গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-১
জহির
ক্লাসের সবাই আমাকে গাধা বলে ডাকে। তা ডাকুক। আমার আপত্তি নেই।
ওরা আমাকে গাধা বলে মজা পায়। আর আমিও গাধামি করে ওদের আরেকটু মজা দিই।
এই যেমন সেদিন ক্লাসে অংক স্যার বললেন,‘গাধারা পানি ঘোলা করে খায় ?’
প্রশ্ন দেখা দিল পানি ঘোলা করলে সেটা কী রকম দাঁড়ায়। প্রশ্নটার উত্তর কেউ জানে না, আমার মাথায় কী এল আমি হুট করে বললাম,
এথিনা বিষয়ক জটিলতা
বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমিতে আমরা তখন তৃতীয় টার্মে উঠেছি। শামীম, রাজু, রনিসহ কোর্সমেটরা অনেকে ল্যান্স কপোর্রাল, কপোর্রাল র্যাঙ্ক পড়ে ক্যাডেট ব্যাটালিয়ন পরিচালনায় অংশগ্রহণ করছে। ওদের সাথে আমরা সাধারণ জিসিরাও (জেন্টলম্যান ক্যাডেট) খানিকটা হাত মকশো করি মাঝে মধ্যে। দুই দুইটা টার্মের সিনিয়র, কম কথা নয়। এরই মাঝে একদিন একটা চিঠি এসে আমার মাথা ঘুরিয়ে দেবার অবস্থা করল।
চিঠিপত্র মোটামুটি ভালোই লিখতাম, পেতামও সমান তালে। বাবা,
বিস্তারিত»আমার বন্ধুয়া বিহনে-২
আমার বন্ধুয়া বিহনে-১
আমার রুমমেট শোয়েবের চেহারাটাই এমন, ও জেগে থাকলেও আমরা সন্দেহ করতাম শোয়েব ঘুমিয়ে আছে। করার অনেক কারনও ছিল।
প্রেপ কিম্বা ক্লাস আওয়ারে ফর্মে অনেক হিট ফ্লপ রস হতো। মাঝে মাঝে কেউ খুব হিট কোনো রস করলে আমরা সবাই দম ফাটিয়ে হাসতাম। কেউ চেয়ার থেকে পড়ে গড়াগড়ি খেতো। অতি উৎসাহী এবং সুযোগসন্ধানী কয়েকজন, ওরে মা রে, হাসতে হাসতে মইরা গেলাম রে বলে চামে পাশের জনকে কিল,থাপ্পড় মেরে দিতো।
ফেরিওয়ালা…
কিছু কিছু মুহুর্ত এমন আচমকা হৃদয়কে স্পন্দিত করে যায় যে তখন মনে হয় এ অনুরনন বুঝি কখনো থামার নয় । বাস্তবিক তাই হয় , আমার অন্তত তাই ধারনা । মনে হয় চাক্ষুস দৃস্টিতে পুকুরের ঢেউএর মত তা একসময় থেমে গেলেও শক্তির অবিনশ্যতাবাদ হিসেবে তা এই মহাশুন্যে সাইন কার্ভের এর উপর ভর করে ঠিকই ভেসে বেরাছ্ছে । সময়ের দুরত্ত আর নতুন নতুন তরঙ্গের কারনে তা শুধু নিজের কম্পাঙ্ক পরিবর্তন করে ।
বিস্তারিত»আমার আপুসোনা – ৩ ( দেশে ফেরা )
ডিসক্লেমার
আমার পুরান একটা সিরিজ আছে এই নামে। সেটার একটা পার্ট লিখলাম। আজ সারাদিন শুয়ে শুয়ে মন ভাল করার জন্য দেশে প্রথম যাওয়ার কথাটা চিন্তা করলাম । সেটার সাথে যোগ করে দিলাম আমার সেই ছোট্ট বেলা থেকে বয়ে আনা আপুসোনার কল্পনা। এর আগের দুটা পর্ব হল
