দিন শেষের আলো

অবশেষে ফিরে এলাম।
গত চার মাস ধরে সিলেট শহর থেকে দূরে বটেশ্বরের কোলে আছি।
জানে পানি নাই, সব রস শুকায় গেছে,…………।
(অবশ্য এইটা বোধহয় আমার জন্য প্রযোজ্য নয়, রস না থাকলে কি আর ব্লগ লিখতে বসি?)
যা হোক, কোর্স শেষ। এখন ঘরের ছেলে ভালয় ভালয় ঘরে(অথবা ইউনিটে) ফিরলেই বাঁচি।

এখানে একটা ডিস্ক্লেইমার দিয়ে রাখি, এই লেখাটা পুরোটাই একটা মনোলোগ,

বিস্তারিত»

অটোয়ার জার্নাল – চার

হারিয়ে যাবার নিয়ম নেই এখানে
আমি বুঝতে চাই এই অনুভূতিগুলো আমার মতো অন্যদের হয় কিনা। আমরা যখন সাংঘাতিক ভঙ্গুর অবস্থায় থাকি। ওলটপালট জীবনকে একদম নতুন করে সাজাতে চেষ্টা করি। কিংবা বার বার পিছলে যাই শূন্য থেকে পূর্ণ হবার চেষ্টায়, তখন হয়তো একবারে ছন্নছাড়া অবস্থা থেকেই শুরু করি। ব্যাপারটা কখনোই এমন হয় না যে হঠাৎ একদিন তুমি একখণ্ড লাল ইট দিয়ে নতুন ঘর বাধার মতো করে তোমার জীবন নতুন করে শুরু করলে।

বিস্তারিত»

বিকেলে-২


ফেনিল মেঘনীলে
ঝাঁপিয়ে
হারিয়ে
গেছিলি মেয়ে,
মনে পড়ে?

আজ এত বিকেল পরে
আকাশের কিনারায়
এই উঁচুতে চড়ে
ঘাড় কাত করে
ঠায় ব’সে আছি,
তোর পালকের
রঙিন ইশারা
যদি চোখে পড়ে
_____________________________________________________________
রুম্মানের আঁকা ছবি নিয়ে ফের কিছু লেখার চেষ্টা চালালাম।
নিজের অজান্তেই দেখছি ‘বিকেলে’ সিরিজ করে ফেলছি এই যৌথপ্রয়াসকে।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজ ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

ক্যাডেট কলেজ ব্লগে এটা আমার প্রথম লেখা। আমি লেখালেখিতে তেমন অভ্যস্ত নই। তবুও লেখালেখি নিয়ে আমার আগ্রহ অনেক। যাই হোক, প্রথম লেখাটা অনেকটা জার্নাল ফরম্যাট এ লেখা। যদিও এতে কোন ধরণের রেফারেন্স ব্যবহার করিনি। সাধু-চলিত ও বাংলা-ইংরেজির (বাংলাতেই) যথেচ্ছা ব্যবহার, পড়া পর্বে পাঠকের উষ্মা প্রকাশের কারণ হতে পারে। আশা করি, পাঠক আমার লেখাটি সাদরে গ্রহণ করবেন।

সাইফুল
ফকক/ফহা/১৯৪৮/১৯৯২-১৯৯৮(৩৯-তম ব্যাচ)

লেখার উদ্দেশ্য: ২০১১ এর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল কিছুদিন আগে বের হয়েছে।

বিস্তারিত»

সাম্প্রতিক এবং ছেঁড়া কথন ০৪; আপাতত শেষ

এক ছোটভাই মুঘলদের কিছু ঘটনাকে মিথ আখ্যা দিলো।
সমস্যা?
কোনও সমস্যা নাই।
তারপরও মনে হলো আরও খানদুয়েক অ্যাড করি।

আকবর যে দিল্লিশ্বর বা বিরাট মাপের বাদশাহ ছিলেন এটা অনেকেই জানেন।
আরও জানেন যে আকবর নতুন এক ধর্মের প্রবর্তন করেছিলেন, দ্বীন-ই-ইলাহি। অনেকটা আজকের শিখ ধর্মের মতন; সকল ধর্মের জগাখিচুড়ি।
তবে এও শোনা যায়, মৃত্যুর পূর্বে তার নবরত্নদের একজন; খুব সম্ভবত আবুল ফজলের কাছে মুসলমান হয়েছিলেন।

