রিভিউ পাড় হওয়া বুঝি হোলনা আমার

১।
ধুপীতে কাপড় দেয়ার কি চমৎকার সিস্টেম ছিল কলেজে আহারে। ধুপীতে আন্ডি গেঞ্জি ধুইতে দিয়া ক্লাস সেভেন-এর এক ক্যাডেট বেদম প্রহার খাইলো। ক্লাস এইট-এর রুম লিডার প্রহারের ফাকে জিজ্ঞাসা করলো ‘ধুপী’র চিট-এ কোথাও তো আন্ডি আইটেম টা নাই, তাও তুমি দিলা ক্যান ?’ ক্লাস সেভেন-এর উত্তর ‘নতুন সিরিয়াল নম্বর দিয়া হাতে লিখা দিছিলাম আন্ডারওয়্যার এ্যান্ড স্যান্ডোগেঞ্জি’।

২।
কেমিস্ট্রি ক্লাসে ম্যানা মিন মিন করে কি যে বলতো,

বিস্তারিত»

নিয়তির নির্মম প্রতিশোধ!!!

মোঃ হাসমত আলী মানুষ হিসাবে খুবই নিকৃষ্ট শ্রেণীর। লোভী, ধূর্ত, হীন মনের অধিকারী। বয়স পঁঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই করছে। বিবাহিত এবং দুই কন্যার জনক। তাদের বয়স যথাক্রমে ১৬ এবং ১২ বছর। স্ত্রী ও দুই কন্যা- আয়শা ও আম্বিয়াকে নিজ জেলা মাদারীপুর রেখে ম্যারিড ব্যাচেলর হিসাবে চাকুরি করছেন। কর্মজীবনে তিনি নড়াইল জেলার কালিয়া থানার শিক্ষা অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষক। মানুষ যেমনই হোন না কেন, হিসাব তিনি খুব ভাল বোঝেন-এটা তার চরম শত্রুও মেনে নেবে।

বিস্তারিত»

অতি উৎসাহিত হইয়া তৃতীয় ব্লগ

১।
যখনকার সময়ের কথা বলছি, তখন ‘ফিট ইতনা মাস্ত, নো এ্যাডজাষ্ট’ আন্ডি বাজারে অতটা এ্যাভেইলেবল ছিল না। সারাদিন আন্ডি এ্যাডজাষ্ট করতে করতে কারও কারও নামই হইয়ে গেলো ‘স্ক্র্যাচার’। লাইভ অভিনয় ব্যাতিত ‘স্ক্র্যাচার’এর অভুতপুর্ব স্ক্র্যাচিং টেকনিক বর্ণনা করা ডিফিকাল্ট। তিনি ক্লাস চলাকালিন সময় পুরোটাই ব্যাস্ত থাকতেন ওই কাজে। কখনও পকেটে হাত দিয়া, কখনও ফুটবল খেলার আগে ওয়ার্ম-আপ করিবার ভংগিতে হাটু ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া, কখনও বা সরল মনে লোকলজ্জা বা ক্যাডেটলজ্জা ভুলে ফ্রি-ফ্র্যাঙ্ক হাত চালাইয়া।

বিস্তারিত»

