মূল লেখকঃ মাসরুফ অনুলিখনঃ তপু
ক্যাডেট কলেজ ব্লগ তাদের জন্য যারা তাদের জীবনের অর্ধ যুগ কাটিয়েছে ক্যাডেট কলেজ নামক একটি জায়গায় এবং সেই ৬ বছর প্রতিনিয়ত ক্যাডেট কলেজকে গালিগালাজ করেও জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ক্যাডেট হিসেবে গর্ব করে এবং বাকিদেরকে নিজেদের থেকে অন্তত ৬ বছর পিছিয়ে আছে বলে মনে করে।
আপনি হয়ত দু-এক বছর আগেই এক্স ক্যাডেট হয়েছেন কিংবা এক প্রবীণ এক্স ক্যাডেত যার সন্তান ও এখন একজন ক্যাডেট কিংবা আপনি চান তাকে সেখানে দিতে।
একটা বড়সড় সাইজের ছোট্ট খবর
কিছুদিন আগে একটা ছোটখাট বড় খবর পেয়েছিলাম কনফুসিয়াস ভাইয়ার কাছ থেকে। আজ আমি একটা বড়সড় সাইজের ছোট্ট খবর দেই। আমাদের নিজেদের বাড়ি হয়ে গেছে। একেবারে নিজেদের বাড়ি। দখিনা জানালা খোলামেলা বিশাল জায়গা নিয়ে বাড়ি। কিছুদিনের মধ্যেই আমরা সেখানে উঠে যাব।
বিস্তারিত»যে পথে হয়নি যাওয়া
[ডিসক্লেমারঃ রবার্ট ফ্রস্ট এর the road not taken এর অনুবাদ করার চেষ্টা। সবাই অফ টপিক কিছু দিচ্ছে আর আজ সারাদিনে আমার কিছু লেখা হয়নি তাই এইটা। কবিতা পড়ার পর এত ভাল লাগল তাই অনুবাদ করার চেষ্টা করেছি। করার পর আমার কাছে ভাল লেগেছে ভাবলাম এখানে দিয়ে দেই। ভাল না লাগলে সরিয়ে দিব। ]
দুটো পথ আলাদা হয়ে গেল বনের ধারে এসে
থমকে দাড়ালাম আমি,
কখন বুঝবেন?
কখন বুঝবেন আপনি একজন ক্যাডেটঃ
১) যখন কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে আপনার চোখ আশে পাশের রাস্তায় চিরুনি অভিযান চালাবে(আপনি যদি ক্যাডেট হোন নিশ্চয় বুঝতে পারছেন)।
২) যখন ছুটীতে বাঁশির শব্দ শুনে চমকে উঠবেন, হয়ত বাসা থেকে বেরও হয়ে যাবেন এই ভেবে ফল-ইনের বাঁশি পড়েছে। (আমি এখনও চমকাই)
৩) যখন বাসায় গিয়ে দেখবেন মা গত তিন মাসের যত খাবার দাবার ছিল সব রেখে দিয়েছে আপনার জন্য।(আমি বাসায় গিয়ে সবার আগে ফ্রিজ খুলে চেক করতাম কি কি মেন্যু আছে স্টকে)
অপ্রাসঙ্গিক: একটি ভ্রমন কাহিনী
টিএসসি তে বসে আছি। আমি, মিম (সিসিসি) আর জ্যোতি (সেমিক্যাডেট)। মিম, জ্যোতির পরীক্ষা শেষ [মিম আর জ্যোতি আই.ইউ.টি তে পড়ে]। অনেকক্ষন আড্ডা দেবার পর বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে এলাম। রাতে থাকার কথা ওখানে। ৩০৬ নং রুমে ঢুকে দেখি মর্তুজা যথারীতি ফিফা খেলতে বসেছে। একটু পর ডিনার করতে বের হলাম। দেখি মিম তার জিনিস গুছিয়ে নিয়ে বের হচ্ছে। জিজ্ঞেস করতেই বলল এমনি। এমনি এমনি যে কেউ রাতের খাবার খেতে চাংখারপুল যাবার সময় “ক্রনিকেলস অব নার্নিয়া” মুভির ডিভিডি নিয়ে বের হয় না সেটা বুঝতে বুয়েটে পরা লাগেনা।
বিস্তারিত»আমাদের প্যাঁচালী
(আমার এই লেখাটি ৩১ আগস্ট ২০০২ সালে প্রথম আলোর ছুটির দিনে তে প্রকাশিত হয়েছিল। কপিরাইট আমার। তাই কপি মারায় দোষ কি? ওইটাই তুলে দিলাম।)বছর দুই আগের কথা। আমি তখন কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের একাদশ শ্র্রেনীর ছাত্র। সদ্য স্কুল পেরোন সহপাঠীদের মধ্যে তখন অনেকেই নব প্রেমের জোয়ারে হাবুডুবু খাচ্ছে। আমরা কজন সেই গড্ডালিকা প্রবাহে গা না ভাসিয়ে নিরপেক্ষ ভ্যেনুর নিরপেক্ষ গ্যালারীতে বসে তা দেখছি।
বিস্তারিত»বাচ্চা ভয়ংকর কাচ্চা ভয়ংকর
ইদানীংকালের বাচ্চা কাচ্চারা আক্ষরিক অর্থেই ভয়ংকর! এদের বুদ্ধির তারিফ না করে পারা যায় না, আর দুষ্টামীর বহর দেখলে রীতিমতন আতংকে থাকতে হয়!
এবার দেশে গিয়ে দেখি, তিনবছর আগে যাদের কোলে-পিঠে দেখেছিলাম, তারা সবাই এখন রেলগাড়ির মতন দৌড়াচ্ছে।
বিস্তারিত»প্রেস্টিজ পর্ব- ২
তপু ভাইয়ার গবেষণার সাথে আমি আরও কিছু যোগ করি ………..
