অভিনন্দন

অভিনন্দন সব সদস্য দের। সিসিবি এর সদস্য দেখি ১০০ ছাড়িয়ে ১০১ এ দাড়িয়েছে। দারুন ব্যাপার। এই তো সেদিন
মনে হয়, ৩০ জন দেখলাম। :salute: কিন্তু সবাই আরো সক্রিয় হওয়া দরকার

বিস্তারিত»

বৃষ্টি এবং ফুটবল এর গল্প

কালকে রাত এ অফিস এর কিছু প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করছিলাম। কাজ করতে করতে কখন যে রাত পার হয়ে ভোর হয়ে গেছে টের পাই নাই। হঠাৎ তাকিয়ে দেখি ভোরের আলো এবং বৃষ্টি। বৃষ্টি দেখেই মনে পড়ে গেলো কলেজ এর সকাল এর কথা । প্রতিদিন পিটি এর সময় চিন্তা করতাম বৃষ্টি নামে না কেনো? ইস , একটু বৃষ্টি নামলেই ত সবাই দোয়া করতাম আরেকটু জোরে নামতো যদি।

বিস্তারিত»

আমার বন্ধুয়া বিহনে

ক্লাস নাইনে একবার আমার খুব জ্বর হলো। রাত ২ টার দিকে ঘুম ভেঙে গেলো। টের পেলাম জ্বরে সারা শরীর পুড়ে যাচ্ছে। আমি উঁহু, আহা করছি।
পাশের বেডে থাকতো মাসুদ। আমার গোঙানি শুনে ও ঘুম থেকে উঠল। বিছানা থেকে নেমে এসে আমার কপালে হাত রাখল।
-তোর তো অনেক জ্বর। চল হাসপাতালে নিয়ে যাই।
-এখন এতদূর হেঁটে যেতে পারবো না। একটু কমুক, সকাল বেলায় যাব।

বিস্তারিত»

জাহেল,আনপড়াহ……

আমাদের ইসলামিয়াতের টিচার আনিস স্যার। সদ্যই ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করেছেন। প্রথম ক্লাস নিতে এসেছেন আমাদের ক্লাসে। স্যার পড়াতে পড়াতে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে যান। স্যার পড়াচ্ছিলেন জিহাদ নিয়ে । “জিহাদ হলো রিপুর সাথে। জিহাদ হলো নিজের নফসের সাথে। (স্যার অলরেডি জিহাদী জোসে উত্তেজিত ও বলার সাথে সাথে নিজের বুকে দুম দুম করে কিল দিতে থাকলেন) “জিহাদ ইন মাই চেস্ট ( দুম করে বুকে কিল) , জিহাদ ইন মাই মাইন্ড (আবার বুকে কিল) “।

বিস্তারিত»

গরু, তোমরা সব গরু

“বেহেশতের দারোয়ানকে একটা রাঙামাটির তরমুজ দিও। তাহলে ওখানে সহজে ঢুকতে পারবে।” ভুগোল পড়াতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন সম্পদের গুণমাণ বোঝাতে এমনটাই বলেছিলেন আমাদের শিক্ষক অধ্যাপক এম এ কাশেম।

গত শনিবার হৃদরোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে অপারেশন টেবিল থেকে তিনি আর ফিরে আসেননি। দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন তিনি। শুধু ক্যাডেট কলেজেই ৩৪ বছর। ১৯৫৮ থেকে ১৯৯২ সাল। এর মধ্যে অল্প সময়ের জন্য বরিশাল ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজে গিয়েছিলেন।

বিস্তারিত»

মকবুল বুড়োর গ্রামে

খুব ভোরে ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো। ফযরের আযান কানে এলো। নামাযটা পড়ে ভাবলাম যাই গ্রামটা একটু ঘুরেই আসি,কাল রাতেই বেড়াতে এসেছি এইগ্রামে। বাইরে এখনো অন্ধকার কাটেনি,আবছা আলোতে চারপাশ কেমন যেন রহস্যময় লাগছে। হাঁটতে হাঁটতেই বড় দীঘিটার পাশে চলে এলাম।
কি সুন্দর শাপলা ফুটে আছে দেখেই মনটা ভালো হয়ে গেলো। হঠাত একটা শব্দ কানে এলো,কারা যেন কথা বলছে,অন্ধকারে ভয় পেয়ে গাছের আড়ালে দাঁড়ালাম। তাকিয়ে দেখি দুজন নারীপুরুষ হাত ধরাধরি করে হাটছে,আর হাসাহাসি করছে,মেয়েটার হাত ভরতি শাপলা।

