[মরতুজা ভাইয়ের “আমার বাংলা শেখা আর আমাদের হিজড়ারা” ব্লগে শার্লীর কথাগুলো পড়ার পর মনের ভিতর যা যা এসেছিল তার প্রায় সবই বলে দিয়েছে মাসরুফ। থ্যাংকস ব্রাদার, কথাগুলো যথার্থভাবে তুলে ধরার জন্য। এর বিপরীতে মন্তব্য করতে যেয়ে ওভার ওয়েট হয়ে গেল। তাই সেটাকে ব্লগের সম্মানে সম্মানিত করলাম। কয়েকদিন না লেখার গ্যাপটাও চামে পূরণ হবে…. 😛 ]
ক্যাডেট কলেজে ভালো অনেক কিছু শিখেছি। এর মধ্যে দ্বিতীয় একটা ভাষা শিক্ষা অন্যতম। তাই বলে সেটা মার্তৃভাষাকে পিছনে ফেলে নয়। বাংলার উপর দখল এনে তবেই চলেছে ইংরেজির অনুশীলন। কলেজের বাংলা উপস্থিত বক্তৃতা, নির্ধারিত বক্তৃতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। উদাত্ত কন্ঠের আবৃত্তির নেশায় পড়ে গিয়েছিলাম (যা এখনও আমাকে মাঝে মাঝে হ্যাচকা টান মারে)। আখতার হোসেন স্যার, রফিক নওশাদ স্যার, তৌহিদা বানু ম্যাডামসহ আরও বেশ কয়েকজনের পরিস্কার শুদ্ধ উচ্চারণ ছিল আমাদের অবাক বিস্ময়ে শুনে যাবার বিষয়, অনুকরণের বিষয়। প্রতিটা বাংলা শব্দের সঠিক উচ্চারণ শিখতে পারা আমার জন্য একটা বড় প্রাপ্তি।
বাংলার প্রতি আকর্ষণ ছড়িয়ে পড়েছিল নানাভাবে। বাগধারা, প্রবাদ প্রবচনের একটা জুতসই ব্যবহার এখনও আমাকে আনন্দ দেয়। “লালসালু” পড়ে যেই ভালো লাগাটা আমাকে গ্রাস করেছিল তার থেকে মোহমুক্তি এখনও ঘটেনি। “মেঘনাধ বধকাব্য”র প্রতিটা লাইন যেন একটা একটা করে রহস্যের জগৎ উন্মোচিত হওয়া। কবি অল্প অল্প কথার ভিতরে কত বিশাল গল্প, কত অনুভূতি লুকিয়ে রেখেছেন ভেবে সারা হতাম। “বিদ্রোহী” কবিতার ব্যাকগ্রাউন্ডে কত কত চরিত্র, কত কত জায়গার রেফারেন্স যে আছে তা আঙ্গুলে গুণে শেষ করতে পারতাম না। বাংলায় চিঠি লেখাটা বোধ করি এর হাত ধরে ধরেই এগিয়েছিল। মুঠোফোনের ধাক্কায় যখন হাতে লেখা চিঠির কন্ঠরোধ হবার জোগাড় তখন হাতে উঠে এলো কী-বোর্ড। ইংরেজি হরফে বাংলা লেখা খুব পীড়া দেয়। বিজয়ে অভ্যস্ত হবার প্রায় মাস আটেক পর পেলাম “অভ্র” – আনন্দ আর ধরে না। প্রিয়জনদের সাথে আমি এখন ইয়াহু মেইল আর চ্যাট করি বাংলায় – খাঁটি বাংলায়।
শিক্ষাক্রমের অংশ হিসেবে হয়তো এই ইংরেজি ভাষা শিক্ষার একটা বড় অংশ (লেখা ও পড়া – গ্রামারসহ) কভার করা যেত, কিন্তু আমার মনে হয় কথা শুনে ‘বোঝা’ এবং সেটাকে চর্চা করার (বলা) মাধ্যমে জড়তা দূর করার জন্য ক্যাডেট কলেজের অবদান অনবদ্য। হাতেনাতে যার ফলাফল পেয়েছি কলেজ থেকে বের হবার তিন মাসের মাথায় আইএসএসবি এ্যাটেন্ড করার সময়। তারপরে চাকুরী জীবনে এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় সেটার উপর ঘষামাজা চলে মোটামুটি একটা অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। এখন আন্তর্জাতিক পরিবেশে ইংরেজিতে যোগাযোগ করা আমার জন্য কোন বাঁধা নয়। ক্যাডেট কলেজ আমাকে এই অবস্থানে আসতে সহায়তা করেছে। ভিত্তিটা সেখানেই গড়া।
