টক-মিষ্টি-ঝাল (ছোটবেলা)

বাসার গলির মুখে রিকসা এসে থামলো। আমি নিশি আপুর পাশে যেয়ে বসলাম। শোন, আজকে স্কুল থেকে ফেরার সময় হেঁটে আসবো… ঠিকাছে? আমি বলি এতো দূর হাটঁতে পারবোনা…আরে পারবি। দুইজন গল্প করতে করতে ঠিক চলে আসবো।

মুখে গাইগুই করলেও আনন্দে আমার বুকটা ভরে উঠলো। আমি আপুর মুখের দিকে তাকিয়ে আছি। আপু তখন কথা বলছেন আর মিটিমিটি হাসছেন। ওনার হাসিটা এত্তো সুন্দর। হাসলে চিবুকটা ভেতরের দিকে ডেবে যায়।

বিস্তারিত»

ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ -৫০ বছর

এই লেখাটা সবাই পড়তে পারেন। শাকুর মজিদ ভাই এর , সমকাল পেপারে।
এখানে

বিস্তারিত»

কোথায় পাবো তাদের – ৩

১.

বহুদিন পর আমাদের কলেজে একজন ম্যাডাম আসলেন। তাও আবার রীতিমতো অবিবাহিতা।
শোয়েব আখতারের বলে টেনডুলকার ছক্কা মারলে ভারতের সাপোর্টাররা যেরকম খুশি হয় আমরা সবাই ওরকম খুশি হয়ে উঠলাম। মনের ঘরে চান্দের আলো চুইয়া চুইয়া পড়তে শুরু করল। আমরা যারা মকরা পার্টি ছিলাম, সেভ না করার জন্য ডেইলি জোড়ায় জোড়ায় ই.ডি. খাইতাম তারাও সকাল বিকাল সেভ করতে করতে গাল সবুজ করে ফেললাম কখন ম্যাডামের সাথে দেখা হয়ে যায় এই আশায়।

বিস্তারিত»

অনেক পুরোনো একটা প্রেমে পড়ার গল্প

ভালবাসা নিয়ে ছোট বয়সে একটা ছোটগল্প লিখেছিলাম। কালের অতলে হারাবার আগেই, তোমাদের জন্য –

বেশ কয়েকদিন ধরে ভালবাসা নিয়ে ভাবছি, কিন্তু কোন মানে খুঁজে পাচ্ছিনা । আমাদের কলেজে বৃষ্টি পড়ে। বৃষ্টি রহমান সুন্দরী এবং কিছুটা রহস্যময়ী।
ওর সাথে এতদিন মিশেও ওর মনের কোন কিনারা পাইনা, কোথায় যেন ওকে বুঝতে পারিনা।যদিও সবার সাথে ওর ব্যবহার খুব সাবলীল। সবার!!
সবার মানে আমি, নাফিস আর বাকিরা গুরুত্বহীন।

বিস্তারিত»

আমি শিহরিত!!!

ব্লগ এ এটাই আমার প্রথম লেখা এবং বাংলাতেও এই প্রথম আমি কিছু লিখছি…..
টাইপ করতে একটু কষ্ট হলেও হেব্বী মজা পাচ্ছি…..
সত্যিই বিজ্ঞান কত এগিয়ে গেছে….!!!
লিখছি ইংলিশ এ অথচ দেখাচ্ছে বাংলা অক্ষর…..
আজিব…!!!
পুরো বিদেশী ব্যাপার স্যাপার……

যাহোক, আজ আর কথা বেশি বাড়াবো না…..
সবাইকে ধন্যবাদ ।

কবীর
খ-১৭৭৪
৩২ তম ইনটেক(‘৯৫-২০০১)
ঝ.ক.ক

বিস্তারিত»

প্রিয় সমাচার

পূর্ব প্রতিজ্ঞাস্বরুপ আজ ক্যাডেট কলেজে আমার প্রিয় ১টি প্রসঙ্গ নিয়ে হাজির হলাম। আর এই লেখাটি উত্সর্গ করছি নওরীন আপুকে।

বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝরঃ

রুটিনবদ্ধ ক্যাডেট জীবনে সামান্য কিছু ছুটির আকাঙ্ক্ষায় প্রাণটা হয়ে থাকতো ব্যকুল। বাঁশির তালে তালে প্রতিটি মুহূর্ত যেন একটা পিছুটান হয়ে রইতো। আর সেই অসহ্য ক্লান্তিতেও যখন কেউ দরদভরে এগিয়ে আসেনি, ঠিক তখনি প্রকৃতির দয়া হয়ে ঝরে পড়তো এক পশলা বৃষ্টি।

বিস্তারিত»

