রানা, ভালো আছিস ?

বিসিসি তে ছিলাম ১৯৯৫-২০০১ পর্যন্ত। সময়টা আমার কাছে কেমন অদ্ভুত মনে হয়। অবাক একটা সময়। কিভাবে সকালে পিটি তে ফাকি দিব, কিভাবে রাতের প্রেপে ঘুমাব , আমাদের চিন্তার পরিধি ছিল এতটুকুই। আস্তে আস্তে বড় হলাম বাড়ছে জিবনের জটিলতা। কলেজ থেকে বের হয়ে সব বন্ধুরা কাছাকাছি ছিলাম বেশ কিছু দিন। এর পর দূর থেকে দূরে। আমার রুম মেট ছিল রানা, অনেক দিন। ঢাবি তে পড়ত অথনিতি।

বিস্তারিত»

এম.জি.সি.সি র প্রতি ভালবাসা?…..নাকি বি.সি.সির প্রতি এম.জি.সি.সির ভালবাসা?

আমরা তখন ক্লাশ টুয়েলভে………আমাদের সময়..আই,সি,সি,এল,এম….সেবার হলো ক.ক.ক তে….প্রতিযোগিতা শেষে..সবাই
কলেজে…ফিরেছে। তো আমাদের কলেজের …পারফরমেন্স খুব ভালো। অনেকে বেশ কিছু ইভেন্টে বিজয়ী হয়েছে।
আমরা অংশগ্রহনকারীদের মুখ থেকে তাদের অভিজ্ঞতার কাহিনী শুনতে থাকলাম। বিশেষ করে একটা (!) কলেজের কে কে এসেছিল?দেখতে কেমন? তোদের সাথে কথা হয়েছে কিনা? etc..etc……….

আমরা আবার কাউকে কাউকে একটু খ্যাপাতে লাগলাম যেমন: আমাদের C.P কে, কারন তার ক্যাডেট নং আর বিশেষ (!) কলেজের C.P র ক্যাডেট নং একই ৯১৮.

বিস্তারিত»

ফলাফল যখন টাই!!!

সিসিবি ফিরা আসার পর থিক্কাই ইচ্ছা করতাসে কিছু লিখি। গেটটুগেদার নিয়া একটা ছুড পোষ্ট দিছিলাম ওইটা বলে ওয়েব সমুদ্রে হারাইয়া গেছে:( । এই জন্য একটু দুক্কু পাইসিলাম। নয়া সিসিবি তে পোলাপাইন হুমরি খাইয়া পড়ল। মনটা ভইরা গেল সিসিবি খুল্লেই নতুন নতুন লেখা। কোনডা থুইয়া কোনডা পড়ুম হিমসিম খাইতে লাগলাম। কমেন্ট করাতে না করতে রিপ্লাই হাজির। বেশ ভাল লাগে। সময় বাবাজী যে কেমনে চলে যায় বুঝবার পারি না।

বিস্তারিত»

দুইটি কাহিনি…

কালকে পাওয়ার সিস্টেম কুইজ। পড়তে ইচ্ছা করছে না। অবশ্য এই কাজটা কখনই আমার করতে ইচ্ছা করে না। এশার নামাজ পড়তে গেছি। কিন্তু হুজুর একদিকে আর আমি চিন্তা করি আরেক জিনিস। নামাজের মধ্যেই এই লেখাটা খালি মাথার মধ্যে ভনভন করতেছে। তাই কোন রকম নামাজ পড়েই দৌড়…

আমি কিছু ঘটনা বলবো এবং এইগুলা সত্যি। ক্যাডেট কলেজে ক্যাডেদের পিছনে সবচেয়ে কষ্ট যারা করে তাদের নিয়ে এই কাহিনি।

বিস্তারিত»

জুতা পালিশ

সবাই কে লিখতে দেখে ভাই-বোনেরা আমারো খুব লিখতে ইছ্ছা করছিল। যার ফসল এখন আমি, যে অখাদ্য আপনাদের গিলাতে যাচ্ছি…,,,