আমার আপুসোনা – ১
আমার আপুসোনা – ২
তখন যখন লিখেছিলাম অনেকে বলেছিল বেশি ন্যাকামি হয়ে যাচ্ছে।
অচিনপুর (ছড়া ভার্সন)
সুমন ভাইয়ের অচিনপুর পোস্টটা দেখে কলেজে লেখা একটা কবিতা (কোবতে বলা better) মনে পরে গেল। হঠাৎ খায়েশ হইসে একটা পোস্ট দেই, :shy: কিন্তু বহু দিন ধরে লিখি না, লেখাও তাই অভিমান করে আমাকে ছেড়ে ভাগসে। তাই কলেজে লেখা ওই কোবতেটাই দিলাম। এটা সেই আমলে লেখা, যখন ওয়াল ম্যাগাজিনের জন্য তাড়া খেতে খেতে কাগজ কলম নিয়ে সবাই কবি হয়ে যেত। আগে একটা ব্লগে দিয়েছিলাম, সেই ব্লগ আর নাই,
বিস্তারিত»কল্প-গল্পঃবিকল্প প্রোটিন
(হঠাত সামহোয়ার ইন ব্লগে নিচের গল্পটা পড়লাম। অনেকেই হয়তো দেখেছেন। যারা দেখেননি তাদের জন্য।oঅনেকের ভালো নাও লাগতে পারে। অন্যরকম, তাই ভাবলাম শেয়ার করি)
আমাকে দেখেই ভদ্রমহিলা উঠে দাঁড়ালেন। তারপর হ্যাণ্ডশেক করে খুব কায়দা করে টেনে টেনে বলতে লাগলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের কাছে আপনার মতো নবীন উদ্যোগতারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ; আপনাদের যেকোন প্রশ্ন বা পরামর্শকে আমরা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করি। আমাদের শ্লোগানই হচ্ছে-। আমি মহিলাটিকে বেরসিকের মতো থামিয়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করি,
কি যে লেখি
বহুদিন পরে সিসিবিতে আসলাম। দেশে গিয়েছিলাম একটু বেড়াতে। এরই মধ্যে সিসিবি জমজমাট , প্রচুর নতুন লেখা। বাসায় থাকতেই দেখেছি কিন্তু একটাও পড়িনি। কারণ আমি জানি দেশ থেকে এসে আমার মনের অবস্থা ঠিক করার জন্য এর চেয়ে ভাল অষুধ আর হবে না। ঈদের আগেরদিন দেশ থেকে রওনা দিয়েছি । কিছু ঝামেলার জন্য মা টাকে কাঁদিয়ে আরো অনেক আত্মীয়কে আফসোসে ফেলে প্লেনে উঠলাম। নিজের অবস্থা নাই বা বলি।
বিস্তারিত»ডায়েরীর পাতা থেকে
কলেজ ছেড়েছি বহু বছর হয়ে গেল । অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে, শুধু আমার ডাইরীটা আছে । ডাইরীতে আমার সব বন্ধু কিছু না কিছু লিখেছে । প্রবাসের সদা ব্যস্ত জীবনে যখন কিছু ভাল লাগেনা, ডাইরীর পাতা উল্টাই । আমার আত্মার ছোট ছোট অংশ গুলো ছুঁয়ে দেখি । আমি কবিতা তেমন বুঝিনা । তবে এই কবিতাটা আমার অনেকবার পড়া । কামরুল তুই কি এখনো কবিতা লিখিস??
এই কবিতার কোন নাম নেই,
বিস্তারিত»ঈদ নাই কারও?
