নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে ওয়াহিদা আপুর সাম্প্রতিক ব্লগ থেকে উৎসাহিত হয়ে এই বিষয়ে আমার কিছু ভাবনা সিসিবির পাঠক সমাজে শেয়ার করার ইচ্ছেটাকে দমানোর ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে আমার এই ব্লগের জন্ম। আশা করি,নতুন ব্লগার হিসেবে পাঠককুল আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চার বছরে সমাজ+নারী+উন্নয়ন বিষয়ক যতগুলো কোর্স পড়ানো হয়, তা’র সবগুলোই নিয়েছিলাম। ওয়াহিদা আপুর এই ব্লগটা পড়ে কিছু মৌলিক বিষয় এমনভাবে উপলব্ধি করতে পারলাম যে, মনে হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেইসব দিনগুলোতে অযথাই ক্লাসে সময় নষ্ট করেছি। তা’ না করে যদি এমন আর দু’চারটা ব্লগ পড়তে পারতাম, তাহলে তখনকার সময়+কষ্টগুলোকে আর এখন পণ্ডশ্রম মনে হতো না। যাই হোক, এবার আসল কথায় আসি।-
ওয়াহিদা আপু বলেছেন যে, বাংলাদেশে নারীর প্রতি বৈষম্য ও সহিংসতার জন্য দায়ী কেবলমাত্র পুরুষতান্ত্রিকতা নয়, বরং “সামগ্রিকভাবে সমাজের মানসিকতা যা’আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি”। আসলে তা-ই, পুরুষদের তুলনায় নারীদের পিছিয়ে পড়া এবং নারীর প্রতি এইসব সহিংসতার জন্য শুধুমাত্র এককভাবে পুরুষদেরকে দায়ী করা যথার্থ নয়। সমাজ এবং সমাজে বসবাসকারী মানুষগুলোর সীমাবদ্ধ মানসিকতাও এক্ষেত্রে সমানভাবে দায়ী। স্কুল-কলেজের দেয়াল পাড়ি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটা বিশাল ক্ষেত্রে এসে যখন আমার এক বান্ধবীর মুখে শুনি ‘হাসব্যান্ডের মোটা অংকের বেতনে কেনা দামী শাড়ি আর অলঙ্কার পেয়েই তার জীবনের সব স্বপ্ন পূরণ হয়ে গেছে,নতুন করে আর কিছু চাওয়া-পাওয়া নেই’, তখন অবাক বিস্ময়ে নিজেকেই প্রশ্ন করি ‘এ’ কি পুরুষতান্ত্রিকতার আগ্রাসন, নারীর অশিক্ষা, নাকি শুধুই আমাদের কূপমণ্ডূক মানসিকতা?’- অথচ,এই মেয়েটি দুর্দান্ত ফলাফল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল, তার অপার সম্ভাবনা ছিল শিক্ষার গণ্ডী পেরিয়ে নিজের পায়ে দাঁডানোর।
স্বপ্ন দেখা এবং তা’লালন করা স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে সমান গুরুত্বপূর্ণ। ছোটবেলা থেকেই আমার সাথে বড় হওয়া সহপাঠীদের মধ্য থেকে অনেক মেয়েকে দেখছি স্কুল থেকে একে একে ঝরে যেতে। তাদের মধ্যে কারো ছিল অর্থনৈতিক সমস্যা, কারো পারিবারিক, আবার কারো যথেষ্ট ইচ্ছার অভাব। কিন্তু ফলাফল একটাই- পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের পাশাপাশি মেয়েদের চলার ক্ষমতা হারানো। আমার ছোটবেলার খুব কাছের এক বান্ধবী, নাম আরিফা। পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী এই মেয়েটি সব সময় বলতো বড় হয়ে ডাক্তার হবে। অথচ, ক্লাস নাইনে উঠতে না উঠতেই তার মা’ তাকে বিয়ে দিয়ে দিল! আমাকে জড়িয়ে ধরে সে অনেক কেঁদেছিল সেদিন। তার মা’কে জিজ্ঞাসা করে জবাব পেয়েছিলাম এই যে, তা’র আরো তিন ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতে মা’ হিমশিম খাচ্ছেন। তাই একমাত্র মেয়েটিকে অসময়ে বিয়ে দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত, অথচ এই মেয়েটি তার সবগুলো সন্তানের মধ্যে সবথেকে মেধাবী এবং সম্ভাবনাময় ছিল। আমার প্রশ্ন জাগে, যে মা’তার আর্থিক সমস্যা সত্ত্বেও তিন তিনটা ছেলের পড়া চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল,সে কেন তার একমাত্র মেয়েকে কলেজের গণ্ডি পেড়োতে দিল না? একজন মা’হয়ে নিজের মেয়ের প্রতি এই বৈষম্য তিনি কেন করলেন, তা’ সেদিন আমার মাথায় ঢোকেনি।
