আমি যেভাবে ক্যাডেট হইলাম……এবং অতঃপর -১

১. কথাবার্তা
সব ক্যাডেটের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতাগুলো অনেকটা একই রকম। কিছুটা ভয় ভয়, অনেকটা অনিশ্চয়তা আর তার সাথে সাথে বাবা মাকে ছেড়ে আসার কষ্টকে মেশানো অদ্ভুত একটা অনুভুতি। আজকে হঠাৎ ভাবতে বসলাম…আমার নিজেরটা কেমন ছিল? অন্যদের চেয়ে কি আলাদা ছিল? ভাবতে গিয়ে দেখি অনেক কিছুই মনে পড়ে না। অনেক কিছুই মনে পড়ে পড়ে ভাব হয়। খারাপ লাগলো খুব। কলেজ থেকে বেড়িয়ে এসেছি আজ ৬বছর হলো প্রায়।

বিস্তারিত»

ফিরে ফিরে আসি-২

৩.
ক্লাস শেষ হওয়ার পর এক স্যার চলে গিয়ে অন্য স্যার আসার আগে মাঝে মাঝে দুই এক মিনিট সময় পাওয়া যায়। সেই সময় আমরা খুব মজা করতাম। একজন অন্যজন কে পচানো, হিট-ফ্লপ রস করা সব হতো ওই সময়। কেউ গলা ছেড়ে গান গাইতো, কয়েকজন টয়লেটে যাবার জন্য দল বেধে বেরিয়ে যেতো। শুধু দু একজন তখনো ঘুমিয়ে থাকতো। কে আসলো, কে গেল, কার ক্লাস এই সব তাদের কাছে কিছুই মানে রাখে না।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট নম্বর ১৮৬২-অসময়ে হারিয়ে যাওয়া অতি আপনজন (পর্ব ২)

পাঁচ…..

ক্লাশ নাইনে সময় অদ্ভুত দ্রুত কাটতে লাগল।সময়টাকে আমার এখনও মনে হয় বড়ই মধুর।আমি দেখতে থাকি আমার বন্ধুদের চিঠি চালাচালি।এখন ই মেইলের যুগে হারিয়ে যাওয়া চিঠি তখন ছিল অদ্ভুত শিহরণ সঞ্চারী।যখনই কারো চিঠি আসত আমরা ছুটে যেতাম কোথা থেকে এল দেখতে।গার্লস ক্যাডেট কলেজ থেকে আসা চিঠিগুলো অবশ্যি দেখলেই বুঝা যেত।কেননা ওদের হাতের লেখা গুলো যেন একই রকম ছিলো।তা আলমের কাছে যে চিঠি আসত তা দেখার সুযোগ হতো আমার।শাহরুখ নামধারী কোন মেয়ের কাছ থেকে আসত চিঠিগুলো।আর আলমের চিঠি গার্লস কলেজে যেত রুশি নামের মেয়ের পক্ষ থেকে।ক্যাডেট কলেজের স্যারদের সন্দেহের হাত থেকে বাচার এই পদ্ধতি বোধ করি অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছিলো।তাই স্যাররা বুঝে না বুঝার সুনিপুন অভিনয় করত যা পত্রপ্রেরক এবং প্রাপক দুই পক্ষকেই উৎসাহিত করত।রুশি-শাহরুক কিংবা রুশো-শাখরুনার এই অভিনয় চলতে থাকে পুরো ক্লাশ নাইন জুড়ে।প্রেম ভালোবাসা নামক সূক্ষ্ম মানবিক আবেগগুলোকে আমি চিনতে শুরু করি প্রিয় বন্ধু আলমকে দেখেই।পরের বন্ধে ম্যাবসে পড়তে যাওয়ার আগ্রহও বাড়তে থাকে এভাবেই।

বিস্তারিত»

সাত দিনের পথ – নিরাময় পর্ব

মন খারাপ থাকাটা কোন রোগ না। খারাপ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। আমার তো প্রায় সব সময়ই মন খারাপ থাকে, হটাৎ হঠাৎ ভাল হয়ে যায়। যাহোক, মন খারাপ যদি কোন রোগ না হয় তাহলে এই পর্বের নাম নিরাময় দিলাম কেন? যেখানে নিরাময় সেখানেই তো রোগ। তেমন কোন কারণ নেই। তবে নিজে নিজে একটা কারণ বানালাম, সাত দিনের পথ যে বিষাদ পর্ব দিয়ে শুরু হয়েছিল তাতে মন খারাপটা রোগ হিসেবেই দেখা দিয়েছিল।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট নম্বর 1862- অসময়ে হারিয়ে যাওয়া অতি আপনজন…….

এক…..

