অনেক সময় ছোটো একটা ইংরেজি শব্দ এত বেশি অর্থ নিয়ে সামনে দাঁড়ায় যে তার প্রযোজ্য বাংলা প্রতিশব্দ বের করা রীতিমত দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে । ঠিক এই মুহুর্তে টিনএজার এর প্রতিশব্দ যেমন খুজে পাছ্ছিনা । এত সবুজ আবেগ , সীমাহীন স্বপ্ন আর শুভ্র কল্পনার সংমিশ্রনকে আর যাই হোক কৈশোর নামক শব্দ গ্লাসে পুরোটা আটকে রাখা যায়না , মনে হয় কিছুটা যেন ঠিকই ছলকে পড়ে । শুরুটা বোধহয় বেশি সাহিত্যিক হয়ে গেল ।
বিস্তারিত»আবেগ !!!!!!
কলেজে আমাদের ব্যাচে বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতির জন্য নির্ধারিত কিছু ডায়লগ ছিল । ডায়লগ গুলির নাম আবেগ হয়ে যায় বাক্যগুলোর উচ্চারনে ক্যাডেটিয় ঢং এবং নাটকীয় সুরের জন্য । পুরো বিষয়টি আমদের অসীম হাস্যোজ্জল বিক্রিয়ায় উচুমানের প্রভাবক হিসেবে কাজ করত । কিছু পরিস্থিতি ও আবেগ নিচে উল্লেখ করছি , আমি নিশ্চিত পাঠকগন নিজ অন্তর্নিহিত ক্ষমতা বলে যথাযথ সুর ও ঢং সংযোগ করে নিতে পারবেন ।
০১।
বিস্তারিত»বৃহস্পতিবার ও স্পেশাল ডিনার নিয়ে কিছু কথা
” Q :- Gentlemen do you know what is the best recreation?
Ans:- Food”
– Maj Anwar (15 intake CCR)
উক্তিটা আর্টিলারী সেন্টার এ বেসিক কোর্স করার সময় শুনেছিলাম । পরে ভেবে দেখলাম স্যার মন্দ বলেন নি । কথাটা সামরিক জীবনের সাথে মিলে যায় । এবার ক্যাডেট জীবনের সাথে একটু মিলিয়ে দেখি । আমাদের ক্যাডেটদের ৬ বছরের জীবনের সেই ছোট গন্ডির ভিতরে আমাদের বিনোদনের জন্য অনেক ব্যাবস্হাই ছিল ।
বিস্তারিত»টুশকি ৪
১. কোন একদিন গেমস টাইমে ভালো একদফা ঘষামাজা দেবার পর পুরো কলেজকে এ্যাডজুট্যান্ট এর জিজ্ঞাসা, “হাউ ইজ ইওর মোরাল”? আমরা আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে বললাম, “হাই স্যার”। রাশভারী এ্যাডজুট্যান্ট এর মুখে তখন মজা পাওয়া চিকন হাসি, “কোন হাই? ম্যাথমেটিক্স এর মিস্টার হাই”?
২. আইসিসি ১৯৯৮এ বাস্কেটবল কম্পিটিশনে খেলা হচ্ছে বরিশাল ও সিলেটের মধ্যে।
বিস্তারিত»ল্যাখতাম চাই মাগার ল্যাখতাম পারি না
ঘটনা সইত্য। ল্যাখতাম চাই মাগার আমার গনক মহাশয় মৃত্যু পথযাত্রী। তাই ল্যাখতাম পারি না। বাসার ল্যাপ্টপ খানা বছর খানেক আগে এক চিঙ্কু পোলার কাছ থিকা সস্তায় দুইশত টাকা খরচ করিয়া খরিদ করিয়াছিলাম। উহার এখন শেষ দশা। হার্ডডিস্ক খানা পড়ার সময় মনে লয় হাতুড়ি দিয়া খোদাই করিয়া পড়ে। তারউপর চার্জার খানা কয়েকদিন আগে প্রায় ইন্তেকাল ফরমাইয়াছেন। মাঝে মাঝেই কানেকশন ছুটিয়া যায়, তখন পিছনে আঙ্গুল দিয়া (বেয়াদবি নিবেন না ভাই সাবেরা) চাপিয়া ধরিতে হয় বৈদ্যুতিক সংযোগ ঘটাইবার জইন্য।
বিস্তারিত»ছন্নছাড়া
১. রিইউনিয়নের দ্বিতীয় দিন সকালে ব্রেকফাস্টের জন্য রেডি হচ্ছি। একজন মুখটা করুণ করে বলল,”দোস্ত ব্রেকফাস্ট করে আমার জন্য
একটা ফ্লাজিল নিয়ে আসবি”। লুকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বন্ধু ঊদ্ধারে রওয়ানা দিলাম।
ক্যাডেটলাউঞ্জ !!
ষ্টাফ লাউঞ্জের প্রতিশব্দ আর কি…
০১ দি ক্যানন অব টীপু সুলতান
তখন টীপু সুলতান জনপ্রিয়তার তুঙ্গে । এর প্রভাবে প্রায় ই সুযোগ পেলে ক্লাস রুম কে রনক্ষেত্র বানিয়ে একজন মুখ দিয়ে হুঙ্কার দিত “তোপ চালাও” ( এই আদেশ টা ডেস্ক এর উপর দাড়িয়ে ডান হাত তুলে দিতে হত, সেইরকম ই নিয়ম ছিল), আর কাল্পনিক ফিরিঙ্গিদের উদ্দ্দেশ্যে আরেকটা মানব কামান গর্জে উঠত “ভো…কি…ইয়া…”
বিস্তারিত»RHTDM
তখন ক্লাস ইলেভেনে পড়ি। একবার দিনের বেলা রকিবুল হাসান স্যার(বাংলা) ডিউটিমাষ্টার ছিলেন,ঐদিন ১ম পিরিয়ডে ছিল
উনার ক্লাস। ফর্মলিডার বোর্ডে স্যারে নাম সংক্ষেপে লিখল RH। আমার এক ক্লাসমেট পাশে add করল TDM, হয়ে গেল RHTDM
(ঐ সময় একটা হিন্দী সিনেমা ছিল Rehna Hay Tere Dil Mey(RHTDM))। স্যার ক্লাসে আসলেন, এসে দেখলেন তার নাম RHTDM
ফর্মলিডারকে ঝাড়ি দিয়ে বললেন এসবের মানে কি? ছেলেটার জটিল উত্তর ”
বিস্তারিত»ছবির ধাধা (উইথ সলুসন)
সবার জন্য একটা ছবির ধাধা দিলাম। নিছের ২টা ছবির মধ্যে একটা মেসেজ আছে। মেসেজটা খুজে বের করতে হবে। সি,সি,আর, ১৯তম ইনটেকের ক্যাডেটদের এই ধাধা সল্ভ করা থেকে বিরত খাকার জন্য অনুরোধ করছি।
প্রথম ছবিঃ
দ্বিতীয় ছবিঃ
হিন্টঃ ছবির ভিউ অবশ্যই ১০০% হতে হবে মেসেজটা পড়ার জন্যে।
১৫ জন সারেন্ডার করলে সলুসন দেয়া হবে।
বিস্তারিত»পথের প্যাচালী
প্যাচালী ১
আমাদের এস এস সি রেজিস্ট্রেশনের সময় একজন ভুল করে বাবার নামের জায়গায় নিজের নাম লিখে ফেলে। ভিপি স্যার অনেক ঝাড়ি দেয় এবং সব শেষে মজা করে বলে “এই রেজিস্ট্রেশনের কাগজটা যত্ন করে রেখে দাও, তোমার ছেলের রেজিস্ট্রেশনের সময় কাজে লাগবে।”
প্যাচালী ২
এডজুটেন্টে মেজর আজিজের বাচ্চা হওয়া উপলক্ষ্যে ডাইনিং হলে টি ব্রেকের সময় স্যারের তরফ থেকে মিষ্টির ব্যবস্থা করা হয় ক্যাডেটদের জন্যে।
বিস্তারিত»আমার ঘুমবেলা -২
কমেনট গুলো পড়ে মনে হলো নিদ্রাদেবীর সাথে বৃন্দাবনলী্লা সব কলেজেই একি ছিল । সাধে কি আর বলে সব রসুনেরই গোড়া এক ।
ঢেকির ধান ভাংগার গুনাবলির মতো আমিও বেশ গরবের সাথেই আমার ঘুম প্রীতি সভাব সাফল্যের সাথেই সামনে নিয়ে যেতে পেরেছিলাম । মনে আছে কলেজে প্রায়ই প্রেপ শেষে বেয়ারার ডাকে ঘুম ভাংতো, কখন যে প্রেপ শেষ আর কিভাবে যে বাকিরা ঘুমের ঘোরে একজন আহত সেনানিকে যুধ্যের ময়দানে ফেলে আসতো তা আজো আমার কাছে রহস্য্ময় ।
বিস্তারিত»ছোট ছোট ঘটনা…
আনেক দিন পর আজ লিখতে বসলাম…কি আর করা…দেখি কি লেখা যায়……
ছোট ছোট ঘটনা……। ভাল লাগা বা না লাগা সকলের …………
১. তখন ভিপি ছিলেন মাহাবুবুর রহমান স্যর… তিনি খুবই মজার মানুষ ছিলেন। তার আদেশ হলো কোন ক্যাডেট পাক্ষিক পরীক্ষার সময় করিডোরের উপর কোনো ব্ই রাখা যাবে না। ভুল করে বা তাড়াহুড়া করে কয়েকজন বায়োলজি বই রেখেছিল………গাজী আজমল এর বই……পরীক্ষা চলছে. ভিপি ক্লাসের মাঝে এসে জানতে চাইলেন এই বইয়ের মালিক কে……পিছন থেকে একজন বলে বসল “স্যার গাজী আজমল এর বই ।
বিস্তারিত»গত বর্ষার স্মৃতি
ইলেভেনে উঠে যেবার আমরা কক্সবাজারে যাই এক্সকারশানে, সে বারে বর্ষা ছিলো না মোটেই, কনকনে ঠান্ডা মাখা শীতকাল ছিলো সেটা। তবু এত দিন পরে যতবার সেই ট্যুরটার কথা ভাবি, আমার ঝম ঝম বর্ষার কথা মনে পড়ে সবার আগে।
আমি মনে হয় সারা জীবনই বর্ষায় বেঁচেছি। বসন্তও ভাল লাগে, বসন্তের পাখি, গান বা রঙ, সব ভাল লাগে, তবু বাঁচতে ভাল লাগে বর্ষাতেই। যেন বা টুপুর টাপুর বৃষ্টির মাঝে দিঘীর পানিতে পা ডুবিয়ে ওপাড়ে টগবগে আগুনে জ্বলতে থাকা কৃষ্ণচূড়া ভালবেসে যাওয়া আজীবন।
আমরা তিনজন – ২য় পর্ব
আমরা অপারেশনে গিয়েছিলাম ২৪ ফেব্রুয়ারী কিংবা মার্চ তারিখে (মাস টা আমার ঠিক খেয়াল নেই)। ২৪ তারিখ বিকেলে কঙ্গো কমান্ডোরা আমাদের সাহায্য চাইলো। বিকেল বেলা আমরা আমাদের পুরো ট্রুপস নিয়ে আরো সামনে এগোলাম এবং একটা পর্যায়ে আমরাই ফ্রন্টলাইন হলাম। বিকেলের কিছু আগে পাক আর্মির একটা কোম্পানী এসে আমাদের সাথে জয়েন করলো। এর আগে শুরু থেকেই আমাদের সাথে মরক্কো আর্মির একটি মর্টার ডিটাচমেন্ট ও ছিলো। এই তিন দেশের সব এলিমেন্টগূলো আমাদের বাংলাদেশের কমান্ডে কাজ করছিলো।
বিস্তারিত»আমরা তিনজন – ১ম পর্ব
“সিসিবিতে ভিজিটর কমে গিয়েছে কিংবা নীরব পাঠকের সংখ্যা বেড়েছে। লেখা ও তেমন আসছেনা। হয়তোবা সবাই ই ব্যস্ত।”…এগুলো নিয়েই কথা বলছিলাম আমাদের সিসিবির পরিচিত মুখ কামরুলের সাথে ইয়াহু মেসেঞ্জারে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে। তারাবীহ শেষ করে রুমে ঢুকে ড্রেস চেঞ্জ না করেই কম্পিউটার অন করলাম। মেসেঞ্জারে কামরুলকে অন লাইন দেখে কথা বলার লোভ সামলাতে না পেরে নক করলাম। একবারো ভাবিনি যে কামরুল ফ্রি আছে কি নেই।
বিস্তারিত»