গত বছর বলিউড এ একটি ব্যতিক্রমধর্মী ছবি রিলিজ হয়েছিল-‘তারে জামিন পার’। ছবিটি দেখার সময় কয়েকবার চোখ ভিজে ওঠেনি এমন মানুষের সংখ্যা খুব কমই আছে। তবে আমার মনে হয় ছবিটি বিশেষ করে সকল ক্যাডেটদের হৃদয়কে সবচেয়ে কাছ থেকে ছুঁয়ে গেছে। পিচ্চিটাকে(দার্শিল) যখন বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হয় এবং তারপর ওর যে মানসিক অবস্থা দেখানো হয় তাতে যে কোন ক্যাডেটের ক্লাস সেভেন/এইট এর কথা মনে পড়তে বাধ্য।
সত্যি, অতটুকু বয়সে বাপ-মা ছেড়ে অত কঠিন জীবন যাপন সহজ নয়। ক্লাস এইট এ থাকতে আমাদেরকে একবার ১০৫/১০৬ দিনের একটা টার্ম পাড় করতে হয়েছিল। ওটা ছিল কলেজ জীবনের কঠিনতম সময়। তখন আমাদের কমন ভাবনা ছিল কবে বড় হব…..
গতকাল (৪ঠা জুলাই) আমাদের এক বন্ধুর বিয়ে হল…..এবং ওই প্রথম না…..আবার গত মাসে আমাদের আরেক বন্ধুর বাবা আমাদেরকে ছেড়ে চির বিদায় নিলেন (আল্লাহ্ তাঁকে বেহেস্ত নসিব করুক)….এ সব কিছু এটাই বলে যে আমরা বড় হয়ে গেছি/যাচ্ছি…কিন্তু, বড় হওয়াটা এখন মোটেও উপভোগ করতে পারছিনা…
যে আমি একসময় বড় হবার জন্য দিন গুনতাম, সেই একই আমি এখন বড় হতে ভয় পাচ্ছি…..
সত্যি, আমাদের জীবনটা বড্ড বেশি বিচিত্র…….!!!
হুমম...ভাগ্যিস আমরা এখনো বড় হই নাই! আমরা ভালোই আছি 😀
সামিয়া বলেছেন,
"হুমম…ভাগ্যিস আমরা এখনো বড় হই নাই! আমরা ভালোই আছি :D"
************************
কারণ,
************************
শফি বলেছেন,
"ছোট বেলায় বাবাকে শেইভ করতে দেখলে মনে হত - আমিও কবে বড় হব, বাবা’র মত গম্ভীর মুখে শেইভিং ফোম লাগিয়ে আয়নায় নিজের মুখ দেখব।"
=)) 😀 😉 >:)
Time does fly. ছোট বেলায় বাবাকে শেইভ করতে দেখলে মনে হত - আমিও কবে বড় হব, বাবা'র মত গম্ভীর মুখে শেইভিং ফোম লাগিয়ে আয়নায় নিজের মুখ দেখব। এখন শেইভ করতে গেলে গায়ে জ্বর আসে, আলসেমি লাগে। The grass is always green on the other side of the river.
আমাদের সবচেয়ে বড় টার্ম ছিল ক্লাস সেভেনে, ১১৭ দিনের! 🙁
১১৭ দিন???????কেম্নে বাইচা ছিলেন????টার্ম শেষে বাসায় আসবার সময় কেমন লাগছিল??
এক একটা দিন যাইত আর আমি ক্যালেন্ডারে একটা কইরা ক্রস দিতাম। প্রতিদিন গুনতাম টার্ম কবে শেষ হইব? সেই যে আমার সোনা রঙ এর দিনগুলি! ........দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইলোনা....রইলোনা।
"তখন তো বুঝিনি, বড় হওয়া বড়ই শক্ত
বয়সের সাথে সাথে কমে যায় চোখের জল..."
বড় হতে চাই না একদম।
যখন ছোট ছিলাম তখন আব্বা টাকা চাইলেই দিত...আর এখন টাকা চাইলে বলে যে বড় হইসিস ...যা টিউশনি করে কামাই কর...লাইফের বাস্তবতা শিখ।
হুম...খাঁটি কথা
কলেজে দাঁড়ি উঠতো না বলে বন্ধুদের অনেক জ্বালাতন সহ্য করেছি। একবার স্টাফ শেভ না করার অপরাধে আমার নাম লিখে নিয়ে যাওয়ায় আমি কি খুশি। যাক এইবার আমি অফিশিয়ালি বড় হলাম। স্টাফ আমার খুশি দেখে হা করে চেয়ে থাকল......
এখন আর আমি বড় হতে চাই না........সেই কৈশরে ফিরে যেতে চাই .......
মনে পড়ে যায় আমার কৈশর,
স্মৃতির হারানো সেই সুর,
আজো ভুলিনি, সেই দিনগুলি,
মনে পড়ে যায় আবারো... ফিরে আসে...
আবার... ফিরে আসে....
boro hoye gesi aro buja jai, jokhon suni chacha, mama hoye gesi. r shave korar kotha mone porle to jor e ase. daily office e jabar age korte hoi. osojjo.
অফিসে কি অ্যাডজুট্যান্ট আছে নাকি? আর যাই করি, শেভ করবার পারুম না।
"কুচ্ছিত হাঁসের ছানা" মানুষ হইলো কবে??
ভাই, তাকেজো কেনসেই কে?
আমার জানামতে রায়হান আবীর ছেলেটা কখনো হিন্দি ছবি দেখেনা!! ও কি "তারে যমিন পর" দেখসে?
আপনার জানা ঠিকই আছে। তবে আমি এক দোস্তের কথায় অনুপ্রানিত হয়ে সিনেমাটা দেখেছিলাম। সেই সময় কাঁচা হাতে ব্লগও লিখেছিলাম একটা। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/11903
তারে জামিন পারে বোর্ডিং স্কুলের যে বিষয়টা লিখলেন সেটা আমারও ভাল লেগেছিল। তবে কলেজের কথা সবচেয়ে বেশি মনে হয়েছে ফ্রঁসোয়া ত্রুফোর "The 400 Blows" দেখে।