অনেক ধরেই ভাবছিলাম ক্যাডেট কলেজের ঘটনা নিয়ে লিখব।ব্যস্ততা আর আলসেমি দুয়ে মিলে তা সম্ভব হচ্ছিল না।তারপরও আজ না বসে পারলাম না। এর কারণ একটি বিয়ের দাওয়াত। অনেকেই চমকে উঠতে পারেন,ক্যাডেট কলেজের সাথে বিয়ের দাওয়াতের আবার সম্পর্ক কি এই ভেবে। সম্পর্ক এজন্য দাওয়াতটি সেনাকুঞ্জে। সেনাকুঞ্জ নামটি আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিচ্ছে এই লেখা।কারণ এই সেনাকুঞ্জেই তার বিয়ে হবার কথা ছিল। সে বলতে ক্যাডেট নম্বর ১৮৬২।

বিস্তারিত»

আমাদের ছিপি!!!

CP- কলেজ প্রিফেক্ট; শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে খুবই গম্ভীর, রাফ এন্ড টাফ টাইপের সিরিয়াস কোন চেহারা…যাকে জুনিয়ররা খুব কমই হাসতে দেখে, যার সাথে ওয়ান টু ওয়ান কথা বলতে পারা জুনিয়রদের গর্ব করে বলার বিষয়…এমনকি স্যার-ম্যাডামরা পর্যন্ত তাকে সমঝে চলে…
সরি, রঙ নাম্বার!!!
আমাদের ইনটেকের CP, হাসান, সম্পুর্ণ অন্য রকম। হাসি-খুশি, ফান লাভিং…কলেজে ওকে কখনও সিরিয়াস হতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না…
একবার পৌরনীতির রেজাউল করিম (পেরেক) স্যার ছিলেন ডিউটি মাস্টার।

বিস্তারিত»

ফিরে ফিরে আসি-১

ক্যাডেটদের ফাজলামি নিয়ে লেখা এই গল্প গুলির কিছু আমার নিজের দেখা, কিছু রি-ইউনিয়নে বড় ভাইয়াদের কাছে শুনা।

১.

আমাদের অনেক সিনিয়র কাশেম ভাই হঠাৎ করে একদিন পাগল হয়ে গেলেন।
গেমস টাইমে বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে সবাই খেলছিল। হঠাৎ কাশেম ভাই বলা নেই কওয়া নেই গ্রাউন্ডের চারদিকে চক্কর দেয়া শুরু করলেন। প্রথমে কেউ দেখল না বা দেখলেও পাত্তা দিল না। কিন্তু গেমস টাইম শেষ হওয়ার পরও কাশেম ভাই চক্কর দিতেছে দেখে স্টাফ ডাক দিয়ে বললেন
-কাশেম ব্রেক আপ হয়ে গেছে,

বিস্তারিত»

মহান ১৪ই আগস্ট (পাঙ্গা দিবস)

আগামীকাল ১৪ই আগস্ট। রংপুর ক্যাডেট কলেজের ১৯তম (১৯৯৩-১৯৯৯) ইনটেকের জন্য এই দিনটি ছিল পাঙ্গা দিবস। ঘটনার সুত্রপাত হয় ১৯৯৩ সালের ১৪ই আগস্ট। দিনটি ছিল শনিবার। কলেজ এসেম্বলী ছিল সেই দিল। আমাদের ইনটেক হয়েছিল ২০ মে ১৯৯৩। তখন আমরা ক্লাস ৭ এ পড়ি। কলেজ এসেম্বলী শেষ হবার পর কলেজ প্রিফেক্ট এক এক ক্লাসকে ক্যারি অন করাচ্ছিল। সেই সময় এসেম্বলী রুমে অনেক চিল্লাচিল্লি হয়। সম্ভবত সিনিয়র কোন ব্যাচ এই চিল্লাচিল্লি করে।

বিস্তারিত»

“ভালবাসি বর্ষাকে”

(ছড়াটি অস্ট্রেলিয়া-প্রবাসী আদনান ভাইকে গিফট করা হলো।
আগেই জানিয়ে রাখি, বর্ষা এবং টিউলিপ দু’টি মেয়ের নাম আর জিহাদ হলো আমাদের অতি পরিচিত একটি ভাইয়া।)

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
মুষলধারে রাত্রি-দুপুর
জলের বুকে টিপটিপ
দেখছে বর্ষা-টিউলিপ।
বর্ষা শুধায়, “সখিরে
লাগছে কীযে আহারে
চলনা একটু ভিজি
হৃদয় সুখে মজি।”
টিউলিপ কয় জবাবে,
“আজ জিহাদের অভাবে
আমায় তবে পড়লো মনে
বৃষ্টিমুখর মিষ্টি ক্ষণে?

