নতুন করে জুনিয়র হতে হল !!!!!!!!!!!!!!!!!

আমাদের শাহরিয়ার এর দুরদশা দেখে শিক্ষা পেয়ে গেছি। আর এই ক্যাডেট কলেজ ব্লগে তো এখন রীতিমত ভীত সন্তস্ত্র হয়ে আছি। আল্লাহই জানেন কখন আবার সিনিয়র ভাই এর ডাক পড়ে আর ফল্ট এর জন্য পানিশমেন্ট 🙁 খেতে হয়। কারন কলেজ়ে ক্লাস ইলেভেন :grr: অনেক সিনিয়র ক্লাস হলেও এখানে তো পুরা বাচ্চা। এখন তো ব্লগটাও পোস্ট করতে গিয়ে মনে হচ্ছে এর জন্য কত রকমের পানিশমেন্ট যে খেতে হবে!!!

বিস্তারিত»

ডাইনিং হলের দুই টুকরা……

ক্লাস সেভেন থেকে টুএল্ভ পর্যন্ত ছয় বছরের হাজারটা স্ম্রিতির মধ্যে বিশাল ১টা অংশ জুড়ে আছে ডাইনিং হল। মনে পড়ে ক্লাস সেভেনে ডাইনিং হলটাকে দোযখ মনে হত। কারন জুনিওরদের ফল্ট ধরার পারফেক্ট জায়গা ছিল এটা সিনিওর দের জন্য। কাপা কাপা হাটু নিয়ে ভেতরে ঢুকতাম। বের হয়ে সস্তির ১টা নিঃশবাস ফেলতাম। ধীরে ধীরে এই ডাইনিং হলটাই খুব মজার ১টা জায়গা হয়ে উঠেছিল ক্লাস ইলেভেনে উঠে। আজ ডাইনিং হলের দুটো কাহিনি বলব যেগুলো আমি আমার হোল লাইফ এ কোনদিন ভুল্বনা।

বিস্তারিত»

টার্ণিং পয়েন্ট

পেশাগত কারণে আমাকে এখন শিক্ষক বললে ভূল হবেনা। বিভিন্ন সময়ে নানা বিষয়ে আমি আমার স্টুডেন্টদেরকে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার আলোকে শিক্ষা দিতে পছন্দ করি, এবং পারতঃপক্ষে অভিজ্ঞতাগুলো আমার নিজের জীবন থেকেই নিয়ে থাকি। ব্যাপারটা অনেকেরই হয়ত পছন্দ না। অনেকের এটা মনে করাও স্বাভাবিক যে আমি নিজেকে বেশ বড় কিছু হিসেবে জাহির করতে চাচ্ছি কিংবা নিজের ঢোল নিজেই পিটাচ্ছি। কিন্তু এরকমটা করার পিছনে আমার নিজস্ব একটা যুক্তি আছে।

বিস্তারিত»

প্রাপ্তবয়ষ্ক – ২

ত্যাঁদড় সব পোলাপাইনের অত্যাচার নাকি উৎসাহ পাইয়া কিঞ্চিত কাম ফাকি দিয়া আবার লিখিতে বসিলাম। তাছাড়া এই মাত্র একখানা কোড চেঞ্জ চেকইন করার জন্য গনক মহাশয়ের নিকট জমা দিয়াছি। Available machine এর ঘরে শুন্য দেখিয়া বুঝিলাম ইফতার পার হইয়া যাইবে শেষ হতে। নাই কাজ তো খই ভাজ (আসলে কাম আছে মেলা, সন্ধ্যা সাতটায় যে রোজা লাগে তাতে আর কিছু করতে ইচ্ছা করে না, খালি সময় গুনি কহন ইফতার খাইতে যামু)।

বিস্তারিত»

কোথায় পাবো তাদের-শেষ পর্ব

অঙ্কে আমি কোন কালেই ভালো ছিলাম না। ভালো যে ছিলাম না সেটার প্রমানও দিচ্ছিলাম নিয়মিত। পাক্ষিক পরীক্ষায় কোনদিন পাস করিনি। মেট্রিকের আগে টেস্টে পেলাম ৪১। কোনমতে পাশ। রেজাল্ট দেখে প্রিন্সিপাল সোহরাব আলী তালুকদার বলেছিলেন – খবরদার তুমি আমার সামনে আসবা না আজকে থেকে। তোমার চেহারা দেখলে আমার লজ্জা লাগে।  কিন্তু সেই আমি যে এস.এস.সি তে অঙ্কে ৯৮ পেয়ে গেলাম সেটা আমার স্যারদের বাড়তি যত্ন আর নজরদারির ফলেই।

বিস্তারিত»

টার্মেন্ড সুইট!

