে প্রথমেই পাই প্রাথমিক কালচারাল শকের স্বাদ।
বিস্তারিত»রাত জাগা ছন্দ।
আজ ব্যস্ত ছিলাম। ভীষণ ব্যস্ত।
সকালে দেখেছি দুটো স্বপ্ন।
দুপুরে ছিলো আকাশকুসুম প্রাসাদসম।
বিকেলটা ছিল রঙের বাহার।
গড়িয়ে বিকেল সন্ধ্যা যখন,
রবিকরের দৃষ্টি তখন–
কমলালেবুর বাকি আদ্ধেক।
চোখের পাতায় প্রজাপতি,
মনের মাঝে সেনাপতি-
রণে ভঙ্গ দেয় না।
হঠাৎ শুনি–
নাঁকি গলায় যন্ত্রদানব
ইনিয়েবিনিয়ে কেঁদেকেটে
যাচ্ছে গিলে তুষারমানব
দু-চার কদম চাকায় হেঁটে।
ডেসপিকেবল মি!
এই দুনিয়ায় যত জাতি আছে, তন্মধ্যে ক্যাডেট জাতি সর্বাপেক্ষা নিষ্পাপ (হাসেন কেন? ঠিকই তো বললাম)। তবে, সব কিছুরই কিন্ত আছে। কিন্ত থাকবে না কেন বলুন, চাঁদ ও সূর্যের গায়ে যদি কলঙ্ক থাকতে পারে, তবে ক্যাডেটের চরিত্রে দুই-একটা কিন্ত থাকলে কোন সমস্যা নেই। যা বলছিলাম, এই নিষ্পাপ একঘেয়ে জীবনে অফুরন্ত আনন্দ নিয়ে আসে কিছু নিয়ম বহির্ভূত কর্ম। বলা নিষ্প্রয়োজন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলো কারোর না কারোর বিরক্তির কারণ হত।
বিস্তারিত»একটি মাথামুণ্ডুবিহীন স্বপ্নভঙ্গের গল্প
১
এইমাত্র ক্লাস শুরু হল। যিনি ক্লাস নেবেন, তাঁর চোখে ভারী ফ্রেমের চশমা। দেখতেই বোঝা যায়, বাবা-মার আদরের পড়ুয়া ছেলে। উসকো-খুসকো চুল, চুলের যত্ন নেয়ার সময়ই বা কোথায়। ক্লাসে ঢোকার পর নিজের পরিচয় দিলেন। ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি কোচিংয়ে ক্লাস নেবেন, বুয়েটে যে পড়েন তা সহজেই অনুমেয়। ডিপার্টমেন্টের নাম বলার পর ক্লাসের ভেতর একটা সম্মিলিত চাপা চিতকারের শব্দ শোনা গেল। ভাবী প্রকৌশলীদের চোখ উজ্জ্বল থেকে উজ্জলতর হয়ে উঠল।
তুমি চাইলেই
তুমি চাইলেই,
হাসিনা-খালেদা এসে বসে যাবে-
পলাশীতে ওই,
মনিরের দোকানে।
“শাকিব খান মন্ত্রী হবে”
এমন গুজব শোনা যাবে-
কানে-কানে।
তুমি চাইলেই,
সজীব ওয়াজেদ-তারেক জিয়া
এরশাদের জন্য, মাঠে নেমে-
চাইবে ভোট।
১৮-১৪, মিলে যাবে সব;
গঠিত হবে-
৩৩ দলীয় জোট।
তুমি চাইলেই,
বিস্তারিত»বই ও খাদ্যবিলাস
আমাদের নরসিংদীর খুব পরিচিত একটা লাইব্রেরীর নাম হোল “বঙ্গআজাদ লাইব্রেরী”। এই লাইব্রেরীর কর্ণধার হুমায়ুন মামা, আমার বাবার নামে নাম বলেই কিনা এই মানুষটার মধ্যে পিতৃভাব প্রবল। কর্মব্যস্ত, প্রচণ্ড রকমের ছটফটে আর হাসিখুশি মানুষটি আমাকে খুব স্নেহ করেন। সবাইকে নিয়ে হই-হুল্লোড় করে ভুরিভোজ উনার বিশেষ পছন্দের কাজ।পেল্লায় সাইজের একটা গলদা চিংড়ী আমার প্লেটে তুলে দিতে দিতে মামা একদিন বলেছিলেন, “শোনো মামা, যা ইচ্ছা করে সেটাই খাবা।
বিস্তারিত»পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ৫
ভোর ৩টা ১৭ মিনিট (জানুয়ারী ৯, ২০১৪) – নির্ঘুম রাতের অভিশাপ
রাত একটার দিকেই শুয়ে পড়লাম। রাত জেগে থাকার বাজে অভ্যাসটা ছেড়ে আসতে চাই। সামনের সোমবার থেকে সেমিস্টার শুরু হয়ে যাচ্ছে। ইদানিং ঘুমানোর সময় মেডিটেশান কিংবা ঘুম সহায়ক সঙ্গীতের ট্র্যাক ইউটিউবে ছেড়ে ঘুমাতে চেষ্টা করি। কিন্তু আমার সঙ্গীতপিপাসু মস্তিষ্ককে ঘুম পাড়াতে ব্যর্থ হচ্ছে হাল্কা পিয়ানোর কাজগুলো। না ঘুমিয়ে বরং মন দিয়ে শুনছি। এত সুন্দর পিয়ানোর কাজ শুনতে গিয়ে ঘুমিয়ে যাওয়া অপরাধ।
রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ (পরিশিষ্ট)
স্বয়ং প্রিন্সিপাল স্যার ফ্রগ জাম্প দিচ্ছেন ! বিশ্বাস হচ্ছে না ? একেবারে গাছপাকা কথারে ভাই ( এবং আপু), গুল মারছি না । ফটোশপের ক্যারামতি নয়। আসল ছবিই দেখাব । কি মনে করছেন ? কিভাবে ফ্রগ জাম্প দিতে হয় তাই দেখাচ্ছেন স্যার ? মোটেও তা নয় ! তিনি পানিশমেন্ট খাচ্ছেন । রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে এই ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটে ২০১২ সালের রিইউনিয়নে, রিভার্স অর্ডারে। তখনকার প্রিন্সিপাল স্যার যে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজেরই এক্স ক্যাডেট।
বিস্তারিত»