স্বপ্ন বনাম বাস্তবতা ৩


সেপারেশন এংজাইটি বলে একটা কথা আছে যার সহজীকরণ বাংলা দাড়ায় ছেড়ে যাবার ভয়। পাঁচ ছয় মাসের বাচ্চারা যখন বুঝতে পারে তার মা আর সে আসলে ভিন্ন সত্তা তখন মা তার থেকে দূরে সরে গেলে সে ভীত হয়ে পড়ে। অথচ সেই বাচ্চাই একসময় মায়ের কোল ছেড়ে প্রেয়সীর হাত ধরার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ে। বয়োসন্ধির আগ-পিছু হঠাত সে আবিষ্কার করে তার ‘আমিময়’ সত্ত্বাকে। সে আসলে পৃথিবীতে একা।

বিস্তারিত»

বিদেশে (ইউরোপে) বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা

বেশ কিছুদিন পরে সিসিবি’তে আসলাম। অনেকগুলো নতুন লেখা চোখে পড়ল। নতুন কিছু ব্লগারও (নতুন বলতে আমি শুধু রমিত ভাইকে বুঝিয়েছি)। মাঝে কিছুদিন ব্যক্তিগত+পারিবারিক শোক সামলাতে চলে গেলো। নিজের কিছু পড়াশোনা জমে আছে। তারপরেও এই লেখাটা লিখতে বসলাম নেটে হঠাৎ করেই একটা লিঙ্ক চোখে পড়ায়।

সকালে ঘুম থেকে উঠে মেইল চেক করতে গিয়ে একেবারে অকস্মাৎ চোখ আটকে গেলো একটা লিঙ্কে- ইউরোপে ইসারমাস বৃত্তির বিষয়ে।

বিস্তারিত»

৪০ বছরের অভিজ্ঞতা

[সবাইকে অনুরোধ – এই লেখাটাকে কেউ যেন খুব একটা সিরিয়াস লেখা মনে করে নিও না। পৃথিবীতে দুই জন মানুষের অভিজ্ঞতা খুব কম সময় একই হয়। ফলে সবার নিজের নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হবে। আমাকে যেন কেউ আবার কখনও দায়ী করে ক্ষতিপূরণের মামলা ঠুকে দিও না।]

৪০ বছর আগে আজকের এই দিনে (৮ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৭১) মমতাজকে বিয়ে করেছিলাম আমি। এতগুলি বছর পার হয়ে গেছে –

বিস্তারিত»

আ মরি বাংলা ভাষা

বেশ কিছুদিন ধরে দাঁতের ব্যথায় ভুগছি। এদেশে ডাক্তারের এপয়েনমেন্ট পেতে রীতিমত গলদঘর্ম হতে হয় আর সেখানে যদি হয় আমার মতো মেডিক্যাল ইন্সুরেন্সহীন হতভাগি তাহলে তো আর কথায় নেই। বহু চেষ্টা তদবির এর পর অবশেষে একজন ডেন্টিষ্ট এর এপয়নমেন্ট পাওয়া গেলো। কিন্তু সমস্যা বাঁধলো ডাক্তারকে নিয়ে। ডাক্তার বাবাজি সাক্ষাৎ আমেরিকান। তিনি বিভিন্ন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর আমার সমস্যাটি তাকে খুলে বলতে বললেন।

বিস্তারিত»

স্বপ্ন…২

লিখব লিখব করেও লেখা হচ্ছে না।ক্যাডেট কলেজ ব্লগে প্রথম লেখা টা লিখি এক বছর আগে…(আসলে লাস্ট ইয়ার নভেম্বরে…তাই বললাম যে এক বছর পার হয়ে গেছে… O:-) ) তারপর বেশ কিছু পাঠকের সাড়া পেয়েছি, কেউ চেনা কেউ অচেনা, ভাল লেগেছে সবার কমেন্টস গুলো। ইচ্ছা ছিল তারপর আর লেখার, কিন্তু লেখা হইনাই। ব্যস্ততা তো ছিলই, আর আলসেমি টা ছিল প্রধান।টাইপ করে লেখা আসলেই আনেক কষ্টের।

মানুষ সব সময় স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করে,

বিস্তারিত»

চেলসি vs লিভারপুল

(এটা কোন প্রিভিউ না, কিছু তথ্যাবলি)

ম্যাচঃ চেলসি vs লিভারপুল
ভেন্যুঃ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ।
সময়ঃ রাত ১০ টা (বাংলাদেশ সময়)

