কয়েকদিন আগে তারেক ভাইয়ের কথা মতো তার পরিচিত এক বন্ধুর বাসায় গেলাম এক্স-ক্যাডেট গেঞ্জিটা হস্তান্তর করতে। তারেক ভাইয়ের সেই বন্ধুর নাম সানি। তো সানি ভাই আমাকে ড্রইং রুমে বসিয়ে জানতে চাইলেন তারেক ভাই আমার কি হন। আমি বলি ভাই হন। উনি মাথা নাড়েন। মৃদু স্বরে জানতে চান কেমন ভাই? চেহারায় তো তারেক ভাইয়ের সাথে তোমার কোন মিল নাই। আমি বলি ক্যাডেট ভাই। তখন উনি একটা সবজান্তা টাইপ হাসি দেন।
বিস্তারিত»যোগদান
সালাম সবাইকে । আজ ক্যাডেট কলেজ ব্লগ এ যোগ দিলাম । এখন থেকে লিখব।
বিস্তারিত»আচার-০০১
ক্যাডেট জীবনের প্রথম স্টেজ কম্পিটিশানে গিয়া বিরাট পঁচাইলাম, এইরকম পঁচানি যে আকাশ বাতাস গন্ধে ত্রাহি ত্রাহি করতে লাগল। সেইটা ছিল ইংরেজি এল্যুকিউশান। আমি নেহেরুর বক্তৃতা মুখস্থ কইরা না গিয়া, দেইখা দেইখা পুরাটা বইলা আসলাম। ফলাফল, যা হওয়ার তাই হইল। আমি হইলাম লাড্ডুগুড্ডু। আমাদের হাউস কালচারাল প্রিফেক্ট সেইদিন কোন কারণে যায় নাই অডিটরিয়ামে, তাই ভাবছিলাম বাইঁচা যামু এইবার। কিন্তু, মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক। আমাদের তৎকালীন হাউস মাস্টার রফিক নওশাদ স্যারের জিগরে বড়ই চোট লাগল তার হাউসের এক ক্যাডেটের এই রকম ন্যাক্কারজনক পারফর্মেন্সে।
বিস্তারিত»এইচ এস সি কাহিনী…
কামরুলের এইচ এস সি’র রেজাল্ট নিয়ে লেখার প্রেক্ষিতে আমার একটা লেখা লিখবার কথা ছিল এবং আমি প্রমিজ করেছিলাম যে আজকের মধ্যে লিখব। তাই প্রমিজ রক্ষা করতে চলছি।
লেখা পড়ার ব্যাপারে আমার অনীহার কথা ইতিপূর্বে আমার “ফিরে দেখা” লেখাটিতে বলেছিলাম। ক্লাশ ইলেভেন এবং টুয়েল্ভ এ আমি এতটাই বান্দর ছিলাম যে কি আর বলবো। আমার রুমমেট ছিল হাফিজ এবং আরাফাত। আরাফাত ছিল কলেজ কালচারাল প্রিফেক্ট।
বিস্তারিত»ক্যাডেট বন্ধু আর্মি তে থাকার উপকারীতা…
ব্লগে সবার এতো সুন্দর সুন্দর লেখা দেখে লেখতে ভয় লাগে। এতো ভালো লেখার ভীড়ে কিভাবে লিখি। তারপর বাংলাতে লেখতে গেলে আবার খব্র হয়ে যায়। অভ্র দিয়েও দেখি সব যুক্ত অখখ্র হয়ে যায় এরকম।তারপরও লেখার লোভ সামলাতে পারতেছি না।
ক্যাডেট বন্ধু থাকার ১০০০১ টা উপকারীতা এর আরেকটা কিছুদিন আগে টের পেলাম। গত মাসে আমরা ৫ ক্যাডেট ভ্রমন এ গেলাম। সাথে ১ জন আর্মি থাকাতে পূরা ট্যুর তাই অন্য রকম হলো।
ব্যাকগিয়ার……
