পিলখানা

পিলখানা

বিদ্রোহ কি এতই সস্তা ?
মুর্খ আর জালিম !
বর্বরতায় প্রাণ হারালো
মাকসুম উল হাকিম।

কেমন ধারা দাবী দাওয়া
আদায় করতে দরবারে ?
ভাই বন্ধু নেতার প্রাণ
কলংকিত বলাৎকারে !

পিলখানাতে একাত্তর
ফিরে এলো নারকতা !
বাকরুদ্ধ শোকে মোরা
ডুকরে কাঁদে মানবতা !

কাদা ছিটিয়ে ঘোলাপানি
ধরা পড়ে পুঁটিমাছ !

বিস্তারিত»

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের থিম সং এবং মিউজিক ভিডিও

গত পরশুই মাত্র থিম সং টি শুনলাম। গানটা ভাল লেগেছে কিন্তু সিক্সটিন সিক্সটিন কেন বলছিল বুঝতে পারছিলাম না। আশাকরি লেখাটা পড়ে এবং গানটা শুনে সিক্সটিন সিক্সটিন কেন বলা হচ্ছিল সেটার উত্তর কেউ দিবেন। যাই হোক সেটা বাদে রেফায়াত আহমেদ ও অনম বিশ্বাসের কথায় এবং ফুয়াদ আল মুক্তাদির ও কৌশিকের সুরে গানটি ভালই লেগেছে যদিও গানের সুর কিংবা গানের কথা বাংলাদেশকে পুরোপুরি রিপ্রেজেন্ট করতে পারেনি। আমরা শত চেষ্টা করেও খাটি বাংলা গান বানাতে পারলাম না।যতটুকু না ঢুকালেই নয় যেমন স্টেডিয়াম কিংবা ক্রিকেট এসব বাদেও আরো ইংরেজীকে ঢুকাতেই হল।

বিস্তারিত»

পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ৮

১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪ রবিবার বিকাল ৪টা
ভালোবাসার ফুড প্রসেসরে
যাচ্ছে ‘কেটে’ দিনরাত্রি।
ফিরে এসো গরু হয়ে।
খেয়ে নাও ঘাসটুকু,
জাবর কেটো পরে।
তবু দোহাই লাগে-
কেটোনা মোরে এই
ভালোবাসার ফুড প্রসেসরে।

প্রচারে – মাথা নষ্ট

পেছনের কথাঃ এই ছড়াটা লিখেছি যখন প্রেমিকার সাথে সোভিয়েত রাশিয়া সময়কার স্নায়ু-যুদ্ধের আদলে যুদ্ধ শুরু হলো। কথা বললে উত্তর মিলে না।

বিস্তারিত»

টঙ

ধাক্কাধাক্কি করে বাসে উঠা, মানুষের ভীড়ে দম ফেলে বাঁচার আকুলতা, কানের কাছে প্রচণ্ড জোরে হর্ন শুনে মনে মনে চালককে গালি দেয়া, চলন্ত গাড়ির মাঝেই রাস্তা পাড় হওয়া সব ই যেন কতই না গুরুত্ববহ।

টানা পাঁচদিন হরতাল আর দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটির জন্য দেরী করে ঘুম থেকে উঠাও হয় না। অথবা ঈদ-পূজার টানা ছুটিও পাওয়া হয় না।

ব্যাস্ত রাস্তায়, মানুষের উপচে পড়া ভীড়ে চলার সময় বন্ধুদের বলা হয় না- দোস্ত দাঁড়া,

বিস্তারিত»

সিসিবি আড্ডা (বিজনেস টক) এবং চা-চক্র – আপডেট ফেব্রয়ারী ২৩ (সাময়িক পোস্ট)

আপডেটঃ প্রথমেই দুঃখিত বই উন্মোচন পর্ব অনুষ্ঠিত না হওয়ায়। বিষয়টি আসলেই বেশ হট্টগোল এবং জটঘট প্যাকানো বিষয়। বইমেলার আসলে চারটার পর না যাওয়াই ভালো। অস্বাভাবিক ভীড় হয়ে যায়।
জেট ল্যাগের প্যাঁচে যাতে না পরতে হয় এজন্য আমি যেদিন আসি সেদিনই বের হয়ে যাই। এবারও সাতটায় পৌঁছে বারটায় ঘর থেকে বের হলাম। তারপর বই মেলায় গেলাম। আমার সাথে আরও তিনজন ভার্সিটিতে পড়া মেয়ে ছিল যাদের মধ্যে দুজন এই প্রথম বই মেলায় গেল।

বিস্তারিত»

কেমন আছি?

মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ থাকে।
আজ ঘুম ভেঙেছে ভেন্টিলেটরের বাসিন্দা চড়ুইপাখির কল্যাণে। ভোর ৫ টায়। সিলিং ঘেঁষে ওড়ার সময় প্রকৃতির ডাক সে এড়াতে পারেনি। ঠিক মুখের উপর পায়খানা করে দিয়েছে। ( পায়খানা বিষয়ক সিরিজ স্ট্যাটাসের বিরুদ্ধে মৌন প্রতিবাদ সম্ভবত)।
শীত- গ্রীষ্ম সবসময়ই মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর কল্যাণে পয়ঃনিষ্কাশিত বর্জ্যের আলিঙ্গন লেপের উপর দিয়ে গেলেও পূতিগন্ধময় নারকীয় দুর্গন্ধটা কিছুতেই এড়ানো গেল না। শুয়ে শুয়েই দিব্যদৃষ্টে দেখলাম পরীক্ষা শেষে রুমে এসে জ্বালিয়ে দিয়েছি চারটা ভেন্টিলেটর,

বিস্তারিত»

সহপাঠী বন্ধু

[ একটি বুমেরাং ছড়া  ]

বন্ধু আমার বড্ড ব্যস্ত,
ফোন ধরতে পারে না।
মাউস ক্লিকও জমিয়ে রাখে,
অপচয় করে না।

চাষার ছেলে ছিলো আছে
এখনও যে অভাবী।
ফোন ধরতে বয়েই গেছে
করবে বুঝি ধার দাবী।

ছিল বেটা অসামাজিক
বেজায় রকম বিরক্তিকর।
বইয়ের পোকা ছিল বটে
হবে নাকি জ্ঞানধর !

পাঁচটি মোটে নাম্বার আছে
এসিআরে সততায়।

বিস্তারিত»

আবারো ফিরে আসা – ০১

শেষ কবে লিখেছিলাম মনে নেই, তাই ভাবলাম চেক করি। কিন্তু চেক করে আর কি? এসেছি ই যখন আবার কিছু লিখি, তাই যা ভাবা তা কাজে করার জন্য বসলাম। এর আগে যখন লিখেছিলাম তখনকার থেকে এখনের সময়ের দুরত্ব যেমন আছে, তেমন আছে ভৌগোলিক দুরত্ব ও। কিসের জন্য যেন মনে হয়, মন যখন অশান্ত থাকে, তখন শান্তকরন কর্মসূচীতে এ ধরনের মনের কথা গুলো বলে ফেলা ভালো কাজে দেয়।

বিস্তারিত»

বিষয় বিবর্তনঃ বইয়ের প্রচ্ছদ

আমি ব্লগ লিখি। এবং বইও লিখি। ব্লগে ব্লগর ব্লগর করি আর বইয়ে ফিকশন লিখি। সেই ফিকশন পড়ে আমার স্বল্প পরিচিতরা মনে করেন আমি আসলে আমার জীবনকাহিনী লিখছি। পরিচিতরা কিছু বলেন না। কারণ তারা আমার বই পড়েন না। পড়লেও এখন চুপচাপ থাকেন। একজন-দুজন ছাড়া। এর পেছনে একটা কারণ আছে। আমার প্রথম উপন্যাসে এক-দুবার হয়তো প্রকৌশলীদের ঘুষ খাওয়ার কথা উল্লেখ করেছিলাম। আমার পরিবার একটি প্রকৌশলী-অধ্যুসিত পরিবার।

বিস্তারিত»

পুবের মানুষ যখন পশ্চিমে – ৮

দেশপ্রেমের সংজ্ঞা কী জানিনা তাই ছেলেকে কখনও এই ব্যাপারে শিক্ষা দিতে যাইনি। আর তাছাড়া ছেলের তো আমেরিকান দেশপ্রেম, এই প্রেম আমি শেখাব কেমন করে? একদিন পার্কে বেড়াতে গেলাম। মাঠের একপাশে একটা খালি প্যাকেট পরে ছিল। হয়তো কেউ চিপস খেয়ে ফেলে গেছে। ছেলেকে দেখলাম সে প্যাকেটটা তুলল। ‘ময়লা ধরো না’, আমাকে একথা বলার সুযোগ না দিয়েই ডাস্টবিনের কাছে চলে গেল। তারপর প্যাকেট সেখানে ফেলে দিয়ে হাত ধুয়ে আমার কাছে আসল।

বিস্তারিত»

আচ্ছা, একটু বকর বকর করি?

