Most বেয়াদব জুনিয়র- পার্ট টু

আমাদের Alternate ব্যাচ এর তখন অনেক দাপট চলছে। SSC-র সময় সিনিয়র আপারা ওই ব্যাচকে সাধারনত ঘাটাঘাটি করতেন না। তার উপর ৪তলা পুরোপুরি SSC candidatesদের দখলে হওয়ায় ওনারা তার যথাযোগ্য ব্যবহার শুরু করলেন। আমরা কয়েকজন ছিলাম ওনাদের প্রিয় পাত্রি। rest time, free time থেকে শুরু করে lights off এর আগ পর্যন্ত বিভিন্ন কায়দায় ওনারা আমাদের torture করার উপায় আবিস্কার করতে থাকলেন।

একদিন games time এ আমরা বাস্কেটবল খেলছি।

বিস্তারিত»

Most বেয়াদব জুনিয়র!

আমাদের কলেজ়ে ১টা common term ছিল- ‘Most বেয়াদব জুনিয়র’। প্রত্যেক ক্লাসেরই কিছু ক্যাডেট এর ভাগ্যে somehow এই tag  নাজিল হত। ক্লাস সেভেনে আসতে না আসতেই কিভাবে কিভাবে জানি ১দিন আমারও ভাগ্যে এই খেতাব জুটে গেল।

2nd টার্মের ঘটনা। একদিন  আমরা form এ বসে গানের কলি খেলছিলাম। B form এর শেষ ৪টা ডেস্কে বসতাম আমি, পলেন, জিনিয়া আর সোনিয়া। তখনকার ১টা famous গান ছিল ‘o maria o maria…’

বিস্তারিত»

আট বছর আগে এক দিন

একটু আগেই এইচ.এস.সি পরীক্ষার রেজাল্ট দিলো। যারা এইবার পরীক্ষা দিয়েছে তারা নিশ্চয় জিপিএ-৫ পাওয়া নিয়ে খুব টেনশনে ছিলো। আট বছর আগে এমন এক দিনে আমিও খুব টেনশনে ছিলাম। এ প্লাস, জিপিএ-৫ এইগুলি নিয়ে না। আমার পাস করা নিয়া টানাটানি ছিলো।
রেজাল্ট আনতে গিয়া দেখি কানের পাশ দিয়া গুল্লি গেছে। ফার্স্ট ডিভিসন। ফোন করে আব্বারে জানানোর পর আব্বা বললেন- গরু ছাগল রে দুই বছর পড়াইলেও তো স্টার মার্ক পাইবো।

বিস্তারিত»

প্রসঙ্গ – অনাগত

জানিনা মনবিদ্যার উপরে মাসরুফের দখল কতখানি, তবে আমার মনের কথা পড়ে নিতে যে ওর এতটুকু ভূল হয়নি তা বলতে পারি। অনাগতদের জন্য মাসরুফের লেখাটি পড়ে নিজের মনের ভাবটুকু প্রকাশ না করে আর পারলামনা।

২৮ আগষ্ট দিনটি খুব ই ব্যস্ত কাটিয়েছি। ষ্টেজ ডেকরেশন থেকে শুরু করে লাইটিং, হ্যান্ডস নিয়ে আসা, পারফর্মারদের নিয়ে লাস্ট মুহুর্তের ড্রেস রিহার্সেল, পুরো প্রোগ্রাম পরিচালনার দায়িত্বভার, প্রোগ্রাম নিয়ে আমার বসের টেনশন –

বিস্তারিত»

সিসিবির ব্যাক হওয়ার খুশিতে আবোল তাবোল ব্লগ

(ব্লগ চালু হইছে। লেখা দেয়া দরকার, কিন্তু রোজা রাখছি দেইখা বিতলামি মার্কা লেখা দিমু না ঠিক করলাম।)

১…

মামা হইলাম এই প্রথম। কিন্তু, মামা হইবার খবর এইখানে কেন, আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে। যদি এসে থাকে, তার উত্তরে বলছি, আমার ভাগ্নে, রাকসান আল ইসলাম-এর মা, মামি এবং মামা এক্স ক্যাডেট। সুতরাং এই ব্লগে এতো এতো খালা,

বিস্তারিত»

আমি যেভাবে ক্যাডেট হইলাম…এবং অতঃপর – ৩

(শুরুতে নাম ছিল ‘প্রথম দিন…প্রথম মাস…প্রথম টার্ম’। পরে দেখলাম যেভাবে লিখতেছি তাতে টাইটেলটা ঠিক যাচ্ছে না। তাই নাম পালটে দিলাম।

