জন্মদিন পোস্টঃ শরীফুর রহমান মজুমদার

যেই ছেলেটাকে নিয়ে লিখব তার সাথে কলেজ জীবনে খুব কমই বনিবনা হয়েছে। ক্লাস সেভেনে যখন তিতাস হাউজে আসি তখন আমরা একই রুমেই ছিলাম। ওর সাথে আমার প্রথম ঝগড়া ছিল খুব সম্ভবত রুমের কর্তৃত্ব নিয়ে। এরপর আরও অনেক কিছু ছিল ঝগড়ার বিষয়। মাঝেমধ্যে জুনিয়রের সামনেও দুই একবার ঝাড়ছি রাগ সামলাতে না পেরে। কিন্তু সব কিছুর পর যখনই কিছু দরকার হয়েছে ওর কাছেই গিয়েছি। এখনও যাই।

যখনই মনে হয় কোন কিছু নিয়ে জানা দরকার তখন আর কেউ না জানুক শরীফ ঠিকই জানবে আর সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে।

বিস্তারিত»

‘বিতংস’-এর বঙ্গবিজয়

বইটিকে দু’মলাটের মধ্যে রেখে পড়া হয়নি, আদ্যোপান্ত-পড়াও হয়নি।
এই সিসিবিতেই উঁকি দিয়ে পড়ে গেছি কখনো সখনো; ফাঁকিবাজ বলে, পরিশ্রমী পাঠক নই বলে সযত্ন মন্তব্য বা পাঠপ্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি সেভাবে।
তবু, ‘বিতংস’ উপন্যাসটি কি করে যেন আমার হয়ে গেছে, নিজের অজান্তেই। অত্যন্ত আগ্রহের সাথে অনুসরণ করছিলাম ব্লগপাতায় প্রকাশিত হতে থাকা কালো কালো অক্ষরসমূহের বিবর্তন।

সিসিবির পাতায় উপন্যাসটির নানান পর্বগুলোতে আমাদের সদস্যরা আগ্রহোদ্দীপ্ত মন্তব্য দিয়ে লেখকের সংগে সক্রিয় কথোপকথন চালিয়ে গেছেন।

বিস্তারিত»

রাধাকথন-১০

মহারাজ,
পাথরে
আছড়ে পড়ার চেয়ে
লাট খাওয়া
ঘুড়ি হবো আজ

প্রাসাদের প্রাকার বেয়ে
সরীসৃপ হয়ে
আসে
আত্মাহুতির ভাপ,
জলসাঘর হতে
সরোদ –
বাগেশ্রীর
সুরাময় আলাপ

সুতো কেটে গেছে।
প্রণয়ের দ্রুতলয়
ফুরোল ব’লে,
ওস্তাদজী এবার
ঝালায় চলো
ত্রিতালের
সম্মোহনী বোলে

বিস্তারিত»

পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ১১ [শেষ পর্ব]

১৯ মার্চ, ২০১৪, বুধবার, বিকাল কিংবা সন্ধ্যা ৬টা ১৯ মিনিট
ডে লাইট সেভিং চালু হয়ে গিয়েছে এই মাসের ৯ তারিখ থেকে। কিঞ্চিত বিরক্তিকর একটি ব্যাপার। সামনে আসছে ম্যারাথন লম্বা দিন। এখনি সূর্য ডুবছে ৮টা ০৫ মিনিটে। এটা গড়াতে গড়াতে ৯টা ৫০মিনিট পর্যন্ত যাবে। টেবিলে বসে রাতের খাবার খাচ্ছি আর এক চিলতে রোদ এসে গায়ে পড়ছেঃ এরকম উদ্ভট অনুভূতি খুব কমই হয়েছে জীবনে। ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জানা নেই তবে এখানের গ্রীষ্মকালে রাতে ঘুমাতে বেশ দেরী হয়েছে গতবার।

বিস্তারিত»

হয়তো তুমি

হয়তো তুমি স্মৃতির ভীড়ে একলা কোন মেঘ
হারিয়ে ফেলার ভয় হারিয়ে দাঁড়িয়ে নিরুদ্বেগ
হয়তো তুমি হঠাৎ দেখা খুব চেনা এক তারা
আঙুল গলে লুকিয়ে পড়া শ্রাবণ জলের ধারা
হয়তো তুমি দূর অতীতের একটু অভিমান
সুখের ঘোরে আনমনা এক বিষণ্নতার গান
হয়তো তুমি সন্ধ্যেবেলার হঠাৎ অন্ধকার
নিছক আশায় শব্দে, ভাষায় মগ্ন ছন্দকার
হয়তো তুমি নওতো তুমি, তুমি অন্য কেউ
তুমি বোধহয় স্মৃতির না’য়ে আছড়ে পড়া ঢেউ

