প্রায়ই মনে হয়, আমরা একটা অস্থির সময় পার করছি। আমি নিশ্চিত, অনেকেরই মনে হয় এমনটা। এই অস্থির সময় নিয়ে চিন্তা করতে যেয়ে মাথায় আসল, আচ্ছা, তাহলে স্থির সময়টা কবে ছিল? ভাবতে যেয়ে পেছনের দিকে তাকাই। মনে হল, আমরা কি আদৌ কখনও কোন স্থির সময়ে ছিলাম? হয়তবা ছিলাম। তবে খুব সামান্য সময়ের জন্য। এজন্যই মনে পড়ে না। অথবা, মানব মনের ধর্মই হয়ত খারাপ সময়গুলোকে মনে রাখা।
বিস্তারিত»প্রণয়োন্মাদের প্রলাপ
শুনলাম কাল নাকি বৃষ্টি হবে-
ছাতা নিয়ে এসোনা খবরদার!
আবার বলছি- ছাতা কেড়ে নেবো ঠিকই,
বৃষ্টিতে ভিজি না অনেকদিন তোমার সাথে;
বৃষ্টিভেজা তোমায় যে দেখিনা কতকাল।
রিকশাওয়ালাদের সাথে একটা চুক্তি করেছি আমি,
কেউ যাবে না আজকে -যেখানে তুমি যেতে চাও।
রোদে হেঁটে, ঘেমে ঘেমে মুখ লালচে করে ফেলো তুমি।
তোমার জন্য রুমাল কিনেছি একটা।
এরপর যখন দেখা হবে-
ইচ্ছে করে চশমাটা ভেঙ্গে ফেলবো আমার।
একজন সুপারস্টার এর গল্প
২০০৪ সাল! ক্লাস সেভেন এ আমরা তখন। সবে মাত্র কলেজে ঢুকেছি তখন। পান থেকে চুন খসলেই তখন ভয়ে আমাদের আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যায়। একদিন কোন এক ইমিডিয়েট সিনিয়র ভাই কি একটা কাজে আমাকে ১১ নাম্বার রুমে পাঠান। আমাদের কলেজে কোন সিনিয়র এর রুমে ঢুকতে হলে দরজার পাশে দাড়িয়ে সোজা সামনের দিকে তাকিয়ে পারমিশন নিতে হয়। ১১ নাম্বার রুমের জন্য স্পেশাল একটা পারমিশন ছিল। মে আই কাম ইন প্লিস এর জায়গায় আমাদের বলতে হতো,”বলে কাছা আমা সুখ”
বিস্তারিত»কিছু ভাবনা, কিছু শঙ্কা
ঘটনাটি খুবই সাম্প্রতিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছে। না এটি নিয়ে আমি লুকানোর কিছু দেখছিনা। ২০১৩ সালে পাশ করা ক্যাডেট কলেজের এক ছেলে একই বছর গার্লস ক্যাডেট কলেজ থেকে পাশ করা প্রেমিকাকে মেরে তক্তা বানিয়ে ফেলেছে। “মেরে তক্তা বানানো” কথাটি এখানে অলংকরণ হিসাবে ব্যবহার করি নাই। জখম হবার পরের একটি ছবি দেখার পরে আমার এই কথা মনে হয়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ পায় “ক্যাডেট নয়” [উদ্ব্যক্তি সংযুক্ত] এরকম একটি ফেইসবুক গ্রুপে।
বিস্তারিত»প্রথম এগার দিন
আমাদের সবার প্রিয় আব্দুল হামিদ ভাই ( ১/১) রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের প্রথম এগার দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি মহাকাব্য লিখেছিলেন। ইআরসিসির গ্রুপ মেইলে পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। এই মুগ্ধতা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হামিদ ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে ডাউনলোড করা মহাকাব্যটি সিসিবিতে প্রকাশ করলাম।
THE FIRST ELEVEN DAYS—IN NEVER NEVER LAND
–Dedicated to first three batches
Far removed from here
Far removed in time
Far removed in space—
Seventeen thousand
Two hundred
Eighty-four days
To be exact—
To date—
On that lazy afternoon
Of February One
Nineteen sixty-six
A French Citroen car
Carried me
Through the winding roads
From northern city Rajshahi
To an unknown destination
I was soon to discover
And initially
Dislike highly.
