(প্রারম্ভিকাঃ ক্যাডেট কলেজ ব্লগ এর নীরব পাঠক প্রায় এর জন্মলগ্ন থেকেই। কিন্তু কখনও মাঠে নামার সাহস অর্জন করতে পারিনি। কলেজে যাদের বাংলা লেখার প্রশংসা শুনতে শুনতে বড় হয়েছি, তাদেরকে এই ব্লগে লিখতে দেখে নিজেকে পাঠক হিসেবেই শ্রেয় ভাবতাম, কিন্তু যখন দেখলাম, দুলাভাই এর প্রশয়ে আমার নন-ক্যাডেট বোনও পুরোদস্তুর লেখক, তখন আর আত্মসংবরণ করতে পারলাম না। কলেজের শেষের দিকের লেখা কিছু বাক্যসম্ভার দিয়েই যাত্রা শুরু করলাম।
বিস্তারিত»আমাদের অস্তিত্ব – শেষ পর্ব
আমাদের অস্তিত্ব – ১
আমাদের অস্তিত্ব – ২
প্রথম পর্বে বলেছিলাম “ব্রেইন ইন আ ভ্যাট” তত্ত্বের কথা। আর দ্বিতীয় পর্ব ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ এবং এর বিষয়ে দার্শনিকদের উঠানো “মন” সংক্রান্ত প্রশ্ন নিয়ে। এই শেষ পর্বে এসে এই দুটিকে মিলিয়ে আমাদের সামনে কি দাঁড়ায় তা দেখা যাক।
ধরা যাক, আগের পর্বের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর অনুভূতির সমন্বয়ে রোবট তৈরি করা হয়েছে।
বিস্তারিত»ধূলোমাখা শহর, ধূলোমাখা স্মৃতি – ০৭
এবার লিখবো এক নীলনয়নাকে নিয়ে। নাম তার র্যাভিন, নীলনয়না র্যাভিন, উপরের ঠোঁটের বামপাশে একটা ছোট্ট তিল, আর তাই জায়গাটা একটু উঁচু, দেখে মনে হবেই হবে, আদর পাবার জন্যই ফুলে আছে সেটা।
সেবার ওয়েস্টার্ন তখন তুমুল জনপ্রিয়। গোগ্রাসে পড়ি, তবুও একটা অতৃপ্তি থাকে সেখানে, “সেইরকম” কোন কিছুর বর্ননা নেই-যে। আর আমাদের চাহিদা বুঝেই কিনা, সেবার মত করে আরও কিছু প্রকাশনী পেপারব্যাক বের করা শুরু করল অতঃপর,
বিস্তারিত»যাত্রা হলো শুরুঃ লিটিল বাংলাদেশ
গতকাল ১৫ই জানুয়ারী, ২০১১ বিকেলটা আমেরিকায় একটা খুব ছোট্ট কিন্তু আমেরিকার বাংলাদেশী কম্যুনিটির ইতিহাসের এযাবৎকালের সবথেকে বড় ঘটনাটা ঘটে গেলঃ আমেরিকার বুকে সর্বপ্রথম একটা এলাকা বাংলাদেশের সাথে মিলিয়ে ‘লিটিল বাংলাদেশ’ হিসেবে অফিসিয়ালী অভিষিক্ত হলো। এলাকাটা আয়তনে খুবই ছোট। লস এঞ্জেলস শহরে কোরিয়া টাউন নামে পরিচিত এলাকার একপাশে ভার্মন্ট এভিনিউ আর নর্মান্ডি এভিনিউ এর মধ্যবর্তী ৩নং সড়কের দুইধার। সিটি মেয়র এবং বাংলাদেশ দুতাবাসের কর্মকর্তা মিলে সাইনবোর্ড টানিয়ে এলাকা চিহ্নিত করে দিলেন।
বিস্তারিত»খিচুড়ি-৩
ক।
বেশ কিছুদিন পরে আজ সন্ধ্যায় ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিলাম। তেমন কিছু না, প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে সাকিব তামিমকে নিয়ে গড়া কোটি টাকার মোহামেডানকে করুন ভাবে (মাত্র ১০ উইকেটে) হারিয়েছে আবাহনী, সে উপলক্ষে একটু আনন্দ প্রকাশ আর সাথে হাল্কা একটু নুন ছিটানো। রিবিন ভাই এটা নিয়ে পোস্ট দেয়ার কথা বলার পর থেকেই মোহামেডান সমর্থকদের কাঁটা ঘায়ে আরেকটু লবন ছিটাতে একটা ব্লগ নামানোর চিন্তা মাথায় ঘুরছিল,
“ইউনূসের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে”
এক. দেশের অবস্থা কেমন