মালয়েশিয়ার মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশিপ নিয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেলে IELTS করা নেই বলে আমাদের বেগকে (মোঃ আমিনুল ইসলাম বেগ, এ্যাকটেলে কর্মরত) কর্তৃপক্ষের জেরার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। সেখানে ও নিজেকে বাংলাদেশের দশটা মিলিটারী স্কুলের (ক্যাডেট কলেজ) একটা থেকে লেখাপড়া করে এসেছে বলে জানিয়েছিল। আরও জানিয়েছিল যে সেখানে সে কমিউনিকেট করার জন্য খুব ভালো করে ইংরেজি আয়ত্ব করে তবেই এখানে এসেছে। কর্তৃপক্ষ তখন ওকে এই বলে অবজারভেশনে রেখেছিল যে, যদি কোন সাবজেক্ট টিচার কমপ্লেন করে যে ও ক্লাস বুঝতে পারছে না তবে ওকে নতুন করে ইংরেজি শিখতে হবে। কিন্তু তারপর লম্বা সময় অতিক্রান্ত হলেও এই ব্যাপারে বেগকে আর কর্তৃপক্ষের মুখোমুখি হতে হয়নি। এটা ভাবতেও ভালো লাগে যে, ক্যাডেট কলেজের তৈরী করে দেয়া পরিবেশে ব্যক্তি বেগের চেষ্টার ফলাফল মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটিকে মোক্ষমভাবে কনভিন্স করেছে।
একটু অপ্রাসঙ্গিক হলেও শেয়ার করতে বড্ড মন চাচ্ছে। ক্লাস নাইনে থাকতে ইংরেজি নির্ধারিত বক্তৃতায় যাচ্ছেতাই পার্ফমেন্সের কারণে সালেহ, আমি আর বেগ ইডি খাই (স্বয়ং পিন্সিপাল তামাম কলেজের সামনে এই ইডি ঘোষনা করেছিলেন)। সিনিয়র জুনিয়রের মিচকি হাসি, আমাদের উচ্চকিত হাসি তামাশাকে ড্যাম কেয়ার করে তখন থেকে বেগ নিজে নিজে প্রাকটিস করে নিজেকে এমন শানিয়ে তুলেছিল যে তা আর বলার নয়। ক্লাস ইলেভেন টুয়েলভে ওঠার পর বেগের পার্ফমেন্স ছিল দেখার মতোন। একটা স্টেজ কম্পিটিশনে প্রথম স্থান ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিল সে। এই একই কথা প্রযোজ্য প্রাণবন্ধু বিশ্বাস স্যারের (জীববিজ্ঞান) ক্ষেত্রে। হাস্যকর ইংরেজি বলতে বলতে আমাদের চোখের সামনে দিয়েই একসময় স্যার দারুণ ইংরেজি বলা শুরু করলেন।
কিছু কিছু স্ল্যাং আমরা কলেজে শিখেছি – এটাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সময়ে (ক্যাডেট, নন-ক্যাডেট) সেটা কে না শেখে! সারা পৃথিবীময় এই ধরনের যতগুলো ইন্সটিটিউশন আছে (সেটা হতে পারে আর্মি, নেভি, এয়ার ফোর্স, মেরিন, পুলিশ, বিডিআর, আনসার…..ইত্যাদি ইত্যাদি) সবখানেই এই স্ল্যাং চর্চা একটা কমন ব্যাপার। কখনো কখনো বলা হয় “পার্ট অফ ইউনিফর্ম”। কিন্তু সেগুলো কয়টাই বা আর একজ্যাক্ট মিন করে বলা হয় আর এই পরিবেশে অভ্যস্ত কয়জনই বা তা গায়ে লাগায়!! আমি সময়ে সেটার ব্যবহার যেমন করি ঠিক তেমনি পরিবেশভেদে সেটাকে দীপান্তরেও পাঠাই। শক্ত হাতে সেটাকে কন্ট্রোল করি আমি আমার মতোন করে।
দোস্ত, তোর প্রতিটা কথার সাথে শতভাগ সহমত।
চমৎকার গুছানো একটা লেখা।
তোরে আর বেগ'রে সহ তামাম ক্যাডেট জাতিকে :salute:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
থ্যাংকু :shy: ।
Life is Mad.