আমার মা আমার জীবন
ক্লাসে বসে থেকে অনেক কস্টে মিলানোর চেস্টা করছি যে আমি আসলে এখানে কি করছি(!) এমন সময় পাশে বসা ছেলেটা আচমকা জিজ্ঞেস করে বসল, “ভাই, আপনার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত কোনটা?”
কিছুটা সময় নিস্তব্ধ হয়ে গেলাম। আমার জীবন! ক্লাস সেভেনে আনন্দের মুহূর্ত? বারবার জোর করে ষ্টেজে ওঠানো স্যার দের উপর চরম বিরক্ত হয়ে বলতাম “ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়া”
বিএমএ আর বিএনএ তে চাপের মুখে বলতেই হত “গ্রিন কার্ড পাওয়া”
বিস্তারিত»মেঘদূতম্
মেঘের নাম দিলেম মাদকতা,
বৃষ্টিকে উচ্ছ্বাস –
হা তোমার বালিকাবেলা
কাদামাটি
হ্যাঁ বালকের দিনগুলো
উদ্ভাস।
মেঘের ভেতর থেকে
পত্র আসে,প্রণয়ের গুপ্তকথা।
উচ্ছ্বাস তোর বাড়িতে
কে কে থাকে,
বজ্রের ক’জন সখা
আয় তবে সহচরী
এক্ষণে আচরি
প্রেম,
খাম খুলে পড়ো
বিরহী যক্ষ
কি লিখে পাঠালেম
কালার কালো
অক্ষর পড়ে
স্তনশীর্ষ জাগে,
তবু ফিরে ফিরে আসি (হতে পারতো ফেইসবুক, আপাতত সিসিবি)
পাঠক হিসেবে প্রায় প্রতিদিন লগ-ইন করে লেখা ও মন্তব্য পড়ে মন্তব্য করা বড় কষ্টকর। বিশেষ করে নিয়মিত হাতিঘোড়া লেখার অভ্যাস থেকে পাঠকের অবস্থানে নেমে আসলে হাত নিশপিশ করতেই থাকে। সেই অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি ঘটে যখন সামাজিক মাদক ফেইসবুকে যাওয়া আসা বন্ধ করে দেয়া হয়। লোক দেখানো হচ্ছেনা। কি ভাবছি বলা হচ্ছে না। কি দেখছি লেখা হচ্ছে না। ছবি তোলা হচ্ছে না। ফেইসবুকে যাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করেছি।
বিস্তারিত»কথা-রূপকথা
সবাই রাজা হতে চায়, রাজপুত্তুর হতে চায়,
আমিও চেয়েছিলাম।
কিন্তু শেষমেষ কি হল?
হয়ে গেলাম সেনাপতি।
লোহার বর্ম পরে, তরবারি উচিয়ে আমি ঘুরে বেড়াই,
ছায়ার মত লেগে থাকি রাজার সাথে, রানির সাথে,
রাজকন্যার সাথে।
আমি যে সেনাপতি।
আমার চারপাশে কত রাজা-রাজড়ার ভিড়,
ঘোড়া ছুটিয়ে হাতি নাচিয়ে ওরা আসে।
কারও চাই রাজ্য,
কারও বা – রাজকন্যে
কেউ আবার দুটোর আশায় বুক বাঁধে।
স্বপ্ন কিংবা দুঃস্বপ্ন নিয়ে কাঁটাছেড়া
দুঃস্বপ্নময় মাঝরাত
মাঝরাতে হঠাৎ জেগে যখন প্রচণ্ড গরমে আপনি ঘামছেন এবং মাথার উপরে ক্লান্ত নিস্তেজ সিলিং ফ্যানের ঘূর্ণন কিঞ্চিৎকর মনে হচ্ছে, আপনার আশেপাশে কাউকে দেখতে পাচ্ছেন না ডাকার মত কিংবা কথা বলার মত এটা ঠিক সেই সময়ের গল্প। যাপিত জীবনের সকল সাফল্য ছুঁয়ে নিজেকে সফল এবং ভাগ্যবান মনে করে, না হারানোর বিলাস কষ্টে আত্মমগ্ন হয়ে যখন দুঃখবিলাসে ডুবতে চাচ্ছেন হয়তো বা এটা সেই সময়ের গল্প।
চলে গেলেন আবদুর রহমান ভূঁইয়া…
