সহপাঠী বন্ধু

[ একটি বুমেরাং ছড়া  ]

বন্ধু আমার বড্ড ব্যস্ত,
ফোন ধরতে পারে না।
মাউস ক্লিকও জমিয়ে রাখে,
অপচয় করে না।

চাষার ছেলে ছিলো আছে
এখনও যে অভাবী।
ফোন ধরতে বয়েই গেছে
করবে বুঝি ধার দাবী।

ছিল বেটা অসামাজিক
বেজায় রকম বিরক্তিকর।
বইয়ের পোকা ছিল বটে
হবে নাকি জ্ঞানধর !

পাঁচটি মোটে নাম্বার আছে
এসিআরে সততায়।

বিস্তারিত»

আবারো ফিরে আসা – ০১

শেষ কবে লিখেছিলাম মনে নেই, তাই ভাবলাম চেক করি। কিন্তু চেক করে আর কি? এসেছি ই যখন আবার কিছু লিখি, তাই যা ভাবা তা কাজে করার জন্য বসলাম। এর আগে যখন লিখেছিলাম তখনকার থেকে এখনের সময়ের দুরত্ব যেমন আছে, তেমন আছে ভৌগোলিক দুরত্ব ও। কিসের জন্য যেন মনে হয়, মন যখন অশান্ত থাকে, তখন শান্তকরন কর্মসূচীতে এ ধরনের মনের কথা গুলো বলে ফেলা ভালো কাজে দেয়।

বিস্তারিত»

বিষয় বিবর্তনঃ বইয়ের প্রচ্ছদ

আমি ব্লগ লিখি। এবং বইও লিখি। ব্লগে ব্লগর ব্লগর করি আর বইয়ে ফিকশন লিখি। সেই ফিকশন পড়ে আমার স্বল্প পরিচিতরা মনে করেন আমি আসলে আমার জীবনকাহিনী লিখছি। পরিচিতরা কিছু বলেন না। কারণ তারা আমার বই পড়েন না। পড়লেও এখন চুপচাপ থাকেন। একজন-দুজন ছাড়া। এর পেছনে একটা কারণ আছে। আমার প্রথম উপন্যাসে এক-দুবার হয়তো প্রকৌশলীদের ঘুষ খাওয়ার কথা উল্লেখ করেছিলাম। আমার পরিবার একটি প্রকৌশলী-অধ্যুসিত পরিবার।

বিস্তারিত»

পুবের মানুষ যখন পশ্চিমে – ৮

দেশপ্রেমের সংজ্ঞা কী জানিনা তাই ছেলেকে কখনও এই ব্যাপারে শিক্ষা দিতে যাইনি। আর তাছাড়া ছেলের তো আমেরিকান দেশপ্রেম, এই প্রেম আমি শেখাব কেমন করে? একদিন পার্কে বেড়াতে গেলাম। মাঠের একপাশে একটা খালি প্যাকেট পরে ছিল। হয়তো কেউ চিপস খেয়ে ফেলে গেছে। ছেলেকে দেখলাম সে প্যাকেটটা তুলল। ‘ময়লা ধরো না’, আমাকে একথা বলার সুযোগ না দিয়েই ডাস্টবিনের কাছে চলে গেল। তারপর প্যাকেট সেখানে ফেলে দিয়ে হাত ধুয়ে আমার কাছে আসল।

বিস্তারিত»

আচ্ছা, একটু বকর বকর করি?

##
কয়েকদিন ধরে অনেক চাপের মধ্যে আছি। পড়াশোনার বিশাল চাপ, সাথে একটু একটু মানসিক চাপ। এক মাসের মত ভার্সিটি বন্ধ থাকার পর ক্লাস খুলেছে এবং আরও এক মাস ক্লাস হয়েছে। সেশন জটের প্যাঁচে পড়ে আমরা মাত্র থার্ড ইয়ারে উঠেছি, অন্য ভার্সিটিতে আমার বন্ধুরা সবাই ফাইনাল ইয়ারে। এইসব জিনিস চিন্তা করলে মাঝে মাঝে একটু খারাপ লাগে, মনের মধ্যে অস্বস্তি লাগে। তবু খুব বেশি পাত্তা দেই না আমি।

বিস্তারিত»

