মাধ্যমিক পরিক্ষার ফল প্রকাশিত হল। ছোট ভাইটা ছিল এবারের পরীক্ষার্থী। যাই হোক,কোন ভাবে উতরে গেছে তিন বিষয়য়ে এ প্লাস মিস করে। গোল্ডেন/ সিলভার বিষয়ক মাথা ব্যাথা আমার কোন কালেই ছিল না। স্বভাবতই খুবই খুশি ছিলাম ওর ফলাফলে। অল্প বিস্তর চিন্তিতও ছিলাম,গিফট ব্যাপার টা নিয়ে। বদটার আবার আকাশ ছোঁয়া আবদার।।
গত কাল খুব ভোর বেলা বদটার ফোনে ঘুম ভাঙল।”ভাইয়া আজকের প্রথম আলোটা এক বার খুলে দেখিস, তোদের ক্যাডেট কলেজরে একেবারে ধুয়ে দিছে!!!” ভোর বেলা এম্ননিতেই মেজাজ চড়া থাকে। ফোন রেখে দিলাম। ও ক্যাডেট না হওয়াতে ওর সাথে ক্যাডেট কলেজ বিষয়ক যে দ্বৈরথটুকু,সেটা অনেক আগে থেকেই। আমিও ব্যাপারটা বলেতে গেলে এক রকম উপভোগই করি। আমার খুব কাছের কিছু মানুষ,তাদের সাথেও এই ব্যাপার গুলো নিয়ে মাঝে মাঝে তুমুল তর্ক হয়। জয় পরাজয় এখানে কোন ব্যাপার না। ব্যাপারটা নিতান্তই উপভোগের। তাই ছোট ভাই এর কথা আমলে নেবার কোন মানেই হয় না। ঘুমের ২য় ইনিংসে মনোযোগী হলাম।।
ঠিক দুপুর বেলা বেশ কিছু ভাইয়াকে দেখলাম, প্রথম আলোর একটা লিঙ্ক ফেসবুকে শেয়ার দিয়েছেন। চোখ আটকে গেল। পড়ে দেখলাম। এক বার নয়, পর পর টানা তিন বার। “কৌশলে সেরা হবার দিন শেষ” নামের সস্তা শিরোনামে বিশ্লেষণধর্মী(আদতে পাবলিক খাবে এমন) লেখা।।
“সেরা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচ্য হওয়ায় ক্যাডেট কলেজগুলোর একচেটিয়া প্রভাব কিছুটা ক্ষুণ্ন হয়েছে। অন্যদিকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঁচ বিবেচ্য বিষয় অনুযায়ী সেরা তালিকায় আসতে পারেনি”(প্রথম আলোতে প্রকাশিত ওই লেখাটির গোবর অংশ)
বুদ্ধিজীবী সাহেবের লেখার এই জায়গায় আমার একটু সমস্যা। প্রথমত,এমন বিতর্কিত একটা শিরোনামের লেখায় ক্যাডেট কলেজকে কেন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে? দ্বিতীয়ত,উনি কি ভুলে গেলেন ক্যাডেট কলেজ বিশেষ ভাবে বিশেষায়িত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ? উনি কি “বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান” এর সাথে ক্যাডেট কলেজ গুলো এক কাতারে ফেলতে চাইলেন?কথাটা এই জন্য বলা যে,ক্যাডেট কলেজ দেশের আর দশটা গতানুগতিক স্কুল কলেজের মত নয়। যদি ক্যাডেট কলেজ নিয়ে সমালোচনা(মতান্তরে বিশ্লেষণ) আপনার করতেই হয়;আলাদা ভাবে করুন। আপনি কি বাইরের প্রতিষ্ঠান গুলোর সাথে ক্যাডেট কলেজ এর অসামঞ্জস্যগুলো বেমালুম ভুলে গেলেন? আমি বলছিনা, ক্যাডেট কলেজকে “সেরাদের সেরা” ঘোষণা করতেই হবে।তাই বলে,এহেন নির্বুদ্ধিতা কেন?