আমার মেঝমামা জনাব আবদুর রহমান ভূঁইয়া আজ ল্যাব এইড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। তিনি দীর্ঘ সময় ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে শিক্ষকতা করেছেন ও কিছু সময় পাবনা ক্যাডেট কলেজেও ছিলেন। এর আগে তিনি আমার মামীকে হারান (ক্যান্সার), দু-মাস পরে তাঁর ছোট ছেলে মুইনকে হারান, কয়েক বছর পরে বড় ছেলে ইনামকে (লেঃ কমান্ডার ইনাম-উস-সালাম, বাংলাদেশ নেভি) হারান (ক্যান্সার)। কমপ্লিট ফ্যামিলিকে হারান তিনি। আজ তিনি চলে গেলেন।
বিস্তারিত»১৯৭১; শহীদ ক্যাডেট ও খেতাবপ্রাপ্তদের তালিকা
ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ
মুক্তিযুদ্ধে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ (সানাউল্লাহ ভাই এর লেখার লিঙ্ক)
ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের নিম্নোক্ত প্রাক্তন ক্যাডেটরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেন :
- মেজর আবদুল খালেক, ১ম ব্যাচ
- ক্যাপ্টেন এ. কে. এম নুরুল আবসার, ২য় ব্যাচ
- মো. মোশাররফ হোসেন, ৩য় ব্যাচ
- ল্যাফটেন্যান্ট মো. আনোয়ার হোসেন, বীর উত্তম,
মুক্তিসংগ্রামে প্রথম ‘ ক্যাডেট শহীদ ’ হিটলু ভাই
২৯ মার্চ ১৯৭১।পাকিস্তানী দখলদার বাহিনী বগুড়া প্রবেশের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। বীর বিক্রমে যুদ্ধ করেন ক্যাডেট শহীদ আব্দুল মোমেন হিটলু [ ২য় ইনটেক আয়ুব ক্যাডেট কলেজ ( রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ) ক্যাডেট নম্বর ৩৫, দ্বাদশ শ্রেণী, কাসিম হাউস ]।অন্যরা পালিয়ে গেলেও তিনি ইউনাইটেড ব্যাংক অফ পাকিস্তান (জনতা ব্যাংক ) এর ছাদে অবস্থান করে লড়ে যাচ্ছিলেন।
বিস্তারিত»“সুন্দরবনে ব্যাঘ্র-বন্ধন”
সুন্দরবন থেকে জানা গেছে আজ সকাল বেলা সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সামনে টাব (TAB—Tiger’s Association of Bangladesh) এর উদ্যোগে এক ব্যাঘ্র-বন্ধনের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়ারদের টাইগার নামে ডাকার এই প্রতিবাদ আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান টাবের সভাপতি।
টাবের সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ” বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই উপর্যূপরি হারের পরেও তাদের টাইগার ডাকায় বাঘ সমাজের ভাবমূর্তি খুবই বাজে ভাবে নষ্ট হচ্ছে। আগে যেখানে বাঘ দেখলেই সবাই সম্মান করত,
বিস্তারিত»লালসার অপমৃত্যু…
৪. চোখে পানি নিয়ে ডান হাতের দিকে তাকিয়ে আছে শফিক। মোমবাতির উপর হাতটা ধরে আছে মিনিট পাঁচেক। হাতের তালুর সাদা অংশটার একটা পাশ আস্তে আস্তে কাল হয়ে এলো। তাও হাত সরাল না শফিক। দাতে দাঁত চেপে ধরে আছে হাতটা, মোমবাতির লেলিহান শিখার উপরে। মাংস-পোড়া গন্ধ আসছে। তাতেও বিকার নেই শফিকের। অপরাধবোধ, কষ্ট যেন দেহের ব্যথাকেও হার মানাচ্ছে। আর একটু হলেই হয়ত ডান হাতের তালু পুরোটা পুড়ে যেত তার।
বিস্তারিত»