চেলসি আর লিভারপুলের ম্যাচ সব সময়ই মৌসুমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফিক্সচার। তবে আজকের ম্যাচটা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত চেলসি লিভারপুল ম্যাচ। কারন একটাই, জনৈক ফার্নান্ডো টরেস। ট্রান্সফার উইন্ডোর শেষ দিনে ব্রিটিশ রেকর্ড গড়ে এ সময়ের লিভারপুলের হিরো চেলসিতে নাম লেখানোর পর থেকেই লিভারপুল ফ্যানেরা বেশ তেতে আছে,

বিস্তারিত»

অপত্য

নার্স এসে যখন কাপড়ের পুঁটলিতে মোড়ানো ছেলেটাকে দিয়ে গেল তাসলিমের কোলে, ওর বিশ্বাসই হচ্ছিল না বাবা হয়ে গেছে সে এখন। কাপড় সরিয়ে ছেলের মুখের দিকে তাকাল তাসলিম, ঘুমন্ত ছোট একটা মুখ। পাশ থেকে মা বললেন, একদম তোর মতো হয়েছে। তাসলিম অবশ্য কোন মিল খুঁজে পেল না। আনমনে ছেলের মুখ থেকে চোখ না সরিয়েই বলল, হুঁ।

এরপরের কয়টা দিন যে কিভাবে কেটে গেল বুঝতেই পারেনি তাসলিম।

বিস্তারিত»

০৪ঠা ফেব্রুয়ারী ২০১১,স্বপ্ন না কি সত্যি????

সেই সেপ্টেম্বর ২০১০ থেকে দেশে আসি আসি করে আর আসা হয়ে উঠছিল না। আইভরি কোস্টের ঘাড়-তেড়া প্রেসিডেন্টের তেড়ামির বলির পাঠা হয়েছিলাম আমরা। যাই হোক দেশে ফিরলাম সেজন্য নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছিল। তবে এয়ারপোর্ট রোড ধরে যখন এগুচ্ছিলাম তখন ভাগ্যটাকে ততটা সুপ্রসন্ন মনে হচ্ছিল না। তবে দেশে ফেরার আনন্দে সেটাকেও কেন জানি উপভোগ্য মনে হচ্ছিল। গত ১লা ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরলাম। বহুল প্রত্যাশিত এই ঘরে ফেরাটা আরও এক নতুন মাত্রা পেল ৪ তারিখে এসে।

বিস্তারিত»

নোটিশ

প্রিয় এলাকাবাসী,
আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে,আমার আরও কিছু ( ৭ খানা ) পেইন্টিং একটি গ্রুপ এক্সিবিশনে যাইতেছে । আরও আনন্দের বিষয় হইলো ঐ একই এক্সিবিশনে আরও ৩ পিস এক্স ক্যাডেটের ছবি যাইতেছে । এখন আপনারাই বলেন , আমার গত এক্সিবিশনে যারা যামু যামু কইরাও যান নাই , আমার জন্য না গেলেও ৪ জন এক্স ক্যাডেটের এক্সিবিশন হিসেবে ঐখানে ১বার ঢুঁ মারাটা আপনার কর্তব্য হইয়া যায় কীনা?

বিস্তারিত»

স্মৃতির শোকেস

২য় বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষার সময় আমার পাশে একটা সিট সবসময় খালি থাকতো। পরীক্ষার্থীর নাম ছিল নীলিমা আচার্য।

মনে পড়ল সেই পরীক্ষারই মাত্র দু’বছর আগে প্রথম যখন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্লাসে ঢুকছিলাম তখন খুব হতাশ হয়েছিলাম, কারণ ক্লাসে ঢুকেই দেখি মাত্র ৪ জন মেয়ে। চামড়ার রঙ দেখে মনে হলো এর মাঝে দু’জন ইউরোপীয়,একজন আফ্রিকান আর একজন আমাদের উপমহাদেশের। স্বল্পবসনা দুই ইউরোপীয় ললনার মাঝে একটা সীট ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও গিয়ে বসলাম পিছনে।

বিস্তারিত»

কাঁড়া আর আকাঁড়া

ছেলেবেলা ম্যাজিকের মতো ছিল। কতোকিছু জানতাম না। কতোকিছুর কার্যকারণ আর কলকব্জা বুঝতাম না। তাই অজানা ব্যাপারগুলোকে ভেলকিবাজি মনে হতো। স্কুল ছুটি হলে এক আইসক্রিমের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতো, দু’টাকা দিলেই কমলা কমলা পলিথিনে মোড়ানো। একপাশের পলিথিন দাঁতে টেনে ছিঁড়ে ফেলতাম, তারপরে মুখের মধ্যে গলে গলে যেতো কমলার স্বাদ। ঠোঁট আর জিব একদম টকটকে কমলা হয়ে উঠতো। সেই আইসক্রিম বানানোর বিদ্যা অজানা ছিলো, খুব আশ্চর্য হতাম, রোজ এতো এতো আইসক্রিম কোথায় বানায়?