দীর্ঘ প্রবাস জীবনে এ’রকম আর অনেক ঘটনা আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়টি যে শুধুমাত্র পুরুষতান্ত্রিকতার বেড়াজালে আবদ্ধ নয়, তা’ আমার কাছে এখন খুবই স্পষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা পেড়িয়ে দেশের বাইরে সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জনের পরও একটা মেয়ে তার জীবনের সার্থকতা বিচার করে স্বামী আর সন্তানের অর্জনের মাপকাঠিতে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের আধিপত্য থাকবেই। কিন্তু নারীরাই যখন নারীমুক্তির পথে বাঁধা, তখন সেই সমস্যার নিষ্পত্তি বড়ই কঠিন। নারীর ক্ষমতায়ন তাই এখন কেবলমাত্র পুরুষতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে কোন এজেন্ডা নয়, এটি নারীদের নিজেদের মধ্যকার শক্তি, সাহস আর স্বপ্ন গড়ে তোলার অভিযান।
:thumbup:
আমার উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ এর জ্ঞানও তাই বলে। নারী মুক্তি/ নারীর ক্ষমতায়ন নারীর মানব সত্বা বিকাশের আন্দোলন, কোনো প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার আন্দোলন নয়। আর পুরুষতান্ত্রিকতাতো একগুচ্ছ (অ)নিয়মের সমষ্টি যা নারীকে আবদমিত করে। সে কারণেই নারী আন্দোললের প্রথম প্রতিবন্ধকতা হলো এই পুরুষতান্ত্রিকতা যার বিরুদ্ধে নিরন্তন সংগ্রামই পারে নারী কে "মানুষের" মর্যাদায় আধিষ্ঠিত করতে।
অনেক ধন্যবাদ ফরিদ ভাই আপনার সাপোর্টিভ মন্তব্যটির জন্য 🙂
লেখাটি যথেষ্ট ভালো লেগেছে.
খুব এ সাবলীল ভাবে লেখা. এই লেখার মত করে লেকিখা যেইভাবে উপলব্ধি করেচে আশা করি সবাই এইভাবে উপলব্ধি করুক.অনেকে তো এইভাবে মনে হই চিন্তাও ও করে নাহ.
অনেক ধন্যবাদ। আ্পনার উৎসাহ পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।
পুরুষতান্ত্রিকতা শুধু পুরুষের বিষয় না সুমাইয়া। নারীর মধ্যেও এই পুরুষ বাস করে। পৌরুষতন্ত্রকে পরাজিত করার কাজটা কঠিন। নিজের সঙ্গে, পরিবার-সমাজ ও রাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই- নারীকে করতে হবে, পুরুষকে এ লড়াইয়ে সঙ্গে পেতে হবে। নইলে যে মুক্তি আসবে না।
তোমার এলোমেলো ভাবনা ভালো লাগলো। এগিয়ে চলো।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
সাথে নিয়েই লেগে পড়েছি, সাইন করার পর আবার যাবে কোথায়? 😛
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, নারী ক্ষমতায়ন এক যৌথ অভিযান, একা এই পথে মুক্তি দুরুহ ।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। (সম্পাদিত)
নারীর প্রতি আমাদের সমাজের সকল মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন,নারীর সদিচ্ছা এবং সচেতনতাই পারে সমাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীর উচ্চাসন কে সীকৃতি দিতে. আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় পুরুষের আগে নারীরাই নারীদের কে হেও করে দেখে . একজন বাবা যতটা না তার ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে বৈসম্য সৃষ্টি করে, একজন মা তার থেকে বেশি বৈসম্য রাখে প্রতিটা ক্ষেত্রে. সেই সাথে খালা, চাচি, নানী, দাদীরা তো আছেই. ছোটবেলা থেকেই মেয়েদের মনে একটা ধারণা প্রবেশ করানো হয় যে ছেলেদের চেয়ে তাদের মুল্য কম.সেই ধারণা ধীরে ধীরে আরো মজবুত হয় সমাজের বিভিন্ন স্তরের বৈসম্য থেকে.