##
কয়েকদিন ধরে অনেক চাপের মধ্যে আছি। পড়াশোনার বিশাল চাপ, সাথে একটু একটু মানসিক চাপ। এক মাসের মত ভার্সিটি বন্ধ থাকার পর ক্লাস খুলেছে এবং আরও এক মাস ক্লাস হয়েছে। সেশন জটের প্যাঁচে পড়ে আমরা মাত্র থার্ড ইয়ারে উঠেছি, অন্য ভার্সিটিতে আমার বন্ধুরা সবাই ফাইনাল ইয়ারে। এইসব জিনিস চিন্তা করলে মাঝে মাঝে একটু খারাপ লাগে, মনের মধ্যে অস্বস্তি লাগে। তবু খুব বেশি পাত্তা দেই না আমি।

বিস্তারিত»

পাঠ প্রতিক্রিয়া: অন্য এক গল্পকারের গল্প নিয়ে গল্প – শাহাদুজ্জামান

“এই যে সবসময় নতুন নতুন লেখা প্রকাশ করা, এর ভিত্রে একধরণের ইগো স্যাটিসফেকশনের ব্যাপার আছে, ঔদ্ধত্য আছে। এইটা ইন এ ওয়ে ভালগারও। একসময় মানুষের কিন্তু এত মৌলিক হওয়ার বাতিক ছিলো না। বরং পুরানা মূল্যবান লেখা ভালো কইরা পড়া, আত্মস্থ করা, গ্রহণ করার দিকে ঝোঁক ছিলো তাদের।”

লেখাটা কোটেশন দিয়েই শুরু করতে হলো। কারণ প্রথম পাতায় এই লাইন গুলোর উপলব্ধি এবং সমসাময়িক বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে আসলেই ধরা পড়ে অন্য এক ছবি।

বিস্তারিত»

অন্তর্জালিক

বাঙ্গালী সৃষ্টির আদিকাল থেকেই হুযুগে জাতি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে আর আজ পর্যন্ত বেশ সফলতার সাথেই আমরা আমাদের এই পরিচয় সমুন্নত রাখতে সক্ষম হয়েছি। ইন্টারনেট বিশেষত ফেসবুক এসে এই হুযুগেপনার মাত্রা কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। ফেসবুক দুনিয়ার এই মুহুর্তের হুযুগ হলো লুকব্যাক ভিডিও। প্রথমে যখন একের পর এক ভিডিও দিয়ে আমার ফেসবুক নিউজ ফিড ভরে যেতে লাগলো তখন কিছুটাই বিরক্তই হয়েছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেকে সংবরন করতে না পেরে নিজের ভিডিওটা দেখেই ফেললাম।

বিস্তারিত»

পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ৭

জানুয়ারী ২৭, ২০১৪, রবিবার, রাত ১১টা ০৫ মিনিট
কয়দিন আগের হঠাৎ ভয়াবহ ঠান্ডা আবহাওয়াকে “পোলার ভরটেক্স” নামক কল্পকাহিনী টাইপের নাম দিয়ে খুব বিখ্যাত বানিয়ে ফেলা হলো। সবাই চিন্তিত শংকিত ইত্যাদি। এরমাঝে বিশ্ব উষ্ণায়ন বিরোধীরা (উদাঃ ফক্স নিউজের বিল ও’রাইলি) বলেই ফেললেন, “কিসের গ্লোবাল ওয়ার্মিং, আমিতো দেখছি গ্লোবাল কুলিং।” খুব হাসি পায় যখন কেউ গ্লোবাল ওয়ার্মিং শব্দটির আক্ষরিক অর্থের সাথে বিশ্ব আবহাওয়ার তুলনা ও অসঙ্গতি তুলে ধরে ও বলতে চায় কই পৃথিবীতো গরম হচ্ছে না।

বিস্তারিত»

অ্যানাপোলিসের ডায়েরী – ৪

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩
প্রকৃতির কীর্তি কলাপ দেখছি গত কয়েকদিন ধরে। এমনিতেই এই সপ্তাহের শেষে ছিল তিন দিনের উইকেন্ড। শনি, রবি, সোম টানা তিন দিন বন্ধ। মার্টিন লুথার কিং এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে। তিনদিন উইকেন্ড থাকার সবচেয়ে ভালো দিক হলো পরের সপ্তাহে এক দিনের কর্ম দিবস কমে যাওয়া। এই জন্য বেশ ফুরফুরে একটা মেজাজে ছিলাম। যাই হোক, সোমবার মধ্যরাতে পেলাম ইমেইল। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও তুষার ঝড়ের কারনে আগামীকাল মানে মঙ্গলবার কোন ক্লাস হবেনা।

বিস্তারিত»