বেশ কিছুদিন আগে শান্তা ফোন করেছিল। অনেকক্ষণ কথা হলো। আলাপের এক পর্যায়ে শান্তা জানতে চাইলো দেশের অবস্থা কি? বললো, যারা দেশ ঘুরে যায় প্রায় সবাই খারাপ বলে। দেশের অবস্থা নিয়ে শান্তাকে সেদিন অনেক কথাই বলেছিলাম। প্রবাসীরা যখন দেশের পত্রিকা পড়ে, তারা রীতিমতো ঘাবড়ে যায়। খুন, ধর্ষন, লুটপাট, দুর্নীতি, আওয়ামী লীগ-বিএনপির রেষারেষির সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে নারীর ওপর যৌন নির্যাতন। প্রতিদিন গণমাধ্যমে নির্যাতন,
অতীত আর বর্তমানের আমি
আমার একটা বাজে স্বভাব আছে। হুটহাট আমি কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাই। ক্লাসে স্যার লেকচার দিচ্ছে কিন্তু আমি অন্য রাজ্যে। এরকম আরো অনেক সময়। এটা বোধ হয় ছোটবেলা থেকেই আমি ৮-১০ ঘন্টার জার্নি করতাম তার ফসল। এখনো ঢাকা শহরে প্রতিদিন ভালই জার্নি হয়। এই কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাবার একটা বড় সুবিধা আছে। যে কোনো সময় যে কোনো গান শোনা যায়, যার সাথে ইচ্ছা কথা বলা যায়,
বিস্তারিত»……আরও কিছু সিসিসি ডায়লগ
……ক্যাডেট কলেজের ৬ বছরে প্রত্যেক ক্যাডেট কতই না আজব আজব ডায়লগ এর সন্ধান পায়। আর এই নিয়ে লেখাও হয়ে গেছে প্রচুর। আরও কিছু ডায়লগ মনে পড়ল, ভাবলাম শেয়ার করি।
১. এস এস সি র লম্বা ভ্যাকেশন কাটিয়ে ক্লাস ইলেভেনে ব্যাক করলাম ১৯ইনটেক। ডিসিপ্লিনের অবস্থা তখন যা হয়। তাই এ্যাড্জুটেন্ট স্যার ক্লাসের সবাইকে ডাকলেন অডিটরিয়ামে। আমাদের জিজ্ঞাসা করলেন আমাদের সমস্যা কোথায়। আমরা সবাই চুপ-চাপ জন্য স্যার নিজেই বলে উঠলেন,
বিস্তারিত»এ ঋন শোধাবো কেমনে????
বেশ কিছুদিন আগে ইংলিশ ১টা মুভি দেখেছিলাম। ছবিটার পুরা ঘটনাও আমার মনে নেই কিন্তু ১টা ডায়লগ মনে পড়ে নায়ক (তার প্রিয়তমাকে উদ্দেশ্য করে বলা)- I dont wanna change even a single hair of yours. I love u I love u I love u. Would I ever gonna love u less?
ছোটোবেলা থেকে শুনেছি জন্মভূমি হলো মায়ের মতো, তাহলে আমি বলব আমার কলেজ (ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ) হলো সেই মায়ের বুক।
বিস্তারিত»পশ্চিম পর্ব (ক্যানিয়ন পর্ব)
ক্রিসমাসের লম্বা ছুটিটা শেষ করে আবার ক্লাস, কিছুই ভাল্লাগছিলোনা। আসলে আমরা সবাই তখন অধীর হয়ে আরিজোনা ট্যুরের দিন গুনছিলাম। ইন্টেলিজেন্স কোর্সে এসে ইন্টেলিজেন্ট হই বা না হই মুফতে ঘোরাফেরাটা বেশ ভালই হচ্ছিল। এমনিতে পশ্চিম নিয়ে আমার ফ্যান্টাসীর অন্ত নেই তার উপর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, ফ্লাগ স্টাফ, সেডোনা আর হারিয়ে যাওয়া নাবাহো, হোহোকাম সভ্যতার হাতছানি আমার অপেক্ষাটাকে অধীর হতে অধীরতর করে তুলছিলো। দেখতে দেখতে ব্যাগ গোছানোর দিন চলে এলো।
বিস্তারিত»আমাদের অস্তিত্ব -২
এর আগের পর্বে লিখেছিলাম “ব্রেইন ইন আ ভ্যাট” এর সাথে আমার পরিচয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পড়ার সময়। তো ঐ তত্ত্বের সাথে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সম্পর্কও জানানো প্রয়োজন। তার আগে বলে নিই, আমাদের চারপাশের টেকনোলজি কিন্তু দারুণ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আর গবেষণা প্রতিষ্ঠানে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা চলছে। অন্যদিকে এগুচ্ছে মানুষের চেহারার ভাব-ভঙ্গি বা আচরণ নকল করতে পারা যন্ত্র তৈরির কাজ।
বিস্তারিত»খেরোখাতা – কোথায় আছো, কেমন আছো, মা?
