আর কত ?

আর কত দিন এভাবে চলা ?
পারিনা তবু হয়না বলা
সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে
ভাবনার জগতে আসি ফিরে।
হিসাব মেলেনা ইট পাথরের
কিংবা শাড়ী গয়নার,
না পারি অংক না পারি বিজ্ঞান
তবু তাকে বলি বাস্তব জ্ঞান।
হে  মোর আধুনিক পাঠশালা
দেখি শুধু ছলাকলা।
গা ভাসিয়ে সাগরে জলে
ঢেউ গুনে গুনে
করি নিজের অবহেলা।

বিস্তারিত»

পাখিজীবন

ছোট্ট খুকুর হাত ধরে অমন চরকি ঘুরান দিলে প্রথম দুএক পাক খিলখিল
বিনুনি খসে রিবন ওড়ে,পা থেকে চপ্পল,অশ্রু উড়ে যায় তারপর সংশয়মেঘ
হাতে বেদনা বোধে ভয়-একসময় ঠিক বোঝে খুকু এটাই জীবন।
মা বলেছিল,”অ মিলু,অত উঁচুতে উড়িসনা,পড়ে যাবি।”
মালবিকা কিন্তু তখনো ওড়েনি।

তৃতীয়বার গর্ভপাতের পর বিকিকিনির হাটে একজনকে মানুষ ভেবে ভুল
তারপর দশতলার ছাদ থেকে জীবনের প্রথম এবং শেষ উড়ান
দুহাত মেলে পতনের পথে উড়তে উড়তে সে ভাবল
তার এই নতুন অভিজ্ঞতা কারো সাথে ভাগাভাগি করা হলোনা!

বিস্তারিত»

যতি চিহ্ন

গতকাল একরাম কবীর ভাই জেসিসির একটা পোষ্ট থেকে জানলাম একজন ক্যাডেট চলে গেছেন।
Our JCC mate Enamul Munir (871/HH) has expired this morning at his Dhaka residence. Innalillah-e-wainna ilaihe raziun.
He possibly passed away in his sleep after a heart attack. His body is being taken to Chuadanga for burial. 
Please pray for our friend.

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজের চিঠি

প্রিয় দেবী,

প্রথমেই বলি তুই তুই করে লিখতে পারবো না। মনে হয় পাশের বেডের মুকতাসিদের সাথে ঝগড়া করে চিঠি পাস করছি। কেমন আছো তুমি? যেমনই থাক, এই চিঠি পড়ার পর খুব ভাল থাকবা। ধরে নিচ্ছি স্যার পড়ার আগেই হাউজ বেয়ারাকে ম্যানেজ করে চিঠি নিয়ে এসেছো।

তোমার চিঠি পেলাম দুইদিন হলো। আচ্ছা তোমরা কি কলেজে মোবাইল নিবা না? আর কতদিন বাংলা রচনায় পড়বে প্রযুক্তির ব্যাবহার।

বিস্তারিত»

মনস্তত্ব এবং মনোঃছবি – কিছু এলোমেলো স্মৃতি ও বিক্ষিপ্ত চিন্তা

মনস্তত্ব এবং মনোঃছবি – কিছু এলোমেলো স্মৃতি ও বিক্ষিপ্ত চিন্তা

[এটা সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্যবিহীন বিক্ষিপ্ত একটা লেখা – অনেকটা বকবকানির লিখিত ভার্শন]

মনের চাপ খুব বাজে একটা ব্যাপার। কোন কাজে মন বসে না, আর চাপটা বাড়তেই থাকে। এরকম চাপ মন থেকে বের করে দেয়াই ভাল। কিন্তু আসলে কিভাবে তা বের করা যায়, তা আমরা আর কতটুকুই বা জানি। হয় কাউকে ধরে মনের কথাটা বলা শুরু করি – তাও তো আবার অনেক সংশয় – বলা ঠিক হচ্ছে কিনা – কিরকমের প্রতিক্রিয়া হতে পারে – আমার কথাটা ঠিকমত বুঝবে তো – আমার কথাটার গোপনীয়তা থাকবে কিনা – কথাটা কোথাও মিসকোটেড হবে কিনা – আরো কত যে চিন্তা!

