সিসিবি পিকনিকঃ ২৫/১২/২০১৩

আজকের দিনটি ছিল খুবই ইউনিক একটা দিন। আগামী ১০০, ১০০০ বা ১০০০০ বছর পরেও এমন আরেকটি দিন আসবেনা। এই তারিখকে স্মরনীয় করে রাখতে নানা কর্মসুচীতে জড়িয়ে যাই। একই দিনে কলেজের ব্যাচের গেট টুগেদার আবার সিসিবি পিকনিক। দুইটার সময়ই দুপুরে। একেবারে কোনটা ছেড়ে নেব কোনটা অবস্থা। শেষমেশ কলেজের বন্ধুদের ভুজুং ভাজুং বুঝিয়ে গেট টুগেদারের সময় রাতে নিলাম আর এতদিন পর ক্যাডেট কলেজ ব্লগের গেট টুগেদার বা পিকনিকে অংশগ্রহণের সুযোগ পেলাম।

বিস্তারিত»

রাজহাঁসের চিঠি

প্রিয় পানকৌড়ি,
বেসামরিক ভালোবাসা নিও। কথা ছিল আর কয়েকটা দিন পরেই পুরো ঝকঝকে তকতকে ইউনিফর্মের সামরিক পোশাক পরার। কাঁধের ওপর তারা চকচক করবে। সূর্যের প্রতিফলিত রশ্নি সে তারার ওপর অপূর্ব কারুকার্য এঁকে দেবে। অথচ আমি দেখবো না। কথা ছিল আর কিছুদিন পরেই পাসিং আউট প্যারেড হয়ে গেলে তোমাকে সশস্ত্র স্যালুট দিয়ে ব্যস্ত জনস্রোতে বলবো,ভালোবাসি। হয় নি। এক জীবনে মানুষ যা চায় তা হয় না।

বিস্তারিত»

হুজুর ভাই

ছোটবেলায় আমার নাম শুনে অনেকেই যখন বলত,”বাহ,তোমার ডাকনামটা তো সুন্দর”,তখন খুব ভালো লাগত।সেইসময় তো আর বুঝতাম না যে মানুষ অনেক কিছুই বলে,যেগুলোর নাম হচ্ছে “কথার কথা।”তাই নাম নিয়ে আমার ভিতরে হাল্কা গর্ব ছিলো।আমার এই গর্ব ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় পাবনা ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার পরে।টিচার থেকে শুরু করে সিনিয়র,স্টাফ,হসপিটাল অ্যাটেনডেন্স,যেই নাম জিজ্ঞেস করে,আমার উত্তর শুনে কিছুক্ষন ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলে,”হিন্দু নাকি?”সারাজীবনে আমার যে কয়জন “প্রতীক”

বিস্তারিত»

AIM IN LIFE

উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে প্যারাগ্রাফ নামের একটা জিনিস ছিল । তো সেই প্যারাগ্রাফের নানা রঙ ,নানা ঢং। একবারের বিষয় আমার মেনি বিড়াল তো আরেকবারের বিষয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি । তবে সুবিধাও ছিল । ক্যাডেট কলেজের বদৌলতে আর পাঁচটা ক্যাডেটের মত এই বস্তু পড়ার হ্যাপা কখনও পোহাতাম না । -ধুর মামা, প্যারাগ্রাফ পড়া লাগে নাকি? ওইটা তো এমনি লেখা যায় । সিভিল বন্ধুদের সামনে পার্টটা ছিল দেখার মত।

বিস্তারিত»

থ্রি কমরেডস

আমরা তখন ক্লাস সেভেনে।একাডেমিক ব্লকের উত্তর পশ্চিমের তিনটা গাছের কামরাঙা হাতছানি দিয়ে ডাকে।মনে মনে বলি আর একটু বড় হ, তারপর খাব। কামরাঙা বড় হল।এক দিন মিল্ক ব্রেকের পর মাহফুজ ,শরিফ , হাবিব ছুটল লবন নিয়ে ।কামরাঙা খাবে। আমিও ছুটেছি।ওরা তো পটাপট বেশ কয়েকটা ছিড়ে নিল। সবার আগে মাহফুজ কামড় দিল। আরে! টকও না আবার কোন স্বাদ ও নাই।আবার রস কম। কামরাঙা না অন্যকিছু ! পরে জানা গেল ওগুলো অর্জুন ফল।ক্যাডেট কলেজের ভিতরে বলে ভাল আছে।

বিস্তারিত»

কিছু দৃশ্যকল্পঃ কেমন বিজয় দিবস চাই?