হে আল্লাহ,আমাদের সুফিকে তুমি দেখে রেখো……

“আমরা গাজীপুর পৌঁছাই ১১টার কিছু আগে। জহিরকে রাখা হয়েছিলো বাসায় ঢোকার আগের খোলা জায়গাটাতে। কেউ একজন এসে কাফনের কাপড়টা সরিয়ে ওর মুখটা দেখালো। চোখের কাছটায় সুরমা দেয়াতে কিছুটা নীলচে হয়ে আছে মনে হলো। এছাড়া অন্যকোনো অস্বাভাবিকতা নেই। প্রথম দেখাতে কোনো অনুভূতিই হলোনা। কিভাবে হবে? আমাদের সুফির লাশ কাফনে মুড়ে খাটিয়াতে শুয়ে আছে আর আমরা ভীড় করে দেখছি, এটা কোনো কথা নাকি?তাই ওই সময়ে ভাবলেশহীন মুখে আমরা দেখে বাড়ির বাইরে এসে দাড়িয়ে থাকলাম।

বিস্তারিত»

কিছু ঘটনা

এমজিসিসি এর কাহিনি পড়ে আমারও কিছু ঘটনা মনে পরে গেলো।
তখন আমরা ক্লাস XII এ মাত্র উঠেছি। ICCFM এর জন্য ৭দিন অতিরিক্ত ছুটি পেলাম। তো ময়মনসিংহে আমরা বিভিন্ন কলেজের প্রায় ৭-৮ জন ছিলাম। আমরা আবার আড্ডা দেয়ার জন্য একত্রিত হতাম এমজিসিসি তে। কারন এমসিসি এর তানভির এর বাসা ছিল সেখানে। আবার প্রিঞ্ছিপাল এর ছেলে আমাদের ফ্রেন্ড হওয়াতে আমাদের কেউ কিছু বলতনা।
ঘটনা-১; আমরা ১দিন সন্ধ্যার পর বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম।

বিস্তারিত»

জলপাই রঙের গল্প

১.

গেমস টাইমের মার্চ-আপ। সি.এইচ.এম ফরিদ স্টাফ এডজুট্যান্টের কাছে স্টেটমেন্ট জমা দিচ্ছেন। এমন সময় আনোয়ার স্টাফ চিৎকার দিলেন…
‘জসিম ডন্ট মুব .. ডন্ট মুব’
আমরা একে অন্যের মুখ চাওয়া চাওয়ি শুরু করলাম। পুরা কলেজে জসিম নামে কোন ক্যাডেট নাই। আনোয়ার স্টাফ কাকে বলছেন। এরমধ্যেই আবার চিৎকার……
‘জসিম নড়তাছে কেন? জসিম ফল-আউট, ফল-আউট বলছি’
আমরা এদিক ওইদিক তাকাইতে লাগলাম কে ফল-আউট হয় দেখার জন্য।

বিস্তারিত»

আগামীকাল ১৭ জুন

আমরা তিন ভাইয়ের মধ্যে আমরা ছোট দুই জন একেবারে পিঠাপিঠি,নাহ আমাদের পিঠ একসাথে লেগে থাকতো না কিন্তু পিচ্চি কালে সকল কান্ড আর অকান্ডের সাথী আমরা দুইভাই।খালি বাসায় বিছানার উপরে কোলবালিশ দিয়ে মারামারি খেলা আর আম্মু বাসায় আসলে ঘর এলোমেলো করার অপরাধে হালকা মাইর খেতে তখন থেকেই ভালো লাগতো।এই আনন্দের বাধ সাধলো যখন থেকে আমাদের বড় ভাইটা একটু বড় হয়েই আম্মুর খুব বাধ্যগত হয়ে ঘর টর গোছানো শুরু করলো।বড়ভাইয়ার যন্ত্রনায় বিছানার উপরে বসাতো দুরের কথা সোফায় বসার সাহসও পেতাম না।অগত্যা মাটিতে বসে থাকতে হতো আমাদের দুইজন কে।এইটা নিয়ে বড়ভাইয়া এতই অত্যাচার করতো এখনো আমি সাজানো বিছানা অথবা সোফায় বসতে ভয় পাই কখন যেন বড়ভাইয়া চলে আসে।বড়ভাইয়ের এহেন অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস আমার কখনো হয়ে উঠেনি কিন্তু তপু ভাইয়াকে দেখতাম মাঝে মাঝে প্রতিবাদ করে জোর করেই বিছানায় শুয়ে যেত ,আর শুরু হতো সিডর।সেই সিডর এবং সিডর পরবর্তি সময়টাতে আমারই সবচেয়ে সমস্যা হতো।সমস্যাটা হত আমি কাকে সাপোর্ট করবো তা নিয়ে।কারন তিন ভাইয়ের মধ্যে দুইজনের গ্যাঞ্জাম লাগলে অন্যজন যেইদল নিবে সেই দলই জয়ী তাছাড়া আম্মুর জিজ্ঞাসাবাদের সময়ও আমার সেই সাপোর্টএর একটা ভূমিকা ছিলো।সুবিধাবাদী আমি তখন সিডর পূর্ববর্তি সময়ে
আমার সাথে যার খাতির বেশি থাকতো আম্মুর মাইরের হাত থেকে তাকেই বাঁচায় দিতাম।