তখন সম্ভবত আমরা ক্লাস টেন এ। অলরেডী আমি আর আমিন ওমর ফারুক হাউসের ক্লাস টুয়েলভের টার্গেট। এর আগে আবার একদিন হাসান স্যার আমাদের ডেকে নিয়ে থ্রেট দিসেন যে আমরা নাকি হাউসকে ব্যাকগিয়ার দিচ্ছি (ব্যাকগিয়ার হলো : ইচ্ছে করে কম্পিটিশনে খারাপ করা। ক্লাস টুয়েলভের সাথে আমাদের রেশারেশি ছিল বলে ক্লাস টুয়েলভ ধারনা করতো আমরা ইচ্ছে করে হাউস কম্পিটিশনে খারাপ করতাম)। আমাদেরকে উনি হাউস থেকে বের করে দিয়ে হাসপাতালে রাখবেন ।
বিস্তারিত»পরথম পোষ্ট
অনেক দিন ধইরাই শুন্তাছি এই ব্লগের কথা, মাগার বাংলা টাইপ করবার পারতাম না দেইখা কোনদিন সাহস করবার পারি নাই। আইজকা যহন অফিসে মেলা কাম, ম্যানেজার যে কুনু সুময় রুম এ হান্দায় পরতে পারে, সেই সুময় ভাব্লাম বইয়া বইয়াই ত আসি, কিছু productive কাম করি। জীবনে এই পরথম বাংলা টাইপ করলাম। ভুল ভেরান্তি হইলে ক্ষমা কইরা দিয়েন।
কলেজ ছারছি আইজ এগার বচ্ছর। দিনে দিনে কম হয় নাই দেহি।
বিস্তারিত»আমার লাস্ট স্পোর্টস ডে
ডিসেম্বর ২০০৪। সেদিন ছিল আমাদের লাস্ট স্পোর্টস ডে। সিপি হবার আগে আমার কোনো ধারনাই ছিলনা যে একটা সাধারন স্পোর্টস ডের এতো কাজকর্ম থাকতে পারে। ছোটোখাটো সবকিছুর খোঁজখবর রাখতে গিয়ে হালুয়া টাইট হয়ে যাছ্ছিল আমার।
আমাদের চিফ গেস্ট ছিলেন ইশতিয়াক আঙ্কেল, আমার আব্বুর কোর্সমেট। ওনার মেয়ে জুহি আপু আবার আমার খুব ভাল ফ্রেন্ড। ওনারা আসার পর জুহি আপুর কাছে যেতেই উনি বললেন,
বিস্তারিত»ক্রস কান্ট্রি এর বিভীষিকা
প্রথমেই আমি আমার দোষ স্বীকার করে নিচ্ছি, আমার অনেক বানান ভুল হবে কারন এটিই আমার এখানে প্রথম লেখা ।যাই হোক, কলেজে একটি জ়িনিস আমি খুবই ভয় পেতাম আর টা হচ্ছে এই ক্রস কান্ট্রি নামক ব্যপারটি।
প্র্যাকটিস দৌড়, যা আগের দিন হত তাতেই আমার পা এর অবস্থা শেষ ! মনে আছে খুব চেষ্টা করতাম যেন কোন ভাবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যায় কিনা। ১ বার মনে হয় মেডিকেল অফিসার কে বোকা বানিয়ে ভর্তি হতেও পেরেছিলাম ।
মোস্ট বেয়াদব জুনিয়র- পার্ট থ্রী
ক্লাস নাইন এর ঘটনা। তখন কলেজে নতুন ক্লাস ইলেভেন এসেছেন। কে কত বেশি ভয়ঙ্কর সিনিয়র তা প্রমান করার জন্য প্রতিদিনই তারা নিত্যনতুন উপায় বের করছেন। এ ব্যাপারে আবার সদাচার হাউস সবচেয়ে এগিয়ে ছিল!
একদিন রেস্ট টাইমে থার্ড ব্লক, ফার্স্ট ডর্মের সেই প্রিয় বিছানায় ঘুমানোর আয়োজন করছি। সবেমাত্র চোখটা লেগে এসেছে কি পলেন কোথ্থেকে দৌড়ে এসে বলে, “অর্চি ওঠ, ক্লাস ইলেভেন ডাকে তোকে।” আমি তো অবাক!
বিস্তারিত»এক্স-ক্যাডেটদের ইনডিসিপ্লিন এক্টের প্রতিবাদ জানাই!
