ছায়াদের পিছুপিছু অনেকদূর হেঁটে এসেছি আমি।
এবার আমি ফিরে যাব আয়নার ওপাশে।
গলিত সূর্যের ফোঁটায় ফলনশীল উদগ্র ফোস্কার ক্ষেত আমার পিঠে।
আমি ফিরে যাব সেই ছেলেটির কাছে।
যার মুখ আমি আজও দেখি বিস্তীর্ণ ধানক্ষেতে।
সূর্যের বিপরীতে দাঁড়ানো সেই ছেলেটি!
উদ্ধত সূর্যালোকের তীর্যক আক্রমণে উদ্ভাসিত!
অথচ আলোহীন ভীতিকর কী গহীন দুইচোখ !
প্রথম চাঁদের পর পৃথিবীর সব অমাবস্যা জমাট বেঁধেছে সে আঁধারে।
স্মৃতিরা গানের ভাঁজে
দুটি মন আর নেই দুজনার। রাত বলে আমি সাথী হবো যে। গানটি মনে পড়লো খুব উদ্ভট এক সময়ে। কমোডে বসে ছিলাম বেশ কিছুক্ষণ। হঠাৎ একরকম গলা ছেড়েই কিছুটা ভুল হলেও গেয়ে উঠলাম। চার লাইন গেয়েই থেমে গেলাম। সুর বাদে আর কিছু মনে নেই। ২৩ বছর আগেকার কোন এক সকালে প্যানাসনিক ক্যাসেট প্লেয়ারে বাজতে থাকা গানের কলি এভাবে মনে পড়ায় অনেকটাই হতহম্ভ আমি। ঘুরেফিরে চারলাইন বেশ কিছুক্ষণ গাইবার চেষ্টা করলাম।
বিস্তারিত»নদী ভাঙ্গনে হুমকির মুখে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজঃ ফলোআপ
রাজশাহী ক্যাডেট কলেজকে পদ্মার ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ মেরামতের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে। নদী ভাঙ্গনের খবর ফেসবুকে পেয়ে ব্লগ লিখেছিলাম। ব্যস্ততার জন্য দেখতে যেতে পারিনি। গত ১১.১০.২০১৩ তারিখ শুক্রবার একটু সময় পেয়ে চলে গেলাম রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের সামনে পদ্মার ধারে। ‘নিরিবিলি’ আর ‘অবলোকন’-এর মাঝখানে বাঁধানো ঘাট। সিড়ি দিয়ে প্রায় তিন তলা সমান নীচে নামা যায় ( পড়ুন নামা যেত )।
বিস্তারিত»হেলাল হাফিজের কবিতা ওড়না: কিছু বিতর্ক এবং আমাদের ধর্মীয় অনুভূতি
হেলাল হাফিজ অতিসাম্প্রতিক কালে আবার কবিতা লিখছেন। কবির পয়ষট্টিতম জন্মদিন উপলক্ষে যুগান্তরের সাহিত্য পাতায় তিনটি কবিতা ছাপা হয়েছে। এর মধ্যে একটি কবিতার নাম ওড়না। বলাবাহুল্য কবির সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা এর আগে বহু লেখায় উল্লেখ করেছি। সেই সূত্রে এই কবিতাটির প্রসব বেদনায় যখন কবি ছটফট করছেন তখন আমি কবির সাথে ছিলাম। প্রায়ই তিনি অনুভূতিহীন অন্যমনস্ক হয়ে যেতেন। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে কবিরা একটু অন্যমনস্ক,অগোছালো থাকবে এটাই নিয়ম হলেও কবি হেলাল হাফিজ অত্যন্ত গোছানো একজন মানুষ।
বিস্তারিত»হজ্বঃবঞ্চনার অন্য নাম
এখন হজ্বের মৌসুম। প্রতিবারের মত এবারও কোটি মানুষ পাপ মোচনের আশায় ছুটে গিয়েছে সৌদি আরব। বাংলাদেশী হজ্বযাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার। ফেসবুকেও মাঝে মাঝে পাপমোচনের খুশি দেখছি ইদানিং। মক্কায় গিয়ে গরমের মধ্যেও প্রচণ্ড প্রশান্তি অনুভব করছেন হাজী ভাই বোনেরা,কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন,নামাযে দাঁড়ালে মনে হচ্ছে এর চেয়ে শান্তির কিছু নেই। একটা সময় ছিল মানুষ সারাজীবন পাপ করে শেষ বয়সে হজ্বে যেত তবে গত কয়েক বছর যাবত এই প্রথাটা চেঞ্জ হচ্ছে।
বিস্তারিত»অতঃপর…!!!