পাঠ প্রতিক্রিয়া: অন্য এক গল্পকারের গল্প নিয়ে গল্প – শাহাদুজ্জামান

“এই যে সবসময় নতুন নতুন লেখা প্রকাশ করা, এর ভিত্রে একধরণের ইগো স্যাটিসফেকশনের ব্যাপার আছে, ঔদ্ধত্য আছে। এইটা ইন এ ওয়ে ভালগারও। একসময় মানুষের কিন্তু এত মৌলিক হওয়ার বাতিক ছিলো না। বরং পুরানা মূল্যবান লেখা ভালো কইরা পড়া, আত্মস্থ করা, গ্রহণ করার দিকে ঝোঁক ছিলো তাদের।”

লেখাটা কোটেশন দিয়েই শুরু করতে হলো। কারণ প্রথম পাতায় এই লাইন গুলোর উপলব্ধি এবং সমসাময়িক বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে আসলেই ধরা পড়ে অন্য এক ছবি।

বিস্তারিত»

অন্তর্জালিক

বাঙ্গালী সৃষ্টির আদিকাল থেকেই হুযুগে জাতি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে আর আজ পর্যন্ত বেশ সফলতার সাথেই আমরা আমাদের এই পরিচয় সমুন্নত রাখতে সক্ষম হয়েছি। ইন্টারনেট বিশেষত ফেসবুক এসে এই হুযুগেপনার মাত্রা কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। ফেসবুক দুনিয়ার এই মুহুর্তের হুযুগ হলো লুকব্যাক ভিডিও। প্রথমে যখন একের পর এক ভিডিও দিয়ে আমার ফেসবুক নিউজ ফিড ভরে যেতে লাগলো তখন কিছুটাই বিরক্তই হয়েছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেকে সংবরন করতে না পেরে নিজের ভিডিওটা দেখেই ফেললাম।

বিস্তারিত»

পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ৭

জানুয়ারী ২৭, ২০১৪, রবিবার, রাত ১১টা ০৫ মিনিট
কয়দিন আগের হঠাৎ ভয়াবহ ঠান্ডা আবহাওয়াকে “পোলার ভরটেক্স” নামক কল্পকাহিনী টাইপের নাম দিয়ে খুব বিখ্যাত বানিয়ে ফেলা হলো। সবাই চিন্তিত শংকিত ইত্যাদি। এরমাঝে বিশ্ব উষ্ণায়ন বিরোধীরা (উদাঃ ফক্স নিউজের বিল ও’রাইলি) বলেই ফেললেন, “কিসের গ্লোবাল ওয়ার্মিং, আমিতো দেখছি গ্লোবাল কুলিং।” খুব হাসি পায় যখন কেউ গ্লোবাল ওয়ার্মিং শব্দটির আক্ষরিক অর্থের সাথে বিশ্ব আবহাওয়ার তুলনা ও অসঙ্গতি তুলে ধরে ও বলতে চায় কই পৃথিবীতো গরম হচ্ছে না।

বিস্তারিত»

অ্যানাপোলিসের ডায়েরী – ৪

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩
প্রকৃতির কীর্তি কলাপ দেখছি গত কয়েকদিন ধরে। এমনিতেই এই সপ্তাহের শেষে ছিল তিন দিনের উইকেন্ড। শনি, রবি, সোম টানা তিন দিন বন্ধ। মার্টিন লুথার কিং এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে। তিনদিন উইকেন্ড থাকার সবচেয়ে ভালো দিক হলো পরের সপ্তাহে এক দিনের কর্ম দিবস কমে যাওয়া। এই জন্য বেশ ফুরফুরে একটা মেজাজে ছিলাম। যাই হোক, সোমবার মধ্যরাতে পেলাম ইমেইল। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও তুষার ঝড়ের কারনে আগামীকাল মানে মঙ্গলবার কোন ক্লাস হবেনা।

বিস্তারিত»

মন্তব্য সংকলন

এক

একটি পারুল বোন

জেগে ওঠো সব ক্যাডেট,
সাত ভাই চম্পা।
রুপালী পর্দায়,
একটি পারুল বোন,
হাসনাইন শম্পা ।

( ০১.০২.২০১৪)

[ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেট চিত্র নায়িকা শম্পা হাসনাইনের সমর্থনে]

দুই

২০১৪ শিক্ষাবর্ষের পঞ্চম শ্রেণীর গণিত বইতে ২৪ নং পৃষ্ঠায় গড় অংকের ৫নং উদাহরণে ক্রিকেট দলে উইকেট রক্ষক নাই।