রফিক নওশাদ স্যারের ক্লাস আজও মনে পড়ে। "ক্ষ পরবর্তি অ বর্ণ ও হয়"। যেমন, লক্ষ এর উচ্চারণ হবে লোক্ষ, দক্ষ এর উচ্চারণ হবে দোক্ষ। ঠিক তেমন ভাবে ণ-তত্ত্ব, ষ-তত্ত্বের নিয়মগুলি এখনো চোখের সামনে ভাসে। ঠিক এই কারনে কাউকে যখন ভুল উচ্চারণে/ব্যাকরণে ইংরেজীতেও ই-মেইল করতে দেখি, মেজাজটা সপ্তমে পৌঁছায়। আর বাংলা ইংরেজীর মিশ্রন তো আরো।
“ক্ষ পরবর্তি অ বর্ণ ও হয়”।
আমারো একটা মনে পইড়া গেলো। বক্ষ - উচ্চারণ হবে বোক্ষ। 😉 😉
পামোশ শব্দটির ক্যাডেটীয় ব্যাখ্যা আমরা জানি।
পামোশের ব্যাখ্যা ছিল পান্ডিত্য মোদের শক্তি।
সংবিধিবদ্ধ ব্লা ব্লা ব্লা : 'পামোশের প্রসংগ এইখানে কাকতাল মাত্র'
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য... :-B
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:khekz: :khekz: :khekz:
কথা শিল্পী'র এই কথায় শতভাগ সহমত। 😛 😀
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
তুমি তো পুলাডা বান্দর আছ..... :khekz: :khekz: ।
Life is Mad.
ভাল লাগল।
বেগ এখন কই ??
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
একটেল
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
থ্যাংকস 😛 ।
Life is Mad.
সায়েদ ভাই, গুছানো সুন্দর একটা লেখার জন্য আপনাকে :salute:
থ্যাংকস ব্রাদার :shy: ।
Life is Mad.
Test
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
মাইক ঠিকাছে। 😉 😉
পয়লা কথা হচ্ছে বাংলা ভার্সেস ইংরেজি কথাটা আমার পছন্দ না, বাংলা বাংলা, ইংরেজি ইংরেজি, যে যার জায়গায়। বাংলা আমার মাতৃভাষা, ইংরেজিতে আমি কথা বলি কারন দুনিয়ার সবার মাতৃভাষা বাংলা না। তবে বাংলা ভাষায় যারা কথা বলতে পারে তাদের সংগে ইংরেজিতে কথা বলতে আমার ভাল লাগে না, যদি না তা ইংরেজি শিক্ষার ক্লাস না হয়।
এর পর কথা হচ্ছে বেগ পোলাটাকে আমি মনে হয় খুব ভাল মত চিনি 😀 গুড বয়।
এর পর কথা হচ্ছে "সায়েদ তুমি কি আমার লেখা গুলা পড়? না পড়লে জানতে চাই কেন পড় না? আর যদি পড়, তাহলে বল, মন্তব্য কর না কেন?"