বিস্তারিত»

অহেতুক যা কিছু


ক্লান্ত সন্ধ্যাবেলা ঘরে ফিরে শার্ট খুলে দেখি
পিঠে বড়ো বড়ো করে “বেকুব” লেখা

সারাদিন ঠারে ঠুরে চাপা হাসি আর হাহাহিহি
পিঠে ও মুখে আছড়ে পড়েছে নির্বিকার
শার্ট খুলতেই দু’কাঁধ ভেঙে এলো অশ্রু
ঘামে ভিজে পিঠের ওপর লেখাগুলো অক্ষয়
খুব চাপা স্বরে জ্বলজ্বল করছে!


প্রতিদিন একটু একটু করে ময়লা হই
ভিতরে ও বাইরে ময়লা জমে যায়
অবলীলায় অনায়াসে,

বিস্তারিত»

দুটি বই

বই পড়ার নেশা আমাকে পেয়েছিল বেশ ছোটবেলা থেকেই, কলেজে থাকা অবস্থায় সেটা পূর্ণ মাত্রা পায়, এমনকি বিএমএতে থাকতেও সেটা বিজায় ছিল (বিশেষ করে শেষের এক বছর)। কিন্তু ‘চাকুরী’ পুরোপুরি শুরু করার পর থেকেই বই পড়া প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছে। মাঝে মাঝে সুযোগ পেয়ে কিছু পড়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ পড়া সীমাবদ্ধ ছিল ছিল শুধুমাত্র গল্পের বইয়ের মধ্যেই, নিছক বিনোদনের উদ্দেশ্যে।

মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আবেগ,

বিস্তারিত»

চিলে কান নিয়ে গেল: আমি জ্ঞানপাপীর দলে

ফেসবুকের এক্স ক্যাডেটস ফোরামে হঠাৎ করেই প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য/ গালি-গালাজের বন্যা বয়ে গেল। প্রথম আলোর সাংবাদিক/ যে কোনো সাংবাদিকদের নিয়ে তীর্যক/ শ্লেষাত্মক মন্তব্য পড়তে পড়তে ভাবলাম, এই পেশায় এসে কি ভুল করে ফেলেছি! তার উপর আবার দীর্ঘদিন প্রথম আলোতেই ছিলাম। এখনো প্রথম আলোতে বেশ কয়েকজন ক্যাডেট বেশ দায়িত্বশীল পদে কাজ করছে। এদের সবার নজর এড়িয়ে কি করে এমন ক্যাডেটবিরোধী একটা প্রতিবেদন ছাপা হলো!

বিস্তারিত»

ধরা খাবার কবিতা

সারমর্মঃ একদিন প্রেপে আমি সক্স পরিনি। আর আসাদের শু এক্সকিউজ। ধরা পড়ে গেলাম।

মূল কবিতাঃ

একদা ছিল না মোজা চরণ যুগলে

মন পোড়ে দেহ পোড়ে সেই ক্ষোভানলে।

ফর্ম মাঝে ঢুকি আমি, বিরস বদনে,

পড়াশোনা গেছে জলে, শান্তি নাই মনে।

হঠাৎ দেখি, আসাদ! হায় তার পদ,

জুতাহীন পদদ্বয় কেমন অসদ।

আসাদের খোঁড়া পা দেখে বারবার

অমনি মোজার ক্ষোভ ঘুচিল আমার।

বিস্তারিত»

জ্ঞান পাপীদের কে বলছি…!!

মাধ্যমিক পরিক্ষার ফল প্রকাশিত হল। ছোট ভাইটা ছিল এবারের পরীক্ষার্থী। যাই হোক,কোন ভাবে উতরে গেছে তিন বিষয়য়ে এ প্লাস মিস করে। গোল্ডেন/ সিলভার বিষয়ক মাথা ব্যাথা আমার কোন কালেই ছিল না। স্বভাবতই খুবই খুশি ছিলাম ওর ফলাফলে। অল্প বিস্তর চিন্তিতও ছিলাম,গিফট ব্যাপার টা নিয়ে। বদটার আবার আকাশ ছোঁয়া আবদার।।

গত কাল খুব ভোর বেলা বদটার ফোনে ঘুম ভাঙল।”ভাইয়া আজকের প্রথম আলোটা এক বার খুলে দেখিস,

বিস্তারিত»

