কলেজ এর কাহিনির তো শেষ নাই। যাই হোক, প্রথম ব্লগ হিসাবে একটা ঘটনা বলি। কলেজ এর খুব বিরক্তকর কিছু বাশির আওয়াজ এর মধ্যে
আফটার নুন প্রেপ এর বাশি টা ছিল জঘন্যতম। আধো ঘুম, আধো জাগরনের মধ্য একাডেমীর উদ্দেশ্য রওনা হতাম। ৯৭’ এর ঘটনা, আমরা তখন ক্লাস নাইনে পরি।
হাফ প্যান্ট, হাফ শার্ট পরে রাজ্যের ঘুম চোখে নিয়ে হাউস থাকে বের হয়ে একাডেমীতে যাচ্ছি।
ওস্তাদজীঃ বয়েজ ভার্সন
‘গার্লসের পোলাপাইন’ নাকি তাহাদের সর্বজনশ্রদ্ধেয় ড্রিল প্রশিক্ষকদের “ওস্তাদজী” বলিয়া ডাকিতেন। আমিতো হাসিয়াই খুন। তাঁহারা সত্যিই গুণীর কদর করিতে জানিতেন, মারহাবা। সেই হিসেবে আমরা বোধকরি কিছুটা বেয়াড়াই ছিলাম। বিশাল গড়নের এইসব অর্ধশিক্ষিত লোকেদের আমরা যেন মানুষ হিসেবেই মানিতে চাহিতাম না। ওহারা যেন অসম্ভব ডিস্টার্বিং কতিপয় এলিমেন্ট, বড়জোর “স্টাফ” বলিতেই যেন বইয়া যাইত।
আসলে আমাদের কালে ওঁহাদের দৌরাত্ম্য ছিলো অভাবনীয়, প্রতি মুহুর্তের সহবাস, টাচ এন্ড ব্যাক থেকে শুরু করিয়া ইডি-থ্রিডি যাই বলুন সর্বত্র,
বিস্তারিত»চোথা মারা পোস্ট
নিরানব্বই সালের ৩রা জুন, আমার অদ্ভুত একটা ফিলিং এর জন্ম হলো, সারা কলেজ ঘুরাঘুরি করে আসার পর প্যারেড গ্রাউন্ডে ওস্তাদজীরা (আমরা স্টাফদের ওস্তাদজী বলতাম) আমাদের ফল ইন করে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। আম্মু আব্বু একটু দূর থেকে হাসিহাসি মুখ করে খাকি ড্রেস পরা নিজের মেয়েকে দেখছে, লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে, বিশাল গর্বের ব্যাপার। আমি তখনো বুঝিনাই এখুনি আমাকে আলাদা করে দেবে। হঠাৎ দেখি বলে উলটা ঘোর,
বিস্তারিত»আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম……
যেদিন চলে আসি সেদিন কেঁদেছিলাম, জানিনা কেন। হয়তবা অন্যদের কান্না দেখে কিংবা নিজে থেকেই। সবার সাথে হ্যান্ডশেক করার পর এডজুটেন্ট স্যার যখন কলেজ গেটে অপেক্ষারত বাসে উঠতে বললেন কোন হারামজাদা যেন কান্না শুরু করে দিল। কান্না যে মহামারীর মত এর আগে টের পাই নাই।
বিস্তারিত»ট্রেডিশন কন্ট্রাডিকশন।
কলেজের নতুন এডজুটেন্ট এসেছে, আমরাও ক্লাস ১২ এ নতুন উঠলাম মাত্র। এডজুটেন্ট স্যার যাই ধরেন আমরা ট্রেডিশন এর দোহাই দিয়ে পার পেয়ে যাই। পি.টি গ্রাউন্ডে লেট হ্ল; “স্যার এটা আমাদের কলেজের ট্রেডিশন”, সবার যেন উত্তর মুখস্থ ছিল। কলেজে ক্লাস ৭-এ এই “ট্রেডিশন”-এর খপ্পরে পড়ে নিজের “কনডিশন” খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
বিস্তারিত»দুই লাইন
আমার কেমিস্ট্রি ভিতী কলেজ বিখ্যাত। এক কেমিস্ট্রি পরীক্ষার আগে অনেক রাত পর্যন্ত পড়ে ঘুমিয়েছি, ভোরে তাসনীম ডাক দিল, স্যাম উঠ, দেখ সকালটা কত সুন্দর।
আমি নাকি বলছি, কার্বন ঢেলে দে পানি হয়ে যাবে।
বিস্তারিত»সিমেট্রিক
ক্লাস ইলেভেনর প্রথম পরীক্ষা। ক্লাসে মোটামুটি সবাই ফেল করসে। ভিপি ম্যাডাম ছয় জেপিকে ডেকে পাঠালেন। অনেক্ষন চেচামেচি করে ঝাড়ি দেয়ার পর কি যেন একটা সন্দেহ হলো উনার।
-তোমাদের কি অবস্থা? তোমরা পাশ তো?