মেয়েরা কি মায়ের মত ভালোবাসা দিতে পারে?
আমায় প্রশ্ন করলে ছোট্ট করে উত্তর দিবঃ না, পারে না।
স্নেহ অধঃগামী, আমার মা আমাকে তাঁর বাবার চেয়ে বেশী ভালোবাসতেন, আমি আমার মেয়েকে বেশি ভালোবাসি আমার মায়ের চেয়ে, আর আমার মেয়ে, তার সন্তানকে বেশী ভালোবাসবে, যতটুকু ভালোবাসবে তাঁর এই বাবাকে।
এটাই বাস্তব, মন মানুক আর নাই মানুক। এইই হবে।
মায়ের সংগে আমার কখনই আদর-সোহাগ ভরা কথা হয়নি।
বিস্তারিত»অশনি সংকেত
আমি একদিন উপলব্ধি করলাম, আমি এমন একটি দেশের নাগরিক যে দেশে প্রতিনিয়ত কোন না কোন সংকট লেগেই থাকে। সেটি হোক প্রাকৃতিক বা নাগরিক সৃষ্ট, প্রতিবেশী সৃষ্ট কিংবা বিশ্বের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাদের বানানো – ঘটনা যাই হোক না কেন, আমরা বার বার সংকটে ঘুরপাক খাই। একেবারে ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’ বলা যায়। হয়তো সব দেশই সংকটে ঘুরপাক খায়। অনেক দেশ আছে আমাদের চেয়ে আরো অনেক বেশি সংকটময়। কিন্তু বাংলাদেশটা যে আমার দেশ তাই আমার গায়ে লাগে খুব।
বিস্তারিত»শেয়ার-কেয়ার-ফেয়ার-আনফেয়ার
ম্যাট্রিক ফেল গিট্টুর আজকাল ভাবটা ড্যামকেয়ার
শুনেছি নাকি দেদারছে কামায় ব্যবসা করে শেয়ার।
দুতিন খানা অফিস তার, চকচকে সব গাড়ি
শ্যাম্পেন আর হুইস্কিতে ভুলেই গেছে গান্জ্ঞা কিংবা তাড়ি।
চোখেতে রঙ্গিন সানগ্লাস আর মুখে চুরুটের ধোঁয়া,
কথায় কথায় তুড়ি দিয়ে বলে,
” শেয়ার ইস দ্যা বিজনেস ভাই, বাকি সবই ভুয়া”।
মনে মনে ভাবে গিট্টু প্লেজার ট্রিপ টু পাতায়া
তার আগে আরো কিছু নেবে বাজার থেকে হাতায়া।
কারওয়ান বাজারে একটি ঘটনাবহুল রাত
কলেজে থাকতে ফিজিক্সের জনৈক ম্যাডাম একটা অংক করা নিয়ে বলেছিলেন, “সামনে দিয়াই পারো না, আবার পেছন দিয়া…………”
বহুদিন পর আবার সেই কথা মনে পড়ল, সম্পূর্ণ অন্য পরিবেশে, এবং পরিবেশটা রসিকতার ছিল না।
ডিপার্টমেন্টে সন্ধ্যাভর আড্ডা শেষে বাসায় যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম; এমন সময়, এক বন্ধু বলল, “অমুক ভাই তো অমুক কে নিয়ে অমুক দিন থেকে অমুক দিন পর্যন্ত লাইনে দাঁড়ায় বিশ্বকাপের অমুক,
বিস্তারিত»