কেমন বিজয় চেয়েছিলেন আমাদের দেশের জন্য, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধারা? তাঁরা কী চেয়েছিলেন যে ৪২ বছর পর এই বিজয় দিবস কিছু কিছু লোকের জন্য লোকদেখানো দেশপ্রেমের একটা হাতিয়ার হবে? নিজের হৃৎপিণ্ডের শব্দ থেমে যাওয়া শুনতে শুনতে তাঁরা কী এরকম ভেবেছিলেন কখনো, যখন মানুষ ঠান্ডায় জমে যাওয়া কাউকে সাহায্য করার চেয়ে আতশবাজি পুড়িয়ে উল্লাস করাকে দেশপ্রেমের মহৎ উদাহরণ হিসেবে গ্রহণ করবে? কিংবা দেশপ্রেম দেখানোর অসুস্থ প্রতিযগিতায় মাতবে?

তাঁরা নিশ্চয়ই এই সব দৃশ্যের কথা ভাবেননি।

বিস্তারিত»

বাবার কাছে লেখা চিঠি…

[সরকারি কর্তব্যে আমি দেশ হতে হাজার মাইল দূরে। এক যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে শান্তিরক্ষার কাজে নিয়োজিত। দেশ হতে একটা ফোন আমার সব চিন্তা-ভাবনাকে এলোমেলো করে দিল। এক সপ্তাহ আগে দেশ হতে ঘুরে এসেছি। তারিখটা ছিল ২৫ ডিসেম্বর ২০০৯। যেতে চাইলেও যাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। একটু পর পর ফোনে কথা বলে মনকে ঠাণ্ডা রাখা। শেষবারের মত বাবার মুখটা দেখতে বড় ইচ্ছা জাগে কিন্তু নিয়তির হাতে তখন আমি বন্ধী।

বিস্তারিত»

পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ২

বিকাল ৩টা ২৬ মিনিট। মঙ্গলবার। ডিসেম্বর ১০, ২০১৩।

রাতে ঘুমানোর আগে দেখেছিলাম কাদের মোল্লা ফাঁসিতে ঝুলে যাচ্ছে। যতটুকু বুঝলাম সকালে ঘুম থেকে উঠতে উঠতে সুসংবাদটি পেয়ে যাব। সকালে ঘুম থেকে উঠলাম দেখলাম বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় ঝুলে যাবে। হঠাৎ কেন জানি মনে হলো সবকিছু ঠিক মত হবে না। গত কয়েকদিন ধরে প্রচুর তুষারপাত হচ্ছে। লেক ইফেক্ট স্নো বলে সবাই এখানে। অপেক্ষাকৃত তাপমাত্রা কম কিন্তু তুষারপাত বেশী।

বিস্তারিত»

বিজয়ের গল্প শোনো

আজ বিজয়ের গল্প শোনো,
তুমুল উল্লাসে জেগে ওঠা একটি বিজয়ের গল্প।
একদিন এই মাটি ঘাসে ক্রমাগত অত্যাচারের
কঠিন শিঁকলে ছিল বন্দী একটি পতাকা,
একটি মানচিত্র অতঃপর মুক্তির আনন্দে জেগে উঠলো বিশ্বের পবিত্র বুকে।
এক আকাশ নীলের ফাঁকে জেগে উঠল একটি সূর্য স্বাধীনতার।
উচ্ছাসে ফেটে পরা বাংলার বুকে বয়ে চলল যে খুশির স্রোতস্বিনী
তুমি তার গল্প কখনো শোনোনি।

এখানে আনন্দ এসে বেদনার সাথে মিশে যায়
এখানে রাত নামে সন্ধ্যার আবেশে বিমোহিত ভীরু পায়
এখানে পতাকার মিছিলে বিজয়ের ঘ্রান পাবে তুমি ষোড়শীর মুক্ত চুলে
এখানে বিজয়ের গল্প শোনো শুনে যাও হে তরুন প্রান খুলে।

বিস্তারিত»

বিনষ্ট সারথি

ততক্ষণে বিজিত বিকেলে শীত নেমে এসে
নিভায়ে দিয়েছে যৌবনের শিখা
যা জ্বলেছিল শেষরাত্রির বৃষ্টি শেষে।
কথা ছিল তা হবে মহাকালে লেখা
সহস্রাব্দের কোন কবিতার মত
অন্ধকার কোন গুহার দেয়ালে আঁকা
অভিমানে শুকানো ইতিহাসের ক্ষত।

অথচ ভেবেছি অনন্তকাল
কেটে যাবে প্রেমিকার চোখে
স্বপনে দেখেছি যে স্বর্ণসকাল
একে দেব,মেখে দেব প্রিয় সে মুখে
তারপর ভালবাসা ফুরায়ে গেলে
বিপ্লবী হব আমি বিবস্ত্র শোকে।।।

বিস্তারিত»

ডেড পোয়েটস সোসাইটি! ওহ ক্যাপ্টেন, মাই ক্যাপ্টেন !