এ ওর মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো।
-কি?? (আবার চিৎকার)
তিনজন তিনজন করে সমান দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেলো জেপিরা, প্রতি হাউস থেকে একজন করে পাশ,
বিস্তারিত»সাদ্দাম
আমি লকারের সামনে দাঁড়িয়ে রেডি হচ্ছি টি-ব্রেকে যাওয়ার জন্য। ছেলেটা পা টিপে টিপে আমার রুমে ঢুকে লকারের সামনে এসে দাঁড়াল। সদ্য ইন্টার হাউস কম্পিটিশনে পাওয়া মেডেলটা ধরে নাড়াচাড়া করছিল। ছেলেটার মনের কথা বুঝতে পেরে কথা ঘুরাই, “কিরে
বিস্তারিত»খাতা পর্ব
খাতা নিয়ে কিছু কথা…আর কিছু মনে পড়ছে না, অন্যান্য কলেজ গুলো এটাকে টেনে নিয়ে যাবে আশা করি।
সাধারণ জ্ঞান একটা পরীক্ষা হত, ফর্ম ক্লাসে। নম্বর যোগ হত না। সুতরাং এইখানে ক্যাডেটদের অপিরিসীম জ্ঞানের সুবিশাল ভান্ডারের খোজ পাওয়ার পরম সৌভাগ্য লাভ করতেন শিক্ষকেরা।
*পৃথিবীর দ্রুততম মানবী কে?
বিস্তারিত»ট্রেন্ড
গার্লস ক্যাডেট কলেজে পানিশমেন্ট বয়েজদের চেয়ে তুলনায় অনেক কম। স্যার ম্যাডামরা মনে হয় মনে করতেন একটু মাইর খাইলেই মেয়েরা কেন্দে দিবে…আমাদের ফ্রন্টরোল ট্রন্টরোল কিচ্ছু নাই, ছিলো যা তা হলো ডিপি, ইডি… যেইটা বয়েজদের কাছে ডালভাত। তবে আমাদের একটা ডিপি খাওয়া মানে একদম মার্কামারা হয়ে যাওয়া, (এবং ক্যাডেটদের কাছে হিরোইন 😀 হয়ে যাওয়া)।
এহেন বোরিং অবস্থায় আমরা নিজেরাই কিছু জিনিসপাতি খুজে নিতাম আনন্দের জন্য।
বিস্তারিত»কিছু কথা….আজো মনে পড়ে..