এই লেখাটা আগেই লেখা। পোস্ট করতে গিয়ে দেখি সিসিবি ডাউন…যেদিন আপ হলো অফিসে দেখলাম কিন্তু লেখা সাথে ছিলো না, বাসায় এসে পোস্ট করতে গিয়ে দেখি সিসিবি আবার ডাউন! লাভের লাভ হলো এখন আপ হবার পর এডজুট্যান্ট বাদে প্রথম লেখাটা আমিই দিলাম……হেহ হেহ…)

আগের লেখাঃ
আমি যেভাবে ক্যাডেট হইলাম…এবং অতঃপর –

বিস্তারিত»

আমাদের খেলা দেখা ও রোমাঞ্চকর এক রাত

***এই লেখাটাও আমার সামহোয়ারইনে লেখা একটি পোস্ট। এক রোমাঞ্চকর রাতের অনুভুতি শেয়ার করলাম। দুটি চরিত্র বাদে সব চরিত্রই বিভিন্ন জনের স্বভাবের মিক্সচার। তবে কাহিনীটা পুরোপুরি সত্য।

২০০১ সাল,সোহরাওয়ার্দী হাউস,মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ

রাত দশটা ,পোর্চ

সারাদেশে ক্রিকেটের জোয়ার চলছে। কয়েকদিন আগে মাত্র বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে। ক্রিকেটিয় উম্মাদনার আচড় থেকে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ ও বাদ যায়নি। আর এইসব উম্মাদদের মধ্যে বদ্ধ উম্মাদ
তারা দুইজন পিয়াল আর পুলক।

বিস্তারিত»

আমার ভিতর-বাহিরে অন্তরে অন্তরে…

কালবেলা ভাইয়ার পোস্টটা পড়ে একটু মন খারাপের মতো হলো। কমেন্ট দিতে গিয়ে দেখলাম অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে আলাদা পোস্ট লিখতে হলো।

ভাইয়ার বেশ কিছু বিষয়ের সাথে একমত হতে পারছিনা।

“ক্যাডেট কলেজে ক্যাডেট রা হল রাস্তার পাশে সারি সারি পাতাবাহারের মত…………………… পাতাবাহার গাছ গুলোকে কি করা হয় কিছুদিন পর পরই? কাঁচি দিয়ে ছেটে দেয়া ………………………এখানে নিজের মত করে বড় হবার সুযোগ নেই।

বিস্তারিত»

একজন সফল প্রিন্সিপালের কথা

আমরা যখন ক্লাস টুয়েলভে পড়ি তখন আমাদের কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন লেঃ কর্নেল মোকাররম আলী স্যার। আমার জীবনের দেখা কয়েকজন ভাল মানুষের মধ্যে তিনি একজন। স্যার আমাদের অনেক আদর করতেন। ক্যাডেট কলেজে সাধারনত প্রিন্সিপালের সাথে ক্যাডেটদের ইন্টারেকসন কম হয়। কিন্তু মোকাররম স্যার ছিলেন একেবারেই আলাদা। সবসময় ক্যাডেটদের সাথে অনেক মেলামেশা করতেন। তিনি আমাদের সাথে গেমস টাইমে ভলিবল খেলতেন, ক্লাসটাইমে প্রায়ই আসতেন আমাদের সাথে গল্প করার জন্য।

বিস্তারিত»

আমার লেখালেখির গল্প……..

**ব্যস্ততার কারণে আলমকে নেয়া সিরিজটা আগাতে পারছি না। এই ফাকে সামহোয়ারের আমার এই লেখাটা দিলাম। এটা পুরোটা ক্যাডেট কলেজ নিয়ে না হলেও বেশিরভাগ অংশই ক্যাডেট কলেজের গল্প।দেয়াল পত্রিকার জন্য রাত জাগা সকল ক্যাডেটকে লেখাটা উৎসর্গকৃত।

লেখালেখি করিবার সাধ ছোটবেলা হইতে আমার ছিল এমন দাবি করাটা বোধ করি অযৌক্তিক।আমার লেখালেখি করিবার অনুপ্রেরণা বলিতে আমার এক ফুফা।তাহার কথা ভাবিলে অবশ্যি ভারী চশমা মোটা গোফের কোন গম্ভীর চেহারা কল্পনার নয়নে আসিয়া উপস্থিত হয় না।

