আমাদের ভূগোল স্যার ছিলেন হিসেবি। শুধু হিসেবি নয় ভয়াবহ হিসেবি। কতটা
হিসেবি বলি, তিনি ছিলেন আমাদের ক্লাস টীচার। ক্লাস টীচারের দায়িত্ব ছিল
অনেক। ক্লাসের কোন জিনিসপত্র নষ্ট হলে তা ঠিক করার দায়িত্ব ছিল স্যারের।
একবার হঠাত্ করেই ক্লাসের ঘড়ির ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেল। যেহেতু আমাদের
ক্যাডেট কলেজে অনেক নিয়ম কানুন ছিল তাই চাইলেও ব্যাটারি পরিবর্তন করার
সুযোগ ছিলনা। এদিকে পরীক্ষাও খুব কাছে চলে এসেছে।
হারানো শৈশব
সে ছিল এক আজব সময়। ছিল ঘুম থেকে না উঠতে চাওয়া সকাল, দুরন্ত দুপুর, অবাধ বিকেল, ঘরে ফেরা সন্ধ্যা, ঘুমানোর রাত। সবকিছুর জন্য, মনে হয় ছিল আলাদা আলাদা সময়। বাবা-মার ডাকে, আদরে-বকাতে “আজ স্কুলে যাব না, আজ স্কুলে যাব না” অনুরোধ, শেষমেশ পাষাণ বাবা-মার দয়া-হীনতায় মুদিত চক্ষু ডলতে ডলতে কলপাড়ে দাঁড়ানো, হিম শীতল পানিতে গোসল করে মাঘ মাসের কাপাকাপি করতে করতে বাবা-মাকে মনে মনে গালমন্দ।
বিস্তারিত»অধিকার তত্ত্ব
শিউলি নিতান্তই গ্রামের এক সাধারন বাড়ির বউ। জয়ন্ত, শিউলির স্বামী। দিন মজুরী করে সংসার চলে। একটা ৬ বছরের ছেলে আছে তাদের। দেখতে শিউলি একেবারে অসুন্দর না, শ্যামলা রঙের ছিপছিপে দেহ। বাড়ির কাজের পাশাপাশি মাঝে মাঝে নিজেদের খুব ছোট এক খন্ড জমিতে স্বামির সাথে কাজ ও করে। অন্যের জমিতে কাজ করে দিলে ও নিজের জমির জন্য অন্যকে মজুরী দেওয়ার সামর্থ্য বা ইচ্ছা নাই জয়ন্তর। শিউলি নিজে থেকে ই এটা বুঝে স্বামীকে সাহায্য করে।
বিস্তারিত»প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণা এবং তেঁতুল তত্ত্ব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করছেন এবং সাথে সাথে ভোট প্রার্থনা করছেন। নির্বাচনী আইনে এটা আচরন বিধি ভঙ্গ হয়না ঠিকই কিন্তু সরকারী কাজে যেয়ে সরকারী সুযোগ সুবিধা,নিরাপত্তা গ্রহন করে ভোটের ক্যাম্পেইন করা কতটা নৈতিক? যেখানে জাতীয় নির্বাচন অতি নিকটে।
গতকাল কক্সবাজারের উখিয়ায় গিয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে নৌকায় ভোট দিতে বললেন। ভাষণের এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা বলেন,
বিস্তারিত»কেঁদেই ওদের সুখ
২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের কথা। একটি সাধারন মহিলা। তার স্বামী মারা গেছে ১৯৭৭ সালের এই সেপ্টেম্বর মাসে ই। একটা ছেলে রেখে।মহিলাটি আর বিয়ে করেন নি আর। একটা মেয়ের শখ ছিল। ভেবেছেন ছেলেকে বড় করে বিয়ে দিয়ে একটা টুকটুকে বউ আনবে, যে হবে তার মেয়ে। ছেলে বড় হল, বিয়ে করল। বাড়ির সামনে খালার কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে ছোট্ট একটি দোকানে লোহার পাত ঝালাই করে গ্রিল বানিয়ে বেচে ছেলে টা ।
বিস্তারিত»অভাগারা
জীবনে অনেক মানুষের সাথেই মিশেছি হয়েছে বন্ধুত্ব। তবে এই স্বল্প পরিসরে কিছু মানুষ পেয়েছি যারা আসলেই অভাগা। মানে তারা যাই করতে যায় না কেন সব সময় বিপরীতটাই ঘটে থাকে। তবে এই কথাটি সব সময় আবার প্রযোজ্য নয়। আর আমার এই লেখাটিকে আশা করবো সবাই Fun হিসাবেই নিবে, এটা কাউকে ছোট করার জন্য যেমন নয় তেমনি কাউকে অপমান করার জন্য নয়ই। শুধুই মজা করার জন্য।
এই পর্যন্ত যতগুলো বন্ধু পেয়েছি তার মাঝে সব চেয়ে অভাগা আমার মনে হয়েছে অয়নকে।
২০১২ সালে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়া অনেক স্টুডেন্ট ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি!!!!!