ফাইনাল এক্সাম চলছে। তাই মোটামুটি বিজি ছিলাম বেশ কয়েকদিন ধরে… নেক্সট পরীক্ষার আগে ৫ দিন গ্যাপ। এত দিন গ্যাপ থাকলে আর যাই হোক, পড়াশুনা জিনিসটা করা হয় না ! সেইটা সেই ক্লাস সেভেনেই বুঝে গেছি। তাই সময় কাটাতে একটা মুভি দেখতে বসলাম। Dead Poets Society … রবিন উইলিয়াম আছেন মুভিতে। বোধহয় ইথান হকের ব্রেক থ্রু মুভি ছিল এটা । মুভি দেখা শেষ করেছি অনেকক্ষণ হলো..

বিস্তারিত»

সম্রাট বাবর ও তার সাঙ্গপাঙ্গ……

ক্লাস ৭ থেকে আমাদের ইতিহাস ক্লাস নিতেন জহির স্যার। জহির স্যার সম্রাট বাবরের বিশাল ফ্যান। তিনি মুঘল আমলকে পড়াতেই সবচে বেশি পছন্দ করতেন। তাই আমরা তার নাম দিয়েছিলাম সম্রাট বাবর।

স্যার ক্লাস এ আসলে ফর্ম সাবধান না বলে আমরা মোঘল আমলের মত সুর করে বলতাম (ফর্ম লিডার বলতো)……মুঘল-ই-আজম……মুঘল-ই- শাহেনশা………… সম্রাট বাবর……এইসব…

স্যারের একমাত্র পানিশমেন্ট সিল ব্যান্ড পজিশন করায়ে পশ্চাৎদেশে কাঠের স্কেল দিয়ে মাইর।

বিস্তারিত»

অলিভার

অলিভারের সাথে প্রথম পরিচয় হয়েছিল যখন Real wheel এর একটা সমস্যা নিয়ে আমাদের কোম্পানীতে আসে। মোটামুটি লম্বা। প্রায় ৫ ফুট ৯ অথবা ১০ ইঞ্চির মত হবে। কাঁচা-পাকা চুল আর ছোট ছোট চোখের সামনে মোটা ফ্রেমের চশমা। হাঁটে একটু ঝুঁকে ঝুঁকে। Stainless Steel এ মরিচার মতন সাদা সাদা দাঁতের উপর কালো কালো দাগ। সিগারেটের প্রতি আসক্তিটা তখনই বুঝে গিয়েছিলাম। দেখে মনে হয়েছিল বয়স চল্লিশের আশেপাশে কিন্তু পরে জেনেছিলাম পঞ্চান্ন।

বিস্তারিত»

একটি বিক্ষুব্ধ সত্ত্বা

অনেকক্ষণ ধরেই সূর্যটা মধ্যগগনে  অধিষ্ঠিত হয়ে তার অস্তিত্ব টা বেশ ভালোভাবেই জানান দিচ্ছে। প্রচণ্ড তাপে পিচ ঢালা পথ থেকে বাষ্প উড়ে সূক্ষ্ম মরীচিকার সৃষ্টি করছে। শহরের একটি ব্যস্ত রাস্তার ফুটপাতে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে হেঁটে যাচ্ছে এক যুবক। দুনিয়ার কোন কিছুতেই তার আর কিছু যায় আসে না।মুখে কিছুদিন ধরে শেভ না করা খোঁচা খোঁচা দাড়ি । পরণে প্রায় ফিকে হয়ে যাওয়া একটা নীল ফুল টি শার্ট ও কালো প্যান্ট।

বিস্তারিত»

পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ১

কিছু কথাঃ বিপুল পরাক্রমে বিভিন্ন কোর্সের পেপার, এসাইনমেন্ট লেখার কাজ করে যাচ্ছি। আর শেষ সময়ের পূর্বে কাজ শেষ করার শেষ চেষ্টা করছি। খুব গোছানো কম্পিউটার ফাইলের মাঝেও আমার বাজে অভ্যাস হলো এই জায়গায় ঐ যায়গায় বিভিন্ন চিন্তা, গানের কথা, দিনলিপি লিখে রাখা এবং সেটা ভুলে যাওয়া। একটা ক্লাইমেট চেঞ্জ এডাপ্টেশান ফ্রেইমওয়ার্ক খুঁজছিলাম। ফোল্ডারে ঘুরতে ঘুরতে এসে দেখি একটা ফাইল নাম, “life at mtu” খুলে দেখি গত বছরের কয়েকদিনের দিনলিপি।

বিস্তারিত»