বিস্তারিত»

ইচ্ছে-ঘুড়ি-১

সেল ফোনে নতুন অপরিচিত একটা নাম্বার ভেসে উঠে। ফোনটা ধরা মাত্রই পরিচিত গলা। জিজ্ঞাসা করলাম “এইটা কি তোর নতুন নাম্বার?”
“হ্যাঁ।“ সংক্ষিপ্ত উত্তর দিল আমার সেজ ভাইয়ের মেয়ে মানে আমার আপন ভাতিজী। অপর প্রান্ত হতে-
“বন্ধু চাচু, আমার একটা টেস্ট পেপার লাগবে। খুলনাতে সব বইয়ের দোকান অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ। কি এক কারণে তা জানি না।“ আমাকে টেস্ট পেপারের প্রকাশনীর নাম,সাইন্স কি আর্টস,ইত্যাদি বিস্তারিত বুঝাই দিল।

বিস্তারিত»

পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ৯

২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪, মঙ্গলবার রাত বারোটা ৪ মিনিট

সবাই কিছু না কিছু বলছে। কবিতা, গুছিয়ে কিছু মনের কথা। আমি পারছি না। এর আগেও পারি নাই। স্বীকার করতে হবে ২৫শে ফেব্রুয়ারী হত্যাকান্ডের ব্যাপারে আমার মাঝে জোরালো নিস্পৃহা কাজ করে। আজকে বিকালে ক্লাশ শেষে চিন্তা করছিলাম কেন এমনটা হচ্ছে। বিশেষ কোন ঘটনা কি ঘটেছিল? মনে করতে পারলাম না। তবে কি আমার চেনা পরিচিত কেউ প্রাণ হারাননি দেখে এরকম হচ্ছে?

বিস্তারিত»

বিপদের বন্ধু বিপ্লব

অনেক দিন আগে একটা কবিতা খুব নাড়া দিয়েছিলো আমাকে। আবছা ভাবে একটু মনে আছে- “তোমাদের হিসেবী খাতায় বীর নেই, শহীদ রয়েছে শুধু” । জীবিতদের মূল্যায়নে বড্ড কৃপন আমরা। তাই কবির আক্ষেপ প্রকাশ কবিতায়। আমার খাতায় কিন্তু বীর আছে-

বিপদের বন্ধু বিপ্লব

কম কথা বলা বিপদের বন্ধু।
দিল খোলা আবু উলা
মোঃ হাসিনুল ইসলাম।

পরলোকগত বন্ধুদের স্মরণে “ক্যাপ্টেন কারজিয়াস” এবং “থ্রি কমরেডস” ভাগ্যক্রমে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলো।

বিস্তারিত»

দাসের আত্মকথা

জন্ম জন্মান্তরে কিংবা দেশ দেশান্তরে
ঘুরপাক খাই সেই একই বৃত্তে ।
যেদিকেই  যাই গন্তব্য কৃষ্ণগহ্বরের কেন্দ্র।
কেনই বা নয় ?
সেই অনন্যতার টান কে কাটাতে পারে ?
ফোটনের মত হালকা আর চটপটে হলে
একটু সময় নিয়ে আত্মসমর্পন।
ও হো, আমিতো ভুলেই গেছি
সেখানে সময়ও স্থির।

প্রথম জন্মে নিশ্চয় মাকড়সা ছিলাম
রাণীর প্রেমে আত্মবলিদান।
কখনও পুরুষ মথ বা মৌমাছি
সন্তানের মুখ দেখার পূর্বেই মৃত্যু।

বিস্তারিত»

পিলখানা

পিলখানা

বিদ্রোহ কি এতই সস্তা ?
মুর্খ আর জালিম !
বর্বরতায় প্রাণ হারালো
মাকসুম উল হাকিম।

কেমন ধারা দাবী দাওয়া
আদায় করতে দরবারে ?
ভাই বন্ধু নেতার প্রাণ
কলংকিত বলাৎকারে !

পিলখানাতে একাত্তর
ফিরে এলো নারকতা !
বাকরুদ্ধ শোকে মোরা
ডুকরে কাঁদে মানবতা !

কাদা ছিটিয়ে ঘোলাপানি
ধরা পড়ে পুঁটিমাছ !