বিস্তারিত»

আমার আপুসোনা-২ (এক স্বপ্নের সকাল)

(এক স্বপ্নের সকাল)
********************

-তপুউউউউ , উঠলি তুই?
-উমমম…
-এই নিয়ে আমি ১০ বার ডাকলাম । উঠ।
-হুমম এইতো আপু আর একটু।
-নাহ আর একটুও না। তোর না আজ ক্লাস আছে।
-আরে আপু কি কর , বালিশ সরাও কেন। উঠতেছি তো।
উফফ কি যে সমস্যা। এই বৃষ্টির সকালে কি আর কোথাও যেতে ভাল লাগে। আজকে ক্লাস আছে কিন্তু এর থেকে এই বৃষ্টিতে ঘরে বসে ১১টা পর্যন্ত ঘুমানোর উপরে কিছু কি আছে?

বিস্তারিত»

আমার আপুসোনা-১

[ডিসক্লেমার – সবাই এখন ক্যাডেট কলেজের স্মৃতিচারণ করছে। আমার ও অনেক কিছু লেখার ছিল কিন্তু অনেকদিন ধরে বেশ ব্যস্ত সময় পার করাতে একটু লেখার সাথে কোন সম্পর্ক নাই। তাই একটা অফটপিক পুরান লেখা দিয়ে দিলাম। কেউ মাইন্ড খাইয়েন না। আগে আমাদের এখানে চাটনি হিসাবে কিছু লেখা দিত তারেক(কনফুসিয়াস) ভাই। উনি বহুদিন চাটনি দেয়া বন্ধ করে দিছেন। আমার এই লেখা তাই সবাই চাটনি হিসাবে নেন। ওহহ এখন এত ভাল ভাল লেখক আমি লেখালেখি করি এইটা বলতে নিজেরই লজ্জা লাগছে।

বিস্তারিত»

গভীর রাতে কয়েক কিশোরের অ্যাডভেঞ্চার

তখন ছিল গভীর রাত। শীতকালে রাত ১২টা মানেই অনেক। পেছনে পাহাড় আর সামনে বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে সবুজের এক সমতলে ইট-কাঠ মাঝে নিয়ে গাছগাছালির ১৮৫ একরের বিশাল ক্যাম্পাসে সবাই ঘুমিয়ে। নাইট গার্ড কয়েকজন লাঠি নিয়ে ক্যাম্পাস পাহারা দিচ্ছে। আর একটু পরপর হুইসেল বাঁজিয়ে তাদের চলছে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ। সময়টা ১৯৮০ সাল।

এমন সময় ডাইনিং হলের পেছনে একে একে এসে জড়ো হলো আট-দশজন কিশোর। সবার বয়স ১৭-১৮ হবে।

বিস্তারিত»

আজকে রেজাল্ট ছিলো

আজকে এস.এস.সির রেজাল্ট দিয়েছে। প্রতিবছর এইদিনটাতে আমি অতি উদ্বিগ্ন মুখ নিয়ে টিভির সামনে বসে থাকি, বেশির ভাগ সময়ই আমার আত্মীয় স্বজন কেউ থাকে না পরীক্ষার্থীর মাঝে, থাকে এমজিসিসির কয়েকজন বাচ্চা পুলাপাইন।
এবার এমজিসিসির সবাই জিপিএ ফাইভ, সব্বাই।
চোখে পানি চলে আসলো। একদম ঝরঝর করে পানি চলে আসলো।
টিভিতে দেখা গেলো কয়েকটা মেয়ে ইয়েল দিচ্ছে, চেনা মুখ পেলাম না কোন, কি আশ্চর্য! বেশি দিন তো হয়নি কলেজ ছেড়ে আসছি!