একটা মানুষ সবথেকে বেশি প্রভাবিত হয় তার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা. তাই বলছি আমাদের পুরো সমাজ ব্যবস্থার মত এত বড় একটা জায়গা কে চিন্তা না করে আমরা যদি আমাদের যার যার পরিবারের দিকে নজর দেই, একটা মেয়ের প্রতি পরিবারের আর সব সদস্যদের মনোভাবের পরিবর্তন করানো যায় তাহলে সমাজ ব্যবস্থা আপনাআপনি পরিবর্তিত হয়ে যাবে... 🙂 🙂 🙂
আপু, আপনার বিশ্লেষনধর্মী মন্তব্যটি খুব ভালো লাগলো। আপনার সাথে আমিও একমত। পরিবারই নারী ক্ষমতায়নের প্রাথমিক ক্ষেত্র। প্রথমে পরিবার, তারপর সমাজ অত্পর রাষ্ট্র...এভাবে ধাপে ধাপেই আমাদেরকে এগুতে হবে... ।
😛 বিস্লেসন করার ক্ষমতা আমার কি আসে জানি না আপু . যা মনে হইল তাই লিখলাম :shy:
:thumbup:
😀 😀 😀
সুমাইয়া আপু, আমি সমাজবিজ্ঞান, ঢাবিতে তোমার এক year জুনিয়র।আমি তোমার কথার সাথে একমত।আমরা ক্লাসে শুধু theory-ই পড়ি, বিষয়ের practical দিকটা দেখি না ।আমার মনে আছে, একবার সেকন্ড year -এ জীনাত হুদা আপার ক্লাস-এ আমি অনেকটা তোমার মতো করেই বলেছিলাম "পুরুষদের তুলনায় নারীদের পিছিয়ে পড়া এবং নারীর প্রতি এইসব সহিংসতার জন্য শুধুমাত্র এককভাবে পুরুষদেরকে দায়ী করা যথার্থ নয়"। আমার কথায় আপা খুশি হয়েছিলেন বলে মনে হয়নি । উল্টো আমাকে নারী বিদ্বেষী ভাবতে শুরু করেছিলেন বলে মনে হয় ।
যাই হোক, তোমার লেখাটা অনেক সময়োপযোগী এবং সুন্দর হয়েছে ।
হুম, তোমাকে আমি চিনতে পেরেছি।তুমি যে ক্যাডেট এটা জানতাম না। সামনের বছর দেশে এসে আমি আর তুমি একসাথে গিয়ে জিনাত ম্যাডাম প্রশ্নবিদ্ধ করবো। তখন নিশ্চয় আমাদেরকে আর নারী বিদ্বেষী ভাবতে পারবে না, কি বলো? 😛
ঠিক আছে আপু
:clap:
ধন্যবাদ ভাইয়া
কথা সত্য। ক্ষমতায়ন একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া। এটা এমন না যে কাউকে একরাতে ইনজেকশনের মাধ্যমে পুশ করে দেয়া হলো আর পরদিন থেকে একজন সবল ক্ষমতাবান নারী হয়ে গেলো। এটা জীবনভর চর্চার ব্যাপার।
লেখা ভাল লাগলো। আরো লিখুন।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
ভালো লেগেছে? ঠিকাছে, তাহলে আরো লিখবো... 🙂
চমতকার লেখা। সহমত প্রকাশ করলাম।
ধন্যবাদ শারমিন আপু
দেরীতে মন্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। অজুহাত আর তুলে ধরলাম না।
শুধু মাত্র এই লাইনটার কারনেই তোমার এই পোষ্টটা আমার প্রিয়র তালিকায় থাকবে। এই কথাটা আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি। তুমি খুব সুন্দর করে প্রকাশ করেছো। এরকম অনেক অনেক লেখা আসা দরকার - নাগরিক নারীদের হাইবারনেশন ভাংগানোর জন্য।
মোটামুটি চিন্তাধারায় বিপরীত্মুখী আমার এক বান্ধবীর সাথে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলছিলাম। ক্ষমতায়ন বলতে ও মেয়েদের বাইরে কাজ করাকে বোঝে - সে কারণে ক্ষমতায়ন শব্দটা ওর পছন্দ নয়। এই জন্য আমি আমার আগের লেখাটায় ইচ্ছে করেই এমন সব নারীদের নাম দিয়েছি যারা অর্থোপার্জনের জন্য কাজ করেননি - সমাজসেবার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমেরিকাতেই তো কতো ভলেন্টিয়ারের দরকার হয়, বাংলাদেশে তো এর প্রয়োজন আরো বেশি। সামর্থ আর সময় থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশে অধিকাংশ নাগরিক মহিলারা সমাজসেবার কাজে নিজেদের যুক্ত করছেন না। ঘরের বাইরে আসতে হবে না - ঘরে যে কাজ করে সেই কাজের মানুষটাকেই পড়াশোনা শেখাক, তাও তো হচ্ছে না। নারীরা যখন নিজেদেরকে পরিবার, সমাজ তথা মানব সম্প্রদায়ের জন্য নিজেদের গুরুত্বপূর্ন ভাবতে শিখবে তখন নিশ্চয় একটা পরিবর্তন আসবে। আমি জানি না কিভাবে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হয়, তবে লেখাই আমার একমাত্র ভরসা। তোমার প্রতিও অনুরোধ রইলো এই বিষয়টা নিয়ে আরো অনেক লেখার। তোমার যেহেতু এই ব্যাপারে প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া রয়েছে, তাই তুমি মূল সমাজটাকে বিদ্যমান তত্বগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে মিলিয়ে দেখাতে পারবে।
