অসাধারণ এক দ্বিতীয় জন্ম!!

একটু পরেই চলে যেতে হবে। শুধু মনে হচ্ছিল কী দরকার ছিল এভাবে বন্দী এক জীবনে আমাকে পাঠিয়ে দেবার? কিন্তু মুখ দিয়ে টু শব্দটি করার উপায় নেই। এতদিনে যে শাসনে ছিলাম । সবার ছোট হলে যা হয় আর কী। এতদিন বড় আপুর ছায়াতলে ছিলাম। যা কিছু অর্জন আমার তার ৮০%তার অবদান। যা ভেবেছিলাম তাই। আপু জিজ্ঞেস করে বসল-
– এবার তো একা থাকতে হবে। পারবি তো?

বিস্তারিত»

গেরিলা দেখতে গিয়ে

নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত ছবি ‘গেরিলা’ মুক্তি পেলো ১৪ এপ্রিল, নববর্ষের দিন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর বানানো ছবি। গল্প নেয়া হছে সৈয়দ শামসুল হকের উপন্যাস ‘নিষিদ্ধ লোবান’ থেকে। চিত্রনাট্যে উপন্যাসের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা পরিচালকের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকেও গল্প নেয়া হয়েছে। মুক্তি পাওয়ার পরে আমার ছবিটা দেখতে যেতে একটু দেরি হলো। প্রথম সপ্তাহে পারলাম না, দ্বিতীয় সপ্তাহের মাঝামাঝিতে একদিন স্টার সিনেপ্লেক্সে গিয়ে টিকেট কাটলাম। এক সপ্তাহ আগেই ‘আমার বন্ধু রাশেদ’

বিস্তারিত»

বিকেলে


সেদিন জ্যামিতিক বিকেলে
অতর্কিতে দিয়েছিলো হানা
উড্ডয়নের সুনীল প্ররোচনা

কেটে কি যেতোনা
ডানা গুটনো
সমূহ নিমেষ
ধ্যানের
সুনিপুণ অভিনয়ে,
নীলসাদার
ছকে ছকে
আকাশ

বিস্তারিত»

অনুবাদঃ পাকিস্তান কিভাবে ১৯৭১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেঃ কয়েকটি সাক্ষ্য

[কয়েকদিন আগে ই-লাইব্রেরি থেকে এই বইটি পড়ছিলাম। পড়ার পর মনে ভীষণ চাপ পড়ছিল, সেটাই আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। বইটি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর ওয়ার্ল্ড এফেয়ার্স কর্তৃক ১৯৭২ সালে প্রকাশিত। মোট ২৬ টি সাক্ষ্য এতে আছে। আমি শুধু প্রথমটাই অনুবাদ করার চেষ্টা করলাম। অনুবাদের দূর্বলতা হয়তো পুরো অনুভূতি তুলে ধরতে পারেনি, সেটার দায় আগে থেকেই মেনে নিচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামের ছবিটা ওই স্ক্যান করা বই থেকে নেয়ার কারণে এত খারাপ অবস্থা।

বিস্তারিত»

বাক্স (পর্ব ১ – মানুষটা)

নিথর, নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে আছে মানুষটা। নাকে দু’টো আতর লাগানো তুলো গোঁজা। তার দিকেই অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে তার ছোটো নাতনী হৃদিতা।
– ভাইয়া, দাদার নাক থেকে ওটা খুলে দাও না, দাদা তো নিঃশ্বাস নিতে পারছে না।

অর্ক তাকে কিভাবে বলবে যে দাদা আর কখনো শ্বাস নেবেন না। সেও তো এ বিদায় মেনে নিতে পারছে না; মনে মনে অনেকবার ভেবেছে দাদা এখনই জেগে উঠবে;

বিস্তারিত»

জবাই

শান দেয়া ছুরিটা দুই হাতে শক্ত করে ধরতেই সুলতান মিয়ার শরীর একটু কেঁপে ওঠে। হালকা কাঁপুনি, দুই সেকেন্ডেই হারিয়ে যায়। আঙুলগুলো নাড়াচাড়া করে সুলতান আরো শক্ত করে ধরে লম্বা বাঁকানো ছুরিটার বাট। বেলা প্রায় দ্বিপ্রহর। নামাজের ওয়াক্ত চলে গেছে। আজকে সারাদিন আকাশ মেঘলা বলে সূর্যের তেজ বুঝতে পারছে না সুলতান। ঘোলা ঘোলা মেঘের সাথে আজকে বেশ বাতাস ছুটেছে। গ্রামের মাঠে বাতাসের তোড়ে লুঙ্গি সামলানো কঠিন।

বিস্তারিত»