আমরা তখন ক্লাশ ৮ এ। একদিন শুনতে পেলাম সোহরায়ার্দী হাউসের ক্লাশ ৭ এর (নাম বললাম না)…একজন সানসেটের উপর উঠেছিল।
পরে আমাদের ব্যাচের কয়েকজন তাকে সানসেটের উপর দেখে, সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করার পর, এক রুমের ভিতর নিয়ে গিয়ে রিমান্ড শুরু করে।
পরে রিমান্ডের রেজাল্টে জানা গেল……….সে আত্মহত্যা করতে সানসেটের উপর উঠেছিল।

বিস্তারিত»

প্রাপ্তবয়ষ্ক – ১

টাইটেল দেখেই বোঝা উচিত এই পুষ্ট খানা সকলের জইন্য প্রযোজ্য নাও হইতে পারে। তয় আমার ধারনা ইহা সকলেই পড়িবে এবং সকলের জইন্যই ইহা প্রযোজ্য হইবেক।

আজ রবিবার ছিল। এমনিতে রোযা, তারওপর বাসায় কোন কাজ নাই। সন্ধায় এক বাসায় ইফতার এর দাওয়াত আছে। তাই সকালে (আমার উইকএন্ড এর সকাল মানে আবার দুপুর বারোটার পর) ঘুম থেকে উঠে ভাব্লাম বাসায় কাম কাজ যহন নাই, যাই অফিস গিয়া কম্পিউটার গুতাই গিয়া।

বিস্তারিত»

কোথায় পাবো তাদের-৭

১.

ভুগোলের নুরুল হোসেন স্যারের একটা অভ্যাস ছিলো। যে কোন জায়গায় প্রিন্সিপাল সোহরাব আলী তালুকদার কে দেখলে উনার হাত কচলানি শুরু হইয়া যাইতো। প্রিন্সিপালের যে কোনো কথার জবাব স্যার দুই হাতের তালু একটা আরেক টার সাথে ঘষতে ঘষতে দিতেন। আমাদের বদ্ধমুল ধারনা ছিলো এই রকম হাত কচলানোর ফলে স্যারের হাতের রেখা বলতে কিছু নাই। সেই জন্যে স্যার ক্লাস নিতে আসলেই আমরা নানা ভাবে উকিঝুকি দিয়া তার হাতের রেখা দেখার চেষ্টা করতাম।

বিস্তারিত»

টুশকি ১

টুশকি [২]

১. আস্তে আস্তে কথা বলে ক্লাস নিতেন আহসানুল কবীর স্যার (বাংলা)। এতই আস্তে কথা বলতেন যে ঘুম ঠেকিয়ে রাখা মুশকিল হত। পিছনের দিকে কথা শোনা তো যেতই না উপরন্তু স্যারকে সেটা বললে ফ্যান বন্ধ করতে বলতেন। মোটামুটি ঘুমের ঘোরেই পার হয়ে যেত ক্লাস। এর ফাঁকে ফোকরে কেমন করে যেন কিছু কথা ঠিকই মনে আছে:

“কবিতার প্রতিটা শব্দ হবে রসগোল্লার মতোন।

বিস্তারিত»

কলেজে প্রথম ঘড়ি পড়ার দিন…

কলেজে সিনিয়রিটি প্রকাশের অনেক গুলা মাধ্যম ছিল। তার মধ্যে ১টা ছিল ঘড়ি পরা। জ়ুনিয়র থাকতে দেখতাম, সিনিয়র রা ঘড়ি পরতেন। আর আমরা মনে মনে ভাবতাম কবে সিনিয়র হব আর ঘড়ি পরব। অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এল। আমরা ঘড়ি পরার পারমিশন পেতাম প্রি-টেস্ট শুরুর দিন থেকে। ঘড়ি পরে এক্সাম দিতে গেলাম। কি ভাব এক একটার!! সিনিওর হইয়া গেসি। ঘড়ি পরি। ইংলিশ এক্সাম ছিল সেদিন। কে আর আমল দেয় ইংলিশ এক্সাম।

বিস্তারিত»

