স্মৃতিকথন (টুকরো বিনোদন দ্বিতীয় পত্র)

১/ তখন ক্লাস এইটে। ২২৬ নাম্বার রুমে থাকি আমি,নাহিদ আর রিয়াজ। তো নাহিদ হইলো সেই লেভেলের নিশাচর প্রানী, কাজেই ওর একটা অভ্যাস আছিল বিশেষ করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘুমানো নইলে অন্যান্য দিন হলে প্রেপের পরেই এসে ঘুমানো আর লাইটস অফের পরে উঠে সারা রাত জেগে পড়া (সাথে বাকি সব কিছু ফ্রি, ওইটা না বলি)। আমার কাজ ছিল লাইটস অফের সময় ঘুমানোর আগে ওকে ডেকে দেয়া। এদিকে আমার আর রিয়াজের অভ্যাস ছিল যে আমরা মশারীর নিচে ঘুমাইতে পারতাম না কাজেই লাইটস অফের সময় শুধু কোনার বেডের জানালার পাশের মশারী ঝুলত আর আমি মশারি খুলেই ঘুমাতাম।

বিস্তারিত»

খোয়াই পাড়ের গল্প।

হাতেম আলী নামে আব্বার একজন বন্ধু ছিলেন- তাঁর দেশের বাড়ি কোথায় এ মুহূর্তে আমার স্মরণে নাই। এটা মনে আছে যে, প্রায়ই তিনি রাজশাহীতে আমাদের শালবাগানের বাসায় আসতেন। তিনি এসব গল্প করতেন যে, বাড়িতে তাঁর আমার বয়সী দুই ছেলে আছে- যারা চূড়ান্ত ত্যাঁদড়। তাঁরা দিনভর গ্রামের রাস্তায় হাতেপায়ে ধুলো মেখে মার্বেল খেলে বেড়ায়। ছেলেদুটির বিদ্যার রেখা খুব বেশীদূর এগুবেনা- সেটা নিয়ে হাতেম আলীর চিন্তার শেষ ছিল না।

বিস্তারিত»

ব্রাজিল আমার প্রথম ফুটবল প্রেম

সাল ২০০২,চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ি।খেলাধুলা বলতে ক্রিকেট কেই বুঝতাম,ফুটবল অত দেখা হইতো না।ক্রিকেট কে এতই ভালবাসতাম যে বাসায় ডিশ ছিল না দেখে সারাদিন কানের কাছে রেডিও নিয়ে ঘুরতাম স্কোর জানার জন্য।কিছুদিনের মধ্যে দেখলাম বাসার আশেপাশে ব্রাজিল,আর্জেন্টিনার পতাকা ঝুলানো হচ্ছে বুঝতে বাকি রইলো না বিশ্বকাপ শুরু হতে যাচ্ছে।বাসায় আব্বু,চাচাতো ভাই সবাই আর্জেন্টিনার সাপোর্টার আমি তখন ও কোন টিম সাপোর্ট করা শুরু করিনি।
আমি প্রাইভেট পড়তাম বাসার থেকে একটু দূরে স্যার এর ছেলে ছিল না ছিল একটা মেয়ে তখন মনে হয় ক্লাস ১২ এ পড়তো তাই স্যারের বাজার করা,দোকানে যাওয়া এগুলা আমাদের দিয়েই করাইতো।

বিস্তারিত»

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ- আর কতদিন চুপ থাকবেন?

মার্টিন নিমোলার সেই বিখ্যাত As they came… সাথে আমরা মোটামুটি সবাই পরিচিত। প্রথমে জার্মান ভাষায় লেখা হলেও পরবর্তিতে তা বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। এটির বাংলা অনুবাদ/ভাবানুবাদ অনেকটা এরকম-

যখন নাৎসীরা কমিউনিষ্টদের
হত্যার জন্য এসেছিলো
আমি তখন নিরব ছিলাম
কারন আমি নিজে
কমিউনিষ্ট ছিলাম না।
যখন তারা গণতন্ত্রীদের
কারাগারে নিক্ষেপ করলো
আমি তখনও নিরব ছিলাম
কারণ আমি গণতন্ত্রী ছিলাম না।

বিস্তারিত»

“বেদনার রং নীল আর আর্জেন্টিনার জার্সির রং ও নীল”– তাই মাঝে মাঝে কাঁদায়

যে কোন দল সমর্থন করার পিছনে উপযুক্ত কারন থাকে,আমি তাই মাঝে মাঝেই মনে করার চেস্টা করতাম আসলে কি কারনে আমি আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করি।সবুজ হাউজের ক্যাডেট হয়ে নীল রঙের প্রতি আমার এই তীব্র দুর্বলতা সম্ভবত নিজে্রও মেনে নিতে কষ্ট হয়,তাই হয়ত। 😛 (কলেজে থাকা অবস্থায় ক্রিকেটে ইন্ডিয়া ও সাপোর্ট করছি – খামু গালি এখনই, যাই হোক এখন করি না)।
যাই হোক মুল বক্তব্যতে ফিরে আসি।