নিহাল কে ভালোবাসে অরিন। নিহাল নামটা খুব পছন্দ ওর। প্রথম যেদিন ওর প্রেমে পড়ল সেদিন বৃষ্টি ছিল, ছেলেটা ওকে অনেকগুলো গোলাপ দিয়েছিল। ভালোবাসার সময়গুলো কেমন জানি কেটে যায়। একটু ঘুরতে যাওয়া, হাত ধরে বসে থাকা, হাতধরাটা ন্যাকামি হলেও অদ্ভুত শান্তি লাগে,৫ আঙ্গুল বারবার আরেক হাতের স্পর্শে ঘেমে গেলেও হাত না ছাড়ার অনুভূতি অন্যরকম। চোখের সামনে দিনগুলো ভাসে। যেদিন নিহাল ওর গলা টিপে ধরে টাকা চাইল সেদিন অরিনের জন্মদিন ছিল।
বিস্তারিত»কবি হেলাল হাফিজ ও ব্যক্তিগত অনুভূতি
মুল লেখাঃ
কবি হেলাল হাফিজের সাথে আমার পরিচয় খুবই অদ্ভুত ভাবে। এক বিকেলে চারুকলার সামনে দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে ঢেলে সাজানো বই গুলোর দিকে চোখ বোলাতেই একটি বই চোখে লেগে যায়। যে জলে আগুন জ্বলে। চোখে লাগার মতোই বই। অদ্ভুত শিরোনাম। বই হাতে নিয়ে কয়েক পাতা ওল্টাতেই একটা কবিতা চোখে পড়ে। এক নিমিষেই পড়ে ফেলি।
“প্রেমের কষ্ট ঘৃণার কষ্ট
নদী এবং নারীর কষ্ট
অনাদর ও অবহেলার তুমুল কষ্ট
কষ্ট নেবে কষ্ট?”
শিরোনামহীন শব্দচয়ন…!!!
সুখ দুঃখ নিয়ে এই ছোট্ট জীবনে অনেক ভাবতে হয়েছে আমাকে। সেটা যে কারনেই হোক আমার চিন্তাধারা খুলে যায় ২০০৪ সালে শহীদ ক্যাডেট কোচিং এ থাকাকালীন ভবন-১ এ থাকতে। ৪ তালার হাবিব স্যার এর ফ্ল্যাট এ শুয়ে এক বিকালে বেডমেটের সাথে কথা বলতেসিলাম। রাজীব নাম ছিল ছেলেটার। খুব গরীব পরিবারের ছেলে, শুদ্ধ ভাষায় কথা বলা শিখেনি বলে কারও সাথে তেমন কথা বলত না, আর আমার ডুয়েল পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার ছিল আই মীন খুব তাড়াতাড়ি পরিবর্তনশীল ছিলাম বলে আলাদা থাকতাম,তাই আমার বেডমেট হিসাবে স্যার ওকে ঠিক করে দিয়েছিলেন এই ভেবে যে আমিও বেশি কথা বলিনা আর রাজীব ও বলেনা,
বিস্তারিত»একটি ‘ক্রাশ’ কিংবা অনেকগুলো বিরহের গান..
আমার ক্রাশ খাওয়ার হিস্টোরি বহুত বড়। জীবনে অনেক বার অনেক মেয়ের উপরে ক্রাশ খেয়েছি। সোজা বাংলায় “একতরফা প্রেমে পতিত” হয়েছি। আমি বন্ধুবান্ধবদের সাথে বেশ কথা-বার্তা বলতে পারি, আড্ডা মারায় ওস্তাদ; তা সে ছুটির দিন হোক, আর পরীক্ষার আগের দিনই হোক। কিন্তু মেয়েদের সাথে আমি পুরো উল্টো স্বভাবের। অপরিচিত বা স্বল্প পরিচিত যে কোন মেয়ের সাথে কথা বলতে গেলেই আমার কেন জানি পেটের মধ্যে মোচড়ানো শুরু করে।
বিস্তারিত»যখন আমি ক্যাডেট ছিলাম(পর্ব ৫)
আইসিসিএলএলএম ও কিছু গোপন দুঃখঃ
ছোট বেলা থেকেই মা আমাকে বলতেন, নিজের যা আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ। কম থাকার কারণে আমাকে কখনো কষ্ট পেতে হয়নি, পেতে হয়েছে বেশি থাকার কারণে। ব্যপারটা আরেকটু গুছিয়ে বলি।