বিস্তারিত»

ক্যাডেট জীবন : বন্দীত্ব না মুক্তি

লেখাটা লিখেছিলাম আমাদের ব্যাচের ব্লগসাইট www.ccr19.com এ আমাদের ক্যাডেট কলেজে ভর্তির 14 তম বার্ষিকী উপলক্ষে । বাইরের সবাই ভাবে ক্যাডেট কলেজ বুঝি একটা জেলখানা । ক্যাডেট কলেজে থাকার সময় আমারও এমনই ধারনা ছিল। কিন্তু যখন কলেজ থেকে বের হলাম দেখলাম আসলে ক্যাডেট কলেজেই বেশি উপভোগ করেছি সময়টা। নিয়মের মধ্যে থেকেও যেন অন্যরকম স্বাধীন ছিলাম। আমার কবিতাটা এ উপলদ্ধি থেকেই লেখা। আপনাদের মতামত জানতে পেলে খুশি হবো।

বিস্তারিত»

এরশাদকে কালো পতাকা দেখিয়েছিল কিছু তরুণ

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যখন খুনি চক্র সপরিবারে হত্যা করে তখন আমার বয়স মাত্র ১৪। অষ্টম শ্রেনীতে পড়ি। একে তো ওই ঘটনার তাৎপর্য বোঝার বয়স তখন ছিল না; দ্বিতীয়ত, ক্যাডেট কলেজের মতো সেমি কারাগারে রাজনীতিটা একরকম নিষিদ্ধ বস্তু। মনে পড়ে, ক্লাস কক্ষে একজন শিক্ষক এসে আমাদের বঙ্গবন্ধু হত্যার তথ্যটি জানিয়েছিলেন। ব্যাস ওইটুকুই।

১৯৮১ সালে যখন চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমানতে হত্যা করা হয়, তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়ি।

বিস্তারিত»

চাপাতির সঙ্গে আমার ছয় বছরের শত্রুতা

চাপাতি খেয়েছেন কখনো?

আঁতকে উঠবেন না। এটা আঘাত করার অস্ত্র নয়। নিতান্তই সহজপাচ্য একটা খাদ্যপণ্য। এটা গমের আটা দিয়ে তৈরি।

আটার রুটি বললে আমাদের চোখে সহজেই ভাসে একটি খাদ্যের চেহারা। রুমালি রুটি, গরম গরম পেলে মনে হয় মাক্ষন্! কিন্তু গমের আটা দিয়ে তৈরি চাপাতি কি জিনিস?

১৯৭৪ সালের ১৪ আগস্ট লাল্টু-পল্টু ধরণের ৫৬টি বালক (শিশু বললে কি খারাপ শোনায়?

বিস্তারিত»

পাহাড় চূড়াটা আমাকে নির্জনতায় মগ্ন হওয়ার সাহস জোগায়

কলেজ ক্যাম্পাসে আমার একটা প্রিয় জায়গা ছিল ডাইনিং হলের পেছনের পাহাড় চূড়া। কতো রাত ওখানে বসে সাগরের গান শুনেছি! বন্ধু মামুন অথবা শাহীনকে নিয়ে ওই চূড়ায় বসে হতো কিশোর বয়সের কতো গল্প! কখনো কখনো গলা ছেড়ে গান, তাও চলতো। ওখানে বসে শাহীন গান তুলতো উঁচু গলায়, বব মার্লি কিম্বা জোয়ান বায়েজের সঙ্গে প্রথম পরিচয় আমার এই ক্যাম্পাসেই।

অমাবশ্যা অথবা পূর্ণিমা যে কোনো রাতেই ছোট্ট এই পাহাড় চূড়াটা ছিল দারুণ।

বিস্তারিত»

সাত দিনের পথ – বিষাদ পর্ব

একাডেমি ব্লকের সামনে বিশাল গোলচত্বর। তার একেবারে মাথায় লেখা “শিক্ষা ভবন”। এটাকে জিরো পয়েন্ট ধরছি। সাত দিনের পথের দূরত্ব মাপার জন্য। ইলেভেনের এক্সকারশন, যাত্রা শুরু হয়েছিল এখান থেকেই। ফিরেও এসেছি এখানে। মাঝখানে সাতটা দিন, সরণ শূন্য, কাজ শূন্য, কিন্তু অনুভূতি অসীম। সেই অসীম শূন্যতার কথা লিখতে বসেছি। সেই অনুভূতির কথা যার জন্য ক্লাস সেভেন থেকে ইলেভেন পর্যন্ত পাঁচটা বছর অপেক্ষা করেছি, যেটা শেষ হয়ে যাবার পর মনে হয়েছে কলেজ ছেড়ে অচিরেই চলে যেতে হবে।

বিস্তারিত»