গত ২৮শে আগস্ট প্রথম আলোর একটি অনুসন্ধানি রিপোর্ট থেকে এই ভয়ঙ্কর তথ্য বের হয়ে এসেছে।২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়া ২৩ শতাংশ ছাত্রছাত্রী ভর্তি পরীক্ষায় ৩০ নম্বরের কম পেয়েছিলেন। দেশের ৫৪টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্যে ১৬টির তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সংখ্যা পাওয়া গেছে। ভর্তির লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে মাত্র সাড়ে ১০ পেয়েও মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার নজির পাওয়া গেছে। অথচ এমনও একজন কে পাওয়া গেছে যে ১০০তে ৫৪ নম্বর পেয়েও ভর্তি হতে পারেনি কারন তার কাছে অনেক বেশি টাকা চাওয়া হয়েছিল।
বিস্তারিত»দুটি তারার “মৃত্যু”…
আপনাদেরকে দুজন মানুষের ছোট্ট গল্প শোনাব আজ।
প্রথম জন দিয়েই শুরু করি।বন্ধুমহলে এই ভদ্রলোক ইন্টেলেকচুয়াল বা জ্ঞানী বলে পরিচিত।কর্মক্ষেত্রেও এই উপাধির পরিবর্তন ঘটেনি এবং তা সঙ্গত কারণেই।চোখে চশমা, হাতে বই আর বুকে পান্ডিত্যের ঝলকানি-এই সব মিলিয়ে মানুষটিকে আলাদা করে চিনে নিতে খুব একটা কষ্ট হয়না।কখনো তিনি বাংলার আকাশের একমাত্র সুপারহিরো স্যার অনন্ত জলিলের “খোঁজ- দ্য সার্চ” নিয়ে অসামান্য বিশ্লেষণধর্মী পোস্ট দেন, কখনো “আমার প্রেমিকারা”
বিস্তারিত»বাৎসরিক ফিরে দেখা
(১)
সকাল থেকেই মেজাজ বিগড়ে আছে জামানের। টাকা নাই বলে বাপ স্কুলে যেতে মানা করে দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ভোর সকালে উঠে ধান লাগানোর জন্য চকে আসে বাপ-বেটা। “আর যহন ফড়াইলাম না ত্যা কাইলহা থেইকা সবারে উইঠ্যা আমার লগে লইবি ক্ষ্যাত লাগাইতে।” সপ্তাহখানেক আগের এক রাতের বাপের বলা কথা গুলো চিন্তা করেই রাগে এলোপাতাড়ি ধানের চারা লাগানো শুরু করলো। নিজের কাজের ফাঁকে ফায়েজুল ইসলাম ছেলের বেজার মুখে ধান লাগানো নিয়মিত বিরতিতে খেয়াল করছিলেন।
আম
খাবার টেবিলে আমার বউ আমাকে প্রশ্ন করল, “তুমি আম চেনো?”
প্রশ্নটা শুনে যথেষ্ট বিরক্ত হলাম। আমি বাঙালী ছেলে। বাঙালী হয়ে আম চিনব না, তা হয় নাকি? কন্ঠে যথেষ্ট বিরক্তি ঢেলে উত্তর দিলাম, “আম না চেনার কি আছে?”
“না, মানে কোনটা কি আম, সেটা চিনতে পার?”
একটু চিন্তা করলাম।এবার প্রশ্নটা যুতসই হয়েছে। আমিও চামে কেটে বের হবার চেষ্টা করলাম, “কিছুদিন পর বাজারে গেলেই দেখবে বড় বড় সাইজের আম উঠেছে।
বিস্তারিত»বলুনতো এই ছবিটা আসল না সাজানো?
বলুনতো এই ছবিটা আসল না নকল?