বিস্তারিত»

শিরোনামহীন অথবা ………

এক
অনেক ছোটবেলায় একটা জেমস হিলটন নামে এক লেখকের সাই-ফাই গল্প পড়েছিলাম ‘হারানো দিগন্ত’ (The lost Horizon) নামে। ইউরোপ এবং আমেরিকান চারজন মানুষের অপরহণের রোমাঞ্চকর গল্প দিয়ে শুরু হয়। কিন্তু সময় গড়ানোর সাথে সাথে সেই অপহরণের মোটিভ বুঝা যেতে শুরু করে। শাঙরি লা নামক এক মঠ ছিল তার উপজীব্য। সেই শাঙরি লা মঠের বাসিন্দারা নিজেদের যৌবন ধরে রাখেন দীর্ঘ সময় কোন এক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট লাইফ- পর্ব ১

ঠিক তারিখ টা মনে নাই। ১৯৯৮ সালের জুন মাসে শুরুর দিকের ঘটনা মনে হয়। আমার প্রয়াত মেজ মামা আমাদের উল্লাপাড়ার বাসায় আসল। জিজ্ঞেস করল কি খবর ক্যাডেটে চান্স পাইসি কিনা? আমি বললাম রেজাল্ট দেয় নাই।মামা বলল দিসে তো, আমি পেপারে দেখলাম, তাও অনেক দিন আগে। মামা বাইরে গেল, সেই পেপার সংগ্রহ করে আনল। আমার তো #### শুকাইয়া কাঠবাদাম। কি হয়। কোথাও ভর্তিও হই নাই তখন পর্যন্ত।

বিস্তারিত»

হাচিকো, হোয়াইট টেরিয়ার কিংবা অন্য কোন কুকুরের বৃত্তান্ত

‘‘ রাস্তায় পড়ে থাকা অভুক্ত কুকুরকে আশ্রয় ও খাবার দিয়ে সবল করে তোলার পর সে পাল্টা কামড় দেবে না। মানুষ ও কুকুরের মাঝে এটাই মূল পার্থক্য। ’’
– মার্ক টোয়েন
১।
তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময় একটা গল্প পড়েছিলাম । তীব্র শীতে দিনের পর দিন না খেয়ে ধুঁকতে থাকা এক কুকুর আর এক শিয়াল খিদের জ্বালা সইতে না পেরে অবশেষে বেরিয়ে আসে বন থেকে।

বিস্তারিত»

পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ৬

রাত ৯টা ৪০মিনিট, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৪ – শ্যামবর্ণ আমার। আমি আর্য নই।
বাঙলাদেশে সাম্প্রতিক গণহত্যায় ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বিএসএফ এর সৈন্য ব্যবহার করেছে। সাতক্ষীরায় ধারনকৃত ভিডিওতে দেখাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী যৌথবাহিনী জামাতের মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিতে শটগানের গুলি ও টিয়ারগ্যাস শেল ছুড়ছে। এরপরে দেখাচ্ছে একটি ইমেইল ও দুইপাতা ফ্যাক্সবার্তার ছবি। নাহ বিশ্লেষণে যাবো না। সত্য মিথ্যা নিয়ে তর্ক আপাদত বন্ধ। তবে বিনোদন ছিলো অন্য দুটি ব্যাপার।

বিস্তারিত»

আমার আকাশবেলা

লেখালেখি জিনিসটা অনেক প্রতিভা দাবি করে। সেই প্রতিভার অনুপস্থিতির কারণে ব্লগে আমার আগমন এলিয়েনসম। কতো মানুষ কতো ডায়নামিক চিন্তা অদ্ভুত সুন্দরভাবে তুলে ধরে। মস্তিষ্কের অধিকাংশ অংশ জুড়ে শুকনা গোবর থাকায় সেইসব চিন্তা করতে আমি অপারগ। লিখতে গেলেই শুধু রাজ্যের স্মৃতিকথা এসে পড়ে। সেই স্মৃতিগুলোও একটা নির্দিষ্ট আকাশের। আমার খুব স্বার্থপর একটা আকাশের। সে আকাশও ২০০৮ এর কোনও এক সকালে হারিয়ে গেছে।

 

বালকবেলা হতেই হীনমন্যতা আমার সঙ্গী।

বিস্তারিত»