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কলমে কালি নাই। 😉 😉
একদম ঠিক কথা :salute: ।
ফয়েজ ভাই,
একটু লজ্জাতেই পড়ে গেলাম :shy: ।
আপনার ব্লগে কমেন্ট দিই না কেন সেটা খুঁজতে সবগুলো লেখায় একবার করে চোখ বুলিয়ে আসলাম। আপনার লেখা আমি খুব আগ্রহ নিয়েই পড়ি 😀 । আর কমেন্ট করে পার্টিসিপেশন? আপনার মোট ১৬টা লেখার ১১টা'তেই কমেন্ট আছে - কয়েকটাতে একাধিক 😛 । যেগুলোতে নেই সেগুলোর চারটা (নব্বইয়ের হ্যামলেট:যোবায়ের কথন, নিছক তুমি অথবা অনুভূতির সরলরেখা, খেরোখাতা - বৃষ্টির ঘ্রানে, ঘাই) সময়মতোই পড়েছি। এই লেখাগুলোতে কেন যে কমেন্ট করে পার্টিসিপেট করা হয়নি.... 🙁 । কি কারণ দিব বুঝে পাচ্ছি না 🙁 🙁 । একটা গল্প(একটু শুনবেন গল্পটা) রেখে দিয়েছি ঠান্ডা স্থির মস্তিস্কে পড়ব বলে। এটা অনেকটা অস্কার পাওয়া ক্লাসিক্যাল মুভি দেখার মতোন ব্যাপার 🙂 ।
ওহ হো, ফয়েজ ভাই আপনার একটা লেখায় (শূন্যতার রং) একটা প্রশ্ন করেছিলাম। আবারও করলাম:
ভাইয়া,
এতটুকু লেখতে যেয়ে ভয় পাচ্ছি কোনভাবে আপনাকে হার্ট করে ফেলছি কি না 🙁 । যদি কোনভাবে আপনাকে ব্যথিত করে ফেলি তাহলে তার জন্য এখনই ক্ষমাপ্রার্থী।
Life is Mad.
ফয়েজ ভাই
সায়েদ ভাই কিন্তু আপনারে রেলের চাক্কায় তেল দিতেছে। পিছলাইয়া যাইয়েন না।
সময়মতো কমেন্ট না করার জন্যে সায়েদ ভাইকে রিমান্ডে নেয়ার দাবি জানাই। 😉 😉 😉
'শাক' দিয়ে 'মাছ' ...
(আমি কিন্তু কিছু কই নাই। আমার পিসি অটো কমেন্ট করছে।)
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
লাষ্ট দুইটা লেখায় কমেন্ট কর নাই, তাই মনে হইল তোমারে জিগাই। তুমি এত্ত লম্বা বয়ান ধরবা জানলে কি আর জিগাইতাম?
মামুনের লেখাটার কারো মন্তব্যে উত্তর দেই নাই, আমি লেখাটা এক রকম এড়িয়ে চলি। মামুন আমার ক্যাডেট জীবনের শেষ চার বছরের রুমমেট। তোমার প্রশ্নটা আমি দেখেছি, উত্তর দেই নি, কি হবে বল উত্তর দিয়ে।
তুমি আমার লেখাকে অস্কার ছবির সাথে তুলনা করতেছ? থাক বাবা কমেন্টের দরকার নাই। ডরাইছি
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
😛 😛 :salute: :salute:
Life is Mad.
ও হ্যা, মামুন মিরপুরে ছিল।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
থ্যাংকস ফয়েজ ভাই।
মামুন ভাই যখন ট্রিটমেন্টের জন্য বাইরে তখন আমি এমআইএসটি'তে কেবল জয়েন করেছি।
আল্লাহ তাকে ভালো রাখুন।
Life is Mad.
কোনদিন ইংরেজীতে কথা বলতে অসুবিধা হয়নি, আর আইইউটি-তে সবকিছুই ইংরেজীতে। এসবই ক্যাডেট কলেজের অবদান। :boss: :boss:
সায়েদ ভাই,একটা ভাইভাতে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল আমার প্রিয় কবি কে?আমি বলেছিলাম মাইকেল মধুসূদন দত্ত।ভাইভা গ্রহণকারী ভেবেছিলেন আমি শো অফ করতে এই কবির নাম বলেছি তাই মেঘনাদ বধ থেকে ইচ্ছেমত প্রশ্ন করা শুরু করলেন।উনি তো আর জানেন না যে সমুদ্রের প্রতি রাবণ পড়ে আর দীনেশ স্যারের ব্যাখ্যা শুনে আমি তখন মেঘনাদ-মোহে আচ্ছন্ন।লাইব্রেরিতে গিয়ে মেঘনাদ বধ সহ মাইকেলের রচনাসমগ্র নিয়ে গোগ্রাসে পড়েছি।সাথে হাসনাত হারুণ স্যার আর দীনেশ স্যারের অসাধারণ ব্যাখ্যা আরো শানিত করেছে এই অতি কঠিন ভাষায় লেখা ধ্রুপদী সাহিত্যকর্মটিকে।চিলড্রেন ক্লাসিকের রামায়ণের নায়ক রামকে ন্য ভূমিকায় দেখে শুরুতে অস্বস্তি লাগলেও একবার যখন মজে গেলাম-নাওয়া খাওয়া ভুলে যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছিল।টেবিল লীডার শোয়েব ভাইয়ের সাথে প্রতিদিন এটা নিয়ে গল্প করতে গিয়ে এক পর্যায়ে উনি আমাকে ডাকা শুরু করলেন"কিরে মেঘনাদ" বলে।অথরিটির সাথে গণ্ডগোলের সময়েও মনের গহীনে বেজে উঠত সপ্তম সর্গে পুত্রহত্যার প্রতিশোধ নিতে শোকাকুল রাবণের রণহুংকার-দেবরাজ ইন্দ্রের রণদর্পকেও যা হেলায় উড়িয়ে দিয়েছিল।বহুদিন পর একজন মানুষ পেলাম যার সাথে মন খুলে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা এই সৃষ্টি নিয়ে আলোচনা করার।২৮ তারিখ আমার পরীক্ষা শেষ হোক-তারপর দেখবেন লাইবেরিয়ার জঙ্গলে কিভাবে রাক্ষস-সেনাদের দেশপ্রেম নিয়ে মেইল করে আপনাকে শশব্যস্ত করে তুলি। 🙂
যাই, 😮 😮 মাথায় পানি ঢাইলা আসি। 😮 😮 😮 😮
মাস্ফু এখনি যেমন ফাটাইতেছে, ২৮ তারিখের পর না জানি কি হয় 😕
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
মাসরুফ, ভাইভার পরে কি হইল? ;;) ;;)
:shy: এই যে আমি এখন নসু ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের সদ্য প্রবেশকৃত "প্রমীলা" দেরকে ইঞ্জিরি বুঝাইতেছি-সেইটা এই মাইকেল বাবাজীর অবদান :shy:
মাশাল্লাহ! মাসরুফ, তুমি এইভাবে আরো আরো ভাইভায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রমীলাদের আরো বেশি বেশি বিষয় পড়াও!
আমিও জানপো
*অন্য ভূমিকায়
তা-ইতো তা-ইতো ভাইভাতে কি হইলো? নিশ্চয়ই প্রশ্নকর্তা শুইয়া পড়ছিলেন।
মাসরুফ,
তুমি যেভাবে মধুসূদন পড়েছ আমি সেভাবে পড়িনি। জানিনা তুমি পরীক্ষার পর যখন লাইবেরিয়া মাথায় তুলবা 😀 তখন আমি কিভাবে কি করব....। তবে এটা ঠিক যে "মেঘনাদ বধকাব্য"র প্রতিটা শব্দের, প্রতিটা লাইনের অর্থ জানার সময় খুব থ্রিল অনুভব করেছিলাম।
শুধু আমি না আমার ক্লাসের অনেকেই এই কাব্যে মোহগ্রস্থ হয়েছিল। এক ক্লাসমেট তো এটাকে ধরে একটা প্রাপ্তবয়স্ক চতুর্দশপদীও বানিয়ে ফেলেছিল 😀 । আফসোস সেটা আর এখন আমাদের কারও কালেকশনে নেই। প্রথম দুই লাইন খালি স্মৃতিতে তোলা আছে..... 😛 😀 ।
Life is Mad.
সেই কবিতাটা দ্যান আমি ঝিকঝিক পমপম সনেট পড়পো :((
পমপম সনেটটার প্রথম দুই লাইন ছিল এইরকম:
"উঠিলা দালালপতি আলয় শিখরে
খদ্দের বিনা প্রাণ যায় যে বেঘোরে।"
তারপর লাইনে লাইনে ক্রম পরিণতি 😉 😉 😉 😉 ।
Life is Mad.
😮 😮 বস, কবিতাটা সেন্ড করা যায়না?আমার ইমেইল এড্রেস তো আছেই!!
নারে পাগলা,
আগেই তো বলছি,
Life is Mad.
ছোট্ট একটা কারেকশন:
"মেঘনাদ বধকাব্য"র জায়গায় "সমুদ্রের প্রতি রাবণ" হবে 🙂 🙂 ।
Life is Mad.