জেসিসি’র আজব কিছু ট্রেডিশনের একটি ছিল এই টার্মেন্ড সুইট। এটি আর কিছুই না, টার্মেন্ড পরীক্ষার পর জুনিয়রকে দেয়া সিনিয়রদের প্রীতি উপহার…!! পুরো হাউস ধরে অথবা পুরো ইনটেক ধরে পাঙ্গা খাইতে হত। তবে নিঃসন্দেহে হাউসে খাওয়া সুইটটি ছিল বেশি ভয়াবহ…ডর্মের ভিতরে অথবা হাউসের সামনে ফল ইন করে শুরু হত মিষ্টি বিতরন…প্রথমে থাকত হাল্কা পিটি টাইপ পানিশমেন্ট…ওয়ার্ম-আপ হবার পর শুরু হত হ্যান্ড চার্জ! চড়-থাপ্পর, স্কেল, হ্যাংগার এবং অবশ্যই বেল্ট।

বিস্তারিত»

রানা, ভালো আছিস ?

বিসিসি তে ছিলাম ১৯৯৫-২০০১ পর্যন্ত। সময়টা আমার কাছে কেমন অদ্ভুত মনে হয়। অবাক একটা সময়। কিভাবে সকালে পিটি তে ফাকি দিব, কিভাবে রাতের প্রেপে ঘুমাব , আমাদের চিন্তার পরিধি ছিল এতটুকুই। আস্তে আস্তে বড় হলাম বাড়ছে জিবনের জটিলতা। কলেজ থেকে বের হয়ে সব বন্ধুরা কাছাকাছি ছিলাম বেশ কিছু দিন। এর পর দূর থেকে দূরে। আমার রুম মেট ছিল রানা, অনেক দিন। ঢাবি তে পড়ত অথনিতি।

বিস্তারিত»

এম.জি.সি.সি র প্রতি ভালবাসা?…..নাকি বি.সি.সির প্রতি এম.জি.সি.সির ভালবাসা?

আমরা তখন ক্লাশ টুয়েলভে………আমাদের সময়..আই,সি,সি,এল,এম….সেবার হলো ক.ক.ক তে….প্রতিযোগিতা শেষে..সবাই
কলেজে…ফিরেছে। তো আমাদের কলেজের …পারফরমেন্স খুব ভালো। অনেকে বেশ কিছু ইভেন্টে বিজয়ী হয়েছে।
আমরা অংশগ্রহনকারীদের মুখ থেকে তাদের অভিজ্ঞতার কাহিনী শুনতে থাকলাম। বিশেষ করে একটা (!) কলেজের কে কে এসেছিল?দেখতে কেমন? তোদের সাথে কথা হয়েছে কিনা? etc..etc……….

আমরা আবার কাউকে কাউকে একটু খ্যাপাতে লাগলাম যেমন: আমাদের C.P কে, কারন তার ক্যাডেট নং আর বিশেষ (!) কলেজের C.P র ক্যাডেট নং একই ৯১৮.

বিস্তারিত»

ফলাফল যখন টাই!!!

সিসিবি ফিরা আসার পর থিক্কাই ইচ্ছা করতাসে কিছু লিখি। গেটটুগেদার নিয়া একটা ছুড পোষ্ট দিছিলাম ওইটা বলে ওয়েব সমুদ্রে হারাইয়া গেছে:( । এই জন্য একটু দুক্কু পাইসিলাম। নয়া সিসিবি তে পোলাপাইন হুমরি খাইয়া পড়ল। মনটা ভইরা গেল সিসিবি খুল্লেই নতুন নতুন লেখা। কোনডা থুইয়া কোনডা পড়ুম হিমসিম খাইতে লাগলাম। কমেন্ট করাতে না করতে রিপ্লাই হাজির। বেশ ভাল লাগে। সময় বাবাজী যে কেমনে চলে যায় বুঝবার পারি না।