ক্লাস নাইনের কথা।ইন্টার হাউস বাস্কেট নিয়ে খুব উত্তেজনা…নুতন নতুন ল্যাপ করা শিখেছি..মজাই আলাদা।
দেখতে দেখতে কম্পিটিশন চলে এলো।তিতুমিরের সাথে শাহজালালের খেলা।তো খেলার মাঝখানে আমি একটা ল্যাপ নিয়ে শাহাজালালের জোন ভেঙ্গে ঢুকবো…নতুন নতুন ল্যাপ তো প্রবল বেগে এসে কোনো দিকে না তাকিয়ে ল্যাপ করলাম ঠিক আমাদের এক ফ্রেন্ডের গায়ের উপর।এবং আমার হাটু গিয়ে লাগলো ঠিক ওর মিডল স্ট্যাম্পে…!!!তারপর শুধু দেখলাম ও গ্রাউন্ডে পরে গেলো আর মুখ দিয়ে শুধু পানি পরছে….সাথে সাথে আমাদের ওই প্রায়প্রয়াত বন্ধুটাকে হাসপাতালে নেওয়া হলো।আমার ত তখন মনের অবস্থা বারটা।
বয়স: এক যুগ
[লেখাটি একক এর রিইউনিয়ন ২০০৮ এর স্যুভেনিরে প্রকাশিত। কুমিল্লা ছাড়া অন্যদের জন্য তুলে দিলাম]কোথায় যেন পড়েছিলাম, দিন যত যায়, স্মৃতি তত মলিন হতে থাকে। যেই পন্ডিত একথা লিখেছিলেন তিনি হয়ত তার জন্মে কোন ক্যাডেট দেখেননি। তা না হলে ক্যাডেটদের জন্য এর থেকে বড় ভুল উক্তি বোধকরি আর দ্বিতীয়টি হয় না। ক্যাডেট কলেজের সাথে সম্পর্কের এক যুগ হয়ে গেল। তার অর্ধেকটা স্মৃতি যোজনের, আর বাকী অর্ধেক রোমহন্থনের।
বিস্তারিত»অফিসে বসে ব্লগিং: ফাঁকিবাজির প্রথম পাঠ
( এই পোস্ট মূলত শাহেদ-এর জন্যে লেখা। কিন্তু আর কোন অফিস-ফাঁকিবাজও ইহা পড়ে উপকৃত হন, আমার তাতে আপত্তি নাই। আপনাকে ঋণী করিতে পারিয়া আমি উল্লসিত)
শাহেদ, কাহিনি সিম্পল।
ধরে নিলাম তোর অফিসের কম্পুটারের অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ এক্সপি। এখন তুই যদি বাংলা ঠিক মতো না দেখছ, তাহলে এই লিংকে চলে যা-
http://www.omicronlab.com/tools/icomplex-lite.html
এখান থেকে আই-কমপ্লেক্স নামিয়ে ইন্সটল করে ফেল।
বিস্তারিত»“কিপ ক্যাডেট কলেজ ক্যাম্পেইন”
মুহাম্মদের আগের পোস্টটি পড়ছিলাম যেটি উইকিপিডিয়ার ক্যাডেট কলেজের ইতিহাস বিষয়ক একটি ফিচার নিয়ে লেখা । সেটি পড়তে গিয়েই স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের প্রথম দিকের “কিপ ক্যাডেট কলেজ ক্যাম্পেইন” এর কথা মনে পড়ে গেলো । আমরা অনেকেই হয়তো এটার কথা জানিনা। তাই সবার সাথে শেয়ার করলাম। বিশাল এই আর্টিকেলটি লিখেছেন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ১৩ তম ব্যাচের খাদেম ভাই। আমাদের এই ব্লগটি যেহেতু বাংলায় তাই আর্টিকেলটা বাংলায় অনুবাদ করে দেয়া উচিত ছিল।
বিস্তারিত»হাবিজাবি
ব্লগের মরা অবস্থা দেখে মাঠে নামসি। কিন্তু লিখতে তো পারিনা, ভালো পড়তে পারি। আচ্ছা কয়েকটা ঘটনা লিখি।
১। একজন ক্লাসে ঘুমাচ্ছিল, সে চশমা পড়ে। হঠাৎ স্যার (কেমিস্ট্রির অত্যন্ত বিখ্যাত এবং আমাদের অত্যন্ত পছন্দের স্যার), পড়া বন্ধ করে ওর দিকে এক দৃষ্টিতে খানিক্ষন তাকায় থাকলেন, তাও ওর ঘুম ভাংলো না। উনি আস্তে আস্তে আগায় যাচ্ছেন,
বিস্তারিত»