সাতরঙ্গা ভালোবাসা……
অনেক সময় ছোটো একটা ইংরেজি শব্দ এত বেশি অর্থ নিয়ে সামনে দাঁড়ায় যে তার প্রযোজ্য বাংলা প্রতিশব্দ বের করা রীতিমত দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে । ঠিক এই মুহুর্তে টিনএজার এর প্রতিশব্দ যেমন খুজে পাছ্ছিনা । এত সবুজ আবেগ , সীমাহীন স্বপ্ন আর শুভ্র কল্পনার সংমিশ্রনকে আর যাই হোক কৈশোর নামক শব্দ গ্লাসে পুরোটা আটকে রাখা যায়না , মনে হয় কিছুটা যেন ঠিকই ছলকে পড়ে । শুরুটা বোধহয় বেশি সাহিত্যিক হয়ে গেল ।
বিস্তারিত»আবেগ !!!!!!
কলেজে আমাদের ব্যাচে বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতির জন্য নির্ধারিত কিছু ডায়লগ ছিল । ডায়লগ গুলির নাম আবেগ হয়ে যায় বাক্যগুলোর উচ্চারনে ক্যাডেটিয় ঢং এবং নাটকীয় সুরের জন্য । পুরো বিষয়টি আমদের অসীম হাস্যোজ্জল বিক্রিয়ায় উচুমানের প্রভাবক হিসেবে কাজ করত । কিছু পরিস্থিতি ও আবেগ নিচে উল্লেখ করছি , আমি নিশ্চিত পাঠকগন নিজ অন্তর্নিহিত ক্ষমতা বলে যথাযথ সুর ও ঢং সংযোগ করে নিতে পারবেন ।
০১।
বিস্তারিত»বৃহস্পতিবার ও স্পেশাল ডিনার নিয়ে কিছু কথা
” Q :- Gentlemen do you know what is the best recreation?
Ans:- Food”
– Maj Anwar (15 intake CCR)
উক্তিটা আর্টিলারী সেন্টার এ বেসিক কোর্স করার সময় শুনেছিলাম । পরে ভেবে দেখলাম স্যার মন্দ বলেন নি । কথাটা সামরিক জীবনের সাথে মিলে যায় । এবার ক্যাডেট জীবনের সাথে একটু মিলিয়ে দেখি । আমাদের ক্যাডেটদের ৬ বছরের জীবনের সেই ছোট গন্ডির ভিতরে আমাদের বিনোদনের জন্য অনেক ব্যাবস্হাই ছিল ।
বিস্তারিত»টুশকি ৪
১. কোন একদিন গেমস টাইমে ভালো একদফা ঘষামাজা দেবার পর পুরো কলেজকে এ্যাডজুট্যান্ট এর জিজ্ঞাসা, “হাউ ইজ ইওর মোরাল”? আমরা আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে বললাম, “হাই স্যার”। রাশভারী এ্যাডজুট্যান্ট এর মুখে তখন মজা পাওয়া চিকন হাসি, “কোন হাই? ম্যাথমেটিক্স এর মিস্টার হাই”?
২. আইসিসি ১৯৯৮এ বাস্কেটবল কম্পিটিশনে খেলা হচ্ছে বরিশাল ও সিলেটের মধ্যে।
বিস্তারিত»ল্যাখতাম চাই মাগার ল্যাখতাম পারি না
ঘটনা সইত্য। ল্যাখতাম চাই মাগার আমার গনক মহাশয় মৃত্যু পথযাত্রী। তাই ল্যাখতাম পারি না। বাসার ল্যাপ্টপ খানা বছর খানেক আগে এক চিঙ্কু পোলার কাছ থিকা সস্তায় দুইশত টাকা খরচ করিয়া খরিদ করিয়াছিলাম। উহার এখন শেষ দশা। হার্ডডিস্ক খানা পড়ার সময় মনে লয় হাতুড়ি দিয়া খোদাই করিয়া পড়ে। তারউপর চার্জার খানা কয়েকদিন আগে প্রায় ইন্তেকাল ফরমাইয়াছেন। মাঝে মাঝেই কানেকশন ছুটিয়া যায়, তখন পিছনে আঙ্গুল দিয়া (বেয়াদবি নিবেন না ভাই সাবেরা) চাপিয়া ধরিতে হয় বৈদ্যুতিক সংযোগ ঘটাইবার জইন্য।
বিস্তারিত»