অস্পষ্ট, ধোঁয়াশা, কিংবা স্পষ্ট কথা

আমরা অনেকেই মুক্তবুদ্ধির বা মুক্তবুদ্ধি চর্চার কথা বলি। বাস্তবে তা হয়তো হয়ে ওঠে না।
আমার এক ছোট ভাই একবার প্লান করেছিল তার অফিসের রুমের পাশে নামাজের একটা রুম রাখবে; নামাজের সময় হলে ড্রয়ার খুলে টুপি পড়ে সামনে যে থাকবে তাকে নামাজের দাওয়াত দিয়ে নিজে ঐ রুমে নামাজ পড়তে যাবে। এবং সে স্বীকার করেছে যে পুরাটাই ভাওতাবাজি; কারণ সে নামাজই পড়তে জানেনা।

প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই যারা এই ব্লগটা যারা তৈরি করলো বা যারা সম্পাদনা কমিটিতে আছে।

বিস্তারিত»

স্মরণীয় পরীক্ষা

২০০৪ সাল।

আমি তখন ক্লাস এইটে। প্রথম সাময়িক পরীক্ষা চলছে।

ক দিন পর জুনিয়র আসবে তাই তখন তাদের cupboard করা নিয়ে আমরা খুব বিজি। এছাড়াও, রুম চেঞ্জ হয়েছে, নিজের cupboard ও ঠিক করতে হবে।

তো এইসব কাগজ কাটাকাটি ও লাগানোতে আমি একেবারেই আনাড়ি। ফলশ্রুতিতে আমার তৈরি করা cupboard ও হল যাচ্ছেতাই।

আমার Dorm Leader রেজওয়ান ভাই একদিন inspection করে দেখলেন এ অবস্থা।

বিস্তারিত»

শুভ জন্মদিন, ‘৮৯ ইনটেক

২২ বছর আগের এই রাতে, সারা রাত বৃষ্টি ছিল। ঢাকা থেকে সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে যাওয়া বিআরটিসি’র লাল রঙের বাসে চড়ে, ভোর ৫ টায় রাজশাহীর সাহেব বাজার। জীবনে প্রথমবারের মতো রাজশাহী আসা। অজানা এক আশংকা, কিংবা উৎকণ্ঠায় নির্ঘুম সারা রাত। সাহেব বাজারের এক হোটেলে উঠে, ফজরের নামাজ শেষে ক্লান্তির ঘুম।

লোকাল বাসে করে বানেশ্বর হয়ে সারদা যেতে যেতে প্রায় বিকাল ৫টা। প্রথমবারের মতো এতো কাছ থেকে পদ্মা নদী দেখা।

বিস্তারিত»

আঁতলামি আপডেট

– স্যার, আগামী এক সপ্তাহ পড়বো না।
– ক্যানো ? কোথাও ঘুরতে যাচ্ছ নাকি ?
– না স্যার, এই সপ্তাহে আমার এস.এস.সি পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে
– ও, আচ্ছা।

মূহুর্তেই মনে পড়ে গেলো সেই ২০০৪ এর কথা, যখন ঠিক একই রকম চিন্তা আর উত্তেজনা নিয়ে আমি অপেক্ষা করছিলাম আমার এস.এস.সি পরীক্ষার রেজাল্ট এর জন্যে। এখনো মনে পড়ে ক্যাডেট কলেজের ফোন নাম্বারটা ব্যস্ত থাকায় আমার বাবার চিন্তামগ্ন মুখের কথা।

বিস্তারিত»

আরেকবার, আর একটি বার…।।

নতুন বাসা টা শহরতলীর বাইরে। ফাঁকা ফাঁকা চার দিক। পেছনে জংলা মত একটা জায়গা।আর জংলামুখী আমার বারান্দা।ক্লাস থেকে ফিরেই অধিকাংশ সময় এই বারান্দায় চলে যাই।বিষণ্ণ বিকেল গুলো এখানেই কাঁটে।বাংলাদেশ সময় এখন মনে হয় রাত ১২ টা। এখানে ৮ টা।। সন্ধ্যা হতে এখনও ঢের দেরি। সামারে এখন সূর্য ডুবছে ১০ টায়। এই সময়টায় কেন জানি আশ্চর্য নিরব হয়ে যায় চার দিক। মাঝে মাঝে দম বন্ধ লাগে।।

বিস্তারিত»