দুই তলা একটা বিল্ডিং, লাঞ্চের পর ফ্লরে ঘামের টপটপ ফোটা,তার গন্ধ,ভয়ংকর সিনিয়রগুলা,তাদের কাছ থেকে পালিয়ে বাঁচতে চাওয়ার
ফন্দি আটা, যেমন খুশি তেমন খাটানো জুনিয়র,নিজের অবাধ স্বাধীনতা,আড্ডা,মুরি,কাঠাঁলের ঘ্রাণ,স্যার দের সাথে লুকোচুরি,মাঠে বাঘের
গতিতে ছুটে চলা, অডিটোরিয়াম জয় করা,৬ টি বছর,৭২ মাস, ২১৬০ দিন,অভাবনীয় ভালবাসা,আমার মা। আমার মত যাদের ছোট ভাই
ছিল না,যারা উপদেশ দেয়ার প্রচণ্ড ইচ্ছা থাকলেও!! ছোট পোলাপান খুঁজে পেতেন না,কিংবা,যাদের পরীক্ষার আগের রাতে মাথায় হাত
বুলিয়ে দেওয়ার কেউ ছিল না তারা নিশ্চয়ই আমার মত একটা নতুন “মা”
এইচএসসি’র পরেঃপর্ব ১
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃএকান্তই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লেখা।
কলেজ থেকে বের হওয়ার পরে সবচেয়ে কঠিন সময় হচ্ছে তার পরের কয়েক মাস।এই সময়েই নির্ধারিত হয়ে যায়,কার ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে।অনেকে সাবলীল্ভাবে পার করে দেয় এই সময়টা,অনেকে পিছিয়ে পড়ে।এই লেখায়,আমি আমার এই সময়টার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই।
বেশিরভাগ বন্ধুই কলেজ থেকে বের হওয়ার পরে ঢাকায় তাদের সাময়িক নিবাস নিয়ে ব্যস্ত,আমার বাসা ঢাকায় হওয়ায়,আমার সেই চিন্তা ছিলো না।ওদের ছিলো খাওয়ার কষ্ট,পানির কষ্ট,যাতায়াতের কষ্ট,টিপে টিপে খরচ করার কষ্ট।আর আমার ছিলো একা থাকার কষ্ট।থাকতাম বারিধারা ডিওএইচএসে।আশেপাশে ব্যাচমেট তো দূর কি বাত,পরিচিত কেউই ছিলো না।উদ্ভাস থেকে দেওয়া লেকচার শীট পড়তে বসলে মনে হত,না বুঝলে বুঝায়ে দেওয়ার মত কেউ আশে-পাশে নেই,পড়ে লাভ কি???কম্পিউটারে বসলে ঘুরে-ফিরে চলে যেতাম সেই ফোল্ডারে,যেখানে আছে আমার কলেজ লাইফের সব স্মৃতি।সেই ছবিগুলো দেখে বুকে মোচড় দিত।অদ্ভুত একটা ফিলিংস।একই ফিলিংস হয়েছিলো সেইসব দিনের অনেকদিন পরে।১৫ জানুয়ারী ২০১২ তে।ডিপার্টমেন্টে প্রথম ক্লাস করতে যেয়ে একটা মেয়েকে দেখেছিলাম।ক্লাস শেষের পরে তাকে তার বয়ফ্রেন্ডের হাত ধরে চলে যেতে দেখে।আজব না???দুইটা সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনা,অথচ কষ্টটা এক।
বিস্তারিত»অবাক ধুলো
আমার আকাশ পানে
উদাস গানে
মন খারাপের মিছিল,
ভ্রষ্টা রাতের কানে
বিষাদ বাণে
তানপুরাতে অমিল।
আমার উল্টোরথে
একলা পথে
সময় তুলি টানে,
আমার রোদের বুকে
সন্ধ্যা আঁকে
শিশির প্রাচীন ঘ্রাণে।
আমি কিসের টানে
দুঃখ কিনে
যত্নে সাজাই সমাধি,
আবার পাঁচ ভূতেরই
নাচের তালে
দ্বিধায় কি সুর বাঁধি?
আমার সন্ধ্যা জানে,
বিস্তারিত»ক্যাডেট জীবনে সাফল্যের মূলমন্ত্র (বর্তমান ক্যাডেটদের জন্য অবশ্যপাঠ্য)
কলেজে ছয় বছর পার করার পরও অনেক ক্যাডেটের অর্জনের খাতাটা থাকে শূন্য। কলেজ থেকে পাসআউটের সময় বুকে থাকে অনেক কিছু না পাওয়ার বেদনা। কলেজের অনার বোর্ডে নিজের নামটি চিরস্মরণীয় না করতে পারার ক্ষোভ নিয়ে পার করতে হয় বাকি জীবন। এ থেকে পরিত্রান পেতে হলে ক্যাডেট জীবনের শুরু থেকেই সুচিন্তিত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। তাই নিজের ছয় বছরের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি থেকেই বর্তমান ক্যাডেটদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ দিচ্ছি।
বিস্তারিত»পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার…!!!