গতকাল এই সাইটে রেজিস্ট্রেশন করলাম,তারপর থেকে অপেক্ষা করছি আমার গাইড কখন আসবে!গাইড তো পাইলামই না,ইভেন কোন অন্য সিনিয়ারও রিসিভ করলোনা! এক্স-ক্যাডেটদের এই ইনডিসিপ্লিন এক্টের তীব্র প্রতিবাদ জানাই!
এবং আমার গাইড কে হবে?????????
বিস্তারিত»এই ব্লগে আমার প্রথম লেখা!!!!!
আমার কলেজ এর বন্ধুর কাছে কিছূক্ষ্ন আগে এই সাইটটার কথা শুনলাম! শুধুমাত্র ক্যাডেটদের জন্য একটা ব্লগ, যেটাতে শুধু ক্যাডেট কলেজের অসাধারণ কাহিনীতে ভরা,আইডিয়াটা জোস!!!!!!!
আর তাই সাথে সাথে রেজিস্ট্রেশান করলাম!!!!!! চেষ্টা করব সবসময় ব্লগ লেখার,আর ক্যাডেট কলেজে থাকা অবস্থায় কলেজের অবস্থা এক্স-ক্যাডেটদের কাছে লাইভ ভাবে :salute: তুলে ধরতে!
ভাইয়ারা-আপুরা,আমাকে কেউ স্বাগতম জানান!!!!!!!!
কেননা আমিও নবীন ও জুনিয়ার মেম্বারদের একজন!
বিস্তারিত»অবস্ট্যাকল কোর্সের উপকারিতা
ক্যাডেট কলেজে যে ট্রেনিং পাইছিলাম তা জীবনে অনেক কাজে লাগছে। মাগার, অবস্ট্যাকল কোর্সের ট্রেনিংটা এই সেদিন পর্যন্ত কোন কাজে লাগাইতে পারি নাই। এই সেদিন পর্যন্ত বললাম কারণ, সপ্তাহ খানেক আগে সেইটাও কাজে লাইগা গেছে। কেমতে লাগছে, তার বেন্তাত্ত বলতাছি। আমার বর্তমান ইউনিভার্সিটিতে গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট, মানে মাস্টার্স আর পি এইচ ডি-র স্টুডেন্ট আছে ১৭০০, তাদের দেখভালের জন্য আছে জি এস ইউ (গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টস’ ইউনিয়ন)। জি এস ইউ –
বিস্তারিত»ক্লাস ইলেভেনের প্রথম দিন,একটি অনন্য অভিজ্ঞতা!!!!!
কিছুদিন আগে কলেজে জয়েন করলাম! অন্য ছেলেমেয়েদের চেয়ে একেবারে ভিন্ন আমাদের কলেজ জীবনের প্রথম দিনের অনন্য অভিজ্ঞতার কথা লিখেছিলাম আমার ডায়েরীতে। সেখান থেকে আমার পোস্ট!
২০-০৭-২০০৮
একটি নতুন জীবনে প্রবেশ করলাম আজ।এস.এস.সি.’র বিশাল এক ভ্যাকেশন শেষে কলেজে জয়েন করলাম!আমাদের নবীনবরণটা চমৎকার হয়েছে। কলেজ গেটে আমরা ৩০ জনের মত দাঁড়িয়ে ছিলাম,বাকিদের আসার অপেক্ষায়!
এমন সময় কবীর স্টাফ কোত্থেকে এল,এসে আমাদের উপর সেকী ঝাড়ি!-কেলাস ইলিভেন,বাইরে দাড়ায়া আড্ডা মারতেস?এইডা আড্ডার জায়গা?”
আমরা সমস্বরে প্রতিবাদ জানালাম,স্টাফ একটু!
ব্লগাড্ডা!!!
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ সিসবি আড্ডা শেষ হবার পর আমরা কয়েকজন টং এর দোকানের সামনে বসে গুলতানী মারছিলাম। এমন সময় বিল উত্থাপিত হলো যে, আজকের এই আড্ডাটা নিয়া কে ব্লগ লিখবে। কেউ বলে মাসরুফ ভাই, কেউ বলে কামরুল ভাই, কেউ বা জিহাদ-জিহাদ বলে রব তুললো। আমার কথা কেউ কয় নাই। আমারে কেউ পাত্তা দেয় নাই। আমি মাইন্ড খাইছি। এইটা এমনেই ব্লগর ব্লগর। আড্ডা নিয়া বেশী কথা নাই।
বিস্তারিত»