ক্লাস সেভেনঃ
এদের প্রেস্টিজ না থাকলেও ক্লাস এইটে উঠলে ওরা টের পায় কিছু কিছু কথায় তাদের প্রেস্টিজ গেছে..এখন তারা বুঝতে পারছে..যেমন সেভেনে কেনো কোনো প্রেপমনিটর আসতে চাইতো না,কেনো প্রেপ মনিটর ভাইয়ারা রুমে সাবান আছে কিনা জানতে চাইতো
অনুঘটনা-১(প্রেস্টিজ পর্ব)
(ডিসক্লেমারঃ ইদানিং আমার মাথার মধ্যে খালি ক্যাডেট কলেজের কাহিনী ঘুরে। সব ছোট ছোট ঘটনা। কিন্তু না লিখেও থাকতে পারছিনা। ছোট ছোট লেখাগুলা তাই অনুঘটনা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছি। আর ইদানিং আমার লেখা কেমন যেন গবেষণা টাইপ হয়ে যাচ্ছে)
ক্যাডেট কলেজের প্রেস্টিজ টা এক বিশাল ব্যাপার। খুব সেনসিটিভ বিষয় অল্পতেই ফট করে প্রেস্টিজ চলে যায় সবার। এখানে দেখি কিভাবে কাদের প্রেস্টিজ চলে যায় সেটা নিয়ে একটু ব্লগরব্লগর করি।
সেভেন ডেইস এর ছবি….
আমার মিডটার্ম শেষের দিকে তাই এটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি……..
ঘটনাটা আমাদের ইলেভেনের সেভেন-ডেইস এর পরপর।আমরা সবাই তখন কে কেমন ছবি তুলছে ,কারটা কত ভালো আসছে এইটা নিয়েই বিজি।তো আমি আর ফয়েজ(তানভির-আই.ইউ.টি) তখন সবসময় একসাথেই থাকি,অল্প অল্প দুস্টামী করি,অনেক পোলাপাইনদের মদন বানানোর ধান্দায় থাকি।তো হঠাৎ ফয়েজের মাথায় দুস্টামী একটা চলে আসছে।ও রিফাতকে ডাকলো “দোস্ত শোন,তোর খুব সুন্দর একটা ছবি আমার কাছে আছে..দেখবি??
বিস্তারিত»অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ – ৪
[এই ধারাবাহিক উপন্যাসের একেক পর্ব একেকজন লিখবেন। যে কেউ লিখতে পারেন। কেউ যদি পরের পর্ব লিখতে চান তাহলে তাকে এই পর্বে মন্তব্য করে তা বলে দিতে হবে। যিনি আগে বলবেন তিনিই লিখবেন পর্বটি।]
প্রথম পর্ব
আগের পর্ব
এগারোঃ
অল্প কটা খেয়েই টেবিল থেকে সামিয়ার উঠে যাওয়া দেখে রেহানার মনটাই খারাপ হয়ে গেলো।তাদের এতো হাসিখুশি মেয়েটার এমন পরিবর্তন বাসার কেউই মেনে নিতে পারছেনা।সবচেয়ে কষ্ট হচ্ছে রাতুলের।বাইরে খুব একটা বন্ধু নেই রাতুলের..তাই আপুর কাছেই সব আবদার।এই আপুটাই ওর সব।আল্লাহ যেন ওর আপুটার মন খুব ভালো করে দেয়…মনে মনে আল্লাহর কাছে চায় রাতুল।আপু জানিস আজকে না টিভিতে খুব সুন্দর একটা রান্নার অনুষ্ঠান দেখাবে….দেখ্বিনা?
ফলোয়ার ভাবনা
একটা ছোটখাটো সাইজের বড় খবর
ঘটনা হচ্ছে- না মানে, তেমন গুরুতর কিছু না- আমাদের ডোমেইন কেনা হয়ে গেছে!
প্রস্তাবনা অনুযায়ী www.cadetcollegeblog.com আপাতত এক বছরের জন্যে রেজিস্ট্রি করা হয়ে গেছে।
আমি এটাকে সাময়িকভাবে এই ওয়ার্ডপ্রেসের ঠিকানার রিডাইরেক্ট করে দিয়েছি। যদিও আমাদের হোস্টিং সার্ভার এখনো ঠিক হয় নি, তাতেও কোন সমস্যা নেই। আমরা ঠিক এই মুহুর্ত থেকেই এই ডোমেইনটি ব্যবহার করা শুরু করে দিতে পারি।
সুতরাং,
বিস্তারিত»ক্যাডেটীয় সমস্যার ক্যাডেটীয় সমাধান
“ক্যাডেটের অপর নাম সমস্যা”। আমার কথা না, এক স্যারের কথা।কমবেশি সবাই সমস্যায় পড়ে তবে ক্যাডেটদের সমস্যা শুধু এক ক্যাডেটই বুঝতে পারে। অনেক চিন্তা করে কিছু সমস্যা বের করলাম তার সমাধানগুলো সমস্যার নায়কদের কাছথেকে পাওয়া। তাই সমস্যাগুলোতে পড়লে ট্রাই করতে পারেন,হাজার হোক প্রেক্টিক্যালি সার্টিফাইড।
বিস্তারিত»আমাদের কলেজ-২(ছড়া version)
আরও একটা part আমি লিখলাম……অন্য যে কেউ পরেরটুকু লিখে আমাকে বাঁচাতে
পারেন(মাথায় শুধু এটাই ঘুরতেছে…..)
কাধের ওপর দুই দাগ নিয়ে
সামনে কটা কেশ,
রুমক্রিকেট আর আড্ডা নিয়েই
যাচ্ছে জীবন বেশ।