মিশন একাডেমী

তখন আমি ক্লাস এইট এ পড়ি।আব্বা বিদেশ থেকে আসছে ,অনেক চক্লেট নিয়া আসছিল parents day তে। পরের দিন ছিল ফখরুল স্যার এর ক্লাস।উনি আবার ক্লাস টাইম এ ডেস্ক চেক করতো।কিন্ত হাউসে নিতে পারবোনা কারণ আমি মাত্র ক্লাস এইট এ পড়ি এবং জুনিয়র ও আসেনাই।কি আর করা ডেস্ক এ রেখেই চলে গেলাম।রাতে ডিনার এর পর এসে আমি,মেহেদি এবং রেজা প্লান করলাম যে আমরা একাডেমি তে যাব যার যার খাবার আনতে।তো প্লান করে একটা লোহার স্কেল,খাবার এর জন্য প্যাকেট এবং ডাইনিং হল প্রিফে্কট ইয়াদনান ভাই এর দোয়া নিয়া রওনা হলাম একাডেমির পথে।গিয়ে স্কেল দিয়ে জানালা খুললাম,জানালার ভিতর দিয়ে হাত দিয়ে খুললাম দরজা।তারপর যার যার খাবার নিয়ে আবার দরজা লাগিয়ে হাউসে এর দিকে রওনা হলাম খুব খুশি আমরা এত বড় কাজ করলাম।একাডেমি ক্রস করে সামনে আগাব সেই সময় দেখলাম কে যেন সাইকেল এর উপর বসে আসে।আমাদের তিনি ডাক্লেন গিয়া দেখি রাশেদ স্যার(নাহিদা আপার জামাই)।ব্যাগ চেক করলেন তারপর খাবার গুলা নিয়া বললেন শেরে বাংলা হাউসে এ গিয়া হাউসে অফিসে দাড়াতে।আমরা তাড়াতাড়ি হাউসে এ গিয়া ভাইয়াদের বললাম বাচাতে,ভাইয়ারা বলল দেখি কি করা যায়???এক টু পর মোল্লাহ স্যার এবং রাশেদ স্যার এসে আমাদের ডাক্লেন হাউসে অফিসে।ভাব্লাম আজকে মোল্লাহ স্যার কি মাইর ই না দে আল্লাই জানে।কিন্ত কি জন্য যানিনা মোল্লাহ স্যার সেবার আমাদের মারলেন না শুধু একটা করে statement লেখালেন।পরের দিন সকালে ফরম ক্লাস এর পর রাশেদ স্যার আবার আমাদের ডাকলেন কারন কিছুক্ষণ আগে ভাইয়ারা গিয়া স্যার কে request করল যেন আমাদের মাফ করে দেয় এবং খাবার গুলা ফেরত দিয়া দেয়।তো স্যার আমাদের ডেকে বলল তোমাদের খাবার আমি ফিরত দিয়া দিব কিন্ত আস্তে আস্তে।“”””প্রতিদিন সকালে ফরম ক্লাস এর পর আসবা এবং আমি মারার পর এগুলা খাবা””””তো প্রথম দিন হিসেবে আমাদের বেশি মারা হল।এভাবে ২/৪ দিন গেলাম তারপর আর যেতে হয়নাই কারণ স্যার এর transfer হয়ে scc চলে গেল যাবার আগে আমাদের কাছে মাফ চাইল এবং খাবার গুলা ফেরত দিয়া গেল।কিন্ত খাবার পাওয়ার পর দেখলাম খাবার বলতে গেলে কিছুই নাই বিশেষ করে আমার চক্লেট গুলা।স্যার এর বাসায় তখন চক্লেট খায় এমন ২ টা বাচচা এবং একটা সুন্দরি বউ ছিল।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কাহন

১।
সায়েন্স, আর্টস টেস্ট পরীক্ষার পর আমাদের মাত্র চারজন আর্টস পেয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন, যার স্বপ্ন ছিল এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হবার, বেদম বিমর্ষ হয়ে গেলো। ফস্ ছিলেন ওই পরিক্ষার ইন-চার্য। একমাত্র ফস্-ই পারেন তাকে সায়েন্স দিতে। পোলাপানের বুদ্ধিতে জুম্মার নামাযে ফস্ এর পাশে বসে অনেক দোয়া দরুদ পরে ক্যাডেট তার মনবাঞ্ছা প্রকাশ করলে ফস্ বল্লেন ‘তুই এয়রোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইংলিশে বানান কর, যদি পারস, প্রিন্সিপালের হাতে পায়ে ধইরা হইলেও তোরে সায়েন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করবো’।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজে চান্স