বিস্তারিত»

যৌবন বৃষ্টি চাই

|| যৌবন বৃষ্টি চাই ||

বাঁশি আর বাজবে না কোন গভীর নিশুতি রাতে,
বাতাসের ছম ছম নিশ্চুপ প্রবাহ আর জলের ক্ষয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন সুর অবশিষ্ট রইবে না আর।

ভালোলাগার যৌবন ফিরবে নাকো কোন রোদ্দুর মাখা ভোরে।
সব সুর, উচ্ছ্বাস রক্তে যৌবনের উন্মাদনা নিয়ে তোলপাড় করবে না কভু।

সম্পদের টিলা, শুভ্র বিছানা নির্জন অন্ধকারে পরিহাস করে যাবে মামদো ভূতের ন্যায়,

বিস্তারিত»

ফটোব্লগঃ জাস্ট সেলোগ্রাফী-১৬, পদ্মা রিসোর্টে আমরা কয়েকজন

ব্লগার দের জন্য আবারো আমি সেলোগ্রাফী নিয়ে হাজির। যার যে স্বভাব।
আমরা কতিপয় কিছুদিন আগে ঘুরে আসলাম পদ্মা রিসোর্ট থেকে। কঠিন শীত যখন ছিলো।
সেই দিনের কিছু ছবি।
যাত্রা হলো শুরু

হাসি খুশি

আমেরিকা ফেরত কিবরিয়া আর পরাগ গল্প শুনায়

এ দোস্তি......

মাফিয়া ইমরান

পদ্মার পাড়ে

আবারো সবাই

নৌকায় করে পদ্মা রিসোর্ট এর পথে

আরমান এর পোজ

রিসোর্ট এর প্রবেশ পথে

আমাদের সিসিবি এর আদনান এর ভাবস

খাবার খাবার ক্ষুধা ক্ষুধা

ঘোরাঘুরি

পদ্মার চরে

আহা কি দোস্তি সাদিকুর আর আদনান এর

কেউ কি দেখে ফেললো?(একমাত্র ব্যাচেলর জোড়া)

জোড়ায় জোড়ায় নৌ ভ্রমনের পথে

ধুর, আমেরিকায় এরকম নৌকা নাই কেন

আমরা সব নৌকায়

পদ্মার ঢেউ রে......

আমরা কজন নবীন মাঝি

আম পাতা জোড়া জোড়া...

ভাবী সমগ্র

বজরা নৌকা মনে হয়

যাত্রা হলো সারা

আসার পথে আবারো কিবরিয়ার আলোচনা

বিস্তারিত»

এলোমেলো কথামালা-২

এলোমেলো কথামালা-১

১। এই সিরিজটি শুরু করার সময়ে ভেবেছিলাম…পরের কয়েকটি পর্ব জুড়েই শুধু বদরুল ভাইয়ের (নামঃ বদরুল আলম, ক্যাডেট নং-৩৯৯, বদর হাউস, ৮ম ইনটেক, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ, কলেজে অবস্থানকালীন সময়ঃ ১৯৭১-৭৭) কথা লিখবো। কিভাবে তিনি তুরস্কে আসলেন…কিভাবে ভাবী-র সাথে তাঁর পরিচয়…বিবাহ…সন্তানদের গল্প…ইত্যাদি …ইত্যাদি।

২। পরের দিকে লিখতে চেয়েছিলাম…কিভাবে তিনি তুরস্কের মার্সিন শহরে একজন অনাহুত আগন্তক থেকে সেখানে একজন ব্যবসায়ী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন…কিভাবে তিনি বাংলাদেশের একজন ব্যবসায়ী-র পাল্লায় পড়ে ২/৩ লাখ মার্কিন ডলার লস খেয়েছিলেন……আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুন করে ব্যবসা শুরু করেছিলেন…।

বিস্তারিত»

ফুটবল ব্লগ

অনেক দিন পর লিখতে হচ্ছে। কারণ টরেস। আজকাল ক্লাব ফুটবল নিয়ে লেখালেখি করতে ইচ্ছে করেনা। কারণ লিভারপুল। চরম ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। তাই আগের মত প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ২০০ মিনিট ফুটবল দেখা হয় না। কিন্তু দেখি। ব্যবসা, খন্ডকালীন চাকরী, ঢাকা – কুমিল্লা মহাসড়কের জ্যাম, গোলাপজানের প্যানপ্যানানী, আর প্রতিনিয়তই বড় হয়ে উঠা টরেস মিয়াঁর দুষ্টুমিতে খেলা দেখার সময়ই কমে গেছে আর লেখালেখি তো অনেক দূরের ব্যাপার।

আমি প্যাচাল লিখবো…

বিস্তারিত»