বিস্তারিত»

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের থিম সং এবং মিউজিক ভিডিও

গত পরশুই মাত্র থিম সং টি শুনলাম। গানটা ভাল লেগেছে কিন্তু সিক্সটিন সিক্সটিন কেন বলছিল বুঝতে পারছিলাম না। আশাকরি লেখাটা পড়ে এবং গানটা শুনে সিক্সটিন সিক্সটিন কেন বলা হচ্ছিল সেটার উত্তর কেউ দিবেন। যাই হোক সেটা বাদে রেফায়াত আহমেদ ও অনম বিশ্বাসের কথায় এবং ফুয়াদ আল মুক্তাদির ও কৌশিকের সুরে গানটি ভালই লেগেছে যদিও গানের সুর কিংবা গানের কথা বাংলাদেশকে পুরোপুরি রিপ্রেজেন্ট করতে পারেনি। আমরা শত চেষ্টা করেও খাটি বাংলা গান বানাতে পারলাম না।যতটুকু না ঢুকালেই নয় যেমন স্টেডিয়াম কিংবা ক্রিকেট এসব বাদেও আরো ইংরেজীকে ঢুকাতেই হল।

বিস্তারিত»

পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ৮

১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪ রবিবার বিকাল ৪টা
ভালোবাসার ফুড প্রসেসরে
যাচ্ছে ‘কেটে’ দিনরাত্রি।
ফিরে এসো গরু হয়ে।
খেয়ে নাও ঘাসটুকু,
জাবর কেটো পরে।
তবু দোহাই লাগে-
কেটোনা মোরে এই
ভালোবাসার ফুড প্রসেসরে।

প্রচারে – মাথা নষ্ট

পেছনের কথাঃ এই ছড়াটা লিখেছি যখন প্রেমিকার সাথে সোভিয়েত রাশিয়া সময়কার স্নায়ু-যুদ্ধের আদলে যুদ্ধ শুরু হলো। কথা বললে উত্তর মিলে না।

বিস্তারিত»

টঙ

ধাক্কাধাক্কি করে বাসে উঠা, মানুষের ভীড়ে দম ফেলে বাঁচার আকুলতা, কানের কাছে প্রচণ্ড জোরে হর্ন শুনে মনে মনে চালককে গালি দেয়া, চলন্ত গাড়ির মাঝেই রাস্তা পাড় হওয়া সব ই যেন কতই না গুরুত্ববহ।

টানা পাঁচদিন হরতাল আর দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটির জন্য দেরী করে ঘুম থেকে উঠাও হয় না। অথবা ঈদ-পূজার টানা ছুটিও পাওয়া হয় না।

ব্যাস্ত রাস্তায়, মানুষের উপচে পড়া ভীড়ে চলার সময় বন্ধুদের বলা হয় না- দোস্ত দাঁড়া,

বিস্তারিত»

সিসিবি আড্ডা (বিজনেস টক) এবং চা-চক্র – আপডেট ফেব্রয়ারী ২৩ (সাময়িক পোস্ট)

আপডেটঃ প্রথমেই দুঃখিত বই উন্মোচন পর্ব অনুষ্ঠিত না হওয়ায়। বিষয়টি আসলেই বেশ হট্টগোল এবং জটঘট প্যাকানো বিষয়। বইমেলার আসলে চারটার পর না যাওয়াই ভালো। অস্বাভাবিক ভীড় হয়ে যায়।
জেট ল্যাগের প্যাঁচে যাতে না পরতে হয় এজন্য আমি যেদিন আসি সেদিনই বের হয়ে যাই। এবারও সাতটায় পৌঁছে বারটায় ঘর থেকে বের হলাম। তারপর বই মেলায় গেলাম। আমার সাথে আরও তিনজন ভার্সিটিতে পড়া মেয়ে ছিল যাদের মধ্যে দুজন এই প্রথম বই মেলায় গেল।

বিস্তারিত»

কেমন আছি?

মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ থাকে।
আজ ঘুম ভেঙেছে ভেন্টিলেটরের বাসিন্দা চড়ুইপাখির কল্যাণে। ভোর ৫ টায়। সিলিং ঘেঁষে ওড়ার সময় প্রকৃতির ডাক সে এড়াতে পারেনি। ঠিক মুখের উপর পায়খানা করে দিয়েছে। ( পায়খানা বিষয়ক সিরিজ স্ট্যাটাসের বিরুদ্ধে মৌন প্রতিবাদ সম্ভবত)।
শীত- গ্রীষ্ম সবসময়ই মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর কল্যাণে পয়ঃনিষ্কাশিত বর্জ্যের আলিঙ্গন লেপের উপর দিয়ে গেলেও পূতিগন্ধময় নারকীয় দুর্গন্ধটা কিছুতেই এড়ানো গেল না। শুয়ে শুয়েই দিব্যদৃষ্টে দেখলাম পরীক্ষা শেষে রুমে এসে জ্বালিয়ে দিয়েছি চারটা ভেন্টিলেটর,

বিস্তারিত»