আমরা তখন গাজিপুর থাকতাম। প্রথম ক্যাডেট কলেজের নাম শুনতে পাই অনিল স্যারের কাছ থেকে। উনি একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং সেই স্কুল থেকে নাকি ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দেয়া যায়। আব্বু খুব শখ করে ওই স্কুলে ভর্তি করে দিল আর আমিও খুব শখ করে পড়াশুনা শুরু করলাম। লিখিত পরীক্ষার সময় চলে আসল। আমার সিট পরেছিল ঢাকা রমিজউদ্দিন স্কুলে। পরীক্ষার সময়ের একটা স্মৃতি খুব মনে পরে যে ইসরাইল হক স্যার গার্ড ছিলেন আর একটা ছেলেকে নকল করার সময় পাকড়াও করেছিলেন আর ছেলেটা স্যারের পায়ে ধরে কান্নাকাটি করছিল।

বিস্তারিত»

পটকা মাছ আর ভাউয়া ব্যাং

কলেজে জীবনে কোনদিন স্বেচ্ছায় মঞ্চে উঠিনি। কারন মঞ্চে উঠতে যে প্রতিভা লাগে তার কোনটাই আমার ছিলনা। একবারই উঠেছিলাম, তাও সেবার লটারির মাধ্যমে প্রতিযোগী নির্বাচন করা হয়েছিলো তাই। জীবনে কোনদিন দুই টেকাও লটারীতে পাই নাই, কিন্তু ওইদিন ঠিকই লটারীতে নাম উঠছিল। কপাল!

তবে একবার স্বেচ্ছায় সেমি-মঞ্চে উঠেছিলাম আর কি। সেমি-মঞ্চ মানে কলেজ পিকনিকে খাওয়া-দাওয়ার পর যে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সব ক্লাসের ছেলেরা কিছু না কিছু করে দেখায়।

বিস্তারিত»

লোপামুদ্রার “জন্মভূমি”

এমআইএসটি’তে আমাদের মধ্যে গানের সবচেয়ে ভালো সংগ্রহ ছিল মুশফিকের (এমসিসি, ৯২-৯৮)। ওর কাছেই মনে রাখার মতো করে লোপামুদ্রার প্রথম যেই গানটা শুনি সেটা হলো “সাঁকোটা দুলছে”। কৈশোর, বন্ধুত্ব, গ্রামের দূরন্ত জীবন স্মরণ করে এক অবিস্মরণীয় গান।

নিজের কম্পিউটারে লোপামুদ্রাকে আমদানি করার পর আরও অনেকগুলো গান শোনা হয়েছে। যার মধ্যে ‘বেনীমাধব’, ‘আবার আসিব ফিরে’সহ এখানে উল্লেখ করা বেশ কয়েকটা গান আছে। কিন্তু লোপামুদ্রার যেই গানটা আমাকে সবচেয়ে বেশি আলোড়িত করেছে সেটা হল:

“তোমার জন্য মেঘলা দুপুর,

বিস্তারিত»

সিয়াটলের শীত – ২

সিয়াটলের শীত – ১
লেখাটা শুরু করেছিলাম সিয়াটলের বাজে আবহাওয়া নিয়ে। শিরোনামও তাই বলে। কিন্তু যতদুর লিখেছি তাতে আমার পা দুটো তখন পর্যন্ত দেশের মাটিতেই ছিল। (নোটিশ ফর বদ পুলাপাইনঃ খবরদার, পায়ের হিসাব তুইলা আবার সব কিছু আউলা কইরা দিবি না কইলাম)।

গতকাল রাতে বৌ এর সাথে এক চোট ঝগড়া করে মন মেজাজ খারাপ করে ব্লগটা লেখা শুরু করেছিলাম। ঘুমাতে গিয়েছিলাম তখন রাত একটা কি দুইটা।

বিস্তারিত»