বিস্তারিত»

দুইটি কাহিনি…

কালকে পাওয়ার সিস্টেম কুইজ। পড়তে ইচ্ছা করছে না। অবশ্য এই কাজটা কখনই আমার করতে ইচ্ছা করে না। এশার নামাজ পড়তে গেছি। কিন্তু হুজুর একদিকে আর আমি চিন্তা করি আরেক জিনিস। নামাজের মধ্যেই এই লেখাটা খালি মাথার মধ্যে ভনভন করতেছে। তাই কোন রকম নামাজ পড়েই দৌড়…

আমি কিছু ঘটনা বলবো এবং এইগুলা সত্যি। ক্যাডেট কলেজে ক্যাডেদের পিছনে সবচেয়ে কষ্ট যারা করে তাদের নিয়ে এই কাহিনি।

বিস্তারিত»

জুতা পালিশ

সবাই কে লিখতে দেখে ভাই-বোনেরা আমারো খুব লিখতে ইছ্ছা করছিল। যার ফসল এখন আমি, যে অখাদ্য আপনাদের গিলাতে যাচ্ছি…,,,

আমরা তখন ক্লাশ ৮ এ। একদিন শুনতে পেলাম সোহরায়ার্দী হাউসের ক্লাশ ৭ এর (নাম বললাম না)…একজন সানসেটের উপর উঠেছিল।
পরে আমাদের ব্যাচের কয়েকজন তাকে সানসেটের উপর দেখে, সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করার পর, এক রুমের ভিতর নিয়ে গিয়ে রিমান্ড শুরু করে।
পরে রিমান্ডের রেজাল্টে জানা গেল……….সে আত্মহত্যা করতে সানসেটের উপর উঠেছিল।

বিস্তারিত»

প্রাপ্তবয়ষ্ক – ১

টাইটেল দেখেই বোঝা উচিত এই পুষ্ট খানা সকলের জইন্য প্রযোজ্য নাও হইতে পারে। তয় আমার ধারনা ইহা সকলেই পড়িবে এবং সকলের জইন্যই ইহা প্রযোজ্য হইবেক।

আজ রবিবার ছিল। এমনিতে রোযা, তারওপর বাসায় কোন কাজ নাই। সন্ধায় এক বাসায় ইফতার এর দাওয়াত আছে। তাই সকালে (আমার উইকএন্ড এর সকাল মানে আবার দুপুর বারোটার পর) ঘুম থেকে উঠে ভাব্লাম বাসায় কাম কাজ যহন নাই, যাই অফিস গিয়া কম্পিউটার গুতাই গিয়া।

বিস্তারিত»

কোথায় পাবো তাদের-৭

১.

ভুগোলের নুরুল হোসেন স্যারের একটা অভ্যাস ছিলো। যে কোন জায়গায় প্রিন্সিপাল সোহরাব আলী তালুকদার কে দেখলে উনার হাত কচলানি শুরু হইয়া যাইতো। প্রিন্সিপালের যে কোনো কথার জবাব স্যার দুই হাতের তালু একটা আরেক টার সাথে ঘষতে ঘষতে দিতেন। আমাদের বদ্ধমুল ধারনা ছিলো এই রকম হাত কচলানোর ফলে স্যারের হাতের রেখা বলতে কিছু নাই। সেই জন্যে স্যার ক্লাস নিতে আসলেই আমরা নানা ভাবে উকিঝুকি দিয়া তার হাতের রেখা দেখার চেষ্টা করতাম।

বিস্তারিত»

টুশকি ১

টুশকি [২]

১. আস্তে আস্তে কথা বলে ক্লাস নিতেন আহসানুল কবীর স্যার (বাংলা)। এতই আস্তে কথা বলতেন যে ঘুম ঠেকিয়ে রাখা মুশকিল হত। পিছনের দিকে কথা শোনা তো যেতই না উপরন্তু স্যারকে সেটা বললে ফ্যান বন্ধ করতে বলতেন। মোটামুটি ঘুমের ঘোরেই পার হয়ে যেত ক্লাস। এর ফাঁকে ফোকরে কেমন করে যেন কিছু কথা ঠিকই মনে আছে:

“কবিতার প্রতিটা শব্দ হবে রসগোল্লার মতোন।

বিস্তারিত»