প্রসংগ – ছড়া

রফিক নওশাদ স্যার ছিলেন আমার হাউস মাস্টার আর আমি হাউস কালচারাল। সেই সুবাদে স্যারের বেশ খানিকটা কাছাকাছি এসেছিলাম (না চাইলেও আসতে হয়েছিল)। স্যারের কাছ থেকে অনেক ভাল জিনিস শিখেছি। তার মধ্যে একটি ছিল “নিজের জ্ঞান পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে যাও এবং বেচে থাক পরবর্তি প্রজন্মের মাঝে”। শাহরিয়ারের কবিতা ও ছড়া সংক্রান্ত লেখাটি পড়ে আমার মা এর শেখানো একটা ছড়ার কথা মনে পড়ে গেলো। লেখার শেষ অংশে আমি চড়া টি লিখবো।

বিস্তারিত»

পরামর্শ চাইঃ ইনডিসিপ্লিন কাজের বিবরণ দেন!!!

আমরা তো এখনো কলেজে!!!এক্স-ভাইয়াদের মত স্মৃতিকাতরতা নাই। আমরা এখনও ক্যাডেট,আমরা এখনও বর্তমান!

আমাদের মজা লুটার বয়স এখনও ফুরায় নাই!!

আপনারা আপনাদের এক্টিভিটিসের বিবরণ দেন,আমরাও একটু শিক্ষা গ্রহন করি!এই যেমন মোবাইল লুকানোর বেস্ট জায়গা কোনটা,কই বইসা কার্ড খেলা সবচেয়ে নিরাপদ……কলেজে জিনিসপাতি (!) নেওয়ার উত্তম বুদ্ধি কোনটা এই আর কি!

আপনাদের অভিজ্ঞতার বিবরণ দিলেই চলবে……!!!!!

বিস্তারিত»

এই দূর পরবাসে – ২

শেষ বিকালের অন্ধকারে আমার ১৮ তলার ফ্লাট এর বারান্ধায় বসে ছিলাম অনেকক্ষন। চারপাশের সব কিছু ছাড়িয়ে বারান্ধাটা একেবারে আকাশের মাঝে চলে এসেছে। কুয়ালালামপুর শহরের একপাশে বড় একটা পাহাড়ের উপরে আমাদের এই হিলপার্ক কন্ডমেনিয়াম। প্রতিদিন সকালে আমার ঘুম ভাঙ্গে সুন্দর একটা সকাল দেখে। দূর আকাশে মেঘ আর সকালের প্রথম আলোর লুকোচুরি… প্রবাসের সব কষ্ট ভূলিয়ে দেয়। আবার ঠিক সন্ধে নামে যখন… পু্রোটা আকাশ থাকে লাল আলোর দখলে।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট,বুদ্ধিজীবি এবং কিছু বিক্ষিপ্ত ভাবনা

ক্যাডেট শব্দটা কানে আসলেই সবার সামনে আসম্ভব মেধাবী আর প্রতিভাধর একটা মানুষের ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠে। বলতে লজ্জা বা দ্বিধা নেই আমি তার ব্যতিক্রম। না ক্যাডেট কলেজে না ক্যাডেট কলেজের বাইরে কোথাও আমি সেরকম কিছুর স্বাক্ষর রাখতে পেরেছি। তবে বন্ধুদের আড্ডায় আমি অনেক প্রিয়। তাই হলফ করে বলতে পারি ক্যাডেটসুলভ আচরণের ষোল আনা আমার মধ্যে আছে। এজন্যই নিজের অযোগ্যতা আর অসামর্থের কথা ভুলে যাই।

বিস্তারিত»

ক্রিকেটারের শাস্তি ……

( আমার হাউসের বন্ধুরা, এদের অনেকেই ক্রিকেট খেলার দায়ে দোষী)

.

.

.

ক্লাস সেভেনের প্রথম কয়েক মাস ছিল বড়ই ভয়ংকর। চারিদিকে সিনিয়র ভায়েরা। সদা সর্তক থাকতে হয়, কখন কি ভুল হয়ে যায় । দিনে ড্রিল আর রাতে বিরক্তিকর প্রেপ । এর মধ্যে মজার সময় হলো একটাই । সারাদিন ড্রিলের কারনে আমাদের নাইট প্রেপে শর্ট করে আধা ঘন্টা আগেই ছুটি দেয়া হতো ।

বিস্তারিত»