প্রভাব ক্ষুণ্ণ হওয়া মানে কি বুঝালেন? বুঝলাম না!! কার উপর কিসের প্রভাব? প্রভাব বিস্তারের খেলায় আপনি কাকে ক্যাডেট কলেজ এর প্রতিযোগী বানালেন? কেনই বা ক্যাডেট কলেজ কে প্রতিযোগিতার মাঠে নামাতে চাইলেন? দেশ এর অন্যান্য স্কুল কলেজ এর শ্রেষ্ঠত্ব মানতে আমাদের কোনই সমস্যা নেই। আমরা জানি,আমাদের যুদ্ধটা ওই জনা পঞ্চাশেক ক্যাডেট কে নিয়েই। আমাদেরকে ওই ৫০ জন নিয়েই আপনাদের তৈরি প্রতিযোগিতার মাঠে নামাতে হবে। আর আমরা আমাদের সীমাবদ্ধতাটুকু খুব ভালভাবেই জানি। তাই আপনাদের তথাকথিত “সেরা দের সেরা” ব্যাপারটার পরোয়া করি না। ঐতিহ্যগত ভাবে কিছু কিছু ব্যাপার আমাদের রক্তে মিশে আছে। আমরা বড় হয়েছি খুব সাধারন কিছু কাঠের ফলক দেখে। ওই সব সাধারণ ফলকে নাম লেখা আছে অসাধারন কিছু মেধাবীর। যারা প্রতিটা বার,বোর্ড মেধা তালিকায় ক্যাডেট কলেজ গুলোকে আলোয় আলোয় ভরিয়ে দিত।।ওই আলো তে,ক্যাডেট কলেজ গুলো এখনও আলোকিত হয়। ভবিষ্যতেও হবে। দুর্ভাগ্য আমাদের!!! ওই আলো কখনই আপনাদের চোখে পড়েবে না…!!
ক্যাডেট কলেজ গুলোর প্রতিটা ইটের খাঁজে খাঁজে আমরা আমাদের ভালবাসা রেখে এসেছি। আমরা বিশ্বাস করি, যেদিন আমরা থাকব না,ঠিক সেদিনও আমাদের মত করে কেউ ভালবাসবে। আমাদের যে কোন অর্জন আমাদের সবাইকে ছুঁয়ে যায়। আর আমাদের অর্জনের স্বীকৃতি আমরা চাই না। কারন আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, “সেরাদের স্বীকৃতি লাগে না”
:clap:
খুবই ভালো মানের লেখা হইসে দস্তো। congrats, cadet college r best , pcc extraordinary for us, no offence
সারোয়ার
দোস্ত বানানটা ভুল হয়ে গেল মামা সারোয়ার বলে কথা স্টার অফ পকক
সারোয়ার
ধন্যবাদ দোস্ত...মেজাজ খুবই খারাপ ছিল। x-( x-(
:gulli2:
দোস্ত, আসলেই ভালো লিখছস। ওরা আসলে 'জেলাসি' থিকা এইসব লিখে, খোঁজ নিয়া দেখ ক্যাডেট কলেজ এ এডমিসন টেস্ট ' দিয়া ধরা খাইছিল !:):) (সম্পাদিত)
দামি কথা কইছস রে...এই কথার দাম ১০০ ইউরো...!!
😛 =))
"আমরা বিশ্বাস করি, যেদিন আমরা থাকব না। ঠিক সেদিনও আমাদের মত করে কেউ ভালবাসবে।" :boss: :boss: :boss:
আর আমাদের অর্জন এর স্বীকৃতি আমরা চাই না। কারন আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, “সেরাদের স্বীকৃতি লাগে না” :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
জটিল লিখছিস...এক্কেবারে ফাটাফাটি :thumbup: :thumbup:
ধন্যবাদ ভাই...ভাল আছেন?
রেজা ভাই,
আপনার রাগ এবং অভিমান এর জায়গাটা খুবই যোক্তিক...! দেশের বাইরে ব্যস্ত থাকার অযুহাতে বাংলা পেপার পড়ার সুযোগ হয় না। কিন্তু আপনার ব্লগ পড়ে আমি নিশ্চত ক্যাডট দেরকে হেয় করে এভাবে লেখাটি খুবই অনুচিত হয়েছে। আমার ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুযোগ না হলেও নিজের দুইটা ভাই ক্যাডেট , উপরন্তু যোগ হয়েছে আমার ক্যাডেট জীবনসংগী। তাই ক্যাডেট দেরকে উপহাস করে বলা যে কোনো কথায় খুব আঘাত পাই। আশা করছি শরফুদ্দিন জামান ভাইয়ের ভুল খুব তাড়াতাড়ি ভাংগবে...!! লেখা ভালো লাগলো। আরো লিখুন...। :clap: :clap: :clap: (সম্পাদিত)
আপু/ভাবী অনেক ধন্যবাদ...