আমার মনে হয় আজকালকার যুগে একটা ছেলে এবং একটা মেয়ের মধ্যে অদৃশ্য একটা ইগো প্রব্লেম সবসময়ই কাজ করে। ব্যাক্তিগতভাবে জিনিসটা আমি খুব উপভোগ করি। সাদা চোখে দেখলে মনে হয় হয়ত কারও না কারও ভুল আছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় ভুল কারোর ই না অথবা ২ জনের সমান সমান। ডুয়েল পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার ও একটা বড় ভুমিকা রাখে। যেকোনো স্পর্শকাতর ব্যাপার নিয়ে যখন বিপরীত লিঙ্গের কারও সাথে আমাকে কথা বলা কিংবা পজিটিভ আর্গুমেন্ট এ যেতে হয় তখন জিনিসগুলো টের পাই।
বিস্তারিত»আমি যখন ক্যাডেট ছিলামঃ পর্ব ৬
যে কোন কথাকে তিল থেকে তাল বানানো মানুষের জন্মগত প্রতিভা। ক্যাডেটরাই বা বাদ যাবে কেন? ক্যাডেট জীবনে এমন অনেক গল্প শুনেছি যা শুধু তিল থেকে তাল বললে ভুল বলা হবে, ব্যপারগুলো তিল থেকে তাল, সেই তাল থেকে পিঠা আর পিঠা থেকে পিঠা উৎসবে রূপ নিয়েছে। এই রকম পিঠা উৎসব ধরণের অনেকগুলো গল্প থেকে ৫ টি বলি।
* ওয়াল ম্যাগাজিন (১)
একদম প্রথম বছরের কথা।
গন টু ডগ
“আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ
র্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি,
আঠারো বছর বয়সেই অহরহ
বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।”
কবি সুকান্ত আঠারো বছর বয়সীদের নিয়ে এই কবিতা লিখলেও ক্যাডেট কলেজ পার্সপেক্টিভ থেকে চিন্তা করলে বলতে হবে “ক্যাণ্ডিডেট টাইমেই অহরহ বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি”। সবচেয়ে ভদ্র সভ্য ক্যাডেটদের মনেও গড়ে ওঠে ডিসিপ্লিন ভঙ্গের নানারকম নীলনকশা।
আমার কলেজ FGCC’র কথায় আসি।
বিস্তারিত»পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ৩
দুপুর ১২টা ১৮ মিনিট। সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩
সকালে উঠতে দেরী হয়ে গেল। আসলে কিছু করার নেই। এখন সূর্য উঠে ৮টা ৩৫ মিনিটে। দেহ ঘড়ি সেই ভাবে নিজেকে ঠিক করে নিয়েছে। এই এলাকার লোকজন শীতকালে কিভাবে ৮টার অফিস ধরে আমার বোধগম্য নয়। ৮টায় অফিস ধরতে যাওয়া মানে আক্ষরিক অর্থে সূর্য উঠার আগে অফিসে ঢোকা। আমার মত অলস বাঙালীর জন্য যেটা চিন্তার বাহিরে। মেক্সিকান অমলেট নামক এক ফাঁকিবাজি নাস্তার মেনু শিখেছি নাইজেলা ল’সন এর ওয়েবসাইট থেকে।
স্বপ্নের মাঝে খুঁজে ফিরি
স্বপ্নের মাঝে খুঁজে ফিরি
এক সাদা শ্মশ্রুমণ্ডিত ব্যক্তি আমার স্বপ্নের মাঝে কদাচিৎ আসত আবার কখনও আসত না। ইদানীং আমার স্বপ্নের মাঝে শুভ্র দাড়িওয়ালা মানুষটি প্রায় আশা যাওয়া করে। যখনি তিনি আসেন আমি বই,খাতা, কাগজ, কলম নিয়ে ভদ্রলোকের সামনে নতজানু হয়ে অত্যন্ত মনোযোগের সাথে জ্ঞান অর্জন করতে থাকি। হটাত স্বপ্ন ভেঙ্গে যাই। তখন আমি পার্থিব আর অপার্থিব জগতের তুলনা করতে পারি না।
বিস্তারিত»সিসিবি পিকনিকঃ ২৫/১২/২০১৩
আজকের দিনটি ছিল খুবই ইউনিক একটা দিন। আগামী ১০০, ১০০০ বা ১০০০০ বছর পরেও এমন আরেকটি দিন আসবেনা। এই তারিখকে স্মরনীয় করে রাখতে নানা কর্মসুচীতে জড়িয়ে যাই। একই দিনে কলেজের ব্যাচের গেট টুগেদার আবার সিসিবি পিকনিক। দুইটার সময়ই দুপুরে। একেবারে কোনটা ছেড়ে নেব কোনটা অবস্থা। শেষমেশ কলেজের বন্ধুদের ভুজুং ভাজুং বুঝিয়ে গেট টুগেদারের সময় রাতে নিলাম আর এতদিন পর ক্যাডেট কলেজ ব্লগের গেট টুগেদার বা পিকনিকে অংশগ্রহণের সুযোগ পেলাম।