বিস্তারিত»

চুম্বনঃ ব্রোকব্যাক মাউন্টেনের আইডিয়া যেভাবে নাজিল হইছিল

ক্যাডেট কলেজ থেকে পাস কইরা আমি মমুসিং-এর পোলা চইলা আসলাম ঢাকা, “নেকাপড়া” করতে। ঢাকায় আসার পর রাস্তায়, অলিতে-গলিতে বহুসংখ্যক এবং বহুধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখছি (দেশ আগায়া যাইতাছে, আমাদের বাবাদের আমলে ঢাকা ভার্সিটিতে মেয়েদের সাথে কথা বলতে নাকি ডিপার্টমেন্টের পারমিশান লাগতো, সত্য মিথ্যা জানি না, শোনা কথা।) এইসব চুম্বনকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়- ছোবল চুম্বন আর খাইছি তোরে চুম্বন। ছোবল চুম্বন করে ভীতু জুটিরা,

বিস্তারিত»

আমার প্রথম ই,ডি,

আমাদের কলেজে ইডি খাওয়ার ঘটনা খুব কম ছিল। খুব গুরুতর অপরাধ করলে ইডি ইসু করা হত। আমাদের ১৯৯৩ ইনটেকের সিলেট ক্যাডেট কলেজের অনেকে নাকি ২৫-৩০ টা ইডি খাইছে। কিন্তু রংপুরে আমাদের ব্যাচের কেউ মনে হয় ৫ টার বেশি ইডি খায়নি ৬ বছরে। অধিকাংশ ক্যাডেট ৬ বছর ইডি না খেয়েই ক্যাডেট কলেজ পার পেয়েছে। যেই সামান্য কয়েকজনের ইডি খাওয়ার সৌভাগ্য হয়, আমি ছিলাম তাদের মধ্যে একজন।

বিস্তারিত»

জীবিতদের গালগল্প

তখন আমরা বসে আছি ঢাকা মেডিকেলের লাশকাটা ঘরের সামনে। ভেতরে লাশ হয়ে পড়ে আছে আমার বন্ধু, আমাদের বন্ধু -আলম। ওর বুক আর করোটি ফুড়ে দিয়ে গেছে যে বুলেট দুটো, ডাক্তাররা তার খোঁজ করছেন ওর শরীরের ভেতর হাতড়ে হাতড়ে। আমি ভেতরে যাই না, বুকে জমে থাকা ভালো লাগা অজস্র স্নৃতির ভীড়েই থাকুক ও, লাশকাটা ঘরে শুয়ে থাকা চিরে ফেলা শরীরটাকে ওই স্নৃতিগুলোর সাথে নাই বা যোগ করলাম।

বিস্তারিত»

স্বাগতম পর্যন্ত পইড়া ফেলছি… :-)

পড়া শুরু করছিলাম রাত তিনটায়, এখন বাজে ৬ টা ৪০ (সকাল), একটানে ব্লগের সবগুলান লেখা পইড়া ফেললাম। প্রবাস জীবনের যেদিন শুরু হইছে এর পর থাইকা মনে হয় এত অল্প সময়ে এতবেশি হাসি নাই।

ধন্যবাদ ব্লগের উদ্যোক্তাদের এবং লেখকদের আমাকে এত সুন্দর একটা সময় উপহার দেয়ার জন্য। ভবিয্যতে লিখব, এখন ঘুমাতে যাই, খালি হাই উঠছে।

-নন্দঘোষ

বিস্তারিত»

আমি যেভাবে ক্যাডেট হইলাম…এবং অতঃপর – ২

(ঠিক করেছিলাম শুধু প্রথম দিন, প্রথম মাস আর প্রথম টার্মের কথা লিখবো। পরে ভাবলাম…ক্যাডেট কলেজ ব্লগে আজকাল অনেক কম লেখা পড়ছে সবার…আরেকটু সূচনা দিয়ে এটাই আরেকটু টেনে নিয়ে গেলে কেমন হয়… তাই এই লেখা)

আগের লেখাঃ
আমি যেভাবে ক্যাডেট হইলাম…এবং অতঃপর – ১

২. ভর্তির আগের গল্প
আমাকে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি করার শখটা আমার আব্বার। দুই খালাতো ভাইয়ের একজন ছিল রংপুর ক্যাডেট কলেজের ফার্স্ট ব্যাচের কলেজ প্রিফেক্ট…যে কিনা পরে আর্মির মেজর,

বিস্তারিত»