বিস্তারিত»

ছোট দুটি ঘটনা

“কোথায় পাবো তাদের – ২” ব্লগ টা পড়তে পড়তে কলেজ এর দুই-একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। সব কলেজেই এই ধরনের কেউ না কেউ থাকে যারা যৌন সুড়সুড়ি মুলক কথা গুলো খুব রসালো করে ক্যাডেট দের সামনে পেশ করে। আমরা খালি ঘুরে ফিরে সেই কথাই শুনতে চাইতাম স্যারদের কাছে। আমরা কলেজ এ দুই জন ইসলামীয়াত এর স্যার পাইছি। তারা দুজন নিজ নিজ
গুনে গুনান্বীত। বিল্লাহ্‌ স্যার তার নাম অতি শুদ্ধ করে উচ্চারনে “বিল্লাহ্‌”

বিস্তারিত»

একটা প্র্যাক্টিক্যাল জোকস

আমার খালু কুমিল্লা থাকেন।উনার বাসা ভাড়া নিতে এক ভদ্রলোক আসছেন।ভদ্রলোক বলতেসেন “ভাই আমার একবারে ছোট ফ্যামিলি।আমি ,আমার বড়ভাইয়ের বউ আমার ভাই দেশের বাইরে থাকে আর আমার ওয়াইফ।আর আমার একটা বেবী( baby)আছে।তখন আমার খালু বলতেছে…”ভাই আমার তো গ্যারেজ নাই……………….!!!!”

বিস্তারিত»

দিবাস্বপ্নঃ আমি, ফুয়াদ, সামিয়া

এইমাত্র জেগে উঠেছি, একটি স্বপ্ন অসমাপ্ত রেখে। দিবাস্বপ্ন ছিলো সেটা, অতএব বেশ একটা সত্যতার দাবি রাখেনা, তথাপি স্বপ্নের একটা মধুর সমাপ্তি না হলে অতৃপ্তিটা রয়েই যায়। তাও যদি হয় প্রিয় কিছু মানুষকে নিয়ে, তবে তো আফসোসের অন্তই থাকেনা।
হ্যাঁ, আজ আমার স্বপ্নে এসেছিলো এই ব্লগের দু’টি প্রিয় মুখ। ফুয়াদ আর সামিয়া।

ওরা এসেছে আমাদের বাসায় বেড়াতে! আমি সারাদিন আজ বাইরে ছিলাম, ইজি কাজে বিজি।

বিস্তারিত»

কোথায় পাবো তাদের‌ -২

১.

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইসহাক আলী সরকার স্যার কে আমরা ডাকতাম ‘সেক্স আলী সরকার’ । সোমবার ফোর্থ পিরিয়ডে স্যারের ক্লাস ছিল। সেদিন আমদের স্পেশাল প্রিপারেশণ থাকতো। আমরা অনেকে ডাবল আন্ডারঅয়ার পরে ক্লাসে যেতাম। যারা আন্ডারঅয়ার পরতো না তাদেরও এটলিস্ট একটা আন্ডারঅয়ার পরতে হতো। কারণ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের যেকোনও বিষয়কে স্যার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেক্সের দিয়ে নিয়ে যেতেন এবং তারপর এতো গভীর ভাবে ওইটা নিয়ে আলোচনা করতেন যে আমাদের প্যান্টের জিপারের জায়গায় তাঁবু হয়ে যেতো।

বিস্তারিত»

‘এক্স’ ও ‘ওয়াই’ কেমন বন্ধু???

ক্যাটাগরী-১ : প্রচলিত বন্ধুত্ব:

—————-

দুই বন্ধু ‘এক্স’ ও ‘ওয়াই’।তারা একদিন বনে বেড়াতে গেল।হঠাৎ ‘ওয়াই’ দেখল একটি ভালুক আসছে।বাচার জন্য সে ‘এক্স’ কে না জানিয়েই দৌড় শুরু করল।’এক্স’ যখন ভালুকটাকে দেখল তখন অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে।অগ্যতা সে মরার ভান করে পড়ে থাকল কারন ভালুক নাকি মরা মানুষ খায়না।যাক,ভালুক এসে ‘এক্স’ কে শুকে-টুকে চলে যাওয়ার পর ‘ওয়াই’ এসে জিজ্ঞেস করল,ভালুক তোকে কি বলে গেছে??’এক্স’ বলল,ভালুক তাকে বলে গেছে,যে বন্ধুর বিপদের সময় পালিয়ে যায় সে প্রকৃত বন্ধু নয়।

বিস্তারিত»