রিমঝিম

আজ আমি অনেক সুখী। রিমির কাছে যাচ্ছি। তার পছন্দের সাদা রঙের চেকশার্ট পড়েছি। ম্যাচ করে সাদা স্যুট। ইচ্ছে করেই টাইটা ঠিক করে পড়িনি। ওটা রিমির জন্য। জানি আমার টাই দেখে রিমি বলবে, “বুড়ো হয়ে গেলা!! টাইটাও ঠিক মত পড়তে পার না !?”। তারপর ও নিজেই টাই ঠিক করে দিবে। আমি মুখে মিথ্যে লাজুক হাসি দিয়ে তাকিয়ে থাকব, ওর দিকে।

রিমির সাথে আমার পরিচয়টা দূর্ঘটনা দিয়ে।

বিস্তারিত»

বাংলাদেশ স্কয়ার

সিভিল মিলিটারি কো-অপারেশনের (CIMIC) আওতায় লাইবেরিয়ায় ইউএন মিলিটারি কন্টিনজেন্টসমূহ কর্তৃক বিভিন্ন স্হাপনা নির্মান করা হয়েছে। এগুলো মূলত খেলাধুলা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরীর জন্য স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজে ব্যবহৃত হয়। আমাদের নিকটতম যেই স্থাপনাটি আছে সেটার নাম BLYC – “বাংলাদেশ লাইবেরিয়া ইয়ুথ সেন্টার” । এখানে আছে একটা ফুটবল মাঠ, বাচ্চাদের খেলার জন্য একটা বড় পার্ক আর একটা ট্রেনিং সেন্টার। ফুটবল মাঠে স্থানীয় টিমগুলো ফুটবল খেলে। আমরা এখানে কম্পিউটার,

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজ শিক্ষক কাহন …

ক্যাডেট কলেজ়ের স্যারদিগকে লইয়া লিখিতে গেলে পাতার পর পাতা লিখা যাইবে। যেই পরিমান শ্রম তাহারা আমাদের পিছনে দিয়াছেন তা বলিয়া শেষ করা যাবে না। আবার তাদেরকে নিয়া আমাদের অনেক মজার স্মৃতিও আছে। আমার জীবনের প্রথম ব্লগ তাই মির্জাপুরের আমাদের সময়কার স্যারদিগকে লইয়াই লিখিব। তবে তার আগে বলিয়া রাখি ইহা শুধুমাত্র কিছু মজার স্মৃতিচারন। অন্য কিছু নয়। শিক্ষকরা সবসময়ই শ্রদ্ধাভাজন।

চর্চার অভাবে স্মৃতির গর্ভে বিলীন হইয়া গিয়াছে অনেক স্যারের আসল নাম।

বিস্তারিত»

টোকিওতে সিসিআর গেট-টুগেদার

গতকাল (২ নভেম্বর) টোকিওতে সিসিআরের ছোটখাট একটা গেট-টুগেদার হয়ে গেল খায়রুজ্জামানারের বাসায়। ছবি সবার সাথে শেয়ার করলাম। ছবিতে বাম দিক থেকে নাজমুল ভাই, খায়রুজ্জামান, যুবায়ের ভাই, শরীফ ভাই এবং আমি।

বিস্তারিত»

ভালো লাগায় লোপামুদ্রা

লোপামুদ্রা মিত্রের গলায় আমার শোনা প্রথম গান বেনীমাধব।

এইচএসসি-র পরে তখনো ঢাকায় নতুন। ঢাকা যে আসলে ঠিক বাংলাদেশের ভেতরের কোন শহর নয়, সেটা বুঝে গেছি ততদিনে। সব কিছুতেই যেন যোজন যোজন ফারাক আমাদের ছোট্ট মফস্বল শহর কুমিল্লার সাথে। সেই বোধটা আরেকটু দৃঢ় করতে সে বছর গুলশানে আমাদের এক বন্ধুর বাসায় গেলাম থার্টিফার্স্ট নাইটের মজা নিতে। আমরা প্রায় ১০/১২ জন।

বিস্তারিত»