বিস্তারিত»

শুভ জন্মদিন ক্যাডেট কলেজ ইনটেক ২০০৭

আজ তেইশে মার্চ ,
ক্যাডেট কলেজ ইনটেক ২০০৭ থেকে ১৩ এর ক্যাডেটদের সবার দ্বিতীয় জন্মদিন আজ ।
দেখতে দেখতে সাত সাতটা বসন্ত পেরিয়ে গেলো ।
কিন্তু আজো স্মৃতির পাতায় স্পষ্ট ভাসে দিনটি ,
দিনের প্রতিটি মুহূর্ত আজো হুবহু বলে দিতে পারবো ।

আজ কয়েকটি ঘটনা খুব মনে পড়ছে ।
সত্যি ঘটনা , প্রাইভেছি রক্ষার্থে ছদ্মনাম ব্যবহার করে ঘটনাগুলো শেয়ার করছি…।।

বিস্তারিত»

বৃষ্টি নামের এ প্রদেশে

রাজা নেই কোনো
তবু ঘনঘন
সান্ত্রী আসে,
অগণণ।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নিয়ে দুয়ারে দাঁড়ালে
মেঘের সঘন স্বনন,
প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে ছাতা –
যা নয় তা’
বলে গাল পাড়ে
খানাখন্দ,রিকশার পলিথিন

বন্দী তবু হাতকড়ায়
নির্বিকার,
নিপীড়ন-পিয়াসী;
বৃষ্টির দাসত্বে
হাসিমুখে লীন….
_________________________________________
ফেসবুকে সাবিহা জিতুর বৃষ্টিজনিত স্ট্যাটাস পড়ে।

বিস্তারিত»

আত্ম পরিচয়ঃ নারীর ক্ষমতায়ন, নাকি অপব্যাখ্যা?

৮ই মার্চ বিশ্ব নারী দিবসকে উপলক্ষ্য করে মনে মনে একটা লেখা আমি প্ল্যান করেছিলাম । কিন্তু অফিসে নানা রকম ব্যস্ততার কারণে শেষ পর্যন্ত আর সময় করে উঠতে পারিনি। অবশেষে সব ব্যস্ততাকে নিস্তার দিয়ে আজকে কিছুটা সময় বের করেছি।

গত কয়েক সপ্তাহ জুড়ে মাথার মধ্যে কিছু ভাবনা কিলবিল করছে। সিসিবি আমার জন্য বেশ কনভেনিয়েন্ট একটা প্লাটফর্ম এসব এলোমেলো ভাবনাকে লাগাম লাগাবার।

শুরু করি গত সপ্তাহে সিএনএন-এ দেখা একটা সংবাদ-ক্লিপ বিশ্লেষন দিয়ে।

বিস্তারিত»

পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ১০

৪ মার্চ ২০১৪, বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা ৭টা
ইদানিং প্রথম আলো পড়ি না। আমি মনে করি এরচেয়ে সাদা বরফের দিকে চেয়ে থাকলে কিংবা কোমর ধরে উঠাবসা করলে যথাক্রমে চোখ ও স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তারপরেও মানুষ বিগম্যাক কিনে কিংবা পান করে মনস্টার এনার্জি ড্রিঙ্ক তাই আমিও অসুস্থ স্বাদ পেতে প্রথম আলোর পাতায় ঢুঁ মারি। আজ ঢুঁ মারতেই খেলার পাতায় একটি লেখা চোখে পড়লো। আলোর মাঝে কালোর কষ্ট।

বিস্তারিত»

বাণিজ্য

[এই পোস্টটি অনেকক্ষণ ভেবে দিচ্ছি। একান্তই নিজস্ব ভাবনা। লিপিবদ্ধ করে রাখা দরকার মনে করি, আর অন্যদের এই বিষয়ে ভাবনা জানারও আগ্রহ হচ্ছে কিছুটা।]

প্রথমেই রায়হান আবীর মনে করিয়ে দিল স্ট্যাটাসে যে, “আমরা যা, তা-ই আমাদের সংস্কৃতি” (তথ্যসূত্র/কপিরাইটঃ সামাজিক বিজ্ঞান বই)। এই সুযোগে ওকে ধন্যবাদ দিয়ে নিতে চাই। ডামাডোলে ভুলে যাই এসব সহজ সংজ্ঞা। ছোটবেলায় কত দ্রুত এসব মুখস্ত করতাম, এখন জীবনের পথ চলতে গিয়ে পদে পদে এসব সংজ্ঞার পুনঃপাঠে উপকৃত হই।