বিস্তারিত»

অতসীর সতীন

http://www.cadetcollegeblog.com/raihan1303/34732 (এ সিরিজের প্রথম গল্প)

http://www.cadetcollegeblog.com/raihan1303/36719 (এ সিরিজের দ্বিতীয় গল্প)

 

অতসী এখন অনেক বড় হয়েছে। সে এখন একটা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী……সারাদিন বিজি থাকে। যখন তাকে ফোন দেই, “আমি তো পড়ছি, পরে কথা বলি?” বা “ক্লাসে এখন……পরে ফোন দেই?” টাইপ কথা শুনতে হয় আমার। আমি এইদিকে আমার স্টুডেন্ট নিয়ে বিজি, সন্ধ্যাবেলা আমার নিজেরই ক্লাস ৯ এর বাচ্চাগুলোকে সময় দেয়া লাগে।

বিস্তারিত»

কোথায় পাবো এমন মানুষ!

দিনটা এমনভাবে শুরু হবে ভাবিনি। মোবাইল নিঃশব্দ করে ঘুমাই। আজ জেগে উঠেই দুঃসংবাদ নিয়ে আসা সুকান্ত গুপ্ত অলকের ক্ষুদে বার্তাটি পড়ে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। বেনজির ভাই নেই! মুহূর্তের জন্যও কিছুতেই বাস্তবটা মাথা থেকে সরাতে পারছি না, বেনজির আহমেদ আসলেই আর নেই।

প্রথম পরিচয় কবে? মনে নেই। রাজনীতি করতেন না, কিন্তু আওয়ামী লীগ ও কমিউনিস্ট পার্টি’র (সিপিবি) সবার সঙ্গে ঘণিষ্ট ছিলেন। আশির দশকে সচিত্র সন্ধানী অথবা একতা’র সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে পরিচয় হয়েছিল।

বিস্তারিত»

জ্বরে পুড়ে ফুটবল জ্বরঃ প্রথম প্রেমে পড়িনি।

শেষ বিকেলের রোদ এসে পড়ছে চোখে। বাবার কোল থেকে নেমে দাঁড়ালাম। গাজীপুর সেনানিবাসের ডুপ্লেক্স বাড়ির সামনে বেশখানিকটা গাড়িবারান্দার শেষ প্রান্তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ভাইয়া। লনে হাঁটছে শফিক মামা। ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকিয়ে দেখি দোতালার বারান্দায় বসে মা হাসছে। লজ্জায় পা নড়াতে পারছি না। আমার পায়ের সামনে বলটা ছেড়ে দিল বাবা। আজকে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার খেলা হবে। আজকে আমি ব্রাজিল, কারণ গতকাল ভাইয়া ছিল ব্রাজিল। বল নিয়ে গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে ভাইয়ার সামনে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেললাম।

বিস্তারিত»

একটি পারিবারিক ফুটবলীয় গল্প

বিশ্বকাপ/ফুটবল প্রসঙ্গে আমার লেখাটি কতোটুকু প্রাসঙ্গিক তা জানিনা।বিশ্বকাপ এর শুরুতে প্রচণ্ড ফুটবল প্রেমিক একজন মানুষের কথা শুনতে হয়তো সবার ভালোই লাগবে

ক্যাডেট কলেজের ফুটবলের কথা আশাকরি সবারই মনে আছে। আহ!কি রোমাঞ্চকর দিনগুলি। নভিসেস ড্রিল এর আগে হাড় ভাঙা পরিশ্রমের মধ্যে মাঝে মাঝে যখন বিকেলে ড্রিলের জায়গায় গেমস করার সুযোগ পাওয়া যেত,মনে হতো “এত সুখ কি আমার কপালে সইবে?” নাহ! সুখ বেশীদিন সয়নি।

বিস্তারিত»

একটি সুখস্বপ্ন

[বিঃ দ্রঃ সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা 😛 ]

এক্স ক্যাডেট হওয়ার প্রায় তিন বছর পেরিয়ে গেছে। কলেজকে আগের মত এখন আর মিস করা হয়না, মাঝে মাঝে আশপাশের কিছু কিছু ঘটনায় কলেজের কথা খুব বেশী মনে পড়ে যায়। মাঝে মাঝে বৃহস্পতিবার রাতে ডিভিডি শো গুলোর কথা মনে পড়ে, কিংবা বাস্কেটবল গ্রাউন্ড দেখলে কলেজের বাস্কেটবল গ্রাউন্ডটাকে খুব মিস করি। মনে পড়ে ক্লাসে কিংবা প্রেপে দোস্তদের সাথে আড্ডা কিংবা ফাজলামির কথা,