মানুষ হিসেবে আমি প্রচণ্ড আবেগী। শৈশবের রঙ্গিন জীবনটা কৈশোরে মোড় নেয়ার সাথে সাথে এই আবেগটা বেশ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গিয়েছিলো বৈকি। প্রেম- ভালোবাসা সংক্রান্ত ব্যপারগুলো নিয়ে ভাবার শুরুটা তখন।
বিস্তারিত»ওয়েস্টার্নঃ ঠান্ডা প্রতিশোধ! (২য় পর্ব)
৩।
ঐ দিন বিকেল বেলা।
ন্যাশ যখন হোটেল থেকে বের হল ততক্ষণে সূর্যের দাপট অনেকটাই কমে এসেছে। ওর পোশাক-পরিচ্ছদ এখন একেবারে পশ্চিমাদের মতনই। শুধু পার্থক্য হচ্ছে কোমরে কোন গানবেল্ট ঝোলানো নেই। এখন ও যে যেদিকে লক্ষ্য করে হাঁটছে শেরিফের অফিসটা সেদিকেই। শেরিফের অফিসের সুইঙ্গিং ডোর ধাক্কা দিতেই ও দেখল শেরিফ একমনে কি সব কাগজ-পত্র পড়ছে।
-হ্যালো শেরিফ।
নদী ভাঙ্গনে হুমকির মুখে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ
আজ ফেসবুকে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ গ্রুপ হতে মন খারাপ করা একটা খবর পেলাম। ৩৭ তম ব্যাচের রায়হানুল ইসলাম পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ কেমন হুমকির মুখে রয়েছে তা কয়েকটি ছবি দিয়ে বুঝিয়েছে। তার অনুমতি নিয়ে ছবি গুলো সিসিবিতে প্রকাশ করছি-
রায়হান অধ্যক্ষ স্যারের একটি আবেদনও পিডিএফ আকারে আপলোড করে। সেটি দেখার সুবিধার্থে জেপিজি করে দিলাম।
আমার প্রিয় কলেজকে নিয়ে আমি শংকিত।
বিস্তারিত»ফাঁকিবাজী টাইপের ছবি ব্লগ – ২
অনেকটা ঝোকের মাথায় আগের পর্বটা পোস্ট করে দিয়েছিলাম। খুব একটা চিন্তা ভাবনা না করেই সামনে যা চোখে পড়েছিল তাই নিয়ে কিছু একটা লিখে দিয়েছিলাম। আজ আরেকটা উইকেন্ড শেষ হওয়ার পথে। যথারীতি কিছুই করা হয়নি এই দুইদিনে। শনিবার সারাদিন গিয়েছে ফুটবল খেলা দেখে। মাদ্রিদ ডার্বি তে ১৪ বছর পর রিয়াল মাদ্রিদের পরাজয়ের ধাক্কা সামলাতেই আমার ঐদিন কেটে যায়। আর আজ লম্বা ঘুম দিয়ে বেলা করে উঠলাম।
বিস্তারিত»ঝর্ণার গান
অন্যমনে,
যেনবা
নিতান্ত অনিচ্ছায়
দুলকিচালে
গড়াতে গড়াতে
অভিকর্ষের ডাকে
পাকিয়ে ওঠে
রশির মতন;
শেষে কিনারায় এসে
নিরুপায় লটকে যায়
বিনিদ্র
বিস্ফোরণ!
স্ফটিকের সহস্র কুচো
দ্রুতলয়
সন্তুরে চড়ে
ওইই নীচে
নেমে গেলে
টলটল
সুবোধ জল
ডাকে আয়!
তন্ময়তা
ভেঙে খানখান।
তরুণী পাতাদের
সন্মোহিত গাল
লালচে আঁচে
পুড়ে
বনভূমি জুড়ে
আত্মাহূতির
ধুম লেগে যায়…
ওয়েস্টার্নঃ ঠান্ডা প্রতিশোধ! (১ম পর্ব)
(এখানে বর্ণিত তথ্য ও উপাত্ত ঐতিহাসিকভাবে সত্য নাও হতে পারে)
১।
সানসিটি, ক্যালিফোর্নিয়া।
শহরের একমাত্র আন্ডারটেকার ডার্টি মরিস এক দলা থুথু ফেলে জানালো কবর খোঁড়ার কাজ শেষ। গত কিছুদিন টানা বৃষ্টি হবার কারনে মাটি নরম হলেও আঠাল ভাবের জন্য কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি এখনো চলছে বলে ইতোমধ্যেই কবরের মধ্যে পানি জমা শুরু হয়ে গেছে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যে বৃষ্টিতে ভিজে গিয়ে সে রীতিমতন ঠকঠক করে কাঁপছে।
বিস্তারিত»