বিস্তারিত»রাজহাঁসের চিঠি
প্রিয় পানকৌড়ি,
বেসামরিক ভালোবাসা নিও। কথা ছিল আর কয়েকটা দিন পরেই পুরো ঝকঝকে তকতকে ইউনিফর্মের সামরিক পোশাক পরার। কাঁধের ওপর তারা চকচক করবে। সূর্যের প্রতিফলিত রশ্নি সে তারার ওপর অপূর্ব কারুকার্য এঁকে দেবে। অথচ আমি দেখবো না। কথা ছিল আর কিছুদিন পরেই পাসিং আউট প্যারেড হয়ে গেলে তোমাকে সশস্ত্র স্যালুট দিয়ে ব্যস্ত জনস্রোতে বলবো,ভালোবাসি। হয় নি। এক জীবনে মানুষ যা চায় তা হয় না।
হুজুর ভাই
ছোটবেলায় আমার নাম শুনে অনেকেই যখন বলত,”বাহ,তোমার ডাকনামটা তো সুন্দর”,তখন খুব ভালো লাগত।সেইসময় তো আর বুঝতাম না যে মানুষ অনেক কিছুই বলে,যেগুলোর নাম হচ্ছে “কথার কথা।”তাই নাম নিয়ে আমার ভিতরে হাল্কা গর্ব ছিলো।আমার এই গর্ব ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় পাবনা ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার পরে।টিচার থেকে শুরু করে সিনিয়র,স্টাফ,হসপিটাল অ্যাটেনডেন্স,যেই নাম জিজ্ঞেস করে,আমার উত্তর শুনে কিছুক্ষন ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলে,”হিন্দু নাকি?”সারাজীবনে আমার যে কয়জন “প্রতীক”
বিস্তারিত»AIM IN LIFE
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে প্যারাগ্রাফ নামের একটা জিনিস ছিল । তো সেই প্যারাগ্রাফের নানা রঙ ,নানা ঢং। একবারের বিষয় আমার মেনি বিড়াল তো আরেকবারের বিষয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি । তবে সুবিধাও ছিল । ক্যাডেট কলেজের বদৌলতে আর পাঁচটা ক্যাডেটের মত এই বস্তু পড়ার হ্যাপা কখনও পোহাতাম না । -ধুর মামা, প্যারাগ্রাফ পড়া লাগে নাকি? ওইটা তো এমনি লেখা যায় । সিভিল বন্ধুদের সামনে পার্টটা ছিল দেখার মত।
বিস্তারিত»থ্রি কমরেডস
আমরা তখন ক্লাস সেভেনে।একাডেমিক ব্লকের উত্তর পশ্চিমের তিনটা গাছের কামরাঙা হাতছানি দিয়ে ডাকে।মনে মনে বলি আর একটু বড় হ, তারপর খাব। কামরাঙা বড় হল।এক দিন মিল্ক ব্রেকের পর মাহফুজ ,শরিফ , হাবিব ছুটল লবন নিয়ে ।কামরাঙা খাবে। আমিও ছুটেছি।ওরা তো পটাপট বেশ কয়েকটা ছিড়ে নিল। সবার আগে মাহফুজ কামড় দিল। আরে! টকও না আবার কোন স্বাদ ও নাই।আবার রস কম। কামরাঙা না অন্যকিছু ! পরে জানা গেল ওগুলো অর্জুন ফল।ক্যাডেট কলেজের ভিতরে বলে ভাল আছে।
বিস্তারিত»কিছু দৃশ্যকল্পঃ কেমন বিজয় দিবস চাই?
কেমন বিজয় চেয়েছিলেন আমাদের দেশের জন্য, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধারা? তাঁরা কী চেয়েছিলেন যে ৪২ বছর পর এই বিজয় দিবস কিছু কিছু লোকের জন্য লোকদেখানো দেশপ্রেমের একটা হাতিয়ার হবে? নিজের হৃৎপিণ্ডের শব্দ থেমে যাওয়া শুনতে শুনতে তাঁরা কী এরকম ভেবেছিলেন কখনো, যখন মানুষ ঠান্ডায় জমে যাওয়া কাউকে সাহায্য করার চেয়ে আতশবাজি পুড়িয়ে উল্লাস করাকে দেশপ্রেমের মহৎ উদাহরণ হিসেবে গ্রহণ করবে? কিংবা দেশপ্রেম দেখানোর অসুস্থ প্রতিযগিতায় মাতবে?
তাঁরা নিশ্চয়ই এই সব দৃশ্যের কথা ভাবেননি।
বিস্তারিত»