বিস্তারিত»

চুলকানির মলম

ঘটনা প্রবাহ ১. আমি যতক্ষনে সব ব্লকড আর জ্যামপ্যাকড রাস্তা দিয়ে ছুটে স্টেডিয়ামে পৌঁছাই ততক্ষনে এলআরবির পারফরম্যান্স প্রায় শেষের দিকে । স্টেডিয়ামের মাঝের বিত্তশালী দর্শকরা তখনো মাত্র আসতেছে, গ্যলারির মাঝের দর্শকরাও আসলে তার গান আদৌ শুনতেছে বলে মনে হল না । ‘গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না’ এই প্রবাদ আসমান থেকে পয়দা হয় নাই, আমাদের দেশেই পয়দা হইছে।জাতি হিসেবে আমরা সব সময়ই হীনমন্যতায় ভুগি। নিজেরা নিজেদের মর্যাদা দিতে না পারলে অন্যদের তো ঠ্যাকা পড়ছে এসে দিয়ে যেতে ।

বিস্তারিত»

বরুনা প্রবালের গল্প – ০২

আবারো টলে উঠলাম দিয়েগোর কথায়, মিসিং এবং পুলিশ ইনভেস্টিগেশন, মানে কোন হালকা ব্যপার না। এর পর সব বলে গেলো দিয়েগো একটানা।

এই এপার্টমেন্টে তেমন একটা ভাড়াটে বদল হয় না মাসে মাসে। নির্ঝঞ্ঝাট এবং বন্ধুবৎসল বলতে যা বোঝায়, প্রবালকে সে দলে ফেলা যায় কোন চিন্তা ছাড়াই। তাই প্রবাল চলে যাওয়ার পর দিয়েগোর মন কিছুটা খারাপ ই ছিলো। গত তিনদিন আগে পুলিশের আগমনে দিয়েগো স্বাভাবিক বলে ভাবলেও,

বিস্তারিত»

বরুনা প্রবালের গল্প – ০১

রাত বাজে তিনটা, বুঝলাম না ঘুম ভেঙ্গে গেলো কেন? নাহ, এলার্ম বাজে নি, চারিদিকে সুনসান নীরবতা, তারপরে ও কি হল? গত তিন মাস যাবত এ রকম হচ্ছে। কোন শব্দ বা বড়সড় আওয়াজ হলে মিমির ঘুম ও তো ভাংতো। মিমি কিন্তু শান্ত হয়ে ঘুমোচ্ছে। মুহুর্তে মনে হলো প্রবালের কথা, পড়ার রুমে এসে ল্যাপটপ খুলে সবগুলো মেসেঞ্জার চেক করলাম, নাহ, প্রবালের কাছ থেকে কোন নোট আসে নি।

বিস্তারিত»

ঢাকা কাহিনী

আমার জন্ম থেকে শুরু করে বেড়ে ওঠা পুরোটাই ঢাকায়, আরো নির্দিষ্ট করে বললে মিরপুরে। কিন্তু ৯৬তে কলেজে যাওয়ার পর থেকে ঢাকার মেহমান হয়ে গিয়েছি। প্রায় পুরোটা সময় কেটেছে কয়েক মাস পর পর কিছুদিনের জন্য ঢাকায় বেড়ানোর মত করে। প্রতিবারই ঢাকায় গিয়ে নতুন কিছু দেখা হয়। কোনটা ভাল লাগে, কোনটা খারাপ আবার কিছু কিছু রীতিমত চমকে দেয়।

গত সপ্তাহেও এভাবে ঢাকা বেড়ানো হলো প্রায় পাঁচ মাস পরে।

বিস্তারিত»

অর্থহীনালাপ

আমি আমার বন্ধুদের অতীত অবয়বগুলোর জন্য প্রবল আকুতি ও বেদনাবোধ করি।

তাদের বর্তমান অবয়ব আমার সাথে মেলে না। শুধু অমিলই না, রীতিমত বিপরীত প্রবণতা দেখি তাদের ভেতরে। এজন্য আমি প্রথম প্রথম খুব ক্ষুব্ধ হতাম। কারণ অতি-পরিচিত এই বন্ধুদের সাথেই তো বেড়ে উঠেছি। আমার সত্ত্বার সাথে তারা মিশে আছে। আমার চিন্তাভাবনার অনেকটাই তাদের ঘিরে গড়ে উঠেছে। এখন হয়তো আমার নিজস্ব ব্যক্তিত্ব সৃষ্টি হয়েছে,

বিস্তারিত»