🙂 কি সুন্দর মালা আজি পরিয়াছ গলে প্রচেতঃ হা ধিক ওহে জলদলপতি! 🙂
অফ টপিক-আমি সমুদ্রের প্রতি মাস্ফু লিখপো :((
ভাইরে ভাই মাসরুফ ভাই...
এইবার কোন মিস নাই ... :salute:
খিদা লাগছে... যাই খাইতে যাই।। B-)
বস পুরা গুল্লি... :gulli2: তাঁরা দেয়ার জায়গা পাইতেছিনা খুঁজে পাইতেছিনা, ভালই হইছে... যান একহাজার তাঁরা। 😀
উপর নিচ দুইটা পড়েই কমেন্টাইলাম।
@হাস্না-তোর তারা দেওন লাগবো না যা মুড়ি খা-আমি বিল দিয়া দিমুনে :shy:
ও হাস্না ভুইলা গেছিলাম-এই উপর নিচ কি তোদের সেই ফ্রেঞ্চ-কাট স্যারের কেস নাকি?তাইলে তো সমুস্যা 😕
কার কথা কইলেন??? :-/
ওই যে তোগো কুন স্যাররে কে জানি কইছিল-স্যার আফনেরে ফ্রেঞ্চকাটে ভালই মানাইবো তখন স্যার কইছিলেন-"কোথায়,উফ্রে না নীচে" সেই স্যার 😀
ভাই মনে হয় রং নাম্বারে ডায়াল করছেন।। 😛
তয় এরুম একখান পোস্ট পড়ছিলাম... মনে পড়ে। :bash:
কার কথা কইলেন??? :-/
ও হ্যাঁ, মজার ব্যাপার কি জানেন? "সমুদ্রের প্রতি রাবণ" আমাদের পাঠ্য ছিলনা মোটেই।অথচ হাসনাত হারুণ স্যার বা দীনেশ স্যারের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিতাম মাইকেল কোন ঘটনা একটু অন্যভাবে লিখলে কেমন হত,অথবা মাইকেল যদি পুরো রামায়ণটাকেই কাব্য আকারে লিখতেন তাহলে বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে সেটি কেমন হত এ জাতীয় জ্ঞানগর্ভ আলোচনায়।একে এর কোনকিছুই সিলেবাসে নেই, তারপর ক্যাডেট কলেজের কঠোর জীবনে অতিব্যস্ত রুটিনের মাঝে কৈশোর না পেরুনো একটি ছেলের "স্যার,নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে মেঘনাদের সাথে প্রমীলাও যদি অবস্থান করতেন তাহলে কি লক্ষণ এমন অন্যায় যুদ্ধে তাকে বধ করতে পারতেন?" জাতীয় প্রশ্ন-এ দুটি জিনিস মিলিয়ে সেই স্যারেরা যদি আদিখ্যেতা ভেবে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিতেন তাহলে তাঁদের আর যাই হোক দোষ দেওয়া যেতনা।আমার পরম শ্রদ্ধেয় সেই স্যারেরা তা করেননি-আর করেননি বলেই বাংলা সাহিত্যরস আমার বুকের ভেতরে এমন ভাবে প্রোথিত হয়েছে যে তাকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করে এন এস ইউএর এই আধা-আমেরিকান(??!) পরিবেশেও নিজের সত্যিকারের বাঙ্গালি সত্বাকে সযতনে রক্ষা করতে পেরেছি(পেরেছি বলা যাবেনা,তবে অন্তত ইচ্ছেটা হারিয়ে ফেলিনি এটুকু বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি)।
ক্যাডেট কলেজ একটি কিশোরের স্বাভাবিক মানসিক বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে,ক্যাডেট কলেজে পড়লে মানুষ যন্ত্রে পরিণত হয়-এসব বুলি আওড়ানো আমাদের তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা আমার মত ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র,জংলী মানুষের মনের খবর রাখবেন-এই দুরাশা করিনা(জংলী বলছি এ কারণে যেহেতু বাবার চাকুরীর সুবাদে শৈশব কেটেছে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি আর বান্দরবানের গহীন অরণ্যে-যেখানে নামীদামী স্কুল কখনোই ছিলনা)।কিন্তু সেনাবাহিনীর কর্কশতম প্রশিক্ষণও যেই মানুষটির ভিতরে সাহিত্যপ্রেম ভুলিয়ে দিতে পারেনি,সেই মানুষটির শিক্ষার ভিত্তি যে ক্যাডেট কলেজ- এ কথাটা কি সেই সুশীল সমাজ একবারো ভেবে দেখবেন?