এটি গত ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শাহবাগের গন জাগরন মঞ্চের পাশে জাতীয় জাদুঘরের বাউন্ডারি ওয়ালে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময়কার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিভিন্ন নির্যাতনের ছবি প্রদর্শিত হয়েছিল(ঠিক আজিজ মার্কেটের উল্টা পাশে),আমি সেখান থেকে এই ছবিটি আমার মোবাইল ফোনে তুলে এনেছি। আমার কাছে এই ছবিটির ২টা ব্যাপার একটু অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। মনে হয়েছে সাজানো। পাঠকরা ভাল করে ছবিটি দেখুন আর আমাকে বলুন এটা আসল না সাজানো।
বিস্তারিত»তুর্কী জাতিকে নিয়ে কিছু কথা…
শুনেছি স্বপ্ন নিয়ে মানুষ নাকি বেঁচে থাকে। জীবনের চলার পথে স্বপ্ন নাকি মানুষের এক অপরিহার্য সহযোগী।যুগে যুগে মানুষ স্বপ্নের রকমফের করেছে। পরিবর্তন করেছে স্বপ্নের সংজ্ঞাকে। শুনেছি কেউ কেউ নাকি স্বপ্নকে আশা বলে ব্যক্ত করতেই পছন্দ করেন। তো সেই রকম কত স্বপ্নই না আমরা দেখে থাকি জীবনে। বিশেষত একজন বাঙ্গালীর স্বপ্ন দেখার সংজ্ঞাটা এবং পরিধিটা বেশ বড়। কথায় বলে বাঙ্গালী নাকি স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে। আর ১৮ বছর বয়সের এক যুবক তরুণের ক্ষেত্রে সেই স্বপ্নটা অনেকটাই অতিমাত্রায় রঙ্গিন।
বিস্তারিত»বঙ্কিম ও ব্যাকরণ
রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ। রিইউনিয়ন ২০১২। আব্দুল হান্নান স্যারকে দেখেই মনে পড়লো -বঙ্কিম, রেন এন্ড মার্টিন, শাকলিন,ব্যকরণ ।এভাবে ফিরে যাই অনেক দিন আগে।
২৮ মে ১৯৮৩ সাল। রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে ২০তম ব্যাচের জন্মদিন।একাডেমিক ব্লকের সামনে বিশেষ কায়দায় আমাদের বরণ করে নেয়া হচ্ছে।দক্ষিণ দিকের বটল ব্রাশ গাছ গুলোর প্রত্যেকটির চারপাশে কয়েকজন নতুন ক্যাডেট- আমি বাদুড়, আমি বাদুড় বলে চিল্লাচ্ছে।
বিস্তারিত»আমি চাইনা জামাত-ই-ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হোক
কি?শুনে খুব আশ্চর্য হচ্ছেন তাই না?অলরেডি মনে হয় আমাকে গালাগালি শুরু করে দিয়েছেন তাইনা?আমি জানি অনেকেই আমার সাথে একমত হবেন না।কিন্তু তারপরেও নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে আমার যুক্তিগুলো তুলে ধরছি।
জামাত-ই-ইসলাম এমন কোন অসুখ না যে ঔষধ দিলাম আর রোগটা সেরে গেলো। এটা অনেকটা ক্যানসারের মতন আমাদের সারা শরীরে ছড়িয়ে আছে। এটাকে ধীরে ধীরে এবং রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে।জামাত-ই-ইসলাম ভুঁইফোর কোন দল না যে নিষিদ্ধ করলাম আর সব শেষ হয়ে গেলো।
একটি তারাওয়ালা ছবি তোলার তারছাড়া গল্প
অনেক দিন পর ক্যাডেট কলেজ ব্লগে লিখতে বসলাম। শেষ লিখেছি সেই ২০১১ তে – এর মাঝে অনেক কিছু পাল্টে গেছে; অনেক কিছু শিখেছি অনেক কিছু ভুলেও গেছি। তবে শেখার ভান্ডারে ছবি তোলার খুঁটিনাটি যে বিশাল সংযোজন তার কোন সন্দেহ নাই। দুই রাত আগে জীবনে প্রথমবারের মত একটা “স্টার ট্রেইল” করার প্রয়াশ নিলাম। একই ছবিতে তারকারাজিদের চলন্তপথ ফুটিয়ে তোলাই এই ধরণের ছবির মূল লক্ষ্য – এবং নেট ঘাটলে “star trail”
বিস্তারিত»