বিস্তারিত»

দুষ্ট ছবি আর দুষ্ট গানের গল্প।

১.
ক্যাডেট কলেজে আমার দেখা প্রথম সিনেমা ছিল অক্ষয় কুমার আর রাভিনা ট্যান্ডনের ‘মোহরা’। আমরা তখন ক্লাস সেভেনে একেবারে নতুন। সেই সময় নিয়ম ছিল মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ফিল্ম শো হবে। আমরা তো আর এত কিছু জানিনা। একদিন সন্ধ্যায় টি ব্রেক শেষ হওয়ার ঘন্টা পরার সাথে সাথে দেখলাম ক্লাস ১২এর ভাইয়ারা আমাদের আগে ডাইনিং হল থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তারপর ক্লাস ১১, ১০ একে একে সবাই।

বিস্তারিত»

কোথায় পাবো তাদের-৬

১.
শরীফ উদ্দিন স্যারের সাথে আমার প্রথম পরিচয় একদিন টার্ন আউট প্যারেডে । আমরা তখন ক্লাস সেভেনে। একেবারেই নতুন। প্যারেডে দাঁড়িয়ে আছি। আমদের পাশে ক্লাস এইটের ভাইয়ারা। হঠাৎ সেখান থেকে তানজিন ভাই আমদের আব্দুল্লাহ কে ডাক দিলেন
-আব্দুল্লাহ কাম হিয়ার
আব্দুল্লাহ দৌড়ে গেল। তানজিন ভাই বললেন
-ওই যে দেখতেছ বড়ো চশমা পরা একজন স্যার আসতেছে উনারে গিয়া জিজ্ঞেস করবা, স্যার ghost মানে কি?

বিস্তারিত»

নতুন দিনের মিছিলে…

আমার বন্ধু ভাগ্য খুব ভালো। কিন্তু আসল ভাগ্যটা খারাপ। এ কারণেই ভালো বন্ধুগুলোর সাথে নানা রকম গ্যাঞ্জাম লাগে। মধুর গ্যাঞ্জাম না, এক্কেবারে সিরিয়াস টাইপ…এই জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে সবসময় উৎকন্ঠায় থাকতে হয়। কখন কি থেকে কি হয়ে যায়…

পঁচা ছাত্র ছিলাম। আইডিয়াল স্কুল আমাকে ঢাকা শহর থেকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে দিবে না বলে ঠিক করলো…হুদাই তাদের মান সন্মান ডুবাবো…আমি খুশী। কার এতো সখ পড়ছে ফাইনাল পরীক্ষার পর এইসব আজাইরা জিনিস নিয়ে সময় নষ্ট করার…এই সহজ ব্যাপারটা আমি বুঝলেও আমার মা বুঝলোনা।

বিস্তারিত»

বন্ধু তোদের মিস করছি ভীষণ

হারিয়ে গেছে বন্ধু মিজান- মিজানুল মাহবুব। মেধাবী ছিল। আঁকার হাতটা ছিল দারুণ। বুয়েটে যখন স্থাপত্য বিভাগে ভর্তি হলো আমরা কেউ অবাক হইনি। ক্যাডেট কলেজে ঢুকে আমাদের অধিকাংশ বন্ধুর ড্রইংয়ে হাতখড়ি হয়েছিল। সেসময় মিজান, সোহেলসহ কয়েকজনকে আমরা রীতিমতো ঈর্ষা করতাম।

মিজান স্থাপত্য পড়া শেষ করে ছোটখাট কিছু কাজ করছে এমন সময় তার অসুখটা ধরা পড়লো। দুটো কিডনিই তার পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। রোগের সঙ্গে লড়াই করতে করতে বন্ধু মিজান হারিয়ে গেল ১৯৯৩ সালে।

বিস্তারিত»

ভালবাসি তোমাকে

(ফ্র্যান্ডশিপ ডে উপলক্ষ্যে জিহাদকে গিফট করা হলো এই কবিতাটা।)

ছিপছিপে তার বদনখানি
মিষ্টি কোমল মুখ
এরই মাঝে খুঁজে ফিরি
এক পলকের সুখ।

নীলাম্বরী শাড়ি পরে
সামনে যখন এলো
আকাশ থেকে নামলো পরী
আমার মনে হলো।
লজ্জাবতী লতার মতো
কুঁকড়ে গেল নিমিষে
ছুটে কোথায় পালাতে চায়
অধর ছুঁতেই গ্রীবাদেশে।

টেলিফোনের ওপার হতে
বললো যেদিন আমাকে,

বিস্তারিত»

সিসিবি সমাবেশ…

আগস্ট মাসে তপু ভাইয়ের বাংলাদেশ আগমন উপলক্ষে একটা সিসিবি সমাবেশ করার চিন্তা ভাবনা করা হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগে। তারপর এর সাথে যুক্ত হয় সমাবেশে জাফর ইকবাল স্যারকে আমন্ত্রণ করার ব্যাপারটা। আগস্ট মাস প্রায় এসে পড়েছে। এসে পড়েছে তপু ভাইয়ের ঢাকা আগমনেরও সময়। আমরা জানতে পারলাম আমাদের আরও কিছু প্রবাসী সদস্য এই সময় ঢাকা থাকবেন…

সমাবেশ হবে এইটা নিশ্চিত।

বিস্তারিত»