আমাদের সেইসব মায়েরা………

আমাদের দেশের মায়েদের তুলনায় অধিক স্নেহ-প্রবণ মা কি আছে আর কোথাও? সন্তানের সামান্য অসুখ করলেও আমাদের মায়েরা রাতের পর রাত পার করেন নির্ঘুম কাটিয়ে। আর ছেলেদের প্রতি তাদের পক্ষপাত তো বাড়াবাড়ি পর্যায়ের। ছেলেদের বেলায় তারা যথার্থই স্নেহান্ধ। অথচ একাত্তরে এই দেশেরই মায়েদের আত্মত্যাগের কাহিনী আজ অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়। মনে হয় হাজারবার পড়ি, মনে হয় সারাবিশ্বকে যদি জানিয়ে দিতে পারতাম যে আমাদের মায়েরাও পারে! এই দিনে শতবার পড়া ও জানা সেই মায়েদের গল্পই করবো।

বিস্তারিত»

একজন রহমান সাহেব ও অন্যান্য……

ভোরবেলা বাইরে থেকে হেঁটে এসেই খবরের কাগজ পড়াটা রহমান সাহেবের নিত্যদিনের অভ্যাস। কিন্তু আজ তার মেজাজটা খুবি খারাপ। হকার আজ পত্রিকা দিয়ে যায়নি। সেই সকাল থেকেই রাগে গজ গজ করছেন, যাকে সামনে পাচ্ছেন তাকেই তুলোধুনো করছেন। আর তার এই কাণ্ডকারখানায় সবচেয়ে আনন্দ পাচ্ছে যে ব্যক্তি, সে তার একমাত্র নাতি ৪ বছরের নিবিড়। WWF এর মতো এক এক জন প্রতিপক্ষকে রহমান সাহেব ঘায়েল করছেন আর একনিষ্ঠ সমর্থকের মতো হাততালির বৃষ্টি ঝরাচ্ছে ছোট্ট নিবিড়।

বিস্তারিত»

প্রলাপ-৫

মুঠোবন্দী অনর্থক মুহূর্তগুলো
আঙুলের ফাঁক গলে
ঝরে ঝরে
ক্রমশঃ নাগালের বাইরে
চলে যাচ্ছে দেখে
কুড়োবার ঝোঁকে
আকুল হাত বাড়াতে
দানাগুলো মুহূর্তে
সময়ের গেলাশে
মিশে
যেতে
যেতে
জানান দিয়ে যায়
অর্থ রয়েছে কেবল অর্থহীনতায়

বিস্তারিত»

স্বাধীন দেশের পরাধীন নাগরিক

১২ বছর বয়সে যখন ক্যাডেট কলেজএর গেট দিয়ে প্রবেশ করলাম তখন দু’ ধরনের অনুভুতি ভর করেছিল আমায়।প্রথমত স্বপ্ন পুরন হওয়ার আপ্লুত এক আনন্দ, দ্বিতীয়ত অচেনা এক নতুন পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়ার অজানা এক আতঙ্ক। সেদিন নিজেকে অনেক বড় মনে হছিল, কিন্তু এখন যখন ক্লাস ৭ কিংবা ৮ এর কোন ছেলের দিকে তাকাই তখন নিজে নিজে চিন্তা করি আসলে কতটা ছোট ছিলাম আমরা।

সেই ক্ষুদ্র বয়সে কৈশোর জীবনে বাবা-মা পরিবার পরিজন ছেড়ে বের হয়েছি।

বিস্তারিত»

সাম্প্রতিক এবং ছেঁড়া কথন ০২

কখনো বলা হয় নাই, লন্ডনে প্রত্যেকটা কাউন্সিলে লাইব্রেরী রয়েছে। বাঙালি অধ্যুষিত হওয়ায় প্রচুর বাংলা বই পাওয়া যায়; যা খুবই সুখকর একটা বিষয়। যদিও এখানের লাইব্রেরিতেই প্রথম কাসেম বিন আবু বাকারের বই পাই। কিন্তু একটাও আবুল বাশারের বই নাই। লাইব্রেরিতে বললাম একথা। দেখি কি করে? অনেকদিন আবুল বাশারের বই পড়িনা। নকশাল আন্দোলন নিয়ে ওনার একটা বই বেরিয়েছিল অনেক আগে। ২য় খণ্ড বেরিয়েছে কিনা জানিনা। অন্য কোনও লেখক এতো ব্যাপক ও গভীরভাবে নকশাল নিয়ে লিখেছেন বলে মনে পড়েনা!

বিস্তারিত»

আব্বু’র জন্য লেখা

গতকাল  হঠাৎ করেই মেহেদির  “মা” কে নিয়ে লেখা ব্লগটি পরে একটা ব্লগ লিখতে ইছা হল। জীবনে কখনও ব্লগ লিখিনি, তাই সব সময়ই মনে হত এই ব্লগ লেখা হয়ত আমার জন্য নয়। হয়ত ব্লগ লেখার মত যথেষ্ট যোগ্যতা আমার নেই। কিন্তু আজ হঠাৎ সিধান্ত নিলাম লেখার। আদৌ জানি না কেমন হবে। ভুল ত্রুটি নিজ গুণে ক্ষমা করবেন প্রথম ব্লগ বলে। লেখার সিধান্ত নেয়ার পর প্রথমেই মনে হল যে আমার প্রথম ব্লগটি লিখবো “আমার বাবা”

বিস্তারিত»

ফেরারী ২

ফেরারী

লিজা বারান্দায় দাড়িয়ে। বাইরে খুব ঝড় হচ্ছে আজকেও আবীর আসবে কাক ভেজা হয়ে। আর ড্রাইভার আসবে ওর আগে এসে কাচুমাচু মুখে বলবে “স্যারকে নিষেধ করছি স্যার শোনে নাই।”অভ্যাসটা আবীরের অনেক পুরানো।তখন আমাদের নতুন বিয়ে হয়েছে খুব ঝড় আর বৃষ্টি বাইরে ও ভিজে এসে আমাকে বলল চল “বৃষ্টিতে ভিজি।”আমার খুব হাসি পেয়েছিল।কিন্তু আমি গিয়েছিলাম রিকশার হুড খুলে আমরা ভিজছিলাম কেন জানি আমার মনে হয়েছিল আবীর কাদছিল আমার হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছিল।আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টিধারা আর ওর চোখের জল হয়ত মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল আমি কিন্তু বুঝেছিলাম সেদিন।

বিস্তারিত»

মা, আমার মা……………

আজ “মা” দিবস নয়। তারপরও আজকের লেখাটা মাকে নিয়েই লিখলাম।

ফটিকের গল্পটা মনে আছে? “ছুটি” গল্পে ফটিক কেমন নির্বিকার ভাবে মাকে বলে গেলো, ” মা, আমার ছুটি হয়েছে, আমি যাচ্ছি……”।
ফটিকের সেই বিদায় কেন জানি আজ অবধি আমাকে কাঁদায়।

আমার মা একটু পাগলা কিসিমের। সন্তানের জন্য এত অফুরন্ত ভালোবাসা একজন মা কিভাবে বুকে ধারন করে রাখতে পারে, তা আমি আমার মাকে দিয়েই বুঝেছি।

বিস্তারিত»

শুধু তোমার জন্য

এই কবিতার একটা ইতিহাস আছে।তখন আমাদের হাউস মাষ্টার হল জামসেদ স্যার।আমাদের ক্লাসে একদল উঠতি কবি ছিল যারা কিনা নাইট প্রেপে বসে কাব্য চর্চা করত।আমিও সেই দলের এক কবি।যা হোক একদিন খুব মনোযোগ দিয়ে কবিতা লিখছি।হঠাৎ কেউ একজন টান দিয়ে আমার খাতা টেনে নিল।মাথা ঘুরিয়ে দেখি স্যার আর যাবা কই।আর এই কাজের শাস্তি হিসেবে স্টাফ লন্জে সব স্যারের সামনে এই কবিতা আবৃত্তি করতে হয়েছিল।আজও কবিতা লিখতে গেলে মনে পড়ে।তবে কবিতাটা শেষ করা হয়নি আজও

শুধু তোমার জন্য
আজও হেটে চলেছি জীবনের আকা-বাকা পথ ধরে
বন্ধুর পথে শুধু থুবড়ে পড়েছি
রক্তাত্ত হয়েছি,ক্ষত-বিক্ষত হয়েছি
তুবও থেমে যায়নি

শুধু তোমার জন্য
আজও স্বপ্ন দেথি
হাজারো দুঃস্বপ্নের ভীড়ে

শুধু তোমার জন্য
বুকের ডান পাশে জমিন ফাকা
কোন রিয়েল স্টেট কোম্পানীর প্রলোভনে
বিক্রি করেনি

শুধু তোমার জন্য
রাস্তার মোড়ে বসে সিগারেটে দম দেয়না
অফিস ফেরত আন্টিদের শিস দেয়না

শুধু তোমার জন্য
বৈশাখের প্রথম বৃষ্টিতে
কাক ভেজা হয়ে ঘরে ফিরি

শুধু তোমার জন্য
বেচে থাকা আর পখ পাড়ি দেওয়া

বিস্তারিত»