দেখলাম তোমার পোষ্টে নতু্ন অনেকেই মন্তব্যে তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছে। গুরুত্বপূর্ন পোষ্ট।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
ওয়াহিদা আপু,
বেশ কিছু দিন ধরে বেড়িয়ে বেড়াচ্ছি । মাহমুদ এর কোয়াটার ব্রেক চলছিল। আপনাদের খুব কাছাকাছিই বেড়াতে গিয়েছিলাম। তাই উত্তরটা দিতে এত দেরি হয়ে গেল । আপনি বলেছেন আমার এই লেখাটি নাকি আপনার পছন্দের তালিকায় থাকবে। নিজেকে খুবই ধন্য মনে হচ্ছে। সত্যি কথা বলতে আপনার অধিকাংশ লেখাই আমার পছন্দের তালিকার প্রথম দিকে । তাই আপনার এই উৎসাহ মুলক কমেন্ট টি আমার অনেক বড়ো পাওয়া। 🙂
আপনার সাথে আমিও একমত, এ বিষয়ের উপর আরো লেখালেখি দরকার। ইচ্ছা আছে ভবিষ্যৎ এ আরও কিছু পড়াশুনা করে এ বিষয়টির উপর লেখালেখি করা।
আপু আপনার লেখা বেশ সুন্দর হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে বাস্তবধর্মী লেখা এটি। আসলে নারীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি ও মানসিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার মতো যে শক্তিশালী সামাজিক আন্দোলনের প্রয়োজন এবং বেগম রোকেয়াদের মতো নির্লোভ নেতৃত্বের প্রয়োজন, তা বর্তমানে খুবই অভাব রয়েছে। এক্ষেত্রে চরমপন্থা অবশ্যই ক্ষতিকর। নারীর ক্ষমতায়ন, সমাধিকার প্রতিষ্ঠা কিংবা সমমর্যাদায় অধিষ্ঠিত করার জন্য নারী-পুরুষ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, কেউ কারো প্রতিদ্বন্দ্বি নয়-এটা ভালো করে অনুধাবন করা দরকার। সমাজের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নারীর উন্নয়ন প্রয়োজন, বিবেকবান পুরুষরা তা বুঝতে সক্ষম আমি তা মনে করি। এক্ষেত্রে একে অপরের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা প্রতিযোগিতা নয়। এবং তাসলিমা নাসরিনের মতো চরমপন্থা কোনভাবে কাম্য নয়।
:clap: :clap: :clap:
সাবা, আমি নিজেও কিন্তু এই একি মতবাদে বিশ্বাসী...
দুঃখিত, উত্তর দিতে বেশ দেরী হয়ে গেল...!
:thumbup:
নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে আমি কিছু বিস্তারিত জানতে চাই। তার আগে কিছু প্রশ্ন।
১. কে সে নারী?
আমার দাদি, নানী?
মা, খালা, ফুফ?
মেয়ে, ভাতিজি, ভাগীনি?
বোন, স্থ্রী, কিংবা আমার সমাজের অন্য কোন নারী
:boss:
🙂
যদি উত্তর হয় উপরের সকলেই , তাহলে বলতে হয় পুরুষের বিপরীত সকলেই নারী।
এখন প্রশ্ন হল ক্ষমতায়ন বলতে কি পুরূষকে হটিয়ে পুরুষের সকল ক্ষমতা তার কাছে সমর্পন কে বুঝায়?
আবুজারিন, প্রথমেই দুঃখিত বলে নেই এত দেরিতে উত্তর দেবার জন্য।
আসলে আমার মাস্টার্স থিসিস প্রপসাল নিয়ে আমি একটু দৌড় এর উপর আছি...!
আপনার দুটি কমেন্টের আমি একসাথে উত্তর দেই। আসলে নারী বলতে আমি প্রাত্যহিক জীবনে আশেপাশে যাদেরকে দেখি তাদেরকেই বুঝিয়েছি...তা সে হতে পারে আপনার নানি, মা,বান্ধবী , স্ত্রী কিংবা মেয়ে। আমেরিকাতে কিন্ত পুরুষের বিপরীতে সবাইকে নারী বললে সমস্যা আছে... 😛
আমি Anthropology র ছাত্রী। তাই এই ধরনের ডেফিনিশনে একটু বিশেষ সর্তক। আপনার কমেন্ট এর শেষভাগের উত্তর টা আমার লেখার এ একটা উদ্ধৃতিতে আছে
(সম্পাদিত) (সম্পাদিত)