বিস্তারিত»

রাজশাহীর পুঠিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাসেবায় নতুনমাত্রা

এমন হতভাগা কেউ আছেন যার পা ভেঙ্গেছে ? প্লাষ্টার করার পর ডাক্তার যখন বলেন ঐ পায়ে ভর দেবেন না । সাথে যত বন্ধু বান্ধবই থাক কেমন লাগে ? তারা আপনাকে যথাসম্ভব উঁচু করে রাখলেও কিন্তু খুবই অসহায় লাগে । এ অবস্থায় একটি হুইল চেয়ার আপনার কষ্ট অনেকখানি কমিয়ে দিতে পারে। একজন চলৎশক্তিহীন প্রতিবন্ধী রিক্সা , ভ্যান বা অন্য কোন যানবাহনে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌছালো । জরুরী বিভাগ বা অন্যকোন শাখায় সেবা নিতে সে যখন গড়িয়ে গড়িয়ে,

বিস্তারিত»

এবার তারিক (২০/১১৫২/ঝ.ক.ক.)

আমাদের সদা হাস্যোজ্জল বন্ধু তারিক (তারিকুল ইসলাম তালুকদার) আজ সকালে আমাদের ছেড়ে চলে গেল। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। অনেক রাত পর্যন্ত ভাবীর সাথে গল্প-গুজব আর হাসি ঠাট্টা করে সকালে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেল তারিক।যতদূর জানলাম, সকালে বাথরুমে যেয়ে আর ফেরেনি তারিক, বড় মেয়ের সন্দেহে ভাবী স্কুল থেকে এসে দরজা ভেঙ্গে তারিককে ফ্লোরে শোয়া দেখতে পান, নাক দিয়ে ব্লিডিং হচ্ছিল দেখে সন্দেহ করা হচ্ছে ওর হয়তো ম্যাসিভ স্ট্রোক হয়েছিল।

বিস্তারিত»

মণ্ডল থেকে সরকার-২য় পর্ব

প্রপিতামহ

বাপুরে, তুমরাও তো মুণ্ডল আচেলে ।বাড়িউ আচিলি মুণ্ডল পাড়াত। বড়লোক হয়া সরকার হয়া গিচো। ঝুমর মুণ্ডলের ব্যাটা  হারু মুণ্ডল । তার ব্যাটা পাঁচু মণ্ডল । তার ব্যাটা ছেরফাত সরকার, তুমার বাপের দাদা।ট্যাকা কড়ি বেশি হয়া  সরকার হয়া গেলো।

ছেফাত উল্লাহ সরকার, পিতাঃ পাঁচু মণ্ডল/সরকার, গ্রামঃ মাড়িয়া, থানাঃ বাগাতিপাড়া, মহকুমাঃ নাটোর, জেলাঃ রাজশাহী। তিনি বিয়ে করেছিলেন গালিমপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে।হিন্দু জমিদারদের শাসনামলে তাদের পুকুর ,

বিস্তারিত»

ঘরট্ট (সম্ভবত পাঁচ-ছয় পর্বের একাংশ)

সাবজেক্ট হিসেবে দর্শন যে এতো আগ্রহোদ্দীপক সেটা আগে বুঝিনি। দর্শনপাঠ আমাকে সত্যিই অবাক করেছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে দর্শনের শুরুটাও মানুষের অবাক হবার ক্ষমতা থেকে। অবাক বিস্ময়ে মানুষ নিজেকে প্রশ্ন করেছে, আচ্ছা আমরা কোত্থেকে এলাম? এই পৃথিবীটা আসলে কিসের তৈরি? আকাশে নিয়ম করে র্সূয উঠে, চাঁদ ডুবে, রাতের আকাশে ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার নক্ষত্রকণা – এতোসব আয়োজন – এর পেছনের রহস্য কি? প্রচলিত পূরাণকাহিনী অনুযায়ী এসব এক একজন দেব-দেবী কিম্বা তাদের কোন যাদুকলা। 

বিস্তারিত»

ঘরট্ট (প্রথম পর্বের কিছু অংশ)

আমরা এখন গুলিস্তান বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছি। কিছুক্ষণ আগে এইখানে বানরের খেলা দেখানো হলো। আমাদের এতো কাছে যে না চাইতেও আমরা গোল হয়ে ঘিরে থাকা দর্শকের ভীড়ে মিশে গেলাম। তাও আবার প্রথম সারিতে। বানরের নাম মন্টু মিয়া। খেলার সর্বশেষ আইটেম হিসেবে মন্টু মিয়া এখন বউ খুঁজতে বেরুবে। কী আর্শ্চয! মন্টু মিয়া আমার সামনে এসে লাফালাফি শুরু করে দিল। চারপাশ থেকে তুমুল হাততালি। এতো দুঃখের মাঝেও আমার খুব হাসি পেল।

বিস্তারিত»