ধুর 😮 😮 আবার পানি দিতে হইবো মাথায়। 😮 😮
😕 পুলাটার হইল কি, ব্লগ নামাইতেছে একের পর এক।
তোমার কেউ একটু দেখ না ওকে 😕
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
এই চান্সে আমিও বিসিএস দিয়া দিলে পারতাম। মাস্ফু'র কমেন্ট পড়লেই প্রিপারেশন হইয়া যাইতো। 😉 😉
x-( ছুডু ভাইগো পচানো যে একটা বে-শরিয়তী কাম,সেইটা ভুইলা গেছেন?যান আবার সেভেনে ভর্তি হন x-(
মাসরুফের, কমেন্ট পইড়া আমি আর মাথায় পানি ঢালি না...বরং বাথরুমে গিয়া বালতিতে মাথা চুবাই...আরে ভাই, মাথাও তো মানুষ!!! :-B
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
😮 😮 😮 এইগুলা কি কন?গাছ হয়া অন্য গাছের পাতা ছিঁড়েন ক্যান????
অফ টপিক- ছিঁড়া শব্দটার সাথে কেউ যেন কুন্তলের ভাল হিন্দী ব্যবহার না করেন 😛 ।
কুন্তল=কেশ :shy:
গাছেরা তাইলে পাতা ছিঁড়ে
কত অজানা রে :grr: :grr:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ফৌজিয়ান ভাই, আপনে এরপর পিরা গিয়া দেখেন কি হয়...তিলব তো নাই-উল্টা একটা ডাল আপনার গিয়ে ফিলায়া দিব... :grr:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আরো আছে, আমাগো ডালে বাসা বাধা কাক গুলারে কমু উনার মাথার উপর সিউর শট সালাদ-বম্বিং করতে 😛
:gulli2:
গুল্লি করে আপনি কয়টা কাউয়া(এয়ারফোর্সের দোস্তরা কেউ থাকলে রাগ করিস না 😛 ) মারবেন ফৌজিয়ান সাহেব? এক সময় না এক সময় আপনাকেও কাউয়ার বোমাবর্ষণের অসহার শিকার হতে হবে...তোকিয়া তোকিয়া...ইয়ালি ভিশিমাই!!!
ইডি খায়া অফ গেলাম :bash: :bash:
এই লাইন কয়ডা কি আমার জইন্য..... 😛 😛 :shy: :shy: বড়ই সৌন্দয্য।
:khekz: :khekz: 😀 😀 :khekz: :khekz:
Life is Mad.
মাসরুফ,
তোমারে মনের গহীন প্রদেশ থেকে সশ্রদ্ধ :salute: ।
Life is Mad.
x-( ছুডু ভাইরে সেনেহ না দিয়া ছরদ্ধা দিয়া দূরে সরাই দেওয়ার পপচেষ্টার পোরতিবাদে সায়েদ ভাইরে ইবি(এক্সট্রা ব্লগ) দেওয়ার দাবী জানাই
🙁 না আমি আর খেলুম না।কলিজায় চাক্কু মারা ইমুশন দিয়া কিছু ল্যাকলেই বড় ভাইরা আমারে পচায়।যাই আমার যাস্ট ফেরেন্ডের কাছে যাই,হাডুডু খেলি। 🙁
হাডুডু নাকি সাপলুডু 😀 :khekz: ???
Life is Mad.
কোন হাডুডু?
ইন্ডিয়ান এডের কথা মনে পড়ে গেল...ঐ যে খালি বলে কাবাডি, কাবাডি, কাবাডি... 😉
ক্লোরমিন্ট অথবা মিন্টোফ্রেশের...!!!
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
মাসফু ভাই এখন জাস্ট ফেরেন্ডের(শুধুমাত্র বন্ধুর) কাছে জাইবো।
আমি হাডুডু খেল্পো :((