প্রতিবার রেজাল্টের পরে এই তর্কাতর্কি ও নিন্দাটুকু এখন বেশ উপভোগ করি। সবাই বেশ ভীড়ের মধ্যে দুয়েকটা কিল বসিয়ে দেয়। এ ওর দোষ, সে তার দোষ ধরতে থাকে। কিন্তু এটাও ঠিক যে এগুলোতে ক্যাডেট কলেজ বা স্কুলগুলোর কিছু যায় আসে না। ক্যাডেট কলেজ আগেও ভালো রেজাল্ট করেছে, এবারও করেছে, সামনেও করবে। নিত্যনতুন সিস্টেমে বিচার করে যদি ক্যাডেট কলেজের নাম লিস্টে পরে আসে, তো আসুক না? 🙂
তবে,
এই কথাগুলো একেবারেই ভালো লাগে নাই। কারো লেখার সমালোচনা করতে গিয়ে তাকে না জেনে গালাগালি করাটা ঠিক না। এতে লাভের লাভ কিছু হয় না, বরং লেখার যুক্তিটা আউট অফ ফোকাস হয়ে যায়।
:thumbup:
:thumbup:
সিদ্দিক ভাইয়া হতাশ হইবেন না; আলো আসবেই। আর সেই আলোয় আমি নিজই আলোকিত। 😛 🙂 এখন আর ফলাফল এর সাথে বোর্ড মেধা তালিকা দেয় না। ১১এর ফলাফল এর সাথে ১০ এরবোর্ড মেধা তালিকা দিয়াছে; সেখানে নাকি আপ্নার এই ভাইটা প্রথম হয়েসে। :shy: :shy: B-)
“সেরাদের স্বীকৃতি লাগে না”
স্বীকৃতি এম্নিতই চলে এ আসে; চাঞ্চে নিজের :shy:
এই বিতর্কটা সারা জিবনই চলবে।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল তোদের জন্য..এগিয়ে যা..!!
সাবাস বেটা, চালিয়ে যা
রঞ্জনা আমি আর আসবো না...
ধন্যবাদ ভাই...মনে করে বিয়ের আগে আওয়াজ দিয়েন।। মেলা দিন দাওয়াত খাই না...!!
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।।
আন্দালিব ভাই, আপনার কথার সাথে পুরোপুরি এক মত ভাই। কিছু কিছু ব্যাপার পরে মনে হইছে, না লিখলেও হত। তবে আন্দালিব ভাই, আমি বাক্তিগত ভাবে কাউকে আঘাত করতে চাইনি।
আমরা ভাসা ভাসা অভিজ্ঞতায় যেটা মনে হয়েছে, কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী,ক্যাডেট কলেজ নিয়ে অহেতুক কিছু কথা বলেন । ব্যাপার টা মোটেও মেনে নেওয়ার মত কিছু না।।
পরে যখন মনে হবে, তখন সেটা বদলে নিবে। এতে করে তোমার লেখাটাও আরো সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে।
অনেকেই এমন না জেনে ক্যাডেট কলেজ নিয়ে উল্টাপাল্টা বলেন। আমাদের উচিত তাদেরকে ক্যাডেট কলেজ নিয়ে ভুল ধারণা ভাঙাতে ধীরস্থিরভাবে বুঝানো। তাদের ভুলটাই যদি আমরা করি, তাদের নিয়ে উল্টাপাল্টা বলি, তাহলে আমরা তো তাদের লেভেলে নেমে গেলাম! 🙂
কথা সত্য ভাই। বয়স কম তো আবেগটা একটু বেশি!! ব্যাপার না,ঠিক করে ফেলব।।!! 😛 😛
নভজোৎ সিং সিঁধুর সাথে এই সাংবাদিক মহাশয়ের আত্মীয়তা আছে মনে হয়...
এরা সম্ভবত একই বলাকা ব্লেড দিয়ে মাথা কামিয়েছে ভাই...!! :goragori:
খালি কি মাথা ?? 😀 😀
ব্যাপার না ভাইয়া, পেপারে প্রথম লিখলেও ক্যাডেট কলেজ ভাল রেজাল্ট করবে, না লিখলেও করবে। ক্যাডেটরা যখন ভাল রেজাল্ট করে তখন জেনেই করে যে পেপারে তার ছবি উঠবে না। আগে খুব রাগ হতো, এখন মজাই পাই দেখে। এবার একজন অসুস্থ ছিল, পেপারে হেডলাইন আসছে, ক্যাডেট কলেজে পাশের হার ৯৯ দশমিক ব্লা ব্লা...নিচে লেখা অমুক কলেজের সবাই জিপিএ পাচ, তমুক কলেজের সবাই জিপিএ পাচ, সবাই সবাই সবাই...
ওই একজন ছাড়া যতজন পরীক্ষা দিসে সব্বাই জিপিএ পাচ... :))
হ আপা...ক্ষমা দিলাম। প্রভু এদের জ্ঞান দিক...!! আমীন...!!
সিদ্দীক ভাই , জটিল লিখেছেন
বেশি জোস
আমরা বড় হয়েছি খুব সাধারন কিছু কাঠের ফলক দেখে। ওই সব সাধারণ ফলকে নাম লেখা আছে অসাধারন কিছু মেধাবীর। যারা প্রতিটা বার,বোর্ড মেধা তালিকায় ক্যাডেট কলেজ গুলোকে আলোয় আলোয় ভরিয়ে দিত।।ওই আলো তে,ক্যাডেট কলেজ গুলো এখনও আলকিত হয়। ভবিষ্যতেও হবে
ধন্যবাদ রে...!! ভালই তো আছিস মনে হয়।। ভাল থাকিস সব সময়...!! শুভকামনা রইল।।
আরে এইসব লিখলেই তো ভালো লাগে। তারকাদের নিয়েই তো বিতর্ক হয় 😛 এই যেমন ধর মেসি, রোনাল্ডো, পেলে, ম্যারাডোনা...... এদের নিয়ে কে সেরা, কে কি করে এইসব চেচামেচি নানান ফোরামে-ফেসবুকে লেগেই থাকে! 😛
দোস্ত কতগুলো বানান ভুল আছে, ওগুলো বদলে দিস।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
বুঝলাম... তুই বাংলা বানান প্রতিযোগিতায় বরাবর ১ম হইতি.. :)) :)) .লেখাগুলো অপারেটিং সিস্টেম ম্যাক চালিত এক জঞ্জাল ল্যাপটপ থেকে খুবই কষ্ট করে লেখা...!! অভ্র ইন্সটল দিতে পারছি না।।
অনেক ধন্যবাদ দোস্ত।। কথা দিলাম বানানে যত্নবান হব!!
আমি আর বানান প্রতিযোগিতা =)) =)) =)) ক্ষ্যামা দাও হে বন্ধু!! 😛
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
সানাউল্লাহ ভাই আপনার মতামতের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখে কিছু কথা বলছি...
ফলাফল বিশ্লেষণের এই প্রতিবেদন টা আসার আগে প্রথম আলো তে "আন্তঃ বাহিনী যোগাযোগ পরিদপ্তর" এর বরাত দিয়ে একটা রিপোর্ট আসে। এটা সম্ভবত ফলাফল প্রকাশিত হবার পরের দিনের কথা। আগুনের শুরু টা সম্ভবত সেখান থেকেই। অন্যদের কথা জানিনা। পাবনা ক্যাডেট কলেজের ফলাফলে বলা হয়েছে, ৪৯ পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪৭ জন। অথচ এই কলেজের ৪৯ জনের সবাই সকল বিষয়ে এ+ সহ জিপিএ ৫ পেয়েছে!!!আমরা ফলাফল সংক্রান্ত সংশোধনীটা তো নিদেন পক্ষে আশা করেছিলাম আজকে!! কিন্তু ওই সংশোধনীর আসা,আশা পর্যন্তই...!!
এর পর দিন “কৌশলে সেরা হবার দিন শেষ” প্রতিবেদনটি আসে। এখানে কিছু ব্যাপারে অস্পষ্টতা ছিল। যেটা অনেকেই বোঝেনি, আমি নিজেও বুঝিনি। কিন্তু তারপরও যেটা বলতে চেয়েছি, সেটা হল, প্রতিযোগিতার এই ইঁদুর দৌড়ে আমরা নামতে চাইনি। কার প্রভাব ক্ষুণ্ণ হল, কার বাড়ল;এই সব ব্যাপারে ক্যাডেট কলেজের কোন মাথা ব্যাথা নেই। ভাল ফলাফলের জন্য সাধুবাদ কারও কাছে চাই না, তাই বলে ভুলের বিষবাষ্পে ব্যাপারটাকে উড়েয়ে দেবেন এটা কেন?
এখনও মনে হয় বড় হতে পারিনি। তাই তুচ্ছ কিছু ব্যাপার নিয়ে এখনও ছোটদের মত কষ্ট পাই। আর ব্যাপারটা যদি হয় আমার কলেজকে নিয়ে তাহলে কষ্টটা কোথায় যেন একটু বেশিই তীব্র!!
প্রথম আলোর ওই রিপোর্ট টা দেখে, যারা না বুঝে অহেতুক গালা গালি করেছে, তারা
মনে হয় সবাই আমারই মত।। এখনও বড় হতে পারেনি...।।
ক্যাডেট মাত্রই অনুভুতিপ্রবন। আর সেটা কলেজ সংশ্লিষ্ট হলে, অনুভূতিটা মনে হয় একটু লাগামছাড়া।।তারপরও আমরা এমন কিছু করতে পারি না, যা সমগ্র ক্যাডেট পরিবারকে বিতর্কিত করে।।
আমারা দুঃখিত ভাইয়া। ক্ষমা করে দেবেন।।
ভাই রেজা শাওন, তোমার বয়স বেশিদিন হ্য়নি পার করে এসেছি। এখনো মাথা গরম করে ফেলি। আশা করি তুমিও ধীরে ধীরে স্থির হবে। ভাল থেক।
মরতুজা ভাই, আশায় আছি সেই দিনের। ধন্যবাদ ভাইয়া।।
::salute:: ::salute:: ::salute::
ভাই অসাধারন লেখা হয়েছে ।
ধন্যবাদ ফখরুল...
অনেক ভাল লাগল :clap: :thumbup: নামকরন খানা অতি যুক্তিযুক্ত হয়েছে। 😛
প্রমিতি আপু ধন্যবাদ।
রেজা, তোমার লিখাটা খুব ভালো লাগলো! খুবই আবেগ দিয়ে লিখা! নাদির/পকক ১১
নাদির ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ।
চেনা বামুনের পইতা লাগে না।।।।।।।।।।।।অস্থির হইছে মামা।।।।।।।।
হ রে ঠিক কইছস। চেনা বামুনেরা ক্রস বেল্ট পরে, এইটা পাবলিক বুঝে না। =))
:hatsoff:
ভাই রেজা ,অসাধারণ লেখা , কে কি বলে তা নিয়ে মাথা ঘামানর দরকার নেঈ।
ঠিক কইছস জোব্বা...বুয়েট ক্যাফে থেকে একটা মিষ্টি খাইয়া নিস বাকি তে। আমি দেশে আইসা বিল দিমু...। :)) :))
আবেগ দিয়াই লেখবি...
গালি দিবি মনে মনে...
লেখা হবে ভদ্র,ধারালো...
ছুরির মত কাটবে...
শুভ কামনা...
:thumbup:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
::salute:: ::salute::
এ জাতীয় মানুষগুলোর ধারণা,কেউ চাইলেই ক্যাডেট হতে পারে, অত ছোট বয়সে মায়ের কোল ছেড়ে কী তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আমারা গিয়েছি!সত্য হল যার জীবনে নিজস্ব অর্জন নেই সে অন্যের অর্জনকে শ্রদ্ধা দেখাতে পারেনা।যার লেখার মত বিষয়ের অভাব পরে সে সস্তা সমালোচনা করে কাটতি বাড়ায়। আমারতো মনে হয় না এই লোকটি এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কোন আলোচনা কোনদিন করেছেন।
ভাই,চালিয়ে যাও,ভদ্রতা খুবই জরুরী কিন্তু সবার জন্য কী না, এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই।
লাভলু ভাইয়ের লেখাতেও একই মন্তব্য দিয়েছি। এখানেও মন্তব্যটা কপি পেষ্ট করলাম।
লাভলু ভাইয়ের সাথে কিছুটা সহমত করছি যে লেখাটি সরাসরি ক্যাডেট কলেজের বিরুদ্ধাচারণ করে লেখা নয়। লেখাটির শিরোনাম এবং ভেতরের মুল আলোচনা বানিজ্যিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত স্কুল গুলোকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু লেখাটির মুল দুর্বলতা হচ্ছে যাদেরকে উদ্দেশ্য করে লেখা তাদের নাম উল্লেখ না করা এবং উদাহরণ হিসেবে তাদেরকে না টেনে ক্যাডেট কলেজের উদাহরণ টানা। আপনি আপেলের কথা বলতে চাচ্ছেন কিন্তু বর্ণনা করছেন কমলার, সেটা যুক্তি হিসেবে রাম ছাগলের দাড়ির মত যুক্তি হলো। আর তাই লেখার দুর্বলতার কারণে পাবলিক যদি ক্ষেপে যায় সেটা পাবলিকের দোষ না, দোষ যিনি লিখছেন তার। ক্যাডেট কলেজ যেহেতু কৌশল অবলম্বন কোন কালেই করেনি তাই এই প্রতিবেদনকে আমি আমলেই নিবো না।
তবে কারোর মন্তব্যেই একটি বিষয় পেলাম না, সেটা হচ্ছে সেরা প্রতিষ্ঠান বের করার উদ্দেশ্যে বোর্ডের এই উদ্ভট নিয়মের কোন সমালোচনা। আমার মতে মুল আলোচ্য বিষয় হওয়া উচিত সেটাই। প্রতিবেদকের কাছে এই নিয়ম বেশ গ্রহনযোগ্য মনে হয়েছে তাই তিনি খুশিতে প্রতিবেদনটি লিখেছেন। কিন্তু সেরা প্রতিষ্ঠান বের করার নিয়মগুলো যদি দেখেন তবে দেখবেন নিয়মটি বরং কৌশলে ভরপুর। এখানে নিয়মগুলো এমনভাবে করা হয়েছে যেন সরকারী ভালো স্কুলগুলো সেরা হিসেবে বিবেচিত হয় আর ক্যাডেট কলেজের মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বাদ পড়ে যায়। অর্থাৎ নিয়ম করার আগেই আপনি ঠিক করে রাখছেন কাদেরকে আপনি সেরা হিসেবে দেখতে চান আর কাদেরকে বাদ দিতে চান। তারপর ইচ্ছে মত পয়েন্ট সিস্টেম করলেন। খেয়াল করে দেখবেন নিয়মগুলো প্রতিবছর আপডেট করা হয়েছে যেন তাদের হিসেবের সঠিক প্রতিষ্ঠানগুলো আসে।
সবচেয়ে উদ্ভট নিয়মটি হচ্ছে এটিঃ
মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় নম্বর সর্বোচ্চ ১০ (এক থেকে ৫০ পরীক্ষার্থীর জন্য এক, ৫০ থেকে ৯৯ পরীক্ষার্থীর জন্য দুই, ১০০ থেকে ১৪৯ পরীক্ষার্থীর জন্য নম্বর তিন এবং এভাবে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৫০০ এবং তার বেশি হলে নম্বর ১০)।
অর্থাৎ এই নিয়মে ক্যাডেট কলেজগুলো কোনভাবেই ৯১ এর বেশি নম্বর পাবে না ১০০ তে। তাহলে কি তাতে প্রমানিত হয়ে গেলো ক্যাডেট কলেজগুলো খারাপ? উপরের এই উদ্ভট নিয়ম কেবল বাংলাদেশের মত দেশেই সম্ভব। আপনি যতজন শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে গড় করেন ঠিকাছে, যদি চান যতজন নিবন্ধিত হয়েছে তার ভিক্তিতে গড় করেন ঠিকাছে। সব দিক দিয়েই ক্যাডেট কলেজ এগিয়ে থাকবে। কিন্তু ৫০ জন শিক্ষার্থী বলে এক পয়েন্ট দিবেন আর ৫০০ জন বলে ১০ পয়েন্ট দিবেন তারপর বলবেন আমিই সেরা, সেটি কোন যুক্তিসঙ্গত নিয়ম হতে পারে না। প্রতিবেদকের লেখাতেও এই পয়েন্ট সিস্টেম নিয়ে আলোচনা আশা উচিত ছিল।
আসিফ ভাই এবং মোস্তফা ভাই আসলে এই ব্যাপারটা নিয়ে অনেক বিতর্ক হল। ধন্যবাদ আপনাদের। আপনারা অন্তত বুঝেছেন, যে সমস্যা টা কোথায় ছিল।
আর শেষ কথা হল, কিছু কিছু জায়গায় ক্যাডেট কলেজ আজীবনই বিমতাসুলভ আচরণ পেয়ে এসেছে। এটা মেনে নিয়েছি।।
ফেসবুকে শেয়ার করলাম।