হাসিনা বনাম ইউনূস তথা সরকার বনাম এনজিও দ্বন্দ্ব বুঝবার জন্য তত্ত্বীয় কাঠামোর একটা খসড়া প্রস্তাবনা

গ্রামীন ব্যাংক থেকে ডঃ ইউনূসকে সরকারী আদেশে পদত্যাগ করানোর মধ্য দিয়ে যে সংকট তৈরী হয়েছে, তা’ মিডিয়ায় ইউনূস-হাসিনার ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব হিসেবে প্রচারিত হলেও আদতে তা’র মূল ব্যক্তিগত বলয়ের থেকেও অনেক গভীরে, তারা যে যে প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছেন, তা’র কাঠামোর মধ্যে; অর্থ্যাৎ এই দ্বন্দ্ব মূলতঃ তৃতীয় বিশ্বের উদীয়মান জাতি-রাষ্ট্র আর এনজিও-র মধ্যকার ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। এই পোষ্টে আমি আলোচ্য বিতর্ককে জাতি-রাষ্ট্র গঠনের (State Building) প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক (institutional) দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো।

বিস্তারিত»

মুক্তিযুদ্ধে কুড়িগ্রাম

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ক’দিন আগে একটা দায়িত্ব আমাদের কাঁধে এসেছিল, তা হল কুড়িগ্রাম এলাকায় সংঘটিত বিভিন্ন যুদ্ধের উপর একটি রিপোর্ট তৈরি করা। এটা করার জন্য কয়েকদিন আগে আমরা টীম নিয়ে গিয়েছিলাম কুড়িগ্রাম, উলিপুর এবং চিলমারী এলাকায়। আমার সৌভাগ্য যে আমি এই কাজটিতে জড়িত ছিলাম। এত অজানা তথ্য , গুরুত্বপুর্ন ঘটনাগুলো সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই কোন ধারনা নেই। অথচ স্বাধীনতা যুদ্ধে এই অঞ্চলের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। এই উপলক্ষ্যেই বহুদিন পর আজ লিখতে বসা,

বিস্তারিত»

অর্থনীতি বিষয়ক কিছু ভাবনা – ১

আমি মনে হয় ভাবতে ভালবাসি। কোন ব্যাপার আমার কাছে একটু আগ্রহ জাগানিয়া মনে হলেই হল। সেটা নিয়ে মাথায় নানা চিন্তা-ভাবনা ঘোরাঘুরি করে। সেটা যাই হোক না কেন। এতদিন সেসব ভাবনা প্রকাশ করা হত না। সিসিবিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এইজন্য যে, এগুলো এখন কিছু আলোর মুখ দেখে(নাকি অনেক আলোকিত মুখ এদের দেখে?)। শুধু এই মনের কোণেই গুমরে মরে না। আর লিখতে গেলে ভাবনাগুলোও গোছানো একটা কাঠামোতে দাঁড়িয়ে যায়।

বিস্তারিত»

নারীর ক্ষমতায়ন ও আমার কিছু এলোমেলো ভাবনা

নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে ওয়াহিদা আপু সাম্প্রতিক ব্লগ থেকে উৎসাহিত হয়ে এই বিষয়ে আমার কিছু ভাবনা সিসিবির পাঠক সমাজে শেয়ার করার ইচ্ছেটাকে দমানোর ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে আমার এই ব্লগের জন্ম। আশা করি,নতুন ব্লগার হিসেবে পাঠককুল আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চার বছরে সমাজ+নারী+উন্নয়ন বিষয়ক যতগুলো কোর্স পড়ানো হয়, তা’র সবগুলোই নিয়েছিলাম। ওয়াহিদা আপুর এই ব্লগটা পড়ে কিছু মৌলিক বিষয় এমনভাবে উপলব্ধি করতে পারলাম যে,

বিস্তারিত»

সবাইকে নিমন্ত্রন … (খানাপিনার ব্যাপার)

অনেক অনেক দিন পর ব্লগ লিখছি। যদিও এটা পুরাই ফাঁকিবাজি টাইপ। তাই প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সিসিবি এক সময় খুবই প্রাণবন্ত ছিল। এখন যে নেই, তা বলবো না। মাঝে মাঝে এখনও জমে ওঠে সিসিবির আড্ডা। মনে পড়ে, কত্ত ছোট ছোট বিষয় নিয়ে আমরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যেতাম। এককথায় হাসতে হাসতে গড়াগড়ি দিতে দিতে পিরা মিরা যেতাম। দিহান ভাবীর সাথে প্রতিদিনই দিনের সর্বোচ্চ মন্তব্যকারী হওয়ার লড়াই নেমে আমরা বিপুল ব্যবধানে হেরে যেতাম।

বিস্তারিত»

হাবিবুল্লাহ স্যারের অপ্রত্যাশিত চিরবিদায়

ছোটবেলায় আব্বার কাছে শুনতাম ‘কলেজের বারান্দায় পা না রাখলে নলেজ হয়না’।১৯৯৩ সালের ২০শে মে সপ্তম শ্রেনীতেই ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের আঙ্গিনায় পা রাখার মাধ্যমে আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা হয়।নলেজ হয়েছে কিনা জানিনা কিন্তু আমার কলেজ যে অনেক নলেজেবল স্যারের উপস্থিতিতে নলেজের আধার ছিল তা বেশ বুঝতে পারি।
কলেজে গিয়েই হাউস মাস্টার হিসেবে পাই ইংরেজীর হাবিবুল্লাহ স্যার কে।অনেক জ্ঞানী,ড়ায়নামিক,মানষিকভাবে অনেক তরুন সেইসাথে কড়া।একদিন উইকএন্ড মুভি শো হচ্ছিল অডিটরিয়ামে।আমি তখনো যাইনি,হাউসে ফাঁকি মারছিলাম।হাউসের সামনে স্যারের কাছে ধরা।স্যার খুব শান্তভাবে জিজ্ঞেস করলেন কেন যাইনি।আমি আমতা আমতা করে কিছু বলতে গেলেই আমাকে ধরার জন্য থাবা দিয়েছেন।আমি যখন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলাম স্যারও আমাকে ধরার জন্য রীতিমত দৌড়।ধরতে না পারলেও ঐ বয়সে ভালই ধাওয়া দিয়েছিলেন আমাকে।স্যার কোন এক টার্মে আমার রেজাল্ট শীটে হাউস মাস্টারের কমেন্টে লিখলেন “সম্ভাবনাময় ক্যাডেট” যা আমার মনে খুব দাগ কেটেছিল।কালে কালে বেলা অনেক গড়িয়েছে স্যারও অবসর জীবনে চলে গিয়েছেন।গত রিইউনিয়নে(ডিসেম্বর ২০০৯)অনেকদিন পর স্যারের সাথে দেখা।সালাম দেয়ার পর স্যারকে বললাম,

বিস্তারিত»

অটোয়ার জার্নাল – দুই

নেসলে টেস্টারস চয়েস
আগে বেশি কফি খাওয়া হতো না। এখন কেন জানি একটু বেশিই খাওয়া হয়। বাসায় থাকলে বাংলা স্টাইলের কফিই সই। মানে হলো আচ্ছা মতো কফিমেট আর চিনি দিয়ে। এরমাঝে একদিন ইউনিভার্সিটিতে লম্বা সময় থাকবো ঠিক করে আগের রাতে ঘটা করে পরের দিনের জন্য খাবারটাবার সব গুছিয়ে একেবারে গুডবয় স্টাইলে রাতে ঘুমালাম। সকালে সময়মতো উঠলাম। হালকা একটা নাস্তা সারলাম। তারপর ইলেকট্রিক কেটলিতে পানি গরম বসিয়ে বৈয়াম খুলে কফিমেট আর চিনি দিয়ে কাপ রেডি করে রাখলাম।

বিস্তারিত»

ক্রিকেট কিংবা বাবার গল্প

আব্বু বাংলাদেশের খেলা দেখছ? বাংলাদেশ কি অসাধারন খেললো !

আমার আব্বার কল, বাংলাদেশ জিতলে এই কল একটা রুটিন এর মত, খেলা শেষ হবার সাথে সাথে আব্বা এই কল দিবেই দিবে। ক্রিকেট খেলা মানেই আব্বা সারাদিন টিভি এর সামনে মোটামুটি আঠার মতো লেগে থাকবেন, বাংলাদেশ ভাল করলে স্নেহ ভরা চোখে তাকিয়ে থাকবেন,আর খারাপ করলে করুণ হয়ে যাবে তার মুখ। গত বিশ্বকাপ এর সময় আমাদের পুরান টিভিটা সমস্যা করায় আব্বা কিনলেন সাদা কাল টিভি ,যুক্তি হলো সাদা কাল টিভি হলে ব্যাটারি দিয়ে খেলা দেখা যাবে!!

বিস্তারিত»

তোমার জন্য, প্রেমা

প্রেমা,

আজ তোমাকে খুব খুব মনে পড়ছে। কেমন আছো? নিশ্চয়ই ভালো, কারণ শেষবার যখন তোমাকে দেখি, খুব সুখীই লাগছিলো। ভুলে গেছো, না! আসলে এটাই স্বাভাবিক। জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না। তোমার বা আমার, কারোরই নয়।

জানো, আজ খুব বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টিকে আমি বলতাম “রোমান্টিক বৃষ্টি”। বর্ষার এই দিনগুলো তোমার সাথে ব্যালকনিতে বসে থাকতে কি যে ভালো লাগতো! মনে আছে তোমার,

বিস্তারিত»

ওয়েষ্ট ইন্ডিজ এইটা কি করলো?

ভোর বেলায় ঘুম ঘুম চোখে বিছানা ছেড়ে নেটে বসলাম ইংল্যান্ডের পরাজয়ের চিপা দিয়া বামে দিয়া চামে বাংলাদেশকে কোয়ার্টার ফাইনালে যাইতে দেখমু………ঘটনার ধারাও সেইদিকেই চলছিল…… শেষ ১০ ওভারে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য লাগে মাত্র ২৬/২৭ রান, হাতে ৪ উইকেট। এরপর থেকেই দেখি একে একে সবগুলা আউট হওয়া শুরু করলো!!! 😡 😡

=(( =((

সবগুলার গুষ্টি কিলাই…… x-( x-(

বিস্তারিত»

উটপাল শুভড়ো সিনড্রোম !

সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে ক্রীড়া সাংবাদিকতা পেশা হিসাবে বেশ পরিচিতি পেয়েছে। বলা বাহুল্য এদের মধ্যে চেলিব্রেটি উটপাল শুভড়োর ধারে কাছে কেউ নেই। হালে এসব সাংবাদিকরা ক্রিকেট তারকাদের নাড়ির খবর, নারীর খবর, হাঁড়ির খবর আমাদের কাছে গরম গরম পরিবেশন করছেন। কোন খেলোয়াড় কখন কি খেয়ে কতটি ঢেঁকুর তুলেছেন, সেই টেঁকুরের সাথে কতখালি তৃপ্তি, কতখালি প্রতিশোধ মেশানো সেই খবরও আমরা তাদের ঢেঁকুর মিলিয়ে যাওয়ার আগেই পেয়ে যাচ্ছি।

বিস্তারিত»

আন্তঃক্যাডেট কলেজ ফুটবল প্রতিযোগিতা

বিশ্বকাপ ক্রিকেট জ্বরে যখন সারা দেশ কাঁপছে, তখন অন্যান্য খেলার খোঁজ খবর রাখাটা নিতান্তই বাহুল্য। তারপরও কোনো আন্তঃক্যাডেট কলেজ প্রতিযোগিতা চলবে আর ক্যাডেটদের মাঝে এর কোনো অনুরণন ছড়াবে না, এ তো হতে পারে না। সিসিবির সকলের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, পাবনা ক্যাডেট কলেজে আন্তঃক্যাডেট কলেজ ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এতে শুভসুচনা করেছে রাজশাহী ও স্বাগতিক পাবনা ক্যাডেট কলেজ। উদ্বোধনী ম্যাচে পাবনা ২-১ গোলে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজকে পরাজিত করে।

বিস্তারিত»

টুকরো স্মৃতি: অস্তিত্বের স্বীকৃতি


দুই বছর আগে যখন প্রথম এই কার্ডিফ শহরে এসেছিলাম, খুব মুগ্ধ হয়েছিলাম এই শহরের ল্যান্ডস্কেপ দেখে। পুরো ইংল্যান্ডে অনেক বাঙালি থাকলেও, কার্ডিফে বাঙালি খুবই কম। তখন কারো সাথে পরিচয় হলেই জিজ্ঞাসা করত, ‘হোয়্যার ইউ ফ্রম, আর ইউ ফ্রম ইন্ডিয়া?’ কেন জানি খুব গায়ে লাগতো আমার ইন্ডিয়ান পরিচয়টা, সবারই মনে হয় লাগে প্রথম প্রথম। জোর গলায় বলতাম, ‘নো, আই এম ফ্রম বাংলাদেশ’। নিশ্চিতভাবেই পরের প্রশ্ন,

বিস্তারিত»

আবোল তাবোল……..

মোটামুটি বছর খানেক হয়ে গেছে সিসিবি তে আসি। চুপচাপ ব্লগ পড়ি, চলে যাই। অনেক দিন চেষ্টা করছি কিছু একটা লিখার। কিন্তু কিছুই মাথায় আসেনা।

আজকে ঠিক করলাম যা খুশি লিখমু। কেউ তো আর গালি দিব না। চিন্তা কিসের??

কলেজ থেকে বের হলাম আজ প্রায় চার বছর। এখন আই.ইউ.টি তে ফাইনাল ইয়ার। আমাদের কলেজ এর ১৩ জন আছি আমরা এখানে। তাই আসলে এখন ও কলেজ এর মত ই লাগে।

বিস্তারিত»

জাপান প্রবাসে ভূমিকম্প

১১ মার্চ ২০১১, শুক্রবার। লাঞ্চ আওয়ারে হাতে সময় ছিল তাই জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম মসজিদে। ওতসুকা মসজিদটি আমার কর্মস্থল থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে, তবে আমাদের বৈশাখী মেলা যেখানে হয় সেই ইকেবুকুরো থেকে কাছে। মসজিদে কয়েকজন প্রবাসী বাঙ্গালী ভাইয়ের সাথে দেখা হলো। নামাজ শেষে বৈশাখী মেলার সহযোগী মোঃ জসীম উদ্দীন আর আমি এলাম ইকেবুকুরোতে। এক সাথে লাঞ্চ শেষ করে জসীম রওনা হয়েছে মেট্রো স্টেশনে আর আমি বাসে ওঠার জন্য যাচ্ছি।

বিস্তারিত»