আজ আমি বাড়ি যাচ্ছি…!!!

(আমার এই লেখাটা আমি শফি ভাইকে উত্সর্গ করছি…ওনার পোস্ট পড়তে গিয়েই আমার মাথায় এটার আইডিয়া আসে। যদি লোকজনের ভাল লাগে তাইলে কুন কথা নাই…যদি খারাপ লাগে তাইলে সব দোষ শফি ভাইয়ের! আমি লিখতে পারি না, এইডা যতই সত্য হোক মানবো না…!!)

সকাল থেকেই মনটা আমার আজ খুব ফুরফুরে…প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না কেন…আচ্ছা, আজ কি বৃহঃস্পতিবার?? ক্যালেন্ডারের পাতায় চোখ রাখতেই দেখলাম জ্বলজ্বল করছে ১০ই মে ২০৪২,

বিস্তারিত»

পরাটা ও পুডিং … ডাইনিং হল সমাচার

তৌফিকের পরাটা আর পুডিং এর পোস্ট পড়ে রোজার অবস্থা টাইট। মন আনচান করছে কলেজের সেই শক্ত, চামড়ার মত অসীম স্থিতিস্হাপক পরাটাগুলার জন্য। ভেবেছিলাম পোস্টের কমেন্টে কিছু স্মৃতি যোগ করব। পরে স্মৃতির ভিড় এতই বেশি যে পুরো পোষ্টই অবতারনা করলাম ।

কলেজে ক্লাস সেভেনে এসে পরাটার পুরো মাহাত্ম বুঝতে পারিনি। কলেজে এসেই জানতে পারলাম এমন কিম্ভুত, ঠান্ডা, স্থিতিস্থাপক জিনিসটা যে পরাটার মত সুস্বাদু জিনিসটার নাম ধারন করে বসে আছে ।

বিস্তারিত»

ধরা..

আমাদের ব্যাচের ছোট খাট সাইজের ইমরানের নাম ছিল “ধরা”। কারন ও কিছু করলেই ৯০ ভাগ সময় ধরা খেত, এমনকি কোন ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু করলেও বেচারার ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হত। আমরা তখন নতুন ইলেভেনে…তখন আমাদের মাঝে উপস্থিত হলেন সদ্য বি.এম.এ ফেরত একজন স্টাফ (কোন কোন কলেজের ওস্তাদজী )। যা হোক সে সেই সাইজের স্টাফ। তার দশাশই সাইজের কারনে আমরা তাকে আদর(!)করে ডাকতাম “পটল” বলে। যারা ডিফেন্সে তারা ভাল বুঝতে পারবেন,

বিস্তারিত»

১৯ সেপ্টেম্বরে মনে পড়ে বন্ধু তোকে…

মনে পড়ে তোকে বন্ধু আমার!

সে আমার বন্ধু ছিল।

তার নামে উঠতো গেয়ে নাম না জানা পাখি,

তার টানে রঙ্গীন ফুলে বসতো যে প্রজাপতি।

তার পানে চলতো ধেয়ে চঞ্চলা স্রোতস্বিনী,

তার ধ্যানে ঘন অরন্যে চলতো কানাকানি ।

তার ছন্দে ঝংকারিতো পায়ের নুপুর রিনিঝিনি,

তার ইশারায় ব্যক্ত হতো এ জীবনের হাতছানি…।

সেই যে আমার বন্ধু ছিল।

বিস্তারিত»

টুশকি ২

টুশকি [১] [৩]

১. ক্লাস সেভেনের ফয়সালের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা হাতঘড়ি সিজ করার পর জুনিয়র প্রিফেক্ট আরাফাত ভাইয়ের মন্তব্য, “ঘড়ি তো ঘোড়া হয়ে গেছে ফয়সাল”।

২. সাইফুল ইসলাম স্যার (বাংলা) কক্ষনও ইংরেজি শব্দ উচ্চারণ করতেন না। অহর্ণিশ আমরা যেসব ইংরেজি শব্দ বাংলায় ব্যবহার করি উনি তাও করতেন না। যেমন:
“আমাকে একটা লৌহ গোলকযুক্ত কলম (বলপেন) দাও তো”।

বিস্তারিত»

আমার প্রথম ভালোবাসা

(শুরুর কথাঃ ক্যাডেট কলেজের প্রাতঃরাশে মাথাপিছু পরোটা বরাদ্দ থাকত তিনটা। ক্লাস সেভেনে লিকেলিকে শরীরের পেটরোগা আমি সবগুলো খেতে পারতাম না। ২৯ তম ব্যাচের শ্রদ্ধেয় বড়ভাই ও তৎকালীন টেবিল লিডার আবুল হোসেন ভাই ব্যাপারটি খেয়াল করলেন। ফরমান জারি করলেন, এখন থেকে আমার চারটা খেতে হবে, তার একটা সহ। আমার ভালোবাসার শুরু এখানেই।)

সকালবেলা পিটির পর গোসল সেরে যখন খাকি ড্রেসটা পরতাম মনে হত, দুনিয়া খেয়ে ফেলি।

বিস্তারিত»

এই পথ যেন না শেষ হয়…

দুই হাজারেরও কিছু বেশি দিন ক্যাডেট কলেজে কাটাইয়া আসিবার পরও আমার কেবলই মনে হইতে লাগিলো -ইস, আরেকবার ফিরিয়া গিয়া আরো দুই হাজার দিন থাকিয়া আসিতে পারিলে বেশ হইতো। কিন্তু এই জীবনে তাহা আর হইবার নয়। আমার বুক ফাটিয়া কেবলই কান্দন আসিতে লাগিলো। হায় আমি একি হেরিলাম।

তার পর বহু বৎসর কাটিয়া গিয়াছে। চা বাগান আর পাহাড় ঘেরা সেই ছাপ্পান্ন একর স্থানে থাকিতে আমার দুই কর্ণের উপরে যেইখানে কেশরাজির আভাস মাত্র ছিলোনা,

বিস্তারিত»

১২ সেপ্টেম্বরে মনে পড়ে বন্ধু তোকে…

মনে পড়ে তোকে বন্ধু আমার

জ্ঞান হবার পর থেকেই
আমার ছোট্ট পৃথিবীতে
রাজ্যের দুষ্টুমি আর
ছেলেমানুষির একান্ত সহচর
আমার প্রিয় বন্ধু তুই একজন।

স্কুলে পাশাপাশি বেঞ্চিতে বসে
অংক স্যারের ক্লাসে আমার খাতায়
তোর আঁকা দুর্দান্ত সব স্কেচ গুলি
আজও এতোটাই জীবন্ত যে
মাঝে মাঝে ভুলতে বসি
ক্যালেন্ডারে সময়ের হিসাব।

হাই স্কুলে পা দিয়েই লুকিয়ে
আমাদের প্রথম সিগারেটে টান,

বিস্তারিত»

এম.জি.সি.সি………………২

সে শুধু আশায় বুক বেধে ক্ষান্ত দেয়নি। অন্য কিছু পথও অবলম্বন করা শুরু করলো…যেমন আগে আগে হাউসে এসে হাউসঅফিসে চিঠি স্যারদের আগে চেক করা। হাউসবেয়ারাকে ম্যানেজ করে হাউসমাষ্টারের টেবিলের ড্রয়ার চেক করা….ইত্যাদি। মোট কথা তার পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব সে তার শেষ বিন্দু দিয়ে চেষ্টা করেছে। কিন্তু ফলাফল শূণ্য…………………

মাঝে মাঝে তাকে আমরা তার সেই বিখ্যাত I.C.C.L.M এর কাপুনি দেয়া গানটি গায়তে বলতাম,

বিস্তারিত»

নতুন করে জুনিয়র হতে হল !!!!!!!!!!!!!!!!!

আমাদের শাহরিয়ার এর দুরদশা দেখে শিক্ষা পেয়ে গেছি। আর এই ক্যাডেট কলেজ ব্লগে তো এখন রীতিমত ভীত সন্তস্ত্র হয়ে আছি। আল্লাহই জানেন কখন আবার সিনিয়র ভাই এর ডাক পড়ে আর ফল্ট এর জন্য পানিশমেন্ট 🙁 খেতে হয়। কারন কলেজ়ে ক্লাস ইলেভেন :grr: অনেক সিনিয়র ক্লাস হলেও এখানে তো পুরা বাচ্চা। এখন তো ব্লগটাও পোস্ট করতে গিয়ে মনে হচ্ছে এর জন্য কত রকমের পানিশমেন্ট যে খেতে হবে!!!

বিস্তারিত»

ডাইনিং হলের দুই টুকরা……

ক্লাস সেভেন থেকে টুএল্ভ পর্যন্ত ছয় বছরের হাজারটা স্ম্রিতির মধ্যে বিশাল ১টা অংশ জুড়ে আছে ডাইনিং হল। মনে পড়ে ক্লাস সেভেনে ডাইনিং হলটাকে দোযখ মনে হত। কারন জুনিওরদের ফল্ট ধরার পারফেক্ট জায়গা ছিল এটা সিনিওর দের জন্য। কাপা কাপা হাটু নিয়ে ভেতরে ঢুকতাম। বের হয়ে সস্তির ১টা নিঃশবাস ফেলতাম। ধীরে ধীরে এই ডাইনিং হলটাই খুব মজার ১টা জায়গা হয়ে উঠেছিল ক্লাস ইলেভেনে উঠে। আজ ডাইনিং হলের দুটো কাহিনি বলব যেগুলো আমি আমার হোল লাইফ এ কোনদিন ভুল্বনা।

বিস্তারিত»

টার্ণিং পয়েন্ট

পেশাগত কারণে আমাকে এখন শিক্ষক বললে ভূল হবেনা। বিভিন্ন সময়ে নানা বিষয়ে আমি আমার স্টুডেন্টদেরকে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার আলোকে শিক্ষা দিতে পছন্দ করি, এবং পারতঃপক্ষে অভিজ্ঞতাগুলো আমার নিজের জীবন থেকেই নিয়ে থাকি। ব্যাপারটা অনেকেরই হয়ত পছন্দ না। অনেকের এটা মনে করাও স্বাভাবিক যে আমি নিজেকে বেশ বড় কিছু হিসেবে জাহির করতে চাচ্ছি কিংবা নিজের ঢোল নিজেই পিটাচ্ছি। কিন্তু এরকমটা করার পিছনে আমার নিজস্ব একটা যুক্তি আছে।

বিস্তারিত»

প্রাপ্তবয়ষ্ক – ২

ত্যাঁদড় সব পোলাপাইনের অত্যাচার নাকি উৎসাহ পাইয়া কিঞ্চিত কাম ফাকি দিয়া আবার লিখিতে বসিলাম। তাছাড়া এই মাত্র একখানা কোড চেঞ্জ চেকইন করার জন্য গনক মহাশয়ের নিকট জমা দিয়াছি। Available machine এর ঘরে শুন্য দেখিয়া বুঝিলাম ইফতার পার হইয়া যাইবে শেষ হতে। নাই কাজ তো খই ভাজ (আসলে কাম আছে মেলা, সন্ধ্যা সাতটায় যে রোজা লাগে তাতে আর কিছু করতে ইচ্ছা করে না, খালি সময় গুনি কহন ইফতার খাইতে যামু)।

বিস্তারিত»

কোথায় পাবো তাদের-শেষ পর্ব

অঙ্কে আমি কোন কালেই ভালো ছিলাম না। ভালো যে ছিলাম না সেটার প্রমানও দিচ্ছিলাম নিয়মিত। পাক্ষিক পরীক্ষায় কোনদিন পাস করিনি। মেট্রিকের আগে টেস্টে পেলাম ৪১। কোনমতে পাশ। রেজাল্ট দেখে প্রিন্সিপাল সোহরাব আলী তালুকদার বলেছিলেন – খবরদার তুমি আমার সামনে আসবা না আজকে থেকে। তোমার চেহারা দেখলে আমার লজ্জা লাগে।  কিন্তু সেই আমি যে এস.এস.সি তে অঙ্কে ৯৮ পেয়ে গেলাম সেটা আমার স্যারদের বাড়তি যত্ন আর নজরদারির ফলেই।

বিস্তারিত»

টার্মেন্ড সুইট!

জেসিসি’র আজব কিছু ট্রেডিশনের একটি ছিল এই টার্মেন্ড সুইট। এটি আর কিছুই না, টার্মেন্ড পরীক্ষার পর জুনিয়রকে দেয়া সিনিয়রদের প্রীতি উপহার…!! পুরো হাউস ধরে অথবা পুরো ইনটেক ধরে পাঙ্গা খাইতে হত। তবে নিঃসন্দেহে হাউসে খাওয়া সুইটটি ছিল বেশি ভয়াবহ…ডর্মের ভিতরে অথবা হাউসের সামনে ফল ইন করে শুরু হত মিষ্টি বিতরন…প্রথমে থাকত হাল্কা পিটি টাইপ পানিশমেন্ট…ওয়ার্ম-আপ হবার পর শুরু হত হ্যান্ড চার্জ! চড়-থাপ্পর, স্কেল, হ্যাংগার